খ্রিস্টান
হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিস্টানদের অধিকার রক্ষায় কমিশন গঠনের দাবি স্বতন্ত্র এমপি পঙ্কজের
হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের অধিকার রক্ষায় কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল-৪ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ।
সংসদে আইন মন্ত্রণালয়ে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
এছাড়াও বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বিচারক ঘাটতির কথা তুলে ধরে প্রতিটি বিভাগে হাইকোর্ট বেঞ্চ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য লাখ লাখ মানুষ আদালতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু মামলাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত অবস্থায় আছে।
এসময় আদালতে মামলাজটের কথা স্বীকার করে সংক্ষেপে মামলা কমাতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দেন আইনমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
জনগণের অধিকার রক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
বড়দিনকে উদযাপন, প্রতিফলন ও ঐক্যের সময় হিসেবে বর্ণনা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই উদযাপন ভালোবাসা, সহানুভূতি ও ঐক্যের সার্বজনীন মূল্যবোধের স্মারক হিসেবে কাজ করে, যা মানুষকে একত্রিত করে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘বড়দিন প্রেম ও উপলব্ধির চেতনায় বিভিন্ন পটভূমির মানুষদের একত্রিত করে। বিশ্বজুড়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানানোর সময় আমাদেরকে এই উৎসবের সময়ে শান্তি ও সহানুভূতির তাৎপর্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।’
এই অনুষ্ঠানের তাৎপর্য উপলব্ধি করে মোমেন বলেন, ফিলিস্তিনে খ্রিস্টানরা যে মর্মস্পর্শী বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছে তা উপেক্ষা করা যায় না।
আরও পড়ুন: সিলেটের সব আসনেই জয়ী হবে আওয়ামী লীগ: মোমেন
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- পশ্চিম তীর, জেরুজালেম এবং গাজায় আনুমানিক ৫০ হাজার খ্রিস্টান ফিলিস্তিনি বাস করেন।
মোমেন বলেন, ‘এই বড়দিনে আমরা ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানরা যেসব অনন্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
তিনি বলেন, ‘যীশু খ্রীস্টের জন্মকে স্মরণ করার সময় আসুন আমরা তার প্রেম ও সহানুভূতির শিক্ষা থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করি। বড়দিনের চেতনা আমাদের এমন একটি বিশ্বের দিকে পরিচালিত করুক যেখানে বোঝাপড়া ও একতা বিরাজ করে।’
মোমেন উল্লেখ করেন, ‘প্রতিকূলতার মধ্যেও আশার আলো আমাদের পথকে আলোকিত করুক এবং ইতিবাচক পরিবর্তনকে উৎসাহিত করুক। অভাবগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে ও আশার বীজ বপন করতে বড়দিনের চেতনা আমাদের অনুপ্রাণিত করুক।’
আরও পড়ুন: জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
১০ মাস আগে
উৎসব ও শান্তির বার্তায় বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপন
বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন স্মরণে বিশ্বের সঙ্গে ২০২৩ সালের বড়দিন ঐতিহ্যগত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে উদযাপন করছে। এবারের উৎসব দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাক্ষ্য বহন করছে।
বাংলাদেশে বড়দিন উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পুনর্জন্ম, নব সূচনা, ক্ষমা ও শান্তির চেতনা।
উৎসবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে: রঙিন আলোয় সজ্জিত ক্রিসমাস ট্রি এবং ক্রিসমাস ক্যারল এবং স্তোত্রের আনন্দময় শব্দে ভরা বাতাস, বিশেষত গির্জার বিশেষ প্রার্থনার সময়। এই প্রাণবন্ত উদযাপন কেবল বিশ্বাসেরই প্রদর্শন নয়, সম্প্রদায়ের বন্ধনকে শক্তিশালী করার একটি উপায়ও।
আরও পড়ুন: সোমবার বড়দিন
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে এক জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন, যেখানে বাংলাদেশের আর্চবিশপ, বিদেশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য ধর্মীয় ও পেশাদার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ হবে একদল গায়কের পরিবেশনা, যার সমাপ্তিতে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ক্রিসমাস কেক কাটবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় সংবাদপত্রগুলোও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: ‘শুভ বড়দিন’ উপলক্ষে জাপা চেয়ারম্যানের শুভেচ্ছা
