প্রেস ক্লাব
বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের চেষ্টার মামলায় ৭ আসামি কারাগারে
বরগুনা প্রেস ক্লাব দখলের চেষ্টা ও হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাত আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বরগুনা প্রেস ক্লাবের অধিকাংশ সদস্য বার্ষিক শিক্ষা সফরে ভারতে থাকার সময় ১৯ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মাসুদ তালুকদার ও মুশফিক আরিফের নেতৃত্বে বরগুনা প্রেস ক্লাবে হামলা চালায় একটি মহল।
এ ঘটনায় আহত হন বরগুনা প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার সোহেল হাফিজ, যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার ফেরদৌস খান ইমন ও সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম মিরাজসহ ৭ জন সংবাদকর্মী। পরে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০ জনকে অভিযুক্ত করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে বরগুনা প্রেস ক্লাব।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় প্রধান শিক্ষক কারাগারে
বৃহস্পতিবার আসামিরা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হারুন অর রশিদ কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- মুশফিকুল ইসলাম (মুশফিক আরিফ), এম হারুন অর রশিদ রিংকু, সগীর হোসেন, শাজনুস শরীফ, আল-আমিন, জাফরুল হাসান রুহান (রুদ্র রুহান) ও রাকিবুল হাসান রাজন খান।
বাদী পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের ও আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এ কে এম শফিকুল ইসলাম নেছার।
এ ব্যাপারে বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাফর হোসেন হাওলাদার বলেন, বরগুনা প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনার ১৩ দিন পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মামলার ১ নম্বর আসামি মাসুদ তালুকদার। এই স্বাভাবিক মৃত্যুকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা মামলা সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ওই মহল। এছাড়াও বরগুনা প্রেস ক্লাবের প্যাড ও লোগো ব্যবহার করে আসামিরাসহ বাইরের কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে বরগুনা প্রেস ক্লাবের নামে একটি ভুয়া কমিটির ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতির মামলায় সীতাকুণ্ডের ইউপি সদস্য বাবলু কারাগারে
৭ মাস আগে
এবারও হচ্ছে না চট্টগ্রামের শত বছরের জব্বারের বলি খেলা
এবছরও হচ্ছে না চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা ও তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা। করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর অনুষ্ঠিত হয়নি শত বছরেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসা এ বলিখেলা। তবে এবার করোনা নয়, ঐতিহাসিক লালদীঘির মাঠটি সংস্কারের পর উদ্বোধন ও উন্মুক্ত না করায় এবার বলিখেলা হবে না বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হল আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও মেলা কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: রমজানে বাংলা নববর্ষ কিভাবে উদযাপন করবেন? কোথায় ঘুরতে যাবেন?
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিগত ১১০ বছর ধরে এই বলীখেলা লালদীঘি মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। তবে এবার সংস্কার কাজ শেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা মাঠটি এখনও উন্মুক্ত করা হয়নি। তাই এ বছরও জব্বারের বলি খেলা অনুষ্ঠিত হবে না।
আয়োজকরা এসময় বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পরিচিত আবদুল জব্বারের বলীখেলা ও মেলাসহ চট্টগ্রামের সকল ধরনের অনুষ্ঠান পুনরায় ফিরে পেতে লালদীঘির মাঠ দ্রুত উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
২ বছর আগে
নিজের বাসার পানিতেও গন্ধ পান ওয়াসার এমডি
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান নিজের বাসার পানিতেও গন্ধ পান। তিনি বলেছেন, আমাদের পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ জায়গার মধ্যে পাইপ ফাটা থাকে। যখনই অভিযোগ পাই সঙ্গে সঙ্গে আমরা তা ঠিক করে দেই। তারপরও কিছু জায়গায় সমস্যা হয়। নয়াপল্টনে আমার নিজের বাসার পানিতেও গন্ধ আছে।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা) আয়োজিত 'নগরবাসীর চাহিদা-ঢাকা ওয়াসার সক্ষমতা' শীর্ষক ‘ডুরা সংলাপে’ তিনি এসব কথা বলেন।
এমডি আরও বলেন, ওয়াসা যেই পরিমাণ পানি উৎপাদন করে, সেই পরিমাণ পানি গ্রাহকের কাছে যায়। আমাদের পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ সিস্টেম লস আছে, যা খুবই নগণ্য। কিন্তু রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি দেখলেই সাধারণ মানুষ মনে করেন, এটা ওয়াসার লাইন। এ কারণে অনেক সময় লাইনে ময়লা পানি ঢুকে পড়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় শিশুরোগ ও ডায়রিয়া বেড়েছে
