শেবাচিম হাসপাতাল
শেবাচিম হাসপাতালের ৩ কর্মীর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ
বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে রোস্টার বাণিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগে ওয়ার্ড মাস্টারসহ তিনজনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন হাসপাতালের অন্যান্য কর্মচারী।
অভিযুক্তরা হলেন-ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহায়ক রুহুল আমিন লিখন, তরিকুল ইসলাম সোহাগ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে হাসপাতালের প্রবেশদ্বারের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পরে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বরাবর লিখিত আবেদন দিয়ে অভিযুক্তদের অপসারণ দাবি করেন।
আরও পড়ুন: হেযবুত তওহীদের ওপর হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন
এ সময় হাসপাতালটির পরিচালকের দায়িত্বে থাকা উপপরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হচ্ছে। তারা তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তৃতা দেন, রাব্বি আল মামুন, মাহমুদুল হাসান, নূরনবী প্রমুখ।
হাসপাতালের বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা বলেন, ‘ওয়ার্ড মাস্টার রোস্টার বাণিজ্যের মাধ্যমে হাসপাতালের কর্মচারীদের কাছ থেকে মাসিক চাঁদা নিয়ে থাকে। তাছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসায় অভিযুক্তরা বাধা দিয়েছে। তাই তাদের অপসারণ জরুরি। তবে অভিযুক্তরা এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
২ সপ্তাহ আগে
ইন্টার্নদের আন্দোলনে পদ ছাড়লেন শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক
ইন্টার্ন চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় নিজ কার্যালয়ে এই ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে একটি পদত্যাগপত্রেও সই করতে দেখা গেছে তাকে। এর আগে পরিচালকের পদত্যাগ চেয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে যুক্ত হন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নানা কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। তিনি ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে শান্তি সমাবেশ করেছেন।
আরও পড়ুন: একদিন পর শেবাচিম হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা চালু
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। সর্বশেষ এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক লাঞ্ছিতের ঘটনায় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি পরিচালক।
এছাড়াও এই পক্ষপাতমূলক আচরণ নিয়ে তার এখানে দায়িত্ব পালনের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন শিক্ষার্থীরা। এজন্য পরিচালকের পদত্যাগের দাবি নিয়ে তার কার্যালয়ে গেলে তিনি পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
ডা. এইসএম সাইফুল ইসলাম জানান, বরিশালের সন্তান আমি। বরিশালের প্রতি, এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমার আবেগ আছে, ভালোবাসা আছে। তবে এখন থেকে পরিচালকের পদে আমি আর থাকব না।
আরও পড়ুন: বরিশাল শেবাচিম উপাধ্যক্ষসহ ১২ চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
১ মাস আগে
বরিশালে শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক আটক
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার শিশু মেডিসিন ওয়ার্ডের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক রাকিবুল ইসলামের বাড়ি ঝালকাঠি পৌর এলাকায়।
আরও পড়ুন: ‘অফিস সহায়ক’ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ২
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান জানান, সকাল থেকে হাসপাতালের শিশু মেডিসিন ওয়ার্ডের সামনে এ্যাপ্রন পরা অবস্থায় ও গলায় স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে ঘুরছিল রাকিব। তখন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরিচয় জানতে চায়। রাকিব নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দেয়। তাকে ওয়ার্ডের চিকিৎসকদের কক্ষে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে যে ভুয়া চিকিৎসক তা স্বীকার করে। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তার অন্য কোনো মতলব ছিল কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে ঢাকায় আটক ৪
২ বছর আগে
সংকটের মধ্যেই শেবাচিম হাসপাতালের ৮ চিকিৎসককে বদলি
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকের তীব্র সংকট চলছে। এর মধ্যেই হাসপাতালটির আটজন চিকিৎসককে একযোগে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব এ এফ এম এহতেশামুল হক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেয়া হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
বদলি করা চিকিৎসকরা হলেন- অর্থ-সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত, গাইনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. তানিয়া আফরোজ, অর্থপেডিক্স বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সুদীপ্ত কুমার হালদার, ইএনটি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আলী আহমেদক, ইএনটির জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, ইএনটি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, সার্জারি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. জয় জাখারিয়া রব ও ডা. মো. সুপিয়ার রহমান।
আরও পড়ুন: শেবাচিম হাসপাতালের সিসিইউতে আগুন, আতঙ্কে রোগীর মৃত্যু
এদিকে একযোগে আট চিকিৎসকের বদলির ফলে শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে তীব্র চিকিৎসক সংকট চলছে। তার মধ্যে একযোগে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বদলিতে নতুন সংকটে পড়তে হবে। কেননা দক্ষিণাঞ্চলের সব উপজেলার রোগীই এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আমাদের হাসপাতালে সংকটের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সাঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: এইচএসসিতে সর্বোচ্চ পাশের হার বরিশালে
২ বছর আগে
দুর্নীতি: শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত লঙ্ঘন করে নিজ জেলার প্রার্থীদের ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগে হাসপাতালের পরিচালকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
৩ বছর আগে