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটান। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় খ্রিস্টান মিশনের প্রতিফলন ঘটিয়ে অভাবগ্রস্তদের জন্য তার আত্মত্যাগকে চিরস্থায়ী অনুপ্রেরণা হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণে অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: শাহরুখের ‘ডানকি’ বনাম প্রভাসের ‘সালার’: মুক্তি পাচ্ছে বড়দিনে
১০ মাস আগে
পাকিস্তানে গির্জা ও খ্রিস্টানদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২৯
পাকিস্তানে কথিত কোরআন অবমাননার অভিযোগে ক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি গির্জা এবং সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের বেশকিছু বাড়িতে হামলা চালানের ঘটনায় ১২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পবিত্র গ্রন্থ কোরআন অবমাননা করার অভিযোগে পুলিশ দুই খ্রিস্টান পুরুষকেও গ্রেপ্তার করেছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
কোরআন অবমাননার অভিযোগে গত বুধবার(১৬ আগস্ট) দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের জরানওয়ালা জেলায় তাণ্ডব শুরু করেছিল উত্তেজিত জনতা। যার ফলে খ্রিস্টানরা নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। কারণ জনতা খ্রিস্টানদের উপর দেশের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক আক্রমণ শুরু করেছিল।
নগরীর পুলিশ প্রধান, বিলাল মেহমুদ বলেছেন, অফিসাররা রাজা আমির এবং তার এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় মুসলমানরা যাদেরকে কুরআনের একটি পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা ও অন্য পৃষ্ঠাগুলোতে অবমাননাকর মন্তব্য লিখে এবং গ্রন্থটি মাটিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল।
আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান রিজওয়ান খান বলেছেন, সন্দেহভাজন দাঙ্গাবাজ হিসাবে ১২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কর্তৃপক্ষ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সৈন্যদের মোতায়েন করে এবং খ্রিস্টান বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার ধ্বংস দেখতে ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরে আসে।
শাজিয়া আমজাদ তার পোড়া বাড়ির বাইরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমরা বাড়িতে বসা থাকতে হঠাৎ শুনতে পেলাম যে জনতার একটি দল আসছে এবং তারা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিচ্ছে এবং গীর্জায় হামলা করছে।’
তিনি বলেছিলেন, জনতা ঘরের জিনিসপত্র এবং আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে এবং তার কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। সে তার পরিবারের সঙ্গে নিরাপদ এলাকায় অবস্থান করছিলেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শপথ
অন্যান্য খ্রিস্টানরাও অনুরূপ কঠিন পরিস্থিতির বর্ণনা করেছিল এবং বিস্ময় প্রকাশ করেছিল।
আজিম মসিহ তার বাড়ির বাইরে বসে বসে কাঁদছিলেন। যেটি তার রাস্তায় পুড়ে ফেলা কয়েকটি ভবনের মধ্যে একটি ছিল। তিনি বলেন, কিছু দাঙ্গাকারী আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার পর খ্রিস্টানদের গৃহস্থালির জিনিসপত্র নিতে গাড়ি নিয়ে আসে।
তিনি বলেন,‘কেন তারা আমাদের সঙ্গে এটা করল? আমরা কোনো অন্যায় করিনি।’
স্থানীয় পুরোহিত খালিদ মুখতার বলেছেন যে তিনি বিশ্বাস করেন, জরানওয়ালার ১৭টি গির্জার বেশিরভাগেই আক্রমণ করা হয়েছে এবং তার নিজের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত গীর্জা এবং বাড়িগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে মেরামত করা হবে এবং যারা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
সারাদেশে সহিংসতাটির নিন্দা জানানো হয়েছে। দাঙ্গাবাজদের গ্রেপ্তার নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল-উল-হক কাকার।
আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান বলেছেন, জনতা দ্রুত জড়ো হয়ে গীর্জা ও খ্রিস্টানদের বাড়িতে হামলা শুরু করে। দাঙ্গাকারীরা শহরের প্রশাসকের অফিসেও হামলা চালায়, কিন্তু পুলিশ হস্তক্ষেপ করে, ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং মুসলিম আলেম ও মুরব্বিদের সহায়তায় হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিও এবং ফটোতে দেখা যাচ্ছে ক্ষুব্ধ জনতা একটি গির্জার ওপর উঠেছে, ইটের টুকরো দিয়ে ঢিল ছুঁড়ছে এবং আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায় আরও চারটি গির্জায় হামলা করা হয়, আক্রমণকারীরা জানালা ভেঙে আসবাবের টুকরো বাইরে ফেলে এবং আগুন ধরিয়ে দেন।
অন্য একটি ভিডিওতে, একজন ব্যক্তিকে একটি গির্জার ছাদে উঠে হাতুড়ি দিয়ে বার বার আঘাত করে একটি স্টিলের ক্রস সরাতে দেখা যায়, আর তাকে বাহবা দিচ্ছে জড়ো হওয়া লোকজন।