পানি ফুটিয়ে পান করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তাকসিম এ খান বলেন, ওয়াসার পানি নিরাপদে ট্যাংকি পর্যন্ত দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। বাসার লাইন পর্যন্ত নেয়ার দায়িত্ব আমাদের না। সেজন্য আমরা বলব আপনারা পানি ফুটিয়ে খান। এছাড়া পানিতে কোনো সমস্যা হলে- আমরা তিন স্থান থেকে পানি নিয়ে পরীক্ষা করি। একটা হচ্ছে আমাদের পাম্প, দ্বিতীয় হচ্ছে যে এলাকায় সমস্যা ওই এলাকার লাইন, আর তৃতীয় হচ্ছে বাসার লাইন থেকে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজধানীতে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনই হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এ অবস্থায় অনেকেই ওয়াসার লাইনের পানিকে দোষারোপ করছে।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে এমডি বলেন, আইসিডিডিআর,বির সঙ্গে আমাদের ঘনঘন যোগাযোগ আছে। তারা যখনই ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া ১০টি এলাকার ঠিকানা আমাদের দেয়, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ওইসব এলাকার পানি ল্যাবে টেস্ট করাই। সেই ল্যাব টেস্টে আমরা কোনও ব্যাকটেরিয়া পাইনি। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে আইসিডিডিআর,বিকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বেড়েছে ডায়রিয়া: চাপ সামলাতে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
তিনি বলেন, পানিতে যদিওবা কোনও জীবাণু থাকে, সেটি যাতে মরে যায় বা ধ্বংস হয়ে যায় সেজন্য ক্লোরিন দিয়ে থাকি। অনেক সময় ক্লোরিন পাইপের শেষ মাথা পর্যন্ত যায় না। কিন্তু আমরা ওই বিশেষ স্থানগুলোতে ক্লোরিন বাড়িয়ে দিয়েছি। এই ডায়রিয়ার সঙ্গে আমাদের ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে যা পেয়েছি, তাতে কোনও সম্পৃক্ততা সরাসরি নেই। আর ক্লোরিন মেশানোর কারণে পানিতেও গন্ধ পাওয়া যায় না। এই গন্ধ দূর করতে আমরা আন্ডারগ্রাউন্ড পানি ও আমাদের শোধন করা পানির মিশ্রণ করে সরবরাহ করি।
পানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে সবকিছু আমরা জানিয়েছি, এখন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
২ বছর আগে
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে প্রেস ক্লাবের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী
মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর ক্লাবে সদস্য সন্তানদের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রদর্শনী ও শিশু শিক্ষা উপ কমিটির আয়োজনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম ও মো. আশরাফ আলী, কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, রহমান মুস্তাফিজ। শিশু শিক্ষা ও প্রদর্শনী উপ কমিটির আহ্বায়ক শাহনাজ বেগম পলির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপ কমিটির সদস্যরা যোগ দেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গ।
আরও পড়ুন: প্রেস ক্লাবে সন্ধানী চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পে ২শ’ জনকে চিকিৎসা
সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রেস ক্লাবের
মিডিয়ার ওপর ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব
২ বছর আগে
ডিক্যাবের নতুন সভাপতি লোটাস, সাধারণ সম্পাদক মঈনুদ্দিন
ডেইলি সানের নির্বাহী সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস এবং ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) বিশেষ প্রতিবেদক একেএম মঈনুদ্দিন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব)-এর নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন শেষে ২০২২ সালের নতুন এই কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক যুগান্তরের চিফ রিপোর্টার মাসুদ করিম ও চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিবেদক পান্থ রহমানও সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
চতুর্থবারের মতো ডিক্যাব সভাপতি নির্বাচিত হন লোটাস এবং মঈনুদ্দিন টানা দ্বিতীয়বারের মতো দৈনিক মানব জমিনের কূটনৈতিক প্রতিবেদক মিজানুর রহমানের বিপক্ষে জয়লাভ করেন।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সিনিয়র সাংবাদিক ফরিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ চাইলে জাতিসংঘ নির্বাচনী সহায়তা দেবে: মিয়া সেপ্পো
দুই নির্বাচন কমিশনার ডেইলি অবজারভারের বিজনেস এডিটর নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং মাছরাঙা টিভির হেড অব নিউজ রেজোয়ানুল হক রাজা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কূটনৈতিক প্রতিবেদক তৌহিদুর রহমান তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডিবিসি নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ইসরাত জাহান উর্মিকে হারিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিত অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাভিশনের বিশেষ প্রতিবেদক আবু হেনা ইমরুল কায়েস, যুগ্ম সম্পাদক (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), স্পাইস টিভির চিফ রিপোর্টার আহসান জুয়েল, কোষাধ্যক্ষ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) এবং এটিএন নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার আশিকুর রহমান অপু, দপ্তর সম্পাদক (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়)।
আরও পড়ুন: এটি বাংলাদেশের জন্য বড় এক বছর: ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন
নির্বাচিত পাঁচ কার্যনির্বাহী সদস্য হলেন মো. তানজিম আনোয়ার (বাসস কূটনৈতিক প্রতিবেদক), মোরশেদ হাসিব হাসান (সিনিয়র রিপোর্টার, চ্যানেল ২৪), আতিকুর রহমান (দৈনিক জবাবদিহি কূটনৈতিক প্রতিবেদক), খুররম জামান (বার্তা ২৪ ডট কম কূটনৈতিক প্রতিবেদক) এবং এমএকে জিলানী (কূটনৈতিক প্রতিবেদক) দৈনিক সময়ের আলো)।
এর আগে বিদায়ী সভাপতি পান্থ রহমানের সভাপতিত্বে ডিক্যাবের এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।
২ বছর আগে
নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর ছবি অন্তর্ভুক্তিতে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
দলিল লেখাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত সব ধরনের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি (জলছবি) অবিলম্বে অন্তর্ভুক্ত করতে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে সব ধরনের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি (জলছবি) অন্তর্ভুক্ত করতে নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রবিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।
জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, আইনসচিবসহ নয় বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর ছবি অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রংপুরের বাসিন্দা সিআইজি (ফসল) সমবায় সমিতির সভাপতি মো. মোফাজ্জল হোসেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আতাউল্লাহ নূরুল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
আরও পড়ুন: মানসম্মত মোবাইল সেবা নিশ্চিতে পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
অ্যাডভোকেট আতাউল্লাহ নুরুল কবির নয়ন বলেন, ১৯৪২, ১৯৪৪ ও ১৯৪৮ সালে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে তৎকালীন গভর্নরের ছবি অন্তর্ভুক্ত ছিল। দেশের মুদ্রায় বঙ্গবন্ধুর ছবি সংযোজিত আছে। সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিসে বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ জাতির পিতার ছবি এখনও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। জাতির জনক যেহেতু দেশের স্বাধীনতার স্থপতি ও মহানায়ক, তার ছবি স্ট্যাম্পে ছাপানো হলে শত শত বছর ধরে মানুষ জানতে পারবে।
তিনি জানান, গত ১৯ নভেম্বর নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর ছবি (জলছবি) অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং অর্থ মন্ত্রলণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়। সেখানে জমির দলিল, নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প ও ডামি স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি (জলছাপ) অন্তর্ভুক্তির দাবি জানানো হয়। এর আগে ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর রংপুর সিটি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন কৃষিভিত্তিক সংগঠন কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ সিআইজি (ফসল) সমবায় সমিতির নেতারা। এসময় বেশ কটি সংগঠনের নেতারা তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। কিন্তু এতকিছুর পরও তার নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বঙ্গবন্ধুর জলছবি অন্তর্ভুক্তি না করায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: হাতি হত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
২ বছর আগে
শুধু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে: বিএনপি
শুধু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিএনপি ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে না এবং বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক ও স্বদেশপ্রেমী দল ওই নির্বাচনে অংশে নেবে না।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপিপন্থী স্বাধীনতা ফোরামের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাঁর দল বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং কোনো সংলাপেও যাবে না।
বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার সহজে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ফিরিয়ে আনবে না। ‘এ জন্য আমাদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সব গণতান্ত্রিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারের সাথে আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই: বিএনপি
ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
৩ বছর আগে
সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রেস ক্লাবের
সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের নির্বাচিত নেতাদের ব্যাংক হিসাব বিবরণী চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া চিঠিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি।
