তিনি বলেন, ‘ঢাকার চারপাশে নদ-নদী, খালের ওপর ১৩টি ব্রিজ চিহ্নিত করা হয়েছে যেগুলো স্বল্প উচ্চতা সম্পন্ন এবং নৌ চলাচলের অনুপোযোগী। নৌ চলাচল ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে এসব ব্রিজের উচ্চতা বৃদ্ধি করার কোনো বিকল্প নেই। তাই নৌ চলাচল ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রাখতে এসব ব্রিজ পুনঃনির্মাণ অথবা ভেঙে ফেলে নতুন ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
১৫ গ্রামে হবে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ পাইলট প্রকল্প: এলজিআরডিমন্ত্রী
মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং মেঘনা নদী দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধিকল্পে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওই ১৩টি ব্রিজের মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডি'র ৬টি, সড়ক ও সেতু বিভাগের ৬টি এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
রাজধানীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠক: এলজিআরডিমন্ত্রী
মো. তাজুল ইসলাম আরও জানান, ঢাকার আশপাশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত রাখতে নদী তীরবর্তী যেসকল শিল্প কারখানা রয়েছে সেগুলোকে চিহ্নিত করে ‘ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট-ইটিপি’ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এছাড়া নদী তীরবর্তী প্রায় দুই হাজারের বেশি শিল্প-কলকারখানা চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৪০০ শিল্প কারখানায় ইটিপি স্থাপন করা হয়েছে। যেগুলোতে ইটিপি নেই সেগুলোতে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শিল্প কলকারখানায় ইটিপি সার্বক্ষণিক সচল রাখতে পরিবেশ অধিদপ্তর বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করতে একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে, জানান মন্ত্রী।
ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে জনঘনত্ব নির্ধারণে পরিকল্পনা হচ্ছে: মন্ত্রী তাজুল
দখলমুক্ত জায়গায় কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় নদ-নদী পাড় অথবা জায়গা দখলমুক্ত করে যেগুলো সিটি করপোরেশনের মধ্যে, সেগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করবে এবং সিটি করপোরেশনের এসব জায়গায় সংরক্ষণ, সৌন্দর্যবর্ধন নগরায়ন এবং ইকোপার্ক নির্মাণ করবে।
‘উদ্ধারকৃত জায়গা যাতে পুনরায় দখল না হয় সে জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে,’ বলেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সমন্বিত উদ্যোগে অবৈধভাবে দখলকৃত নদ-নদী, খাল-জলাশয়সহ সরকারি স্থাপনা দখলমুক্ত করা হচ্ছে এবং অভিযান চলমান রয়েছে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে: মন্ত্রী তাজুল
এর আগে সভায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম জানান, বালু নদীতে নৌ চলাচল, নদীর তীরে নগরায়ন এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে খুব শিগগিরই কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।
বিভিন্ন প্রকল্পের সময়সীমা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো প্রকল্প নেয়া হোক না কেন, দীর্ঘদিন ধরে সময় অতিবাহিত করা যাবে না। যে প্রকল্পই নেয়া হোক তা স্বল্প সময়ে শেষ করতে হবে।’
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নাগরিক সেবা বৃদ্ধির আহ্বান এলজিআরডিমন্ত্রীর
সভায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।