সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবি অরুণ দাশগুপ্ত আর নেই।শনিবার দুপুর ১২ টায় তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে পটিয়ার ধলঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।
কবি, সাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তাফা
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম বলেন, একজন গুণী সাংবাদিককে আমরা হারালাম। স্রষ্টার কাছে প্রয়াত দাদা মনির আত্মার সদগতি কামনা করছি।
অরুণ দাশগুপ্ত দৈনিক আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদের হাত ধরে ১৯৭৩ সালে পত্রিকাটিতে যোগ দেন । তিনি ছিলেন সিনিয়র সহকারী সম্পাদক ও সাহিত্য সম্পাদক। পত্রিকাটির সাহিত্য পাতা প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিবিড় তত্ত্বাবধানে।
আরও পড়ুনঃ চলে গেলেন কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার
১৯৩৬ সালের ১ জানুয়ারি ধলঘাট গ্রামে অরুণ দাশগুপ্ত’র জন্ম। তিনি ওই গ্রামের জমিদার যশোদা নন্দন ওয়াদ্দেদার (দাশগুপ্ত) এর নাতি এবং অবিনাশ ওয়াদ্দেদারের ছেলে। কবিতা, চিত্রকলা, ছোটগল্প, সঙ্গীত ক্ষেত্রে তাঁর অবাধ বিচরণ। পেয়েছেন অনেক পুরস্কার।
অরুণ দাশগুপ্ত রচিত ও প্রকাশিত গ্রন্থাবলী ‘রবীন্দ্রনাথের ছয় ঋতুর গান ও অন্যান্য’, ‘নবীনচন্দ্র সেন’, ‘কবিতা চিন্তা ও অন্যান্য প্রবন্ধ’, কবিতার বই ‘খাণ্ডবদাহন’।
পটিয়া ধলঘাট স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। সেখানে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেন তিনি। দেশমাতৃকার টানে ফিরে আসেন চট্টগ্রামে। ততদিনে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পথে। হাতছাড়া হয়ে গেছে বিপুল সম্পদ।
এসময় মিরসরাইয়ের এক গ্রামে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি নিলেন শিক্ষকতার চাকরি। এরপর ফটিকছড়ির নারায়ণহাট স্কুলে। অবশেষে সব ছেড়ে আসেন সাংবাদিকতায়। এই প্রবীণ সাংবাদিক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের(বিএফইউজে) সাবেক সহ সভাপতি ছিলেন।