প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মাঈনুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: মিডিয়ার ওপর ইসরায়েলি বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব
সভায় বলা হয়, প্রচলিত আইনে কোন ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হতেই পারে। কিন্তু শুধুমাত্র একটি পেশার সকল সংগঠনের নির্বাচিত শীর্ষ নেতাদের নামে ঢালাও এই সিদ্ধান্ত বিশেষ উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ঢালাও ব্যাংক হিসাব তলবে সাংবাদিক সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষু্ন্ন হয়েছে। এমনকি নজীরবিহীনভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মত একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। যা কখনও কোন কালে ঘটেনি।
আরও পড়ুন: প্রেস ক্লাবকে সংঘর্ষের ঢাল বানানো অপরাধের শামিল: তথ্যমন্ত্রী
সভায় আরও বলা হয়, নির্বাচিত সাংবাদিক নেতাদের জনসমক্ষে হেয় ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে। জাতীয় প্রেস ক্লাব সাংবাদিক সমাজকে হেয় প্রতিপন্নকারী এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
৩ বছর আগে
কবি, সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত আর নেই
সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবি অরুণ দাশগুপ্ত আর নেই।শনিবার দুপুর ১২ টায় তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে পটিয়ার ধলঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।কবি, সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফাচট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, একজন গুণী সাংবাদিককে আমরা হারালাম। স্রষ্টার কাছে প্রয়াত দাদা মনির আত্মার সদগতি কামনা করছি।অরুণ দাশগুপ্ত দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের হাত ধরে ১৯৭৩ সালে পত্রিকাটিতে যোগ দেন । তিনি ছিলেন সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্য সম্পাদক। পত্রিকাটির সাহিত্য পাতা প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিবিড় তত্ত্বাবধানে।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি ধলঘাট গ্রামে অরুণ দাশগুপ্ত’র জন্ম। তিনি ওই গ্রামের জমিদার যশোদা নন্দন ওয়াদ্দেদার (দাশগুপ্ত) এর নাতি এবং অবিনাশ ওয়াদ্দেদারের ছেলে। কবিতা, চিত্রকলা, ছোটগল্প, সঙ্গীত ক্ষেত্রে তাঁর অবাধ বিচরণ। পেয়েছেন অনেক পুরস্কার।
অরুণ দাশগুপ্ত রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থাবলী ‘রবীন্দ্রনাথের ছয় ঋতুর গান ও অন্যান্য’, ‘নবীনচন্দ্র সেন’, ‘কবিতা চিন্তা ও অন্যান্য প্রবন্ধ’, কবিতার বই ‘খাণ্ডবদাহন’।পটিয়া ধলঘাট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। সেখানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেন তিনি। দেশমাতৃকার টানে ফিরে আসেন চট্টগ্রামে। ততদিনে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পথে। হাতছাড়া হয়ে গেছে বিপুল সম্পদ।এসময় মিরসরাইয়ের এক গ্রামে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি নিলেন শিক্ষকতার চাকরি। এরপর ফটিকছড়ির নারায়ণহাট স্কুলে। অবশেষে সব ছেড়ে আসেন সাংবাদিকতায়। এই প্রবীণ সাংবাদিক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের(বিএফইউজে) সাবেক সহ সভাপতি ছিলেন।
৩ বছর আগে
খুলনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক সবুর কারাগারে
খুলনা থানায় দায়ের হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাংবাদিক এম এ সবুর রানাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
এর আগে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন আদালত।
সবুব রানা রামপাল উপজেলার সিংগড় ঘুনিয়ার মৃত ডা. আজিজ মোল্লার ছেলে। তিনি যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক লোকসমাজের রামপাল প্রতিনিধি ও রামপাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৮ এপ্রিল এনটিভি’র খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়ব মুন্সির ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে খুলনা সিটি মেয়রের বিপক্ষে একটি স্ট্যাটাস দেয়া হয়। যে কারণে তিনি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হন। ওই ঘটনার পরে মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা থানায় দু’জন সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতে এনটিভি খুলনা প্রতিনিধি আবু তৈয়ব মুন্সিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২১ দিন কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক গ্রেপ্তার
বৃহস্পতিবার এ মামলার অপর আসামি সাংবাদিক এম এ সবুর রানা জামিনের জন্য আদালতে হাজির হন। তবে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১ এর বিচারক শাহীদুল ইসলাম তার আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
আমামিপক্ষের আইনজীবী বেলাল হোসেন জানান, জামিনের জন্য আবেদন করলেও নিম্ন আদালতে তা নামঞ্জুর করা হয়েছে। তিনি এ জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে