তেঁতুলিয়া
মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ সংকট, বিপাকে জেলেরা
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না।
জেলেরা হতাশ হয়ে ফিরছেন নদী থেকে। তাদের অধিকাংশই ঋণ পরিশোধ নিয়ে উদ্বিগ্ন।
জেলেরা জানান, ইলিশের আশায় তারা নদীতে গেলেও তাদের খরচের টাকা উঠছে না। উপরন্তু বাড়ছে এনজিও ও মহাজনের ঋণের বোঝা। এছাড়া এ পেশা ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করছে: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, নদীর পানি আরেকটু বাড়লে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাবে।
স্থানীয়রা জানান, ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী থেকে দেশের প্রায় ৩০ শতাংশ ইলিশ আহরণ করা হলেও এবার ভরা বর্ষায় জেলেদের জালে পর্যাপ্ত ইলিশ নেই। যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে তা দিয়ে ট্রলারের ইঞ্জিনের তেলের দামসহ অন্যন্য খরচও উঠে না।
ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা ও তুলাতুলি মাছঘাটে গিয়ে দেখা যায়, আড়তদারদের মাছের বাক্সগুলো খাঁ খাঁ করছে। জেলার প্রায় অর্ধশতাধিক ছোট বড় ঘাটের এখন এমন অবস্থা। জেলেদের পাশপাশি আড়তদাররাও রয়েছেন বিপাকে।
মাছের আড়তদাররা জানান, জেলেসহ তারাও বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন। নদীতে ইলিশের সংকট থাকায় তারাও দেনায় জড়িয়ে পড়ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের দাম
৫ মাস আগে
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ও কক্সবাজারের টেকনাফে।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে অধিদপ্তর বলেছে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি
এছাড়া, ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত বুলেটিনে আরও বলা হয়- কুমিল্লা, সীতাকুণ্ড ও মৌলভীবাজার জেলাসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।
অন্যদিকে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে এবং সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
১০ মাস আগে
তেঁতুলিয়ায় আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.২ ডিগ্রি
আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
অন্যদিকে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে।
এছাড়া, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী-অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: চলমান ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর'
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়- কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তাছাড়া, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঘের শীতে কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস
১০ মাস আগে
নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
অধিদপ্তরের রবিবারের (১৭ ডিসেম্বর) বুলেটিনে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এ সময় সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, আজ (রবিবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়।
আরও পড়ুন: ঘন কুয়াশা আর শীতে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের জনজীবন
দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
১ বছর আগে
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু
পঞ্চগড়ের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের গোয়ালগছ সীমান্তের কাছে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত বাংলাদেশি যুবক আইনুল হক বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমগছ এলাকার আকবর আলির ছেলে।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
নিহতের পরিবার জানায়, মঙ্গলবার রাতে সীমান্তের ৪৪৮ নম্বর মেইন পিলার এলাকায় রাত আড়াইটার দিকে কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান সীমান্তের লোকজন। পরে বুধবার সকালে গোয়ালগছ সীমান্তে আইনুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
স্থানীয়দের দাবি, বাংলাবান্ধা গোয়ালগছ সীমান্তের বিপরীতে ভারতের ফাঁসি দেওয়া ফাঁড়ির বিএসএফ সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়িনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল যুবায়েদ হাসান মোবাইল ফোনে জানান, গোয়ালগছ সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে সীমান্তে হত্যার ঘটনাটি ঘটে।
তিনি আরও জানান, কে মেরেছে, কীভাবে মারা গেছে, এর কোনো কিছুই এখনো নিশ্চিত না। আমরা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে বিএসএফকে চিঠি দিয়েছি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
১ বছর আগে
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে আহত পাথর শ্রমিকের মৃত্যু
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় করতোয়া নদীতে পাথর তোলার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক পাথর উত্তোলন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন এমনটিই অভিযোগ পাওয়া যায়। রবিবার দুপুরে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বগুলাহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর ওই শ্রমিক রবিবার রাতে মারা গেছেন।
নিহত পলাশ হোসেন (৩৫) তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের বগুলাহাগি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
১৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুবায়েদ হাসান জানান, দুপুরে পলাশসহ আরও কয়েকজন বাংলাদেশি করোতোয়া নদী থেকে পাথর সংগ্রহ করছিলেন।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
এক পর্যায়ে গিংরিচ ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পলাশ আহত হয়।
পরে তাকে পঞ্চগড় আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তবে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজিবি সদস্যরা বিএসএফকে চিঠি দিয়েছে বলে জানান গেছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএসএফের গুলিতে কিশোর আহত
১ বছর আগে
তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নদীতে পাথর তোলার সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক পাথরশ্রমিক গুরুতর আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা বগুলাহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পলাশ হোসেন (৩৫) তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের বগুলাহাগি গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএসএফের গুলিতে কিশোর আহত
