লাঠিচার্জ
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ-গুলি
সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের একদফা দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিএনপির মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে শহরের রথখলা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জসহ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।
এছাড়া এ ঘটনায় সাংবাদিক ও পুলিশসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তারা, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা পদযাত্রা করে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠ থেকে রথখলা এলাকা পার হওয়ার সময় পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়।
এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে নেতাকর্মীরা। পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
১ বছর আগে
খুলনায় বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ: আহত ৩০, আটক ১০
খুলনা মহানগরীর প্রেসক্লাবের সামনে দলটির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার বিকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন দাবি করেছেন, পুলিশের হামলায় তাদের দলের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তাদের নেতা মুজিবুর রহমান ও জাহিদুল রহমানসহ দলের বেশ কয়েকজন সদস্যও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, আহতদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা।
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, কোনো উস্কানি ছাড়াই সমাবেশে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়, লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকালে প্রেসক্লাবের সামনে সরকারের পদত্যাগ, ভুয়া মামলা বন্ধ, গণগ্রেপ্তার এবং সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবি জানাতে একটি সমাবেশের নির্ধারিত সময় ছিল।
জেলা ও নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা দুপুর থেকেই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ সমাবেশস্থলের দিকে অগ্রসর হওয়া মিছিলে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের দলের প্রায় ২০-২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ২৫-৩০ নেতাকর্মী প্রেস ক্লাবের মধ্যে আটকা পড়েছেন। প্রেসক্লাবের বাইরে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, অনুমতি ছাড়াই সমাবেশের চেষ্টা করছিল বিএনপি। তারাই পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (সাউথ) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, খুলনা প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রোগ্রাম, অথচ কিছু নেতাকর্মী রাস্তা বন্ধ করে প্রোগ্রাম শুরু করে। কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আমরা বাধ্য হয়ে টিয়ারসেল এবং গ্যাসগান নিক্ষেপ করি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ১০ জনকে আটক করেছি। আমাদের বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছেন।
ওসি আরও বলেন, কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
১ বছর আগে
বরগুনায় ছাত্রলীগের ওপর লাঠিচার্জ: ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ
বরগুনায় ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি। রবিবার বরিশালের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আক্তারুজ্জামান জানান, ১৫ আগস্ট বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশের যে ঘটনা সেটি তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি রবিবার সন্ধ্যায় তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে জনগণের সঙ্গে ব্যবহারে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীসহ একজন ইন্সপেক্টর, দুজন সাব ইন্সপেক্টরসহ ওই স্থানে কর্তব্যরত ১৩ জন পুলিশ সদস্যের আচরণগত ত্রুটির প্রমাণ মিলেছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরিশাল রেঞ্জ অফিস থেকে ইতোমধ্যে ঢাকায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা কার্যকর করতে বরগুনা পুলিশ সুপারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:বরগুনায় ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী প্রত্যাহার
তিনি আরও জানান, এর আগে মহরম আলীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে যুক্ত করা হয়। এছাড়া বরগুনার ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কী কী হয়েছে, তার সব কিছুই তদন্ত করা হবে।
গত ১৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে ফুল দিতে যান বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা ও সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের সদস্যরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়। এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
আরও পড়ুন:শিক্ষক লাঞ্ছিত: নড়াইল থানার ওসি প্রত্যাহার
সাংবাদিক হেনস্তা: চট্টগ্রামে হাইওয়ে পুলিশের এএসআইসহ ৫ পুলিশ প্রত্যাহার
২ বছর আগে
গাজীপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
গাজীপুরের কোনাবাড়িতে একটি পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কারখানার শ্রমিকেরা। বুধবার কোনাবাড়ী এলাকার এনটিকেসি নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কারখানার সামনে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও শিল্প পুলিশ সদস্যরা এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করলে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। কারখানা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকেরা জানায়, এপ্রিল মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস না দিয়ে ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ ঈদের আগে কারখানা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর কারখানাটি আর উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেনি। প্রায় প্রতিদিনই শ্রমিকরা কারখানার প্রধান ফটকে এসে ফিরে যায়। সকালে শ্রমিকরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কারখানা গেটে অবস্থান নেয়। পরে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পুলিশ সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে নিতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শ্রমিকরা কারখানার ভিতরে গিয়ে বেতন ও বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
কারখানার জিএম বুলবুল আহমেদ জানান, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে আগামী মাসের ৫ তারিখে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও বোনাস দেয়া হবে।
২ বছর আগে
কাওয়ালি সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ২
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে পিপলস অ্যাকটিভিস্ট কোয়ালিশনের (প্যাক) প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জে দু’জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে বুধবার কাওয়ালি মাহফিলে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে সংগঠনটি।
রাতুল মাহমুদ নামে প্যাকের একজন সংগঠক বলেন, প্রতিবাদ সমাবেশের ব্যানার খোলা মাত্র তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
পুলিশের হামলায় প্যাকের সংগঠক শিমুল চৌধুরী ও সজীব তুষার আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার বলেন, ‘করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে সম্প্রতি সরকার ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমাবেশ ও কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তাই তারা সমাবেশের চেষ্টা করলে আমরা বাধা দিই এবং তারা চলে যায়।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে বিবাহিত ছাত্রীদের হলের সিট বাতিলের বিধান বাতিলে লিগ্যাল নোটিশ
২ বছর আগে
খুলনায় বিএনপি’র সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, কেন্দ্রীয় নেতাসহ আহত অর্ধশতাধিক, আটক ৪
খুলনায় বিএনপি’র সমাবেশে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও পাঁচজন ফটো সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
সোমবার বেলা পৌনে ১২ টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলাকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে, পুলিশ চারজনকে আটকের কথা জানালেও বিএনপি নেতাদের দাবি,অন্তত ২৫জনকে আটক করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চল বলেন, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চলছিল। এসময় নেতার্মীদের ওপর পুলিশ চড়াও হয় এবং লাঠি চার্জ করে। দু’দফায় পুলিশ হামলা চালায়। এতে নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের আটক করেছে।
এদিকে, পুলিশের লাঠিচার্জের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে স্থানীয় দৈনিক জন্মভূমি ও ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক দেবব্রত রায়, সময় টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন আব্দুল হালিম, যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন আমির সোহেল, প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেন ও এসএ টিভির ক্যামেরা পার্সন মোহাম্মদ ইব্রাহিম আহত হয়েছেন। তাদের জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে আহত ১৫
নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে মারমুখী আচরণ শুরু করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার বলেছেন বিএনপি তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য্ যে কোনো আন্দোলন করতে পারে। সেখানে পুলিশ কোন আক্রমণ করতে পারবে না। অনুমতি দেওয়া সত্ত্বেও পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে।
তিনি বলেন, নেত্রীর মুক্তির জন্য মানবিক কর্মসূচীর আয়োজন করে নগর ও জেলা বিএনপি। সকাল থেকে প্রশাসন কার্যালয় ঘিরে রাখে। পুলিশকে তিনি সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পুলিশ তা না করে সাধারণ নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। জনতার রোষানলে পড়ে পুলিশ পিছু হাটতে বাধ্য হয়। পরে আবার তারা সমাবেশ শুরু করে। পরে সোয়া ১২ টার দিকে আবারও হামলা চালায়। নেতাকর্মীদের সরে যাওয়ার জন্য গুলি করার হুমকি দেয়। আমাকেও গুলি করার হুমকি দেয়। তৃতীয় দফায় এসে তারা আমাকেসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত ও ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ এ সময় টিয়ার সেল ছোঁড়ে। বিএনপি নেতাকর্মীদের টানা হেচড়া করে। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মীর কায়সেদ আলী, তিনি নিজে, সিরাজুল হক নান্নু ৫জন সাংবাদিকসহ অর্ধশত আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, পুলিশ ২৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, ৬ রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিএনপির ৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ২০
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: বুধবার ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি
২ বছর আগে
ই-অরেঞ্জের গ্রাহকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
টাকা ফেরত ও ই-অরেঞ্জের মূলহোতা সোহেলকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে মৎস্য ভবনের সামনে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে মৎস্য ভবনের দিকে যাওয়ার পথে ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা সড়ক অবরোধ করলে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়াসহ ৩ জন কারাগারে
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় নেয়া হয়েছে। এমনিতেই আজ বৃহস্পতিবার, সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি ছিল। এরমধ্যে ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি।
এর আগে তারা বেলা ১২ টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে। এরপর কর্মসুচি শেষ করে মৎস ভবনের দিকে যায়। মানববন্ধনে ই-অরেঞ্জের মালিক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ পরিদর্শক সোহেলের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ভুক্তভোগীদের অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন: ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে: ডিএমপি
গ্রাহকদের দাবি, ই-অরেঞ্জ যেহেতু অরেঞ্জ বাংলাদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠান, তাই ভুক্তভোগীদের সব দায় মূল প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে। ই-অরেঞ্জ সংক্রান্ত সব মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির দাবিও করেন তারা। একইসঙ্গে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান না আসা পর্যন্ত সব আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করার আহ্বান জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
৩ বছর আগে
সাভারে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
বকেয়া বেতনের দাবিতে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
৪ বছর আগে