টাকা
হারাম টাকা দিয়ে ইবাদত হয় না: ধর্ম উপদেষ্টা
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হাসান বলেছেন, হালাল টাকা খরচ করে হজ করতে হবে। হারাম টাকা দিয়ে ইবাদত হয় না।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে হজযাত্রী প্রশিক্ষণ-২০২৫ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মানুষের মাঝে সুদ-ঘুষ, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ কামানোর প্রবণতা আছে। তবে অসৎ পথে উপার্জিত অর্থে হজ কবুল হবে না।
হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কোনো দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, সুদখোর, ঘুষখোররা যখন হারাম শরীফে গিয়ে বলে আল্লাহ আমি হাজির, তখন ফেরেশতারা সমস্বরে বলতে থাকে, তোমার হাজিরা কবুল হয়নি। তিনি সকলকে সৎপথে অর্থ উপার্জনের অনুরোধ জানান।
ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, হজব্রত পালনে শারীরিক কষ্ট ও অর্থ ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত রয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিবহন সেবা নাও পাওয়া যেতে পারে। পায়ে হেঁটে মিনা-আরাফা-মুজদালিফায় যেতে হতে পারে। হাজীদেরকে কষ্ট বা ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা থাকতে হবে, সবকিছু সহজে মেনে নিতে হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করতে হবে।
প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, প্রশিক্ষণ মানুষকে কৌশলি করে তোলে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই কর্মে সিদ্ধিলাভ করা যায়। যতবেশি মনযোগ সহকারে হজ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা যাবে, হজের আনুষ্ঠানিকতা পালন ততবেশি সহজ হবে। তিনি হজযাত্রীদেরকে মনোনিবেশ সহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে: ধর্ম উপদেষ্টা
হজযাত্রীদেরকে ভাগ্যবান অভিহিত করে ড. খালিদ বলেন, হজ ভাগ্যের ব্যাপার। টাকা কিংবা বিত্তবৈভব থাকলেই হজ করা যাবে, একথা ঠিক নয়। অনেকের টাকা থাকা সত্ত্বেও আজ যাবে, কাল যাবে করে যেতে পারে না। মানুষ যখন মায়ের পেটে থাকে তখনই কে কতদিন দুনিয়ায় থাকবে, কী পরিমাণ রিজিক পাবে, সৎকর্ম করবে কিনা, হজ করতে পারবে কিনা-এ বিষয়গুলো নির্ধারিত হয়ে যায়।
কবুল হজের ফজিলত বর্ণনা করে ড. খালিদ বলেন, কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। হাজীদেরকে আল্লাহ সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ করে দেন।
হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার, হজ অনুবিভাগের যুগ্মসচিব ড. মঞ্জুরুল হক ও হাবের মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।
এ সময় উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ ও হজ অফিসের পরিচালক মো. লোকমান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা জেলার বেসরকারি মাধ্যমে হজযাত্রীদের মধ্য হতে আজ দুটি ব্যাচে সাত শতাধিক হজযাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।
৭ দিন আগে
সিসি ক্যামেরা স্থাপনের টাকা নিয়ে হাওয়া, ছিনতাই-ডাকাতি আতঙ্কে ফেনী পৌরবাসী
ফেনী পৌরসভার ১৫০টি স্থানে স্থাপিত ২৪০টি সিসি ক্যামেরার বেশিরভাগই নষ্ট। এতে করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অপরাধীরা, আর ছিনতাইকারী ও ডাকাতের আতঙ্কে তটস্থ থাকতে হয় শহরের ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষকে। অনেক জায়গায় মানুষ সন্ধ্যার পর চলাচল করতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সিসি ক্যামেরা না থাকায় পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে না অপরাধমূলক বিভিন্ন ঘটনার ভিডিওচিত্র। ফলে অনেক অপরাধীকে শনাক্ত করাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, পৌরসভার ভেতরে ক্যামেরা স্থাপনের জন্য শহরের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলা ৩ কোটি টাকা চাঁদা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছেন ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাজারী। ফলে বিড়ম্বনা আরও বেড়েছে।
ফেনী পৌরসভা সূত্র জানিয়েছে, ২০১৫ সালে ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে ২৪০টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়। ইউ-টাচ নামে ফেনীর একটি প্রতিষ্ঠান এগুলো স্থাপনে কাজ করে। তবে দুই বছর চলার পর ক্যামেরাগুলোর বেশিরভাগই অকেজো হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ঢাকার গোল্ডেন ট্রেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেড় কোটি টাকার চুক্তিতে ক্যামেরাগুলো প্রতিস্থাপন করার উদ্যোগ নেন তৎকালীন পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী। কিন্তু কাজ অর্ধেক সম্পন্ন হওয়ার পর আর্থিক জটিলতায় প্রকল্পটি স্থগিত হয়ে যায়।
