কপ-২৬
‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার ২০২২ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশি হাইকমিশনার মুনা
‘জলবায়ু কূটনীতিতে অসামান্য অবদানের জন্য’ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিশ্ববিখ্যাত ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন, যুক্তরাজ্য থেকে মর্যাদাপূর্ণ ‘ডিপ্লোম্যাট অব দ্য ইয়ার ২০২২ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার হাইকমিশন জানিয়েছে, লন্ডনের বিল্টমোর মেফেয়ারে ২৫০ জনেরও বেশি লন্ডন ভিত্তিক কূটনীতিকের উপস্থিতিতে একটি বার্ষিক গালা কূটনৈতিক অনুষ্ঠানে লন্ডনের ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের সম্পাদক হাই কমিশনারের কাছে এই পুরস্কার তুলে দেন।
ডিপ্লোম্যাট অ্যাওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার হলো ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিন ইউকে কর্তৃক প্রদত্ত একটি বার্ষিক পুরস্কার যা ১৬৫ টিরও বেশি দেশের ইউকে-ভিত্তিক দূতদের মনোনয়ন এবং ভোটের ভিত্তিতে দেয়া হয়।
এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি কূটনীতিক যুক্তরাজ্যে এমন স্বীকৃতি পেলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার একে অপরকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখা উচিত: হাইকমিশনার
পুরস্কার প্রদানের সময় ডিপ্লোম্যাট ইউকে ভেনেটিয়া ডি ব্লক ভ্যান কুফেলারের সম্পাদক বলেন, হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম লন্ডনে জলবায়ু কূটনীতিকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদান এবং কপ-২৬ এ নেতৃত্বের জন্য স্বীকৃত হয়েছেন।
২ বছর আগে
দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে দুই সপ্তাহের সরকারি সফর শেষে রবিবার সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ৭টা ২৪ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
শনিবার বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে প্যারিসের ডি গল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
এর আগে ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬তম জাতিসংঘ ক্লাইমেট চেঞ্জ কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ-২৬) এবং অন্য কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই সপ্তাহের সফরে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
সফরকালে শেখ হাসিনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্স, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের প্রিন্স চার্লস, স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন, কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড, বিল গেটস এবং বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যবসায়িক সংস্থার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: প্রথম ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশের বাইরে থেকেও ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি তারেক জিয়া: প্রধানমন্ত্রী
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান শেষ করে ৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে পৌঁছেন এবং ৯ নভেম্বর প্যারিসে যান।
প্যারিসে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউনেস্কোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং প্যারিস পিস ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগদান করেন।
স্কটল্যান্ড, লন্ডন এবং প্যারিসে বসবাসরত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দেয়া তিনটি নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন হাসিনা।
পড়ুন: গ্লাসগো থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
২ বছর আগে
অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে কিছু অর্থ বরাদ্দ হলেও দীর্ঘমেয়াদী অভিযোজনের জন্য অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে না, ফলে বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিতে পড়া দেশগুলোকে সংগ্রামে লিপ্ত হতে হচ্ছে।’
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ এ যোগদানের পাশাপাশি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে স্কটিশ পার্লামেন্টারিয়ান ফয়সল চৌধুরী এবং সারাহ বোয়াকের সাথে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের প্রেস মিনিস্টার আশেক-উন-নবী চৌধুরী এসময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন।
স্কটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতি পূরণে উন্নত দেশগুলোর আরও তৎপর হওয়া এখন সময়ের দাবি।
পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি পোষাতে উন্নত দেশগুলোর গড়িমসি কাম্য নয়: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, অভিযোজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও উৎসাহে দেশীয় অর্থায়নেই বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকরা খরা, বন্যা, জলমগ্নতা ও লবণাক্ততা সহিঞ্চু জাতের শস্য উৎপাদন করেছেন ও গবেষণা অব্যাহত রেখেছেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, স্কটিশ পার্লামেন্ট ও বাংলাদেশের সংসদের মধ্যে একটি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠন ও সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কীভাবে একসাথে কাজ করা যায় সেবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় এমএসপি ফয়সল চৌধুরী বাংলাদেশের সামগ্রিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকাকে সাধুবাদ জানান।
পড়ুন: জলবায়ু সংকট এখনই মোকাবিলা করতে হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত
২ বছর আগে
প্যারিসের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইউনেস্কোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগদান ও সৃজনশীল অর্থনীতিতে অবদানের জন্য প্রথমবারের মতো ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান করতে মঙ্গলবার প্যারিসের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘সকাল ৯টায় (স্থানীয় সময়) প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গী নিয়ে বিমান বাংলাদেশের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।’
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সাদিয়া তাসনিম মুনা প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে বিদায় জানান।
স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টায় ফ্লাইটটি দ্য গোল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রদূত খন্দকার মোহাম্মদ তালহা স্বাগত জানাবেন।
আরও পড়ুন: 'অস্তিত্বের' লড়াইয়ে লড়ছে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন, ফ্রান্স সফরকালে প্রধানমন্ত্রী দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেবেন। এছাড়াও ফ্রান্সের অন্যান্য মন্ত্রী ও ফ্রান্সের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের সদস্যদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
তিনি জানান, সফরকালে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ফরাসী প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাথে বৈঠকালে বিভিন্ন বিষয়ে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও লেটার অব ইনটেন্ট স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের প্রস্তাব জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো’র নির্বাহী বোর্ডের ২১০তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এটা সমগ্র জাতির জন্য একটি গর্বের বিষয়। আগামী ১১ নভেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর দ্য ক্রিয়েটিভ ইকোনমি’ শীর্ষক এই আন্তর্জাতিক পুরস্কারটি বিজয়ী ব্যক্তি ও সংস্থাকে দেয়া হবে।
প্যারিস সফর শেষে ১৪ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এর আগে দুই সপ্তাহের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরের জন্য ৩১ অক্টোবর গ্লাসগোতে পৌঁছান তিনি।
পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
কপ-২৬ সম্মেলনে ‘লস ও ড্যামেজ’ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ সম্মেলনে ‘লস ও ড্যামেজ’ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই কপ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত আসবেও না। পরবর্তী কপ সম্মেলনে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল ও পরিবেশ বিশেজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য মির্জা শওকত আলী ইউএনবিকে বলেন, লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। এই কপ সম্মেলনে এটি নিয়ে সিদ্ধান্ত আসবে না। পরবর্তী কপে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
শওকত বলেন, বাংলাদেশসহ যে সকল দেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টার ফসল প্যারিস চুক্তিতে লস অ্যান্ড ড্যামেজ এর স্বতন্ত্র অন্তর্ভুক্তি। উন্নত দেশগুলো যদিও খুব বেশি স্বদিচ্ছায় লস অ্যান্ড ড্যামেজ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী থাকে না। কিন্তু বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের নেতৃত্বে থাকায় এই ক্ষেত্রে জোরদার ভূমিকা নিতে পারে।
তিনি বলেন,আজকে আর্টিকেল ৬ নিয়ে আলোচনা চলছে ট্যাকনিকেল পর্যায়ে। কার্বন নিঃসরণে নতুন ম্যাকানিজম শুরু হয়েছ। দীর্ঘ মেয়াদী তহবিল ও ১০০ বিলিয়ন নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। এডাপটেশন নিয়ে বিভিন্ন ফোরামে কথা হচ্ছে। দীর্ঘ মেয়াদী তহবিল কীভাবে শুরু হবে সেটিও চূড়ান্ত হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু তহবিল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
জলবায়ু সম্মেলন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিকুর রহমান বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ উন্নত দেশগুলোর চেয়ে কম; অতীতে বিপুল পরিমাণ কার্বন নিঃসরণের দায়ভারও উন্নত দেশগুলোর। অথচ উন্নয়নশীল দেশগুলোকেই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে সাইক্লোন, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, খরা, নদী ও পাহাড় ভাঙন অনেক বেড়ে গেছে। এখন প্রতি বছরই ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাব থেকে বাঁচা যাবে।
