এপিবিএন
ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১ হাজার ৭৯০টি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আটক মান্নান হোসেন (৩৯) কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় অবতরণ করেন মান্নান।
তার সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে আর্মড পুলিশ তাকে থামায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এপিবিএন অফিসে আনা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানকর্মী আটক: বিমানবন্দর এপিবিএন
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ইয়াবা বহনের কথা স্বীকার করেন।
পরে ওই ব্যক্তির মলদ্বারের ভেতর থেকে ১ হাজার ৭৯০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয় বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের ১১ জুলাই আর্মড পুলিশ বিমানবন্দরে ইয়াবাসহ একই ব্যক্তিকে (মান্নান) আটক করে বিমানবন্দর থানায় মামলা করে। কিন্তু তিনি জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আজ (বৃহস্পতিবার) আবার গ্রেপ্তার হন।
তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে এক কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার: এপিবিএন
হারানো ২৭ মোবাইল সেট প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিয়েছে এপিবিএন
১ বছর আগে
ঈদ উপলক্ষে চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে বিমানবন্দর এপিবিএন
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে চোরাচালান প্রতিরোধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দিনভর বিশেষ অভিযানে ৯৭৩ গ্রাম সোনা, ১০৪টি মোবাইল, ৫০ কার্টন সিগারেট, ৩৫ কেজি বিউটি ক্রিম, দুইটি ল্যাপটপ এবং ৬০০ গ্রাম লিকার জব্দ করেছে এপিবিএন।
বিষয়টি জানিয়েছেন সংস্থাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি জানান, যাত্রী ইসমাইল হোসেন, জাকের উল্লাহ, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফোরকান, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, জাহিদুল ইসলাম নয়ন, মোহাম্মদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, আবু সুফিয়ান, মোহাম্মদ হাসান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আয়াত উল্লাহ, মো. আমরান হোসেনের কাছ থেকে এই সামগ্রীগুলো জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
যাত্রীরা শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে পণ্যগুলো কাস্টমসের গ্রীণ চ্যানেল অতিক্রম করার পর জব্দ করা হয়।
যাত্রীরা দুবাই, সৌদি আরব ও ওমান থেকে এসেছেন বলে জানান তিনি।
জিয়াউল হক আরও জানান, ঈদ উপলক্ষ্যে একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে এবং তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের অভিযান এখন থেকে চলমান থাকবে। আমরা সবসময় তৎপর, তবে ঈদের আগে কোনো চক্র যেন অবৈধ সুবিধা নিতে না পারে সেজন্য আমাদের কার্যক্রম আরও বেশি জোরদার করা হয়েছে।
এই কর্মকর্তা জানান, জব্দ সামগ্রীর বাজার মূল্য প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা। এছাড়া সামগ্রীগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে এক কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণের বার উদ্ধার: এপিবিএন
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে কথিত বন্দুকযুদ্ধের সময় সন্দেহভাজন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) কমান্ডার নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্প-১৯-এর ৮ নম্বর ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
এপিবিএন-৮ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ নিশ্চিত করে জানান, নিহত আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়া ছিলেন একজন অভিযুক্ত এআরএসএ কমান্ডার।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন ডাকাত নিহত
সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্প-১৯ এর ৮ নম্বর ব্লকের আমিন মাঝির বাড়ির পাশে আরএসএ সন্ত্রাসীদের কয়েকটি বাড়ি ঘেরাও করে এপিবিএন। এ সময় এআরএসএ সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় এপিবিএন সদস্যরা পাল্টা গুলি চালায়।
তিনি জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর কয়েকটি ঘরে তল্লাশি করে আরসা কমান্ডার আব্দুল মজিদ ওরফে লালাইয়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার লাশের পাশ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় তিন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়। তারা হলো-মোহাম্মদ তাহের, জামাল হোসেন ও লিয়াকত আলী।
তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত চারটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। গোলাগুলির ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ‘পাচারকারী’ নিহত
নারায়ণগঞ্জে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৬৫ বছরের বৃদ্ধ নিহত
১ বছর আগে
নারী পুলিশ দিয়ে প্রথম ডগ স্কোয়াড পরিচালনা দলের যাত্রা শুরু
অপারেশনাল কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে বাংলাদেশ পুলিশ বিমানবন্দরের নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যদের সমন্বয়ে প্রথম নারী পুলিশ কুকুর পরিচালনা দল চালু করেছে।
কে-৯ ডগ হ্যান্ডলার কোর্স থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে সাতজন মহিলা এপিবিএন সদস্যকে পুলিশ ডগ হ্যান্ডলার দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তারা পেশাদার কুকুর স্কোয়াড প্রশিক্ষক টনি ব্রিসন (ইউকে) এবং মেলিন ব্রডউইক (নিউজিল্যান্ড) থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। মার্কিন দূতাবাস ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ শেষে তাদের হাতে সনদ তুলে দেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৩-এর কমান্ডিং অফিসার তোফায়েল আহমেদ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে কর্তব্যরত অবস্থায় নারী পুলিশ সদস্যের মৃত্যু
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ২০১৭ সালে দুটি ল্যাব্রাডর, দুটি জার্মান শেপার্ড এবং চারটি ম্যালিনিও কুকুর নিয়ে কে-৯ ডগ স্কোয়াড ইউনিট শুরু করে।
ডগ স্কোয়াড ইউনিট যাত্রীদের চেকিং এবং লাগেজ পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ডগ স্কোয়াড গ্রুপে কুকুরের সংখ্যা ৬৬-এ উন্নীত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রমের কথা বিবেচনা করে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
২০২৩ সালে ডগ স্কোয়াডে আরও পনেরটি কুকুর যুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি পূর্ণাঙ্গ ডগ স্কোয়াড নাশকতা, মাদক চোরাচালান ও মুদ্রা চোরাচালান প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: ডিআর কঙ্গোর উদ্দেশে নারী পুলিশ কন্টিনজেন্টের যাত্রা
১ বছর আগে
অপহৃত ভারতীয় তরুণীকে উদ্ধার করল এপিবিএন, গ্রেপ্তার ১
২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ এক ভারতীয় তরুণীকে বৃহস্পতিবার টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
গত ২০ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রদীপ পাল নামে এক ভারতীয় নাগরিক থানায় অভিযোগ করেন যে বাংলাদেশি নাগরিক কৌশিক বিশ্বাস তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে শ্রীজা পালকে অপহরণ করে ঢাকার কোথাও লুকিয়ে রেখেছে।
ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে এবং বাংলাদেশ পুলিশকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি, এপিবিএন সদস্য গুলিবিদ্ধ
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) কাজী রুবাইয়াত রুমি বলেন যে বৃহস্পতিবার ১১-এপিবিএন উত্তরার বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন একটি বাসা থেকে শ্রীজা পালকে উদ্ধার করা হয় এবং কৌশিক বিশ্বাসকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৯ ঘন্টার মাথায় অপহৃত শিশু উদ্ধার, যুবক আটক
১ বছর আগে
শাহজালাল বিমানবন্দরে ৬৯ লাখ টাকার স্বর্ণসহ আটক ১
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা ৬টি স্বর্ণের বার ও ১ কেজি ওজনের স্বর্ণালঙ্কারসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে।
আটক হোসেন মাহমুদ (২৯) ফেনীর বারোইয়া গ্রামের মো. নূর নবীর ছেলে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের একটি গোয়েন্দা দল আজ দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পার্কিং এলাকায় মাহমুদকে আটক করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার কাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ৬ হাজার টাকা মূল্যের তিনটি ল্যাপটপ ও দুটি আইফোন জব্দ করেছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে বলে জানান এএসপি।
২ বছর আগে
কক্সবাজার ক্যাম্পে আরও এক রোহিঙ্গাকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া থাইংখালী শরণার্থী শিবিরে এক রোহিঙ্গাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৭টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাফেজ সৈয়দ হোসেন ১৯ নম্বর তানজিমারখোলা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
তাজনিমারখোলা ক্যাম্পের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, মুখোশধারী দল ক্যাম্পে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তারা ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। হামলাকারীরা কথিত ‘আরসা’র সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
তিনি বলেন, হাফেজ সৈয়দ হোসেন সব সময় আরসার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে স্বোচ্ছার ছিলেন।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের কারণ খুঁজা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
মৃতদেহ ময়নাতদন্ত তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর উখিয়া উপজেলার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে দুই রোহিঙ্গা নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত হামলাকারীরা।
নিহত মৌলভী ইউনুস ও আনোয়ার যথাক্রমে উখিয়ার ১৩ নম্বর ক্যাম্পের প্রধান মাঝি ও উপপ্রধান মাঝি (কমিউনিটি লিডার) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
