ডি-৮
ডি-৮ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর
আসন্ন ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।
বুধবার (২ অক্টোবর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক সাক্ষাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর মোহি এলদিন আহমেদ ফাহমি জানান, মিশর ২০২৪ সালে ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে মিশর প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতার একটি সংস্থা, যা ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া
১৯৯৭ সালের ১৫ জুন রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে এক সম্মেলনে ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে ডি-৮ অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রতিষ্ঠার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
ডি-৮ এর লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থানের উন্নয়ন, বাণিজ্য সম্পর্কের বহুমুখীকরণ ও নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
উন্নত ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় মিশরের অব্যাহত সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় তৌহিদ হোসেনকে অভিনন্দন জানান তিনি।
এসময় উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন চলাকালে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
বৈঠকে ২০২৪ সালে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর আলোকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সহযোগিতার সম্ভাব্য সুযোগগুলো অনুসন্ধান করা হয়।
বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও নতুন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করার লক্ষ্যে সহযোগিতা করতে মিশর সম্মতি জানায়।
সহযোগিতা ক্ষেত্র হিসেবে কৃষি, পেট্রোরসায়ন, বস্ত্রবয়ন ও জাহাজ শিল্পকে গুরুত্ব দেন তারা।
ফিলিস্তিনি জনগণকে বাংলাদেশ যে মানবিক সহায়তা দিয়েছে তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
এসময় উপদেষ্টা চলমান সংঘাত নিরসনে আরব দেশগুলো এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: এলডিসি গ্রাজুয়েশনে বাংলাদেশের সুষ্ঠু উত্তরণে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস জাতিসংঘের
১ মাস আগে
আগামী ৫ ও ৭ সেপ্টেম্বর হচ্ছে আসিয়ান ও পূর্ব-এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর আসিয়ানের ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৮তম পূর্ব-এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, চলতি বছরের আসিয়ান চেয়ার হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এ সম্মেলনের আয়োজন করছে দেশটি। সম্মেলনে আসিয়ান ও ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওআরএ) এর মধ্যে একটি সহযোগিতমূলক চুক্ত সই হবে। এই চুক্তি সই অনুষ্ঠানে দুই সংস্থার মহাসচিব উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: প্রাক-নির্বাচন অপপ্রচার প্রতিরোধে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এ ছাড়া পাকিস্তানের মারিতে ৩ থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত তৃতীয় ডি-৮ সম্মেলনে পর্যটনবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ও চতুর্থ ডি-৮ সম্মেলনে পর্যটনবিষয়ক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসব বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-এর পরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ) বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। মন্ত্রী পর্যায়ের এ সভায় “ডি-৮ পর্যটন করপোরেশন ইসলামাবাদ ঘোষণা” গৃহীত হয়।
এ ছাড়াও, সভায় পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের যৌথ প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ডি-৮ ভুক্ত দেশের ব্যবসায়ীদের ভিসা প্রাপ্তির প্রক্রিয়া সহজতর করার উপর সভায় গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়াও, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর পর্যটন সহযোগিতা সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে অর্থায়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ডি-৮ সচিবালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রতি দুই বছর অন্তর ডি-৮ মন্ত্রী পর্যায়ের সভা এবং নিয়মিত কর্মকর্তা পর্যায়ে বৈঠক আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সংঘাতপূর্ণ সুদান থেকে দেশে ফিরেছেন ৭২১ জন বাংলাদেশি: সেহেলী সাবরীন
১ বছর আগে
চলতি বছরে ডি-৮ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি কার্যকর হতে পারে
ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) মিশরের অনুমোদনের সঙ্গে চলতি বছরের অক্টোবরে কার্যকর হতে পারে যা আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘মিশর ছাড়া অন্য সাত সদস্য দেশ ডি-৮ পিটিএ অনুমোদন করেছে। আপনারা জেনে খুশি হবেন- মিশর এই সভায় ঘোষণা করেছে তারা শিগগিরই এটি অনুমোদন করবে।’
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ডি-৮ এর মন্ত্রী পর্যায়ের সভার ফলাফল সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিষ্ঠার সময় ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা বর্তমানে ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
