কাশিমপুর
কাশিমপুর কারাগার থেকে পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শাহ আলমকে (২৬) কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে শহরের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত তিনি। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার গাইটাল নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব সূত্র জানায়, কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যান।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের দলটি কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় করা হয়।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামল মিয়া বলেন, আসামিকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ১৫০ বোতল ফেনসিডিলসহ নারী গ্রেপ্তার
৩ মাস আগে
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার লক্ষ্মীবরদী এলাকার মৃত ফাজিল উদ্দিনের ছেলে জহিরুল হক ভূঁইয়া (৭০)।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
গত রাতে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়ে জহিরুল হক ভূঁইয়া। এসময় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন জহিরুল হক ভূঁইয়া মারা যান।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে আনা হয়েছিল জহিরুল হক ভুঁইয়াকে। হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল, শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আড়াইহাজার থানার একটি মামলায় তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ কয়েদির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ অক্টোবর) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত কয়েদিরা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আকরাম হোসেন এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম ফরাজী।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাশিমপুর কয়েদির মৃত্যু
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম ফরাজী সাভার থানার একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পান। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় ২০ বছর ধরে বন্দী ছিলেন তিনি। রবিবার মধ্যরাতে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই রাতেই তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের সিসিইউ ওয়ার্ডে রাখা হয়। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, আকরাম হোসেন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। তিনি সোমবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২টার দিকে তিনি মারা যান।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার আমিরুল ইসলাম বলেন, নিহতদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত ও কারাবিধি শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
১ বছর আগে
কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রতন মিয়া (৪৫) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
রতন গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানার ব্যাংকের মাঠ এলাকার সিরাজুল মৃধার ছেলে। এ কারাগারে তার হাজতি নম্বর-১৭০৫/২৩ ছিল।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার মো. আমিরুল ইসলাম জানান, সকাল পৌনে ৮টার দিকে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন হাজতি রতন। এ সময় তাকে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, তার নামে টঙ্গী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা ছিল। ওই মামলায় তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
১ বছর আগে
কাশিমপুর কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে কছিরন (৪৫) নামের এক নারী হাজতির মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে কছিরনকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত
তিনি জামালপুর সদর থানার গোপালপুর এলাকার লোকমান হোসেনের স্ত্রী।
কারাগার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর থানায় হত্যা মামলার আসামি কছিরন গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কছিরনকে মৃত ঘোষণা করেন।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মাহমুদা আক্তার জানান, কছিরনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন কছিরন। সেখানে তিনি অসুস্থ থাকা অবস্থায় তাকে ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেখান থেকে গত ১৯ আগস্ট তাকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। দুই-তিনদিন পর তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত
কুড়িগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
১ বছর আগে
কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদি শুক্রবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে আত্মহত্যাচেষ্টা করেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৮ জুলাই) ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত আমিরুল ইসলাম (৩৪) নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মধ্যম চেঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ২ কয়েদির মৃত্যু
কারাসূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই কয়েদি টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে চাদর পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে কারগারের ভেতরে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কক্ষের অন্য বন্দিরা বিষয়টি টের পেয়ে কারা কর্মকর্তাদের খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতাল এবং পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়।
কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, ওই কয়েদি ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারগারে আসেন।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে হাতিয়ায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১৪ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের পর আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
১ বছর আগে
বন্দী নির্যাতনের ঘটনায় পাপিয়াকে কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর কাছ থেকে টাকা আদায় ও অন্য বন্দীকে নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী কারাবন্দী শামীমা নুর পাপিয়াকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুলাই) বিকাল ৫টায় তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) ওবায়দুর রহমান।
আরও পড়ুন: পরিচয় নয়, অপরাধ অনুযায়ী পাপিয়ার বিচার হবে: কাদের
এর আগে ওই ঘটনায় কারাগারের তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সাবেক বন্দী রুনা লায়লা জানান, সিসি ক্যামেরা নেই এমন স্থানে নিয়ে গিয়ে তার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা ছিল। সেই টাকা কেড়ে নেয়ার জন্য কারাগারের হাজতি যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াসহ তার সহযোগীরা।
