নৌ চলাচল
ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে নৌ চলাচল বন্ধ, মাঝ নদীতে আটকা ৪ ফেরি
ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ফেরি, লঞ্চসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে যানবাহনবোঝাই ৪টি ফেরি।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নৌযান চলাচল শুরু হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার দিবাগত রাত থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে থাকে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মধ্যরাত থেকে ভারী কুয়াশার কারণে সামান্য দূরের কিছুই দেখা না যাওয়া নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
আরও জানা যায়, দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১টা থেকে কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে উভয় ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া রো রো (বড়) ফেরি ভাষা শহীদ বরকত, গোলাম মাওলা, ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি বনলতাসহ ৪টি ফেরি মাঝ নদীতে দিক হারিয়ে আটকা পড়ে। ফেরি ৪টিতে অন্তত শতাধিক যানবাহন রয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার পর পর্যন্ত এই রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়নি।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে আটকা পড়া ফেরি চলাচল শুরু
১ বছর আগে
নৌ চলাচল বন্ধের পর এবার ভোলা-বরিশাল রুটে বাস ধর্মঘট
দ্বিতীয় দিনের মত শুক্রবার ভোলা-বরিশাল রুটে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। এবার ভোলা-চরফ্যাসনসহ অভ্যান্তরীণ সকল রুটে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাসমালিক সমিতি। শুক্রবার সকাল থেকে মহাসড়কে অবৈধ থ্রি হুইলার বন্ধের দাবিতে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় ভোলা বাসমালিক সমিতি। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে লঞ্চ ও বাসে চলাচলকারী সাধারণ যাত্রীরা।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাট ও ভোলার বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে অসংখ্য যাত্রী তাদের গন্তব্যে যেতে না পেরে অপেক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠি-বরিশালসহ পাঁচ রুটে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলার ভেদুরিয়া লঞ্চঘাটে বরিশালগামী কোন লঞ্চ নেই। এমনকি স্পিডবোটও ছাড়ছে না। তবে অসুস্থ ও বিশেষ প্রয়োজনে কিছু যাত্রী স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বরিশাল গিয়েছে।
লঞ্চ চলাচল বন্ধের ব্যাপারে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে, ভোলার মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড থেকে চরফ্যাশনের উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। তবে স্ট্যান্ডের সামনে থেকে মাইক্রোবাস ও সিএনজি চলাচল করতে দেখা গেছে।
ভোলা থেকে চরফ্যাশনের বাস ভাড়া ১২০ থেকে ২০০টাকা হলেও মাইক্রোবাস ও সিএনজিতে ৩০০ থেকে ৪০০টাকা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে অনেক যাত্রী বাসস্ট্যান্ড থেকে ফিরে গেছেন।
যাত্রী মো. সাহাদ জানান, তিনি জরুরী কাজে পরিবার নিয়ে ভোলা থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার জন্য বাস স্ট্যান্ডে এসেছেন। তবে এখানে এসে দেখেন বাস বন্ধ।
এখন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাইক্রোবাসে করে চরফ্যাশন যাচ্ছেন।
যাত্রী আমেনা বেগম জানান, তিনি পাতারহাট থেকে চরফ্যাশন যাওয়ার জন্য ভোলা বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন। কিন্তু বাস না পেয়ে এখানে আটকা পড়েছেন। মাইক্রো ও সিএনজি ৩০০-৪০০ টাকা ভাড়া চায় কিন্তু এতো টাকা তার কাছে নেই। তাই নিরুপায় হয়ে বাসস্ট্যান্ডে বসে আছেন।
ভোলা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম জানান, মহাসড়কে থ্রি হুইলার (তিন চাকার যানবাহন) চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ভোলায় সেটি মানা হচ্ছে না। তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে এ থ্রি হুইলার বন্ধের দাবি জানিয়ে আসলেও সেগুলো এখনো বন্ধ হয়নি। তাই সমন্বয় পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তারা ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় বাসমালিকদের ২ দিনের বাস ধর্মঘট
আকস্মিক বাস ধর্মঘটে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ
২ বছর আগে
ঢাকার চারপাশে নৌ চলাচল সচল রাখতে ১৩ সেতু ভাঙা হবে: মন্ত্রী
বাবুবাজার এবং টঙ্গি রেল ব্রিজসহ ঢাকার চারপাশে নদ-নদীর ওপর নির্মিত কম উচ্চতা সম্পন্ন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ অথবা ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে বলে রবিবার জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
৩ বছর আগে