শ্যামনগর
সাতক্ষীরায় টর্নেডোর আঘাতে ৪৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডো আঘাতে ৪৫টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টর্নেডো আঘাত হানে, যার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র এক মিনিট। তবে হতাহতের কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।
টর্নেডোতে সুন্দরবন সংলগ্ন কালিঞ্চির মধ্যপাড়া, কলোনিপাড়া, গেটপাড়া ও গোলাখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে। ১৫টিরও বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে এবং ৩০টিরও বেশি বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আজগার আলী জানান, টর্নেডোর সময় কালিন্দী নদীতে ভেসে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে নৌপুলিশ ও বিএসএফ সদস্যদের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে টর্নেডো কালিঞ্চি ও গোলাখালী এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এতে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া অসংখ্য গাছ উপড়ে বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘর-বাড়ি, আহত ১৫
এতে কলোনিপাড়ার বৃদ্ধা রহিমা বেগম, খোকন এবং মধ্যপাড়ার আজগর আলী বুলু, রেজাউল, অবনী ও ভুপেন মণ্ডলসহ ১৫ জনের বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। টর্নেডোর পরপরই প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়।
রমজাননগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন জানান, টর্নেডোর আঘাতে প্রায় ৪৫টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হলেও কেউ হতাহত হননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আকতার হোসেন বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। পরে এর তালিকা পাওয়া যাবে। তবে টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তরা নিরাপদে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় বিষাক্ত জুস খেয়ে ছেলের মৃত্যু, মা আটক
সাতক্ষীরায় ট্রাক্টর-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত
১ বছর আগে
অর্থসংকটে সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে নিহত মৌয়ালদের পরিবার
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে অর্থকষ্টে দিনাতিপাত করছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যতিন্দ্রনগর গ্রামের হালিমা খাতুন।
২০০৬ সালে বন বিভাগ থেকে পাশ দিয়ে মধু সংগ্রহের জন্য যান তার স্বামী গোলাম গাজী। দু’দিন পরে খবর আসে গোলাপ গাজী বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন। এর কয়েকদিন পরে তার ছিন্ন-বিছিন্ন লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে তার সঙ্গে যাওয়া অন্য মৌয়ালরা।
সেই থেকে হালিমা খাতুন তার ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে বাস করছেন। বর্তমানে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তার ছেলে।
স্বামীকে হারিয়ে ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে খুব কষ্টে দিনযাপন করছেন হালিমা খাতুন।
সুন্দরবনে গিয়ে বাঘের হাতে প্রাণ হারানো অপর ব্যক্তি শ্যামনগরের গাবুরা গ্রামের বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন।
মোশাররফের মা খালেদা বেগম ইউএনবিকে জানান, ২০১২ সালে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে নিহত হন মোশাররফ।
একই উপজেলার হরিনগর গ্রামের সুন্নত আলী শেখের স্ত্রী কোহিনূর বেগম জানান, ২০১৪ সালে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে আর ফিরে আসেননি তার স্বামী সুন্নত আলী শেখ।
তিনি জানান, পরে শুধু তিনি শুনেছেন, তার স্বামীকে বাঘে খেয়েছে। আর কোনো সন্ধান তিনি পাননি তার প্রিয় স্বামীর।
অন্যদিকে নিহত মৌয়াল শ্যামনগরের কাউসার গাইনের ভায়রা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চলতি বছরের ২০মে বাঘের আক্রমণে মারা যান কাউসার।
একইভাবে ২০২১ সালে প্রাণ হারান হাবিবুর মোল্লা ও জিয়াউল ইসলাম নামের দুজন মৌয়াল।
গত এক দশকে ছয়জন মৌয়াল সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে নিহত হয়েছেন। এরা সকলেই সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা।
নিহতদের কোন পরিবার আর চায়না তাদের পরিবারের কেউ আর সুন্দরবনের সঙ্গে জড়িত থাকুক।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় লোকালয়ে বাঘ, আতঙ্কে গ্রামবাসী
সুন্দরবন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের একমাত্র ম্যানগ্রোভ বন। দেশের খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলা নিয়ে বিস্তৃত এ বন। সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার। যার মধ্যে বাংলাদেশে পড়েছে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার, আর ভারতের পশ্চিম বাংলায় রয়েছে প্রায় ৪ হাজার বর্গ কিলোমিটার।
পৃথিবী বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য সুন্দরবন বিখ্যাত। এ ছাড়া হরিণ, বানর, কুমির সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও রয়েছে এ বনে।
সুন্দরবনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিভিন্ন নদীতে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার মাছ। আর রয়েছে মধু, এ বনের মধু পৃথিবী বিখ্যাত।
পর্যটকদের জন্য বরাবরই সুন্দরবন একটি আকর্ষণীয় জায়গা। আর পদ্মাসেতু হওয়ার পর পর্যটকদের কাছে সুন্দরবনের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুধু পর্যটন নয়, এই বনকে ঘিরে কয়েক লাখ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। কেউ বনজীবী, জেলে বা মংস্য সংগ্রহকারী আবার কেউ মৌয়াল বা মধু সংগ্রহকারী।
এই সুন্দরবনকে ঘিরে অনেকে যেমন জীবিকা নির্বাহ করে তেমনি অনেকে সুন্দরবনে গিয়ে বাঘের শিকার হয়েছেন বা আক্রমণে মারা গেছেন। এদের অধিকাংশই ছিল মৌয়াল।
সম্প্রতি প্রথমবারের মতো খুলনায় মৌয়াল, চাষি, বণিক, গবেষক ও ভোক্তা জাতীয় জোটের উদ্যোগে বাঘের আক্রমণে নিহত মৌয়ালদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
এসময় মেয়র বলেন, মৌয়াল, চাষি, গবেষক ও ভোক্তা জাতীয় জোট বাঘের আক্রমণে নিহতদের পরিবারকে অর্থিক সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন, মৌয়াল, চাষি, গবেষক ও ভোক্তা জাতীয় জোটের এই সহযোগিতা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. মো. মোহসীন হোসেন বলেন, মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে যারা নিহত হন, বন বিভাগ তাদের বিষয়ে সচেতন।