মোমেন বলেন, ‘আমার আশা আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমাদের আন্তঃবাণিজ্য ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে। এটাই আমার আশা। আমরা এটি অর্জন করতে পারব না এমন কোনো কারণ নেই।’
আরও পড়ুন: আরও ১ বছর ডি-৮ এর সভাপতি থাকবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে ডি-৮ এর মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম বলেন, ডি-৮ পিটিএ ইতোমধ্যেই আছে এবং তাদের শুধু এটিকে কার্যকর করতে হবে। ‘আমরা আশা করি এটি এই বছরের অক্টোবরের মধ্যে কার্যকর হয়ে যাবে।’
২০০৬ সালের ১৩ মে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ডি-৮ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরিত হয় এবং এটি বাণিজ্যে ডি-৮ এর সহযোগিতার সবচেয়ে দৃশ্যমান ফলাফল হিসাবে বিবেচিত হয়।
ডি-৮ ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। এটি উন্নয়নশীল আটটি দেশের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক একটি সংগঠন। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক। ১৯৯৭ সালে ইস্তানবুলে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
২ বছর আগে
ডি-৮ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ জায়গা দিতে প্রস্তুত: প্রধানমন্ত্রী
ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জায়গায় দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সংস্থাটির সদস্য রাষ্ট্রের মন্ত্রীদের ২০তম সম্মেলনে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করে এই প্রস্তাব দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য জায়গা দিতে প্রস্তুত আছে। যেখানে সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিনিয়োগ করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘যদি এখনই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে আগামী দশকেই শক্তিশালী ডি-৮ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে।’
ডি-৮ হলো উন্নয়নশীল আটটি রাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতমূলক একটি সংগঠন। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো-বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।
১৯৯৭ সালে কয়েকটি লক্ষ্য উন্নয়নের জন্য এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করে সদস্য রাষ্ট্রগুলো। এরমধ্যে বিশ্ব অর্থনীতিতে অবস্থান তৈরি, বহুমুখী বাণিজ্য ও নতুন বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহযোগিতা, এবং মানুষের জীবনমান উন্নতকরণ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২৫ বছরের এই ফোরামের সময় এসেছে বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার ও নজর দেয়ার, বাণিজ্য বৃদ্ধি, আইসিটি, খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষিতে বৈচিত্রতা আনা এবং বিকল্প জ্বালানির খোঁজ করার।
তিনি বলেন, সফল ডি-৮ এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) বাস্তবায়ন। যার বিরাট একটি অভ্যন্তরীণ বাজার আছে।
তিনি বলেন, ডি-৮ এর অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যই এর ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে ত্বরান্বিত করবে। ফোরামকে আগামী দশকে অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা উচিত।
আইসিটির বিশাল সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে সম্মেলনে হাসিনা বলেন, ডি-৮ দেশের তরুণরা হতে পারে শক্তিশালী জনশক্তি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষ ৪০ বছরের কম বয়সী। আমাদের সাড়ে ছয় লাখ নিবন্ধিত আইটি ফ্রিল্যান্সার আছে। এই বিশাল জনশক্তি আইটি নির্ভর শিল্প করতে কাজে লাগানো যেতে পারে। তরুণরা বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
চতুর্থ প্রস্তাবনায় তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য কৃষিতে বৈচিত্য নিয়ে আসা ও খাদ্য উৎপাদনে ডি-৮ এর মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ তার সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা ও কর্মসূচী ডি-৮ এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সাথে বিনিময় করতে প্রস্তুত। আগামী দশকে খাদ্য উৎপাদনে ও খাদ্যে আত্মনির্ভরশীল হতে কৃষি উৎপাদনে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মনযোগ দেয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে যত্নবান হতে ও বিকল্প বিদ্যুতের উৎসের বিষয়েও পরামর্শ দেন।
বিকল্প জ্বালানির সক্ষমতা অর্জনের বিষয়ে যে দেশগুলো অভিজ্ঞ তাদের সাথে সমন্বয় করতে ডি-৮ কে প্রস্তাব দেন তিনি।
পড়ুন: যুদ্ধে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান
২ বছর আগে
যুদ্ধে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকট’ সাহসিকতার সাথে মোকাবিলায় বৃহত্তর বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক সংহতি জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি, সংঘাত, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিশ্ব এখন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এজন্য বহুপাক্ষিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক সংহতি আগের চেয়ে বেশি মনোযোগের দাবি রাখে।’
বুধবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ডি-৮ মন্ত্রী পরিষদের ২০তম অধিবেশনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অধিবেশনে যোগ দেন।
ডি-৮ ডেভেলপিং-৮ নামেও পরিচিত। এটি বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুর্কিয়ের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতার একটি সংস্থা। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৭ সালে ইস্তাম্বুলে এটি চালু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে একটি মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে যা খাদ্য, সার, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য পণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সকলকে সাহসের সাথে এই মানবিক সংকট মোকাবিলায় এগিয়ে আসা উচিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে বিশ্ব যখন সংকটে তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে নতুন বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান
যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ধকল সইতে হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেশিরভাগ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ সরকার অর্থনীতিতে করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাব প্রশমিত করতে এবং কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধির গতিপথে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ব্যাপক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত সরকার ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য ২৮টি উদ্দীপনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যা দেশের জিডিপির ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
এই প্যাকেজগুলো থেকে মোট ৬৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ এবং এক লাখ ৮ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান উপকৃত হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।
অধিবেশনে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সফলভাবে তার লক্ষ্যবস্তু জনগোষ্ঠীকে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে টিকা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার সূচকে বাংলাদেশ ১২১টি দেশের মধ্যে পঞ্চম এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে।
দেশের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গত এক দশকে সব সামাজিক-অর্থনৈতিক খাতে বাংলাদেশ চিত্তাকর্ষক অগ্রগতি করেছে।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশে নেমে এসেছে এবং মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, ডি-৮ মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, ডি-৮ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডি৮সিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ডি-৮ এবং এর ২৫ বছরের যাত্রার ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পড়ুন: মন্ত্রিপরিষদের সভায় জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবের প্রতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা কামনা প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
ডি-৮ বৈঠকে খাদ্য, জ্বালানি নিরাপত্তা ও বাণিজ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, আগামী ২৭ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮’র এর মন্ত্রী পর্যায়ের ২০তম আলোচনা সভায় খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, বাণিজ্য, পর্যটন ও জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
রবিবার রাজধানীতে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা একটি বৈশ্বিক সমস্যা; যা বৈঠকে আলোচনা করা হবে। কারণ এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খাদ্য নিরাপত্তাকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যু বহুল আলোচিত হবে। আমরা অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের দক্ষতা শেয়ার করতে চাই। সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে।’
জ্বালানি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, এটি সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী একটি আলোচিত বিষয়। ‘আমাদের অবশ্যই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা নিয়েও আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, যদিও কিছু ডি-৮ দেশ পর্যটন খাতে পরিপক্কতা দেখিয়েছে, তবে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের আরও বেশি কিছু করার সুযোগ রয়েছে।
মোমেন বলেন, আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি পেলেও ডি-৮ দেশগুলো এ বিষয়ে আরও কিছু করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কীভাবে বাণিজ্যকে আরও প্রসারিত করা যায় আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করব।’
তিনি বলেন, ডি-৮ প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ)-এর যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তঃবাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য আসন্ন বছর খুবই প্রতিশ্রুতিশীল: ডাচ রাষ্ট্রদূত
২০০৬ সালের ১৩ মে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে স্বাক্ষরিত ডি-৮ প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) বাণিজ্যে ডি-৮ সহযোগিতার সবচেয়ে বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
চুক্তিটি সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক গভীর করার পারস্পরিক আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ এবং উচ্চ স্তরে অর্থনৈতিক সংলাপের সূচনা করে।
কয়েক দফা বহুপাক্ষিক আলোচনার পর ২০১১ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পিটিএ কার্যকর হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ বৈঠকে আজারবাইজানের সদস্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে ডি-৮ দেশের কিছু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাদের সহকর্মীরা প্রতিনিধিত্ব করবেন।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এতে যোগ দিয়ে সভার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ২৫ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ডি-৮ কমিশনের ৪৫তম অধিবেশনের আয়োজন করবে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের (ডি-৮) বা ডেভেলপিং-৮ হলো উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য গঠিত একটি সংস্থা। এর সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।
১৯৯৭ সালের ১৫জুন সরকার প্রধানদের ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-৮ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করা হয়েছিল।
ডি-৮ এর উদ্দেশ্য হল বিশ্ব অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান উন্নত করা, বাণিজ্য সম্পর্কের বৈচিত্র্য আনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে বাণিজ্য চুক্তির ওপর জোর বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার
বাংলাদেশ-ব্রাজিলের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর
২ বছর আগে
ডি-৮ এর শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোট হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর একসঙ্গে শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোটে পরিণত হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। বুধবার গণভবনে ডি৮এর মহাসচিব ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমামের সঙ্গে বৈঠকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলো একসঙ্গে মিলে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোটে পরিণত হওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ও ডি-৮এর মহাসচিব উভয়েই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাণিজ্য প্রসারের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়িত করার প্রয়োজনীয়তার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাব: জয়শঙ্কর
তারা ব্যবসা, অর্থনীতি, বাণিজ্য, পরিবহন, কৃষি, পর্যটন, শিক্ষা এবং শক্তির মতো ডি-৮ এর থ্রাস্ট সেক্টর অন্বেষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
এ সময় ডি-৮ মহাসচিব আইসিটি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম ১ জানুয়ারি ডি-৮ এর মহাসচিবের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
ডি-৮ সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ ভাষাপ্রেমীদের মিলন মেলা
বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে আগ্রহী ইউরোপীয় কোম্পানি
২ বছর আগে
ঢাকায় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন শুরু ৮ এপ্রিল
বাণিজ্য, বিনিয়োগ, খনিজ সম্পদ, পর্যটন, আইসিটি, জলবায়ু এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ৮ এপ্রিল দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন।
বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা এই বিষয়গুলোই আলোচনার মাধ্যমে ফোকাস করার চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শ্রীলঙ্কার সক্রিয় সহযোগিতা কামনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের একটি ‘স্থায়ী সমাধান’ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবার সহযোগিতা চাওয়া হবে।
বাণিজ্য সম্পর্কিত ইস্যুতে তিনি বলেন, ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে যা অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।
এবারের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনটি সফলভাবে আয়োজন হয়েছিল বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো 'বৈশ্বিক রূপান্তরের জন্য অংশীদারিত্ব: যুব সম্প্রদায় ও প্রযুক্তি শক্তির মুক্তি।'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবারের শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান ডি-৮ চেয়ার তুরস্ক, বাংলাদেশকে ডি-৮ চেয়ারের দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
তিনি বলেন, ‘আগামী দুই বছর ডি-৮ এর চেয়ারের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নের অভাবনীয় সাফল্যগাঁথা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
আরও পড়ুন: ফিনল্যান্ডকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আগামী ৭ এপ্রিল ১৯-তম ডি-৮ মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করবে। ৫-৬ এপ্রিল ৪৩তম ডি-৮ কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশ উদীয়মান বড় অর্থনৈতিক পরাশক্তি: ইরানের রাষ্ট্রদূত
বিশ্বের উদীয়মান বিশেষত এ অঞ্চলের বড় অর্থনৈতিক পরাশক্তি হিসেবে বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে, ঢাকায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নফর বলেন, ইরান বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সুদৃঢ়ভাবে যুক্ত হতে চায় এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে চায়।
৩ বছর আগে