অবশ্য, পৌরসভার ভেতরে ক্যামেরা স্থাপনের জন্য ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ হাজারীর মাধ্যমে প্রতিটি মার্কেটের মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগঘেঁষা হওয়ায় গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন। ফলে তার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের দেওয়া ওই চাঁদাও হাপিশ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের হিমাগারে আলু রাখতে বিড়ম্বনা, অপেক্ষায় নষ্ট হওয়ার শঙ্কা
এদিকে, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশের টালমাটাল আইনশঙ্খলা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিপুলসংখ্যক সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। পরে বন্যার পানিতে ক্যামেরার যন্ত্রপাতি ও কন্ট্রোলরুমের সরঞ্জামও নষ্ট হয়ে যায়।
পৌর শহরের নজরদারি পরিস্থিতি ভেঙে পড়ায় পোয়াবারো হয়েছে দুর্বৃত্তদের। পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়া আগের চেয়ে সহজ হওয়ায় সম্প্রতি শহরজুড়ে বেড়েছে ছিনতাই, ডাকাতির মতো ঘটনা।
ফেনী জেলা পুলিশের অপরাধ বিভাগ থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেনীতে গত জানুয়ারি মাসে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, নারী নির্যাতন, মাদক কারবারসহ মোট ১৪০টি ও ফেব্রয়ারি মাসে ১২২টি অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে। অথচ গত বছরের জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ৯৯টি এবং ফেব্রুয়ারিতে ১০৭টি।
শহরের অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিসিক, রামপুর রাস্তার মোড়, আলোকদিয়া ও ফলেস্বর এলাকাকে গণ্য করা হয় বলে জানিয়েছে ফেনী মডেল থানা সূত্র। তবে প্রশাসনের স্থাপিত ক্যামেরাগুলোর বেশিরভাগ অকেজো হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বিভিন্ন বাড়ির মালিকদের লাগানো ক্যামেরা ও সাধরণ মানুষের করা ভিডিও ও ছবির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
শহরের এই নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণের জন্য নষ্ট ক্যামেরাগুলো দ্রুত প্রতিস্থাপন কিংবা মেরামত করে হলেও সেগুলো কার্যকর করা জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পৌরসভার বাসিন্দারা। পাশাপাশি, দীর্ঘদিন ধরে ক্যামেরাগুলো থেকে সেবা পেতে নিয়মিত সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথাও জানিয়েছেন তারা।
এ ছাড়াও, নতুন ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সিসিটিভি ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে ১৮৮০০ টন চাল আমদানি, প্রভাব নেই দামে
শহরের ব্যবসায়ী রেজাউল গনি পলাশ বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা না থাকায় জেলায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ বাড়ছে। ঘটছে হত্যার মতো ঘটনাও। সড়কে সিসি ক্যামেরা না ধাকায় অপরাধীরা সহজে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই সিসি ক্যামেরাগুলো ঠিক করে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ফেনীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ সৃষ্টি করে এবং অনেক সময় অপরাধীদের অপরাধ থেকে বিরত রাখতে প্রভাব ফেলে। এছাড়া ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও দুর্ঘটনা কমানোর ক্ষেত্রেও এর কার্যকারিতা অনেক।’
‘তবে সিসিটিভির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও ডেটা সুরক্ষা। এটি প্রযুক্তির মাধ্যমে আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিৎ, জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে যত দ্রুত সম্ভব সিসি ক্যামেরাগুলো ঠিক করা।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা অপরাধী ধরার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজে আসে। ছবি দেখে গ্রেপ্তারের পর অপরাধীর অস্বীকার করার সুযোগ থাকে না; তাতে পুলিশের তদন্ত কাজের অনেক সুবিধা হয়। তাছাড়া অপরাধীর অপরাধও আদালতে সহজে প্রমাণ করা যায়। তবে বর্তমানে এ বিষয়ে পুলিশকে নির্ভর করতে হচ্ছে ব্যক্তি পর্যায়ে লাগানো ক্যামেরাগুলোর ওপর।’
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কলেজের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা কেন্দ্র, ব্যাহত শ্রেণিকার্যক্রম