সর্বশেষ হত্যা সহ গত চার মাসে ক্যাম্পের ভিতরে ১৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে আটজন স্বেচ্ছাসেবী সম্প্রদায়ের নেতৃত্বের ভূমিকা যেমন 'মাঝি' এবং হেড মাঝি হিসাবে কাজ করছিল।
পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝিকে কুপিয়ে হত্যা
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
টেকনাফে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
কক্সবাজারে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে রোহিঙ্গাদের দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার (৭ আগস্ট) রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইব্রাহিম (৩০) নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের সি-ব্লকের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে এপিবিএন পুলিশ।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৬ এপিবিএন এর অধিনায়ক এডিআইজি হাসান বারী নূর।
স্থানীয়দের বরাতে এডিআইজি বলেন, পাহাড়ী এলাকায় দুই সন্ত্রাসী দলের মধ্যে গোলাগুলির খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ইব্রাহিমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে পৌঁছার আগেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার ১০
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ খুন: গ্রেপ্তার আরও ৪
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের একটি মাদরাসায় ছয় খুনের ঘটনায় ক্যাম্পের এক হেড মাঝিসহ চার রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার ভোর রাতে উখিয়া পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ক্যাম্প-১০ এর হেড মাঝি শফিউল্লাহ, ফরিদ হোসেন, জাহেদ হোসেন ও মো. হাশেম।
উখিয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক তদন্ত গাজী সালাহউদ্দিন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় এজহার নামীয় পাঁচ জনসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৬ খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১০
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ছয় রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ ২৫০ জনকে আসামি করে গত শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। নিহত মাদরাসা ছাত্রদের একজন আজিজুল হকের বাবা ও উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ-ব্লকের নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
কক্সবাজার ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফসিার (পুলশি সুপার) মোহাম্মদ শিহাব কায়সার খান জানান, ছয় রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদরাসায় হামলার ঘটনায় আটক ৮
প্রত্যাবাসন ঠেকাতেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যাকাণ্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩ বছর আগে
মুহিবুল্লাহ হত্যায় গ্রেপ্তার ৪
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত চার রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) ও উখিয়া থানা পুলিশ।
তাদের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
আদালতে সোপর্দ করা দুজন হলেন উখিয়া কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের নুর বশরের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ ওরফে লম্বা সেলিম, রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহ।
পুলিশ পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রবিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই রোহিঙ্গার রিমান্ড শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনের মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে শুক্রবার মধ্যরাতে এবং শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ লম্বা সেলিমকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক করে। এছাড়া উখিয়া থানা পুলিশ শনিবার বিকালে শওকত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্জুর মোর্শেদ বলেন, শওকত উল্লাহকে ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পর্যন্ত মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এপিবিএন তিনজন এবং থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে শওকত উল্লাহ ও মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গাকেই উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা করেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে ৫ রাউন্ড গুলি করে। এসময় ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা শুরুর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন।
ড. মোমেন বলেছেন, একটি স্বার্থানেষী মহল মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে কারণ সে তার নিজ দেশ মিয়ানমার ফিরে যেতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তের দাবি জাতিসংঘের
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
৩ বছর আগে