টাকা চাইলে দিতে অস্বীকার করলে তারা জোর করে সেই টাকা নিয়ে যায়। পরে পাপিয়া ও তার সহযোগীরা শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে অমানবিকভাবে আমাকে মারধর করে। ওই বন্দী তার হাতে-পায়ে ধরলেও তিনি ছাড়েনি, নির্যাতন করে।
জানা গেছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দী থাকার সময় পাপিয়া ও তার অপর সহযোগীর বিরুদ্ধে কারাগারের এক হাজতি শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে নির্যাতন এবং টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
নির্যাতনের শিকার রুনা লায়লা গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার কড়িহাতা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে এবং মৃত এ কে এম মাহমুদুল হকের স্ত্রী।
তিনি ঢাকার কোতোয়ালি থানার ৭৩৫ নম্বর মামলার আসামি। গত ১৬ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন রুনা লায়লা।
আরও পড়ুন: পাপিয়া লবিং করে ঢাকা থেকে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন: এমপি হিরু
তিনি গত ২৭ জুন জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
রুনা লায়লার ভাই আব্দুল করিম গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে গত ২৫ জুন লিখিত অভিযোগ দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আব্দুল করিম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, তার বোন রুনা লায়লার কাছ থেকে ৭ হাজার ৪০০ টাকা কেড়ে নিতে কারাগারে দায়িত্বে থাকা হাবিলদার ফাতেমা বেগম ও নাসিমা আক্তার এবং হাজতি ও কয়েদিসহ শামীমা নুর পাপিয়া, সোনালী, আনন্দিকা, অবন্তিকা ও নাজমা তাকে নির্যাতন করে।
একপর্যায়ে তিনি রক্তবমি করেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফেরার পর আবার তাকে পেটানো হয়। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সেই নির্যাতনের জেরে পাপিয়াকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কারাকর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়।
কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর রুনার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তার সহযোগীরা ১৯ জুন রুনাকে নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
একপর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে কেস টেবিল বা সালিস বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
তবে পাপিয়ার ভয়ে সাধারণ কয়েদিরা রুনা লায়লার ওপর অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে পারেননি।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) ওবায়দুর রহমান জানান, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে কারাগার অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বন্দী শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে।
শোকজ করা তিনজন হলেন- কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার, ডেপুটি জেলার জান্নাতুল তায়েবা ও মেট্রন হাবিলদার ফাতেমা।
আরও পড়ুন: পাপিয়া-সুমন: নরসিংদীর নেতাদের মাঝে চলছে দোষারোপের খেলা
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে এবং তাতে দোষ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া কারাগারের ভেতরে এমন ঘটনা যাতে আর না হয়, সে বিষয়েও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলেনও জানান তিনি।
১ বছর আগে
সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর থেকে কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর
রাজধানীর রমনা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার প্রথম আলোর সাভার প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফের কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় একটি মাইক্রোবাসে তাকে কেরাণীগঞ্জে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিআইডি প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে কেরাণীগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছিল।
অন্যদিকে, ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা ছাড়াও শনিবার শামসুজ্জামানকে শিশু নির্যাতন আইনে আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, শুক্রবার রাতে সাংবাদিক শামসুজ্জামান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এ ছিলেন। শনিবার দুপুরে শামসুজ্জামানকে আবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার জেল সুপার সুভাষ কুমার জানান, শনিবার বিকালে তিনি আমাদের কারাগারে এসে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা
১ বছর আগে
কাশিমপুর কারাগারে জোড়া খুনের মামলার এক আসামির ফাঁসি কার্যকর
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বহুল আলোচিত ডা. নাজনীন ও তার গৃহপরিচারিকা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা এক মিনিটে ওই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জ্যেষ্ঠ জেল সুপার আমিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে আসামির ফাঁসি কার্যকর
ডা. নাজনীন ও তার গৃহপরিচারিকা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. আমিনুল ইসলাম (৪২) নওগাঁর পত্নীতলা থানার আকবরপুর গ্রামের চাঁন মোহাম্মদ মণ্ডলের ছেলে।
আমিরুল জানান, ২০০৫ সালে ঢাকার ল্যাব এইডের চিকিৎসক নাজনীন আক্তার ও তার গৃহপরিচারিকা পারুলকে হত্যায় ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় আমিনুল ইসলামকে ২০০৮ সালে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় জোড়া হত্যার মামলা ছিল।
কারাগারে রায় কার্যকরের সময় গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান, জেলা এডিএম হুমায়ুন কবির, জিএমপি'র এডিসি রেজোয়ান আহম্মেদ, সদর জোনের এসি ফাহিম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর স্থগিত
শফিউদ্দিন হত্যা: কুমিল্লা কারাগারে ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর
১ বছর আগে
কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তফা কামাল (৩৭)। তিনি জামালপুরের মাদারগঞ্জ থানার ফাজিলপুর এলাকার মৃত জাফর আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারের বন্দি নাইজেরিয়ান নারীর মৃত্যু
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মো. আবু সায়েম জানান, কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মোস্তফাকে কারা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তিনি আরও জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জেলার জানান, নিহত মোস্তফা কামাল মাদক মামলায় কারাগারে ছিলেন। কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট তাকে এই কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
২ বছর আগে