এদিকে ঘটনার পরপরই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষে বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজিবি ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে বগুলাহাগি এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের করতোয়া নদীতে স্থানীয় কয়েকজন পাথর শ্রমিকের সঙ্গে নুড়ি পাথর সংগ্রহ করছিলেন পলাশ। এ সময় ভারতের গীনগছ ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের টহল টিম নদীর পাড়ে থাকা চা বাগান থেকে পাথর শ্রমিকদের উদ্দেশে গুলি ছোঁড়েন। এতে একটি গুলি পলাশের পেটের বাঁ পাশে লাগলে নদীর পানিতে পড়ে যায় সে। এসময় বাকি পাথর শ্রমিকেরা ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে কয়েকজন শ্রমিক ঘুরে এসে তাকে উদ্ধার করে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিবুল হাসান বলেন, আহত পাথর শ্রমিকের পেটের বাঁ পাশে একটি ক্ষত পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে তার পেটে গুলি লেগেছে।
তিনি আরও বলেন, ভূড়ির কিছু অংশ সেই ক্ষত দিয়ে বের হয়ে এসেছে। তার শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংমেক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, সীমান্তে আমরা সর্বদা সতর্ক অবস্থানে থাকি। অনবরত আমাদের টহল থাকে। তবে ঘটনাস্থল বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের করতোয়া নদীতে।
তিনি আরও বলেন, যার একাংশ বাংলাদেশে, অপর অংশ ভারতে। তবে ঘটনার পরপরই আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, আহত ১
হিলি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক নিহত: ৪দিন পর আজ লাশ হস্তান্তর
১ বছর আগে
তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে শনিবার সকাল ৯টায় পূর্বের ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এই তথ্য জানানো হয়। যেখানে বলা হয়, সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাস ঢাকার
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নওগাঁ ও মৌলভীবাজারসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু এলাকা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
এদিকে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। যা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বুধবার সকালে ঢাকা আবারও শীর্ষে
১ বছর আগে
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা আরও কমেছে
শীতপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে এক অঙ্কে নেমে এসেছে তাপমাত্রা। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে তেঁতুলিয়ায়। গত তিনদিন ধরে এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। তাপমাত্রা নিচে নেমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, কুয়াশা কম হওয়ায় উত্তরের হিমেল হাওয়া জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত হিমেল বাতাসে কনকনে ঠাণ্ডায় দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ।
আরও পড়ুন: মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে ৩ জেলায়
ভোর থেকে সূর্য উঠা পর্যন্ত কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকায় দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক ও চাকুরিজীবীরা যাতায়াত করতে পারছে না। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে ঘনকুয়াশা বেশি দেখা যাচ্ছে। হাত পা মুখ শরীরে মোটা কাপড় পড়ে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করছেন অনেকে। শহর বন্দর গ্রাম সর্বত্র খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে মানুষ। দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
ফিরোজ আলম নামে এক কর্মচারী জানান, সময়মতো অফিসে না আসলেও হয় না। ফলে সকাল সকাল বাসা থেকে বের হতে হয়। ঘনকুয়াশার কারণে সকালে বাসা থেকে অফিসে আসতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
আসাদুল হক নামে এক ট্রাক চালক বলেন, ঘনকুয়াশায় গাড়ি চালাতে অনেক কষ্ট। ঘনকুয়াশায় দশ হাত দূরের কিছুই দেখা যায় না। সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। ফলে সময়ও বেশি লাগছে।
সাথী আক্তার নামে এক গৃহিণী জানান, সকালে পানি নাড়তে পারিনা। পানিটা মনে হয় বরফ হয়ে থাকে। ঠাণ্ডা পানি লাগলে গা শিউরে উঠে।
জেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ব্রম্মতল মোমিনপাড়া এলাকার বাসিন্দা জহির আলী জানান, আমরা সীমান্তের মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপদে আছি। শহরেও যাওয়া হয় না। আমাদের এদিকে কেউ কম্বলও দিতে আসে না। আমরা বরাবরেই বঞ্চিত থাকি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, বর্তমান যে আবহাওয়া এই আবহাওয়ায় সকল ফসলেরই উপকার হচ্ছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশা থাকছে। তারপর সূর্যের আলো থাকায় কোনো ফসলেরই ক্ষতি হচ্ছে না। সূর্যের আলো পাওয়ায় ফসলের উৎপাদনও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে কম্বল ও সোয়েটার রয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে যে সব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে সেগুলোও আমরা সমন্বয় করছি।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান এখনও 'খুবই অস্বাস্থ্যকর'
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ: পঞ্চগড়ে টানা ৩দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
১ বছর আগে
পঞ্চগড়ে মাটি চাপা পড়ে পাথর শ্রমিকের মৃত্যু
পঞ্চগড়ে পাথর উত্তোলন করতে গিয়ে মাটিচাপায় ৩২ বছর বয়সী এক পাথর শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার ময়নাগুড়ি এলাকায় করতোয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
নিহত ফারুক হোসেন ময়নাগুড়ি গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে জুতার কারখানায় আগুনে পুড়ে নারী শ্রমিকের মৃত্যু
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, ফারুকসহ আট জনের একটি দল করতোয়া নদীতে পাথর উত্তোলন করতে যায়। নদীর কিনারায় ডুব দিয়ে পাথর তোলার সময় মাটি চাপা পড়ে ডুবে যায়। ফারুক উপরে না উঠায় তার সহকর্মীরা তাকে খুঁজতে শুরু করে। তারা নদীর পানিতে ডুবন্ত ফারুকের লাশ অবস্থায় উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
ওসি জানান, এলাকাবাসী বিষয়টি তেঁতুলিয়া মডেল থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
২ বছর আগে