আরও পড়ুন: 'শান্তি ও স্থিতাবস্থা' বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি চীন-ভারতের
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ওই সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে।
পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইনের অধীনে, যে কেউ ইসলাম বা ইসলামিক ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের অবমাননার জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। যদিও কর্তৃপক্ষ এখনও ব্লাসফেমির জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে পারেনি। প্রায়শই শুধুমাত্র একটি অভিযোগ জনতাকে সহিংসতা, বিচারহীনতা এবং হত্যার জন্য উস্কে দিতে পারে।
অধিকার গ্রুপগুলো বলছে, ব্লাসফেমির অভিযোগগুলো ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানো এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল পাকিস্তানকে পূর্ণ তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার ওয়াশিংটনে তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রত্যেকের জন্য ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতার অধিকারকে সমর্থন করি।’
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার অভিযোগে পাকিস্তানে খ্রিস্টানদের গির্জায় হামলা
১ বছর আগে
বাংলাদেশে চলছে বড়দিন উদযাপন
খ্রিস্টান সম্প্রদায় রবিবার সকালে উৎসব ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দেশেও বড়দিন উদযাপন করছে।
খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন প্রতি বছর ২৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বে যীশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করে উদযাপিত হয়।
আরও পড়ুন: বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাস্তা কিংবা ফ্লাইওভারে কোনো কনসার্ট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এটি এমন একটি সময় যখন পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়রা বাড়িতে সজ্জিত রঙিন আলো ও ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে দিনটি উদযাপন করতে একত্রিত হয়।
গির্জাগুলোতে প্রার্থনার আগে ও পরে বড়দিনের বিশেষ স্তুতি গান গাওয়া হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বড়দিন উদযাপনের সময় জরুরি ও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্যান্য সংস্থার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব ইতোমধ্যেই সারা দেশে মোতায়েন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘বড়দিন খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সবার জন্য অফুরন্ত আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনুক। সকলের জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।’
প্রধানমন্ত্রী এই উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং একটি সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
এ উপলক্ষে আজ (রবিবার) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এক অভ্যর্থনার আয়োজন করবেন।
বাংলাদেশের আর্চবিশপ, রাষ্ট্রদূত, বিদেশি মিশনের প্রতিনিধি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অতিথিদের সঙ্গে এক চা পার্টিতে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
আরও পড়ুন: বড়দিনকে কেন্দ্র করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: আইজিপি
রবিবার শুভ বড়দিন
১ বছর আগে
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) শুভ বড়দিন। পাহাড়ের খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে বড়দিন উদযাপনে এখন উৎসবের আমেজ। পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটির খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চলছে নানা আয়োজন। বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোকে ফুল দিয়ে আকর্ষণীয় নানা রঙে সাজানো হয়েছে। গির্জায় গির্জায় করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
রাঙামাটি জেলাসহ প্রত্যন্ত এলাকায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গ্রামগুলো লাল, নীল বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। এছাড়া ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, যিশুর জন্মের সে গোশালাও তৈরি করা হয়েছে।
গির্জাগুলোও সাজানো হয়েছে নানান সাজে। আর ঘরের ওপরে টাঙানো হয়েছে রঙিন কাগজে বানানো তারা চিহ্নিত আলোক সজ্জা। বসতবাড়ির আঙ্গিনায়ও দেখা গেছে নানা রঙের কারুকাজ।
এছাড়া শহরের তবলছড়ি বন্ধু যীশু টিলা গির্জায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এ উৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালিরাও। আর বড়দিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে রাঙ্গামাটিসহ প্রত্যন্ত এলাকায় উৎসবের সূচনা করবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
গত দুই বছর করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন পালন করলেও এ বছর করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। শিশুরা মেতে উঠেছে বড়দিনের আনন্দে।
আরও পড়ুন: রবিবার শুভ বড়দিন
রাঙামাটি শহরে সাতটি খ্রিস্টান পল্লী রয়েছে। এরমধ্যে আসামবস্তি, নতুনবস্তি, বন্ধু যীশুটিলা ও রির্জাভমুখসহ অন্যান্য গ্রামের মানুষ গির্জায় প্রার্থনা করে নানা আয়োজনে প্রভু যীশুর জন্মদিনের উৎসব পালনে ব্যস্ততার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ের খ্রিস্টান পল্লী গুলোতেও চলছে উৎসবের আমেজ। রাঙামাটিসহ কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা, বাঘাইছড়ি সাজেক ইউনিয়ন ও বিলাইছড়ির পাংখোয়া পাড়ায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী পাংখোয়া ও খিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ বড় দিন উদযাপন করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আবার কেউ কেউ এলাকায় আয়োজন করেছে প্রীতিভোজের।
অন্যদিকে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উপলক্ষে রাঙামাটি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
খ্রিস্টান পল্লীগুলোর আশে-পাশে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রাঙামাটি ক্যাথলিক চার্চপাল পুরোহিত ফাদার মাইকেল রয় জানান, ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ রূপে যীশু এসেছিলেন মানবতার কল্যাণে মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে। পাহাড়ে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে প্রভু যীশুর জন্মদিন। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় জেলা শহরসহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন গির্জায় বড়দিন উদযাপিত হবে। এ উৎসবের মধ্যে মিশে যাবে সকল হিংসা, সংঘাত। সৃষ্টি হবে সম্প্রীতি মেলবন্ধন।
দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের শান্ত পরিস্থিতি ও করোনার পরিস্থিতিতে সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা করছে সকলে।’
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের ১শ গীর্জায় কঠোর নিরাপত্তা
গাজীপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বড়দিন উদযাপিত
১ বছর আগে
সীমিত পরিসরে বড়দিন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনের নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
করোনা মহামারির কারণে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন (২৫ ডিসেম্বর) ও খ্রিস্টীয় বর্ষের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট নানা দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানকে এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী সকল ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ অত্যন্ত সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরোয়াভাবে পালিত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে মুসলমান, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান অত্যন্ত সীমিত করে পালিত হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন ও খ্রিস্টীয় বর্ষের শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে “থার্টি ফার্স্ট নাইট” উপলক্ষে প্রকাশ্যে কোনো সভা, সমাবেশ এবং ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন না করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করা যৌক্তিক হবে।’
স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় স্থানীয়ভাবে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা ও আলোচনা করার পরামর্শ দেয়া হয়।
১৪ ডিসেম্বর জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভাগীয় কমিশনার, মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও মহাসচিবকে এ চিঠি দেয়া হয়।
এছাড়া বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারি অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড়দিন: রাঙামাটির খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
চট্টগ্রামে বড়দিন ঘিরে নানা আয়োজন, নিরাপত্তা জোরদার
২ বছর আগে
দেশব্যাপী বড়দিন পালিত
ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ও বুধবার উপযাপন করেছে শুভ বড়দিন।
৪ বছর আগে
শুভ বড়দিন বুধবার
যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ বুধবার শুভ বড়দিন উপযাপন করবে।
৪ বছর আগে