তিনি আরও বলেন, বন বিভাগ সবসময়ই তাদেরকে সহযোগিতা করে থাকে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
সুন্দরবনে বাঘের হামলায় নিহত জেলের মরদেহ উদ্ধার
১ বছর আগে
শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধের মৃত্যু, আটক ৫
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের হাটছালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
মৃত আব্দুর রাজ্জাক গাজী (৬০) হাটছালা গ্রামের মৃত অমেদ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: ঢামেকে অগ্নিদগ্ধ একজনের মৃত্যু
নিহতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন জানান, ১৬ বছর আগে জমি কিনে তার ভাসুর ওই জমিতে বসবাস করে আসছে। শনিবার সকালে নিজেদের জমিতে কাজ করছিলেন তার ভাসুর আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় একই গ্রামের প্রতিপক্ষ অলিউল্লাহ তরফদারের ছেলে আজিজুল তরফতদার, ইয়াকুব আলী, অলিউল্লাহর স্ত্রী সাহিদা বেগম এবং এরশাদ গাজীর স্ত্রী নূরজাহান তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
একপর্যায়ে আজিজুল তরদফদার পিছন দিক থেকে তার ভাসুরকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
এরপর ঘটনাস্থলেই তার ভাসুর আব্দুর রাজ্জাক অচেতন হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আব্দুর রাজ্জাক গাজী ও অলিউল্লাহ তরফদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকালে আব্দুর রাজ্জাক বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে ঘর বানানোর চেষ্টা করেন। এ সময় অলিউল্লাহ তরফদার ও তার ছেলে আজিজুলের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত পেয়ে মারা যান আব্দুর রাজ্জাক।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে আজিজুল তরফদার, ইয়াকুব আলী ও নূরজাহানসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে, এখনও কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
তিনি আরও জানান, তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, মা-ভাই দগ্ধ
দিনাজপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
২ বছর আগে
সাতক্ষীরায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি
জোয়ারের পানির স্রোতে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ১০টি গ্রামের প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশুরা খাদ্য, পানীয় জল এবং তীব্র স্বাস্থ্য সংকটে পড়েছে। এছাড়া জোয়ারের পানিতে এক হাজার একর মাছের ঘের ও ফসলি জমি ভেসে গেছে, এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রবল জোয়ারের চাপে পশ্চিম দুর্গাবাটির সাইক্লোনশ্লেটার সংলগ্ন এলাকায় খোলপেটুয়া নদীর ২০০ ফুট এলাকাজুড়ে উপকুল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়।
আরও পড়ুন: বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১০: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থানীয়দের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে বাঁধের পাইলিং কাজ শুরু করেছে।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হুমায়ুন কবির, শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তার হোসেন, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম প্রমুখ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বন্যায় ১৪০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি
ডিসি হুমায়ুন কবির জানান, জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খাওয়ার পানি ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে। এছাড়া এলাকার মানুষ যেন স্থায়ী সমাধান পায় সেজন্য ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস: বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায়
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে নদীর পানি প্রায় তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, কৈখালী, মুন্সিগঞ্জ ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে মঙ্গলবার বিকাল থেকে বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারের আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার আগাম ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা বহনযোগ্য সম্পদ নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া উপকূল এলাকা আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা এবং শ্যামনগরের পদ্মপুকুর, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কৈখালি , ঈশ্বরীপুর ,রমজাননগর, কাশিমারিসহ সুন্দরবন লাগোয়া মুন্সিগঞ্জ হরিনগর এলাকায় মাইকিং করে জনগনকে সতর্ক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দেড় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে মানুষের আশ্রয়ের জন্য। এর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা ৭৫ হাজার বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আ ন ম আবু জার গিফারি।
আরও পড়ুন: 'ইয়াস' মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
পটুয়াখালীতে ইয়াসের প্রভাবে ১৬ গ্রাম প্লাবিত
এছাড়াও জেলায় দেড় হাজার স্কুল কলেজ মাদরাসা ও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কোভিড চলাকালীন নিরাপত্তা বজায় রেখে তাদের খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ইউএনও।
এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বেড়িবাঁধের ৫৫টি পয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পূর্নিমার ভরাকাটাল ও পূর্নচন্দ্র গ্রহণের সময় ইয়াস এর দাপটে জলোচ্ছাসের আশঙ্কা করছেন উপকূলবাসী।
এদিকে, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বন বিভাগের ৮টি টহল ফাঁড়ির সব সদস্যকে নিরাপদে সরে যাবার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সহকারি বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, ইয়াস আঘাত করলে এবং অস্বাভাবিক জলোচ্ছাস হলে তাদেরকে উদ্ধার করে আনার জন্য নৌযানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
৩ বছর আগে
সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে ২ বনজীবী নিহত
পশ্চিম সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে দুই বনজীবী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
৩ বছর আগে