নানা জটিলতার মাঝে সম্প্রতি অবশ্য স্বল্প পরিসরে হলেও ফের ক্যামেরা প্রতিস্থাপনের কাজ হাতে নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে তারা ফের দায়িত্ব দিয়েছে সেই ইউ-টাচ নামের প্রতিষ্ঠানটিকে। ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পুরাতন ক্যামেরাগুলো মেরামত করে নতুন করে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন বলেন, ‘পৌরসভার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই আমরা নতুন করে সিসি ক্যামেরা চালু করার ব্যবস্থা করেছি। শিগগিরই তা কার্যকর হবে।’
২৭ দিন আগে
সিলেটে যুবককে খুন করে টাকা ও মোটরসাইকেল ‘ছিনতাই’
সিলেটের গোয়াইনঘাটে সাহেল শাহরিয়ার নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের কারণ ও ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে না পারলেও পুলিশের ধারণা, টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাই করতেই তাকে খুন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার রাধানগর বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
সাহেল (২০) উপজেলার পশ্চিম আলিরগাঁও ইউনিয়নের পুর্নানগর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে মোটরসাইকেল করে গোয়াইনঘাট থেকে জাফলংয়ে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতিকারীদের কবলে পড়ি শাহরিয়ার। এ সময় তাকে আঘাত করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে তার মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা নিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। লাশে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ছিনতাই নাকি পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
২৯ দিন আগে
পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানায়, ওই গ্রামের মন্টু মোল্লা একই গ্রামের লিখন হোসেনের কাছে এক হাজার টাকা পেতেন। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে সেই টাকা চাওয়া নিয়ে দুই জনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। এর জেরে আজ (বুধবার) সকালে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষের নিহত ৩
তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলেও স্বপন বিশ্বাসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
৩৫ দিন আগে
সুনামগঞ্জে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তাহিরপুর উপজেলাধীন ১ নম্বর উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাঁও বিওপি কর্তৃক সীমান্ত পিলার-১২৯৪/৩- এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জঙ্গলবাড়ি নামক স্থান হতে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
জব্দ করা পণ্যগুলো হলো— শার্ট ৫ হাজার ১২৭টি, প্যান্টের কাপড় ১৫৬ মিটার, ব্লেজার কাপড় ১ হাজার ২৯৬ মিটার, পাঞ্জাবি কাপড় ২০ হাজার ৪৩০ মিটার ও স্কিন সানরাইজ ক্রীম ৯ হাজার পিস। আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯২ হাজার ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চারাগাঁও বিওপির টহল দল জঙ্গলবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন ভারতীয় পণ্যগুলো আটক করে।’
তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তের চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। জব্দ করা মালামাল শুল্ক কার্যালয়, সুনামগঞ্জে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
৪০ দিন আগে
মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ, ছেলে আটক
চুয়াডাঙ্গায় মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় ছেলে শিশির আহম্মেদের বিরুদ্ধে তার বাবা আব্দুস সোবহানকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শিশিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুস সোবহান একজন সাবেক নৌ বাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন।
এদিকে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় মা-ছেলেসহ তিনজনকে হত্যা
স্থানীয়রা জানান, গত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আব্দুস সোবহান ব্যাংক থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তোলেন। ওই রাতেই তার ছেলে শিশিরের সঙ্গে গণ্ডগোল বাধে। পরে দিন বুধবার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বাবা ও ছেলের মধ্যে হট্টগোল চলে। ওই দিন মাঝ রাতে সোবহানের চিৎকার শোনেন প্রতিবেশীরা। এরপর থেকে সোবহানকে বাইরে দেখেনি এলাকাবাসী। শনিবার বাড়ির দ্বিতল ভবন থেকে পচা গন্ধ বের হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাইয়ের মেয়ে গুলশান আরার ভাষ্য মতে, তার চাচাতো ভাই শিশির বখাটে ও নেশাগ্রস্ত ছিল। কোনো কাজকর্ম করত না। নেশার টাকা জোগাতে না পেয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। পরে শনিবার দুপুরে পচা গন্ধ পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া বলেন, প্রতিবেশীদের খবরে নিহতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সোবহানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মাথায় ও শরীরের আঘাতে চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলে শিশিরকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সীমান্তে বিএসএফের হত্যাকাণ্ডকে 'নির্মমতা' বললেন ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩০টি হত্যাকাণ্ডে ১৩১ প্রাণহানি
২২১ দিন আগে
ব্যবসার আড়ালে টাকা লুটকারীদের শাস্তি দিন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ব্যবসায়ী নেতারা
ব্যবসার নামে যারা অর্থ লুটপাট করেছেন তাদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকেরগভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকে তারা এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪ মার্কিন ডলার: বিবিএস
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা ব্যবসার নামে সম্পদ লুটপাট করেছে, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছে এবং যারা ব্যাংক লুট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে বলেছি। আমরা ব্যবসায়ীরা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,‘আমরা প্রতারণা, লুটপাট ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে। মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।’
তিনি উল্লেখ করেন, 'আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে ঋণের কিস্তির মেয়াদ বাড়াতে বলেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা না হলে অনেক ব্যবসা খেলাপি হয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, 'মার্কিন ডলারের উচ্চ বিনিময় হারের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা গভর্নরকে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’
মাহবুবুল বলেন, অর্থনীতি সুশৃঙ্খল রাখতে ব্যবসায়ীরা কাজ করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব ভালো পদক্ষেপে ও দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করবেন।
বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইডিএফের অর্থ বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। সেখানে তিন মাসের কিস্তি পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
হাতেম আরও বলেন, ছয়টি ব্যাংকের কার্যক্রমে বিধিনিষেধ আরোপের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিকেএমইএ নেতা হাতেম বলেন, 'সব ব্যাংকিং নীতিমালা ঠিক ছিল না, সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুদের হার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইডিএফের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ব্যবসায়ীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে থাকবে, যারা জালিয়াতি করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।’
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
২৩৯ দিন আগে
কোটা আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থীদের প্রত্যেক পরিবারকে এক লাখ করে টাকা দেবে জামায়াত
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় নিহত ছাত্রদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকালে ফেনী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ফেনী জেলা জামায়াতের আমির এ কে এম শামসুদ্দিন বলেন, 'প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে এক লাখ করে টাকা দেওয়া হবে।’
শামসুদ্দিন শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন তারা। 'আমরা তাদের আত্মত্যাগ সবসময় মনে রাখব।’
তিনি শহীদ শিক্ষার্থীদের জাতীয় বীর হিসেবে স্বীকৃতির আহ্বান জানান এবং তাদের পরিবারকে বাংলাদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য তারা লড়াই করেছে, তা বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব। আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা না গেলে এবং লুটপাট বন্ধ না হলে তাদের সব আত্মত্যাগ বৃথা যাবে।’
শামসুদ্দিন আরও বলেন, বর্তমানে অনেক আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে বহন করা হচ্ছে।
তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমরা তাদের পরিবারকে সমর্থন দেওয়া অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করল সরকার
জেলার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, সব থানায় জনবলের অপ্রতুলতা রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। 'শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
এ কে এম শামসুদ্দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মন্দির রক্ষাসহ শৃঙ্খলা রক্ষায় জামায়াতের টিম সব উপজেলায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, 'হিন্দুরা এই দেশে সংখ্যালঘু নয়। আমরা সবাই ভাই ভাই এবং মিলেমিশে একসঙ্গে থাকব। বিভ্রান্তি ছড়াতেই মন্দিরে হামলার গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুফতি মাওলানা আব্দুল হান্নান, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রহিম, মহানগরী জামায়াতের আমির মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ফেনী জেলা ও মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইমাম হোসাইন ও শরিফুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১৩ বছর পর কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলল জামায়াতে ইসলামী
২৫১ দিন আগে
মাদকের টাকার জন্য স্ত্রীকে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকের টাকার জন্য স্ত্রী তানিয়া বেগমকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ফারুক (৩৪) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এরপর থেকে স্বামী পলাতক।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) পৌর এলাকার পুনিয়াউট (হাসিনাবাগ) এলাকার ভাড়া বাসার বাথরুম থেকে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে যুবকেকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
তানিয়া বেগম নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঠালকান্দি গ্রামের রফিকুল ইসলাম ছোটন মিয়ার মেয়ে। আর স্বামী ফারুক জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের শাহআলম মিয়ার ছেলে।
পুলিশ জানায়, ফারুক মাদকাসক্ত ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে মাদকের টাকার জন্য ফারুক তার স্ত্রীকে মারধর করে। এর জেরে শুক্রবার ভোরে ফারুক শ্বাসরোধ করে তানিয়াকে হত্যা করে লাশ বাথরুমে ফেলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘আমরা ফারুককে আটকের চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
আরও পড়ুন: বরিশালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় কিশোর হত্যায় একজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
২৬৪ দিন আগে
ঘরে বসেই হজযাত্রীরা পাবে প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ডের টাকা
এখন ঘরে বসেই হজযাত্রীরা পাবে প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ডের টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবন ও সেবা সহজীকরণ কার্যক্রমের আওতায় স্মার্ট করা হয়েছে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ড প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ: সৌদি মন্ত্রণালয়
প্রাক-নিবন্ধন বাতিলের জন্য আর যেতে হবে না হজ নিবন্ধন কেন্দ্রে।
এখন ঘরে বসেই ই-হজ বিডি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বাতিল করা যাবে প্রাক-নিবন্ধন। নতুন এই প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহার করে সরকারি মাধ্যমে প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী তার নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করতে পারবে। রিফান্ড আবেদন দাখিল করলে সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছে যাবে ঢাকা হজ অফিসের পরিচালকের দপ্তরে।
রবিবার (১২ মে) দুপুরে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ই-হজ বিডি মোবাইল অ্যাপে সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ড সেবার উদ্বোধন করেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
এই অফিসের পরিচালক ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর আবেদনকারীর ব্যাংক হিসাবে জমা হবে রিফান্ডের টাকা। আগে রিফান্ডের টাকা পেতে যেখানে চার কর্মদিবস সময় লাগতো এখন সেটা ১/২ কর্মদিবসে সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে হজে যাওয়ার জন্য প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্নকারী হজযাত্রী কোনো কারণে তার নিবন্ধন বাতিল করতে চাইলে তাকে যেতে হতো হজ নিবন্ধন কেন্দ্রে।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া। সেলক্ষ্যে হজ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে আমরা ইতোমধ্যেই ডিজিটালাইজড করেছি। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে এবার যুক্ত হলো সরকারি মাধ্যমের হজযাত্রীদের স্মার্ট প্রাক-নিবন্ধন রিফান্ড। এই সেবা হজযাত্রীদের সময়, অর্থ ও ভ্রমণ সাশ্রয় করবে।
আরও পড়ুন: আবেদনের মেয়াদ শেষ হলেও ভিসা অনিশ্চয়তায় ১১ হাজারের বেশি হজযাত্রী
আবারও বাড়ল হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
৩৩৯ দিন আগে