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে লবাণাক্ত তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমুদ্র উচ্চতা বেড়ে গেছে। গোপালগঞ্জে লবণাক্ত পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগে ও জলবায়ু পরিবর্তনের পেক্ষাপটে স্থানচ্যুতি ও দেশান্তর বাংলাদেশে একটা প্রকট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে অভিবাসন, স্থানচ্যুতির ইস্যুগুলোকে বিভিন্ন প্লাটফর্ম বা নেগোসিয়েশনের টেবিলে জোর আলোচনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতায় আঘাত আনতে পারে। সেজন্য আমাদের মোকাবিলার প্রস্তুতি থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন সহজে চলে যাবে না, বাড়তেই থাকবে। এখান থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে হবে এবং অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে। এ সব বিষয়ে আমরা বিভিন্ন পলিসিতে আমরা আমাদের কথা তুলে ধরছি। এলডিসি থেকে আমরা বের হওয়ার কথা কিন্তু আমরা বের হতে পারছি না। ২০২৬ সাল লাগবে বের হতে। আমরা কীভাবে এলডিসি থেকে বের হব তার পথ বের করতে হবে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও এলডিসি গ্রুপের সমন্বয়ক জিয়াউল হক ইউএনবিকে বলেছেন, অনেক বিষয়ে পজেটিভ থাকলেও লস অ্যান্ড ডেমেজ বিষয়ে আলোচনা ধীর গতির।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০২০ সালে থেকে ১০০ বিলিয়ন দেয়ার কথা ছিল উন্নত দেশগুলোর। ২০ সাল শেষ। এখন ২০২১ সালও শেষ হয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যেই যেন ১০০ বিলিয়ন দেয়া শুরু করে সেটি আলোচনা হচ্ছে ট্যাকনিকাল পর্যায়ে। ইতিমধ্যে আলোচনায় ১০০ বিলিয়নের মধ্যে ৮০ বিলিয়ন প্রস্তুত প্রায়। ১০০ বিলিয়ন ডলার ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ সালের পর্যন্ত দিবে। এই বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে মন্ত্রী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত আসবে। তবে ডলার দেয়া শুরু হবে হয়তো ২০২২ সালে।
তিনি আরও বলেন, তারপর আবার ২০২৫ সাল থেকে নতুন করে শুরু হবে। সেটি হতে পারে ১৫০ থেকে ৩০০ বিলিয়ন। তবে এটি ঠিক হয়নি। যত বেশি হবে সেটিই আলোচনায় থাকবে।
তিনি বলেন, নীতিগভাবে অধিক কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো আপত্তিও জানায়নি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা দিতে একমত না অনেক দেশের নেতারা। তবে এতো দিন আলোচনার পর এবার এজেন্ডাতে যুক্ত করা হয়েছে। যে টাকা দেয়ার জন্য আশ্বাস দেয়া হচ্ছে তার জন্যও দেয়া হচ্ছে নানা শর্ত।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংসদীয় কমটির সভাপতি সাহের হোসেন চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, আলোচনা ইতিবাচকভাবে চলছে। আশা করছি এবার অগ্রগতি হবে। এবারও আলোচনায় ছিল ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল নিশ্চিত হবে কি না। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস উঠে আসে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের আলোচনাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
২ বছর আগে
কপ-২৬: তাপমাত্রা হ্রাস ও ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তিতে আশাবাদী বাংলাদেশ
বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে কমিয়ে আনা এবং ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের ব্যাপারে এবারের কপ-২৬ সম্মেলনে ঐক্যমতে পৌঁছানোর আশা প্রকাশ করছে সম্মেলনে অংশ নেয়া বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা।
শনিবার কপ-২৬ সম্মেলনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ইউএনবিকে বলেন, আমি মনে করছি এবারের কপ-২৬ সম্মেলনে কিছুটা হলেও সফলতা অর্জন করতে পারবো।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা ও প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের অর্থায়নের বিষয়ে মোটামুটি একমত। যদিও দুই একটি দেশ বিষয়টি চাচ্ছে না, তবে আলোচনা পজেটিবলি এগুচ্ছে। আশা করছি শেষ পর্যন্ত এটিও ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামে (সিভিএফ) এ আমরা আমাদের লক্ষ্য তুলে ধরেছি। আশা করছি আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করতে পারব। আমাদের সাথে আরও ১৩টি দেশ যুক্ত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ। দূষণকারী দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ এবং সিভিএফের নেতৃত্বে থাকায় কপ-২৬ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ শূণ্যে নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে শক্ত অবস্থানে আছে।
আরও পড়ুন:বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে কপ-২৬ শুরু
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশের জোর দাবি-তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি অথবা ২ ডিগ্রিকে (সর্বোচ্চ) টার্গেট করে এনডিসি হালনাগাদকরণ, উন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃসরণের হার কমানো, সকল দেশের জলবায়ু পরিকল্পনা (এনডিসি, ন্যাপ, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা) অনুযায়ী গ্রিনহাউজ গ্যাসের নির্গমন কার্যক্রমকে তরান্বিত করা।
শাহাব উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশসহ যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফসল প্যারিস চুক্তিতে ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ এর স্বতন্ত্র অন্তর্ভুক্তি। উন্নত দেশগুলো যদিও খুব বেশি সদিচ্ছায় লস এন্ড ড্যামেজ নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী না। কিন্তু বাংলাদেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের নেতৃত্বে থাকায় এই ক্ষেত্রে আমরা জোরদার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে কার্বন নির্গমন কমানোর কাজে ব্যবহারের জন্য বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল তৈরি করার প্রতিশ্রুতি এসেছিল প্যারিস সম্মেলনে। কিন্তু এখনও এটি ফাইনাল হয়নি। ২০২০-২৪ সাল পর্যন্ত ৫০০ বিলিয়ন ডলারের রূপরেখা প্রণয়ন হবে (কোন দেশ কত পরিমাণ টাকা দেবে, কখন, কিভাবে দেবে)।২০২৫ সাল পরবর্তী অর্থায়ন লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা ও রূপরেখা প্রণয়ন হবে।
এদিকে শুক্রবার গ্লাসগোর স্থানীয় সময় বিকালে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে একটি সাইড ইভেন্টে মন্ত্রী বলেন, গত ২৬ আগস্ট বাংলাদেশ আপডেট এনডিসি ইউএনএফসিসিসিতে দাখিল করেছে। উক্ত এনডিসিতে ২০১২ সালকে বেস ইয়ার ধরা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এনডিসি বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল নাগাদ আনকন্ডিশনাল কন্ট্রিবিউশানে ৩২ বিলিয়ন এবং কন্ডিশনাল কন্ট্রিবিউশানের জন্য ১৪৩ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে। একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে,বাংলাদেশ নিজস্ব তহবিল থেকে আনকন্ডিশনাল কন্ট্রিবিউশান এবং উন্নত বিশ্ব থেকে কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা পেলে কন্ডিশনাল কন্ট্রিবিউশান বাস্তবায়ন করা হবে।
আরও পড়ুন:কপ-২৬ এ বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জলবায়ু সম্মেলন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আতিকুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম ইস্যু হলো:ক্ষয় ও ক্ষতি বা লস এন্ড ডেমেজ, ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে টেম্পারেচার এবং ১০০ বিলিয়ন অর্থায়ন। এসব বিষয়ে পজেটিভ আলোচনা চলছে। সম্মেলনে শেষ পর্যায়ে এ বিষয়ে অগ্রগতি হবে বলে আশা করছি।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য ও এলডিসি গ্রুপের কো-অর্ডিনেটর জিয়াউল হক ইউএনবিকে বলেছেন, উন্নত দেশগুলো ২০২০ সাল থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার মোবিলাইজ এবং ডিস্টিবিউশন করার কথা ছিল। কিন্তু তারা বলছে, গত বছর করোনার জন্য দিতে পারেনি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি ২০২১ সালের মধ্যেই ১০০ বিলিয়ন টাকা দেয়া শুরু হবে।
২০২০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট ৫০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা রয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে নতুন করে আরও বেশি ৩০০/৫০০ বিলিয়ন দেয়ার দাবি থাকতে পারে। এ বিষয়ে পরে আলোচনা হবে, আগে বকেয়া ১০০ বিলিয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
জলবায়ু সম্মেলনে গ্লাসগোতে অবস্থানরত বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন,ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য জলবায়ু সম্মেলনের পরও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে আন্তঃযোগাযোগের মাধ্যমে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করে যেতে হবে।
আরও পড়ুন:গ্লাসগো থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট ঘোষণা বাংলাদেশের
উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয়-ক্ষতি উপশম করতে ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট ঘোষণা করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বৃহস্পতিবার গ্লাসগোতে কপ-২৬ এর সাইডলাইনে মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ঘটনা প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫০ হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে। ২০১৭ সালে বন্যার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ১৩৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল ষষ্ঠ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ
বিশ্বব্যাংকের গ্রাউন্ডসওয়েল প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, ধীর জলবায়ু পরিবর্তন প্রক্রিয়া যেমন পানির স্বল্পতা, ফসল উৎপাদন হ্রাস এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১৯ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে স্থানান্তরিত হবে।
বাংলাদেশ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তার জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী কপ-২৬ প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষতি এবং ক্ষতির জন্য একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে সক্ষম হবে। এই বছরের কপ-২৬ সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র প্রবর্তনের বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসীন ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্থের প্রয়োজন সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান সচিব।
আরও পড়ুন: জলবায়ু তহবিল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
সৌদির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করতে আগ্রহী বাংলাদেশ
২ বছর আগে
জলবায়ু তহবিল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাংলাদেশ
বাংলাদেশ কপ-২৬ এ বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূমিকা রেখেছে উল্লেখ করে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তহবিলের পর্যাপ্ত প্রবাহের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বেসরকারি খাত ও সরকার থেকে অনেক ভালো আশ্বাস পেয়েছি। আমরা আশাবাদী।’
শুক্রবার লন্ডন থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে ড. মোমেন এসব কথা বলেন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাদিয়া তাসনিম মুনা উপস্থিত ছিলেন।
প্যারিস চুক্তি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের লক্ষ্যে কার্যক্রমে গতি আনতে যুক্তর্যাজের গ্লাসগোতে আয়োজিত কপ-২৬ সকল পক্ষকে একসাথে করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে অনেক কাজ করতে হবে। বিশেষ করে ভালো প্রস্তাবনা তৈরি করতে। তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমরা পর্যাপ্ত তহবিল পাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবো।’ তহবিল প্রদানের ব্যাপারে অনেক আগ্রহ আছে বলেও জানান তিনি।
গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঁচ প্রভাবশালী ডিলমেকারদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে তাঁকে ‘ভয়েস অব দ্য ভালনারেবল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘গোপন নথি’ গবেষকদের জন্য মূল্যবান সম্পদ হতে পারে: শেখ হাসিনা
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক নিয়ে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা দিতে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
২ বছর আগে
গ্লাসগো থেকে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে কপ-২৬ ও অন্যান্য অনুষ্ঠান শেষ করে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডন পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গী নিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনিম প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই সপ্তাহের যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফরের অংশ হিসেবে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত লন্ডন অবস্থান করবেন। এরপর তিনি প্যারিসের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৯ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত প্যারিসে অবস্থান করবেন। প্যারিস সফরকালে তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এর আগে ৩১ অক্টোবর স্কটল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা এবং প্যারিস থেকে ১৪ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী নারীরা: প্রধানমন্ত্রী
স্কটল্যান্ড পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
অর্থায়ন ছাড়া কার্যকর জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা সম্ভব নয়: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পর্যাপ্ত, টেকসই এবং সহজলভ্য জলবায়ু অর্থায়ন ছাড়া কার্যকর কর্মপরিকল্পনা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘এটি দুঃখজনক এবং হতাশাজনক যে এখন পর্যন্ত প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুত বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার সরবরাহ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী কপ-২৬ ভেন্যুতে ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম লিডারস ডায়ালগ: ফরজিং এ সিভিএফ-কপ-২৬ ক্লাইমেট ইমার্জেন্সি প্যাক‘ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং সিভিএফ-এর দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত অস্তিত্ব হুমকির মুখোমুখি হয়ে সিভিএফ সদস্যরা, এই কপ-এ ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই পাঁচ বছরের অভিযোজন ও প্রশমনের ৫০:৫০ আনুপাতিক হারে প্রতিবছর মোট ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন বিতরণের দাবি জানাই।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সিভিএফ সদস্য দেশগুলোকে বেশি ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিজেরাই নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে