ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৪০ নোবেল বিজয়ীর সাথে সাক্ষাতের সুযোগ পেলেন চৌদ্দগ্রামের মেয়ে আফরিনা
বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে ডিএনসিসি মেয়র ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় ও ট্রেডলাইসেন্স প্রদান, সবার ঢাকা অ্যাপে সেবা প্রদানসহ অন্যান্য সেবা সম্পর্কে জানান।
এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন সেবা দিচ্ছি। এ মুহূর্তে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছি। বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া সৌদি আরব বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। ফলে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা ও রিয়াদের মধ্যে উত্তম কার্যক্রম ও মডেলের জ্ঞান ও ধারণা বিনিময়ের লক্ষ্যে দুই শহরের মধ্যে সিস্টার সিটি গড়ে তোলা যেতে পারে। এছাড়া দুই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে রিয়াদের একটি সড়কে বঙ্গবন্ধুর নামে ও ঢাকায় একটি শহর সৌদির বাদশাহর নামে নামকরণ করা যেতে পারে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান ঢাকা শহরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, কোভিড, যুদ্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা সমস্যা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ ধারাবাহিক অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশ বিনির্মাণে সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। সৌদি আরব সবসময় বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। ঢাকা ও রিয়াদের মধ্যে সিস্টার সিটি গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নগর ভবনে বৈঠকের শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র এবং সৌদি রাষ্ট্রদূত একে অপরকে সম্মাননা স্মারক ও উপহারসামগ্রী তুলে দেন।
এসময় ডিএনসিসির মাসুদ সচিব মোহাম্মদ আলম ছিদ্দিক এবং প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জর্ডানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আসাদুজ্জামান খাঁনের সৌজন্য সাক্ষাত
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সাক্ষাত
মশার জাত বুঝে কীটনাশক প্রয়োগ বাড়াতে চায় ডিএনসিসি: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এতো দিন ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। তাতে মশা তো ধ্বংস হয়নি বরং অর্থের অপচয় হয়েছে। তাই অতিদ্রুত ডিএনসিসি মশার প্রজাতি চিহ্নিত করতে একটি ল্যাব স্থাপন করতে চাই।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলাপ করে তাদের ল্যাবেই মশার জীবন প্রকৃতি নির্ণয়ে কাজ করা যেতে পারে। আর ফগিংয়ে অর্থ অপচয় না করে লার্বিসাইডিংয়ে মনোযোগী হতে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের আয়োজনে দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ল’ ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএলডিপি) আমন্ত্রণ ও অর্থায়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি দল ফ্লোরিডা সফর করে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বন্ধ করে সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান মেয়র আতিকের
সফরকালে মশক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দেশটির অভিজ্ঞতা হাতে কলমে শিখিয়ে দেন মিয়ামি ডেড কাউন্টির বিশেষজ্ঞরা। আর মশা নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের এই সফল কার্যক্রম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র।
তিনি বলেন, মিয়ামি থেকে যে জ্ঞান অর্জিত হয়েছে সেটির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ডিএনসিসিকে মশক মুক্ত রাখতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে তাদের সিডিসির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আমাদের দেশের কীটত্ত্ববিদদের নিয়ে একটি সভার আয়োজন করবো। তারা আসলে কিভাবে সফল সেটি কিভাবে ঢাকাতে প্রয়োগ করা যায় তার কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, আমরা দেখেছি মিয়ামি আর ঢাকার আবহাওয়া এবং মশার ধরণ একই। তাই তারা সফল হলে অবশ্যই আমরা সফল হবো। এখন আর পিছিয়ে থাকার সময় নেই। উন্নত দেশ তাদের পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারলে ঢাকাকেও মশামুক্ত করা সম্ভব। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিএলডিপি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকালে ফিল্ড ভিজিট ও কর্মশালায় তথ্য উপাত্ত তুলে ধরার মাধ্যমে ডিএনসিসি প্রতিনিধি দলকে হাতে কলমে শিখিয়ে দিয়েছে মিয়ামি ডেড কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
কর্মশালায় তুলে ধরা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের মিয়ামি শহরে প্রায় ৫২ প্রজাতির মশার অস্তিত্ব রয়েছে। ফলে বছরের ৩৬৫ দিনই মশাবাহিত রোগ যেমন- ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায় শহরটিতে।
রাজধানীর ঢাকার আবহাওয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেটের মিয়ামি ডেড কাউন্টির বেশ সাদৃশ্য রয়েছে। সেখানকার তাপমাত্রা গড়ে ১৫ থেকে ৩৫ ডিগ্রীতে উঠানামা করে। মাঝে মাঝে ভারি বৃষ্টিপাতও হয়ে থাকে। ফলে এডিসবাহিত ডেঙ্গুসহ সব ধরণের মশাবাহিত রোগের উর্বর ক্ষেত্র হতে পারত মিয়ামি। কিন্তু সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে মশাবাহিত রোগ পুরোটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে মিয়ামি ডেড কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।
মিয়ামিতে মশা ধ্বংস করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে মশার প্রজাতি নির্ণয়। কেননা মশার ধরন বুঝে ওষুধ স্প্রে করতে পারলেই কেবল মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব।
অন্যথায় প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ফগার স্প্রে করে কোনভাবেই মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মিয়ামি ডেড কাউন্টি কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামি শহরের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ডিএনসিসিতে কাজে লাগাতে চান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
মিয়ামি ডেড কাউন্টি যেভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করে-
প্রথমত তারা মশার প্রজনন স্থল খুঁজে বের করতে একটি টিমকে দায়িত্ব দিয়ে থাকে। তারা খুঁজে খুঁজে মশার প্রজনন স্থল থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা ও মশার ডিম সংগ্রহ করে তাদের ল্যাবে পাঠিয়ে দেয়। ল্যাবে থাকা বিশেষজ্ঞরা সেই মশা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রজাতি পৃথক করে দেন।দেখা যায় এক জায়গায় কিউলেক্স বেশি তো আর এক জায়গা এডিস মশা বেশি। আবার অন্য জায়গায় পাওয়া যায় ইজিপ্ট মশা। এভাবে মশার প্রজাতিত নির্ণয় করা থাকে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র আতিককে কিরগিজিস্তানের সম্মাননা
মিয়ামির ডেড কাউন্টি কর্তৃপক্ষের দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫২ প্রজাতির মশা রয়েছে। প্রজাতি চিহ্নিত করতে পারলেই মশা নিয়ন্ত্রণের প্রথম ধাপ শেষ হয়। মশার ধরণ বুঝে পরিমিত ওষুধ স্প্রে করার মাধ্যমে স্ব স্ব প্রজাতির মশা ধ্বংস করা হয়। তারা ফগিংকে গুরুত্ব না দিয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন লার্বিসাইডিংকে। তাদের মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মোট বাজেটের ৮০ ভাগই খরচ হয় লারবিসাইডিং কার্যক্রমে। তাদের দাবি ফগিং পুরনো পদ্ধতি। এটি দিয়ে মশা কখনও মরে না। তাই মশা নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হয় না। যেকারণে তারা মশার প্রজনন স্থান চিহ্নিত করে সেখানে লার্বিসাইডিং কার্যক্রম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। আর কীটনাশকেও পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়েছেন।
দেশে সাধারণত টেমিফস্ট ও নোভারিয়ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন এই ওষুধ ব্যবহার করার ফলে সেখানে ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা
যুক্তরাষ্ট্রে বেশি ব্যবহৃত হয় বিআইটি। মিয়ামিতে যে ল্যাব রয়েছে সেটি খুব বড় কোন জায়গা নিয়ে নয়। মাত্র ৫০ বর্গফুটের দুটি রুমে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি দিয়ে মশার জীবন চক্র নির্ণয় করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
কীটনাশক ব্যবহারে তারা মানুষের ব্যবহার কমিয়ে যন্ত্রের উপর নির্ভরশীলতা দেখিয়েছেন। এখানেও রয়েছে ভিন্নতা। তাদের দাবি মানুষের মাধ্যমে কীটনাশক মিশ্রণ ঘটালে কমবেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যন্ত্রের মাধ্যমে সঠিক পরিমাণের কীটনাশক মিশিয়ে একটি গাড়ির মাধ্যমে খোলা জায়গায় স্প্রে করে থাকে। গাড়িটির স্প্রে যন্ত্র ১০০ ফুট ওপরে ও ডানে বামে ঘুরিয়ে স্প্রে করার সক্ষমতা রাখে। এতে কীটনাশকের পরিমিত ড্রফলেটটি মশার প্রজনন ক্ষেত্রে পড়ে। মজার বিষয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মশক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের কর্তৃপক্ষের হাতে।
মশক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা ও ফিল্ড পরিদর্শনে সহায়তা করেন দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের অপারেশন ম্যানেজার উসিক উনলু ও পরিচালক ড. উইলিয়াম ডি পেট্রি।
আরও পড়ুন: তৃতীয়বারের মতো করোনায় আক্রান্ত মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মঞ্জুর, ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা ইতি ও মিতু আক্তার, ডিএনসিসির প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. বরকত হায়াত প্রমুখ।
পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকেই দায়িত্ব নিতে হবে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিক বোতল প্রতিনিয়ত পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। বিশেষ করে বেভারেজ কোম্পানিগুলো কোমল পানীয় বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করছে। তারা ব্যবসা করে পরিবেশের দূষণ করবে এটা হতে পারে না। প্লাস্টিক দূষণ রোধ করতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকেই দায়িত্ব নিতে হবে। তবে জনগণকেও যত্রতত্র প্লাস্টিক বোতল ফেলা বন্ধ করতে হবে।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মহাখালী টিএন্ডটি মাঠে প্লাস্টিক দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে পরিত্যক্ত প্রায় অর্ধ কোটি প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তৈরি করা নানা প্রতিকৃতি প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন ‘ সেভ আর্থ সেভ বাংলাদেশ’ শিরোনামে ৯ দিনব্যাপী (৩০ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ৭ জানুয়ারি ২০২৩) এই বোতল প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ড্রেন বা লেক পরিষ্কার করতে গেলে আমরা বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্য পাই। এসব প্লাস্টিকের কারণে ড্রেনগুলো ব্লক হয়ে যায়। ফলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এছাড়াও সুয়ারেজ লাইনে পয়ঃবর্জ্যের লাইন দেয়া হয়েছে। ৪ জানুয়ারি গুলশান, বনানী, নিকেতন ও বাড়িধারা এলাকায় অভিযান চালাবো।’
মেয়র আরও বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা মানুষের প্রয়োজনেই জলজ প্রাণী, কচ্ছপ, মাছ, বৃক্ষ সবই সৃষ্টি করেছেন। এগুলো পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অথচ আমরা নির্দয় হয়ে এগুলো ধ্বংস করছি। যারা ধ্বংস করছে তারা চিন্তা করেন না আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের, তারা চিন্তা করেন না লাল-সবুজের পতাকার। তারা চিন্তা করেন না কষ্টার্জিত এই দেশটার। দেশপ্রেম থাকলে কেউ দেশের ক্ষতি করতে পারে না।'
আরও পড়ুন: মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
মেট্রোরেলে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিজয়ের মাসে আমাদের মেট্রোরেল উপহার দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই পদ্মাসেতু উপহার দিয়েছেন। অনেকে বলছিলো এগুলো সম্ভব হবে না। কিন্তু আজ সম্ভব হয়েছে। তাই কারও কথায় কান দেয়া যাবে না। মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু এগুলো জনগণের সম্পদ। এগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সকলের। দয়া করে মেট্রোরেল পরিষ্কার রাখুন, ট্রেন, বাথরুম, প্লাটফর্ম পরিষ্কার রাখুন। আমরাইতো ব্যবহার করবো। এর সুফলতো আমরাই পাব। আমাদেরই সম্পত্তি। এটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও আমাদের দায়িত্ব।'
বিডি ক্লিনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মেয়র বলেন, 'বিডি ক্লিন শুধু নামে না, কথায় না, কাজের মাধ্যমে, ত্যাগের মাধ্যমে, কষ্টের মাধ্যমে তাদের অবস্থান প্রমাণ করেছে। বিডি ক্লিনের সদস্যরা নিজেদের খেয়ে পরের মোষ তাড়িয়ে তারা পরিবেশের জন্য কাজ করছে। এই ছেলেমেয়েরা মাদকাসক্ত না হয়ে, ঘরে বসে স্মার্ট ফোনে সময় নষ্ট করে দেশকে, শহরকে পরিচ্ছন্ন করা জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সত্যিই প্রশংসনীয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে বিডি ক্লিন বর্তমানে একটি ব্র্যান্ড। এটি ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। এই সুনাম ধরে রাখতে হবে।'
এসময় বিডি ক্লিনকে দশ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
সবশেষে মেয়র দেশকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও দেশের আইন মেনে দেশসেবার জন্য বিডি ক্লিনের সদস্যদের শপথ পাঠ করান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিডি ক্লিনের প্রতিষ্ঠাতা ফরিদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘পুরো দেশে বিডি ক্লিনের প্রায় ৪০ হাজার সদস্য কাজ করছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি একটি সুশৃঙ্খল, সুস্থ ও উন্নত মানসিকতাসম্পন্ন জাতি গঠনই এই সংগঠনটির মূল লক্ষ্য। মানসিক পরিবর্তন নিশ্চিত হলেই দেশ পরিচ্ছন্ন হবে, দেশ উন্নত হবে।'
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অঞ্চল ৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী এবং ৩০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাছির।
দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্লাস্টিক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র।
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য: মেয়র আতিক
মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না: আতিকুল ইসলাম
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরের কোনো জায়গা কিন্তু মালিক ছাড়া নেই। ঢাকার প্রতিটি জায়গা হয় ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের অধীন। অতএব মালিক বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের জায়গা ও জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে কিউলেক্স মশার প্রকোপ-নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভবনে ভবনে কার্যকর অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চত করার নির্দেশনা ডিএনসিসি মেয়রের
মেয়র আতিক বলেন, আমি সবাইকে সাত দিন সময় দিচ্ছি। সাত দিন পর আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবো। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাবেন। কোথাও কচুরিপানা বা মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। মশার প্রজননক্ষেত্র পেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেয়া হবে না। নিয়মিত মামলা দেয়া হবে। সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছি এয়ারপোর্টের পার্শ্ববর্তী খাল, জলাশয় ও ডোবাগুলোতে মশার চাষ হচ্ছে। এগুলো সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষসহ অন্যান্য সংস্থার অধীন। জলাশয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা। এই কচুরিপানা পরিষ্কার না করলে আমরা সিটি কর্পোরেশন থেকে যতই মশার ওষুধ দেই না কেন মশা নিধন করা সম্ভব না। সবাইকে নিজেদের খাল, জলাশয় ও ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব নিতে হবে।
মেয়র বলেন, শুধু কিউলেক্স মশা নয়। এডিস মশা এখনো রয়েছে। আমাদের মশক নিধন কার্যক্রম ও অভিযান চলমান। দুই ভবনের মাঝখানে খালি জায়গায় অনেকে ময়লা ফেলে দেন। দয়া করে এটি বন্ধ করুন। স্থানীয় জনগণ ও হাউজিং সোসাইটির উদ্যোগে এগুলো বন্ধে কাজ করুন। অনেক হাউজিং সোসাইটি মশার ওষুধ ছিটানোর মেশিন কিনেছেন। আমরা সেসব সোসাইটিকে ডিএনসিসি থেকে বিনামূল্যে মশার ওষুধ সরবরাহ করবো।
তিনি বলেন, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও অন্যান্য ভবনের পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ সরাসরি বৃষ্টির পানি নামার সারফেস ড্রেনে দিয়ে শহরের খাল ও জলাশয় দূষণ করছে। আমরা বার বার বলেছি প্রতিটি ভবনে অ্যাট সোর্সে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। গুলশান, বনানী, নিকেতন ও বাড়িধারা এলাকায় আমাদের বর্জ্যবিভাগ থেকে ইতোমধ্যে সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন করেছে। ৪ জানুয়ারি এসব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। সারফেস ড্রেনে পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন সিভিল অ্যাভিয়েশন, রাজউক, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য বিভাগসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির প্রতিনিধিরা।
এসময় ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগকে সব সংস্থা ও হাউজিং সোসাইটিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পহেলা জানুয়ারি থেকে এক বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্দিষ্ট করে একটি ক্যালেন্ডার প্রনয়ণের নির্দেশ দেন তিনি।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ডিএনসিসির মশক নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
৩০দিনের বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
অনলাইনে কর পরিশোধে ১০ শতাংশ রেয়াত ডিএনসিসির
অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স, নতুন লাইসেন্স এবং লাইসেন্স নবায়ন ফি পরিশোধ করলে ১০ শতাংশ রেয়াত (ছাড়) পাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসির) নাগরিকেরা। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ডিএনসিসি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল পদ্ধতির সঙ্গে ডিএনসিসি'র এলাকার সম্মানিত করদাতা/ ব্যবসায়ীগণকে পরিচিতির সুবিধার্থে বকেয়াসহ চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের চার কিস্তি হোল্ডিং ট্যাক্স একত্রে অনলাইনে পরিশোধ করলে এর ওপরে ১০ শতাংশ রেয়াত (ছাড়) দেয়া হবে। এবং চার কিস্তি হোল্ডিং ট্যাক্স একত্রে অনলাইনে পরিশোধ করে রেয়াত পাওয়ার এবং সারচার্জ ব্যতীত ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সময়সীমা আগামী ৩০ নভেম্বর, ২০২২ খ্রি. পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
আরও পড়ুন: সড়ক ও ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা সামগ্রী সাড়ে ১৮ লাখ টাকায় বিক্রি ডিএনসিসির
এতে আরও বলা হয়েছে, সম্মানিত করদাতাদেরকে বর্ধিত সময়ের মধ্যে বকেয়াসহ চলতি অর্থ বছরের চার কিস্তি হোল্ডিং ট্যাক্স একত্রে পরিশোধ করে ১০ শতাংশ রেয়াতের সুযোগ গ্রহণ এবং সম্মানিত ব্যবসায়ীদেরকে সারচার্জ ব্যতীত ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
এতে আরও বলা হয়েছে, ট্রেড লাইসেন্স, লাইসেন্স নবায়ন ও গৃহকর পরিশোধে নগরবাসী হয়রানি নিরসনে এবং নগরবাসীর মূল্যবান সময় বাঁচাতেও সহায়তা করবে।
উদ্যোগটি ডিএনসিসির সকল কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজড করণ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজস্ব স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি শক্তিশালীকরণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের একটি অংশ এটি।
আরও পড়ুন: মশা নির্মূলে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান, জরিমানা ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের ঘোষণা ডিএনসিসি মেয়রের
আগের অবস্থায় ফিরে গেছে প্রয়াত মেয়র আনিসুলের স্বপ্নের সড়ক!
প্রায় সাত বছর আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র প্রয়াত আনিসুল হক রাজধানীর সাত রাস্তা মোড় থেকে তেজগাঁও রেলক্রসিং পর্যন্ত অবৈধ ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করে তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন। কিন্তু এই স্থানটি আবারও ট্রাকচালক ও কাভার্ড ভ্যানের মালিকদের দখলে চলে গেছে।
যার ফলে পথচারী ও স্থানীয়দের যাতায়াতের সমস্যা হচ্ছে এবং ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ২০১৫ সালে ট্রাক মালিকদের সহিংস প্রতিবাদ সত্ত্বেও শিল্প এলাকার রাস্তাটি দখলের হাত থেকে পুনরুদ্ধার করেছিলেন। কিন্তু এখনও অবৈধভাবে পার্ক করা কয়েকশ’ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন দিয়ে সড়কজুড়ে লাইন ধরে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাচেলেট কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি: আনিসুল হক
ডিএনসিসি ভবনে অগ্নিকাণ্ড
রাজধানীর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) অফিস ভবনে বৃহস্পতিবার আগুন লেগেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সকাল সোয়া ৭টার দিকে ভবনের সপ্তম তলায় লিফটের পাশে অবস্থিত ইলেকট্রিক কন্ট্রোল রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি আরও বলেন, তদন্তের পর আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: হাজারীবাগ বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
পল্টনে ইলেকট্রনিক্স গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
মাতুয়াইলে প্যাকেজিং কারখানায় আগুন
১২ ঘণ্টার আগেই কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় পূর্ব ঘোষিত ১২ ঘণ্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের আন্তরিক সহযোগিতায় এটি করতে পেরেছি। আগামী দিনেও ঢাকা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে জনগণ ও সিটি করপোরেশনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ এ নগরভবনের হল রুমে ডিএনসিসির কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।এ সময় মেয়র আরও বলেন, ‘ঈদের দিন ৭নং ওয়ার্ডের সাতটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রায় ছয় হাজার পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। নিজে সেখানে গিয়ে দেখেছি দুপুরের মধ্যেই ৭নং ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপসএবছর কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ৭নং ওয়ার্ড প্রথম হওয়ায় সেখানে পুরস্কার হিসেবে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।উল্লেখ্য, এবছর পরীক্ষামূলকভাবে ডিএনসিসির তিনটি ওয়ার্ডের ৯টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেয়া হয়েছে।নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হলে উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব উল্লেখ করে আগামী ঈদে প্রতিটি অঞ্চলে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির আহ্বান করেন ডিএনসিসি মেয়র।তিনি বলেন,'আমরা সিটি করপোরেশন থেকে নির্দিষ্ট স্থানে প্যান্ডেলের ব্যবস্থা করে দেব, মাংস বাসায় পৌছে দেয়ার জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও করে দেব। রাস্তায়, ফুটপাতে ও যেখানে সেখানে কোরবানি না দিয়ে আপনারা শুধু দায়িত্ব নিয়ে প্যান্ডেলে এসে পশু কোরবানি দেবেন।'এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, 'আধুনিক জবাই খানা নির্মাণের জন্য দ্রুতই আমরা পদক্ষেপ নিব৷ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আমি নির্দেশনা দিয়েছি আধুনিক জবাইখানা নির্মাণের জন্য। গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের পাশেই উন্নত দেশের মতো আধুনিক জবাইখানা নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।'
আরও পড়ুন: সাড়ে ৯ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য স্থানান্তর করেছে ডিএসসিসি
দুপুর ২টা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু হবে: মেয়র তাপস
১২ ঘণ্টায় ডিএনসিসি’র কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে: মেয়র আতিকুল
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায় কোরবানির ফলে সৃষ্ট বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘প্রতিদিনের বর্জ্য প্রতিদিন অপসারণ হচ্ছে। কোরবানির বর্জ্য সরাতে ১২ ঘণ্টার বেশি লাগবে না।’মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানস্থ নগরভবনে আয়োজিত ১৪তম করপোরেশন সভায় তিনি এসব কথা বলেন।মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল রয়েছে। বর্জ্য অপসারণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বেশ কিছু ওয়ার্ডে কোরবানির জায়গাও নির্ধারণ করা আছে।’
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান
সবার সহযোগিতা পেলে যথাসময় বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব উল্লেখ করে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগকে কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি।তিনি বলেন, ‘পশুর হাটে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।’তিনি আরও বলেন, ‘ছয়টি পশুর হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ডিজিটাল পেমেন্টের সুযোগ থাকায