বিনিয়োগকারী
পতনের পুঁজিবাজার, মুনাফা তুলতে খারাপ শেয়ারে আগ্রহ বিনিয়োগকারীদের
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি (ইউএনবি)-
সপ্তাহজুড়ে পতনের মুখে ঢাকার পুঁজিবাজারে কমেছে সূচক, লেনদেন, টার্নওভার এবং সামগ্রিক রিটার্ন। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা স্বল্পসময়ে মুনাফা তুলতে ঝুঁকছেন জেড ক্যাটাগরির তুলণামূলক খারাপ কোম্পানির দিকে।
পাঁচ কার্যদিবসে (২৬-৩০ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। ৫১৬৬ পয়েন্ট দিয়ে রবিবার লেনদেন শুরু করলেও বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৫১২২ পয়েন্টে।
একইভাবে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২৭ পয়েন্ট এবং ব্লুচিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট। পাশাপাশি এক সপ্তাহে ডিএসইর এসএমই ইনডেক্সের সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা, যা পূর্বের সপ্তাহে ছিল ৪১২ কোটি টাকা। এক সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৭৪ কোটি টাকা। লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে বাজারের মোট টার্নওভার। মোট টার্নওভার হয়েছে ১৩৯ মিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ৩০ মিলিয়ন ডলার।
সপ্তাহের ব্যবধানে সামগ্রিকভাবে বাজারে দাম বেড়েছে মোট ৯৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। বাকি ২৭২ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
এক সপ্তাহে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই দরপতন প্রায় ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। মিচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এ পতন ১৫ শতাংশের বেশি।
সপ্তাহ ভালো যায়নি আইটি খাতেও। এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৩২ শতাংশ। একইভাবে ওষুধশিল্পে পতনের পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। প্রকৌশল এবং সিরামিক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে যথাক্রমে ৪০ এবং ৪৫ শতাংশ।
সাপ্তাহিক লেনদেনে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে মাত্র চার খাতে। বাকি ১৯ খাতে রিটার্ন ছিল নেতিবাচক। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি ডেলটা স্পিনার্স লিমিটেডে। পাঁচ দিনে কোম্পানিটির রিটার্ন বেড়েছে ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: উত্থানের ধারা বজায় রেখে চলছে পুঁজিবাজারে লেনদেন
অন্যদিকে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এক সপ্তাহে ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ রিটার্ন হারিয়ে অবস্থান করছে দরপতনের শীর্ষে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে শীর্ষে থাকা শেয়ারের মধ্যে নেই কোনো ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। শীর্ষ দশের মধ্যে দরবৃদ্ধির ৬ কোম্পানিই ‘জেড’ ক্যাটাগরির এবং বাকি ৪ ‘বি’ ক্যাটাগরির।
অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানির মধ্যে নেই কোনো ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। ‘এ’ ক্যাটাগরির ৫ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫ কোম্পানি ছিল এ সপ্তাহের তলানিতে থাকা শেয়ার।
ব্রোকারেজ হাউসগুলো বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে দ্রুত মুনাফা তুলে ক্ষতি পোষাতে খারাপ শেয়ারে দেদারসে বিনিয়োগ করছে। এতে করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কমেছে বাজারে। অন্যদিকে লভ্যাংশ না দেওয়া বা স্বল্প লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিতে ঝুঁকছে বিনিয়োগকারীরা।
৭৭ দিন আগে
সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে পতন, শেষ দিনেও হতাশ বিনিয়োগকারীরা
সপ্তাহজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার একের পর এক পতন দেখেছে। লেনদেনের শেষদিনে সূচকের পতন না হলেও হয়নি কোনো উল্লেখযোগ্য উত্থান। এতে করে হতাশ হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইক্স ছিল শূন্যের কোটায়, সূচক বেড়েছে মাত্র দশমিক ৩৮ শতাংশ।
অন্যদিকে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৩ পয়েন্ট আর ব্লুচিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। সারা সপ্তাহের লেনদেনে ডিএসইএক্স সূচক হারিয়েছে ৫৪ পয়েন্ট।
সূচকের বেহাল দশায় বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুরো সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে চার কার্যদিবসে সূচক কমেছে। শেষ কার্যদিবসে সূচকের যা উত্থান হয়েছে, তা নিতান্তই নগণ্য। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজিবাজারে অর্থলগ্নি দিনকে দিন কমতে থাকবে বলে জানান তারা।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ১ হাজার ৬০০ বিনিয়োগকারী তাদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন, যা বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখতার দিকেই ইঙ্গিত দেয়।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ১২০ কোম্পানির দামবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ২১৯ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩, কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৩০ কোম্পানির, কমেছে ৪৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৬ কোম্পানির দাম কমেছে, অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানি এবং বেড়েছে ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩৪ কোম্পানির ৩২ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার ১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। একদিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ১২ শতাংশের বেশি দাম হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। শেষ কার্যদিবসে মোট ৩৮৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩১৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারেও সূচকের বড় পতন হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২১১ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২১ কোম্পানির, বেড়েছে ৬০ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমলেও ডিএসই'র মতো সিএসইতেও বেড়েছে লেনদেন। বৃহস্পতিবার সিএসইতে মোট ১২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি টাকা।
সিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ঢাকার পুঁজিবাজারেও মতো চট্টগ্রামেও দরপরতনের শীর্ষে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
৭৮ দিন আগে
বাংলাদেশকে বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরুন: ব্যবসায়ীদের ড. ইউনূস
সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে দেশে কর্মরত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পাশাপাশি দেশে বিদ্যমান ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, ‘এক টিমের সদস্য হিসেবে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা দেশের জন্য একটি টিম। আপনারা দেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হয়ে উঠুন, যা সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত করবে।’
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে কর্মরত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আবাসিক প্রধানদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
শীর্ষ নির্বাহীরা বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করেন।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘ট্রাম্পের সঙ্গে অভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে পাবেন অধ্যাপক ইউনূস’
বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত করতে লাইসেন্সিং এবং করহার ও করনীতির পূর্বানুমেয়তা নিশ্চিত করা, সহজে ব্যবসা করার পরিবেশ উন্নত করা, বিডার ওয়ান-স্টপ সার্ভিস আরও কার্যকর এবং ক্রেডিট রেটিং উন্নত করার জন্য ব্যবসায়ী নেতারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ব্যবসায়ী নেতারা শ্রম অধিকার সংস্কারের জন্য সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এক্ষেত্রে তাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাহীগণকে ব্যবসা পরিচালনায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ব্যবসা পরিচালনায় যেসব সমস্যা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে সাহায্য করুন যাতে আমরা সেগুলোর সমাধান করতে পারি’।
এ সময় প্রধান নির্বাহীকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মানদণ্ড হিসেবে অভিহিত করে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘আগে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাসের ঘাটতি ছিল। আমাদের সেটি দূর করতে হবে।’
আশিক চৌধুরী জানান, ব্যবসায় কার্যক্রম সহজ করতে বিডায় রিলেশনশিপ ম্যানেজার পদ চালু করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি ও বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী আগামী মাসে সিঙ্গাপুরে গিয়ে রেটিং এজেন্সিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো চালু করার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই ব্যবস্থা ব্যবসা পরিচালনা উল্লেখযোগ্যভাবে সহজ করে দেবে।
আরও পড়ুন: ব্যাপক শ্রম সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ: অধ্যাপক ইউনূস
বৈঠকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার, শেভরন বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক এম. ওয়াকার, গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন লিমিটেডের (এইচএসবিসি) সিইও মো. মাহবুব উর রহমান, মেটলাইফ বাংলাদেশের সিইও মুহাম্মদ আলাউদ্দিন আহমদ, এসজিএস বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুর রশিদ, সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এম. এইচ. এম. ফাইরোজ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন পিএলসির সিইও নাজিথ মীওয়ানাজ, ওরাকল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর রুবাবা দৌলা, মারুবেনি কর্পোরেশনের কান্ট্রি হেড মনাবু সুগাওয়ারা, বারাকা পাওয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী, ডিএইচএল ওয়ার্ল্ডওয়াইড এক্সপ্রেস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিয়ারুল হক এবং ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের কান্ট্রি হেড সুমিতাভ বসু উপস্থিত ছিলেন।
১৪২ দিন আগে
আইপিএমের উদ্যোগে বিনিয়োগকারী ও স্টার্টআপ সম্মেলন ‘ফান্ড ফরওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত
বৈশ্বিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে দেশীয় স্টার্টআপগুলোর পারস্পরিক সহযোগিতা টেকসই ডিজিটাল ইকোসিস্টেম ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুযোগ বাড়াতে পারে।
রবিবার সন্ধ্যায় গুলশান ক্লাবে অনুষ্ঠিত ইনডেস্ক প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (আইপিএমএল) আয়োজিত ‘ফান্ড ফরওয়ার্ড’- শীর্ষক এক সম্মেলনে প্রযুক্তি বাজার, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ১ হাজার স্টার্টআপ তৈরিতে সহায়তা করবে সরকার: পলক
বৈশ্বিক শীর্ষস্থানীয় একাধিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ছাড়াও ‘ফান্ড ফরওয়ার্ড’ সম্মেলনে বাংলাদেশি অর্ধশতাধিক উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপ অংশ নেয়।
৭৬০ দিন আগে
সৌদিতে বিনিয়োগে অভিবাসীদের জন্য নতুন সুযোগ
সৌদি আরবে বসবাসরত অভিবাসী নাগরিকদের ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বাণিজ্য উপমন্ত্রী প্রকৌশলী আয়েদ আল-ঘোয়াইনাম।
বুধবার অনুষ্ঠিত এক অনলাইন আলোচনায় একথা জানান।
সৌদিতে ব্যবসা পরিচালনা ও বিনিয়োগ নীতির নতুন সুযোগ নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় চেম্বার অব কমার্স ও বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওয়েবিনারে সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও অভিবাসীগণ যোগ দেন।
আরও পড়ুন: প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রশংসায় ইফাদ প্রেসিডেন্ট
ওয়েবিনারে নতুন ব্যবসা বাণিজ্য নীতির আওতায় সকল ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যাদি আগামী ২৩ আগস্ট ২০২১ তারিখের মধ্যে সৌদি সরকারকে অবহিত করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধনে ব্যর্থ হলে আইনের আওতায় বিভিন্ন ধরণের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে অবহিত করা হয়। একই সাথে নতুন এ নীতির আওতায় ৮ লাখ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ অর্থ এককালীন প্রদানের মাধ্যমে সৌদি আরবে নতুন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী হিসেবে যেকোনও অভিবাসীকে নিবন্ধনের সুযোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া ১ লক্ষ সৌদি রিয়াল প্রদানের মাধ্যমেও এক বছরের জন্য বিনিয়োগকারী হিসেবে নিবন্ধনের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সৌদিকে তৈরি পোশাক আমদানির আহ্বান বাংলাদেশের
ভিশন ২০৩০ এর আওতায় শ্রমবাজারসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন ধরেই পরিবর্তন আনছে সৌদি সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের অভ্যন্তরে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটি। ওয়েবিনারে সৌদি কর্তৃপক্ষ আগামী ২৩ আগস্ট ২০২১ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য বিনিয়োগের তথ্যাদি প্রদান করে নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: সৌদিতে কর্মরত নারী গৃহকর্মীদের নিরাপত্তা চায় বাংলাদেশ
ওয়েবিনারে সৌদি সরকারের পক্ষে বাণিজ্য উপমন্ত্রী প্রকৌশলী আয়েদ আল-ঘোয়াইনাম, অ্যান্টি কমার্শিয়াল কনসিলমেন্ট বিষয়ক জাতীয় কমিটির প্রধান আহমাদ আল-সুয়াইলেম, বাণিজ্য বিষয়ক পূর্বাঞ্চলীয় ও জাতীয় কমিটির সভাপতি হানি আল-ফালেকসহ চেম্বারের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষে ইকনমিক কাউন্সিলর মুর্তুজা জুলকার নাঈন নোমান ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
১৩৮০ দিন আগে
বিদেশিদের নাগরিকত্ব দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত
প্রথমবারের মতো নির্দিষ্ট বিদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্ব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
১৫৩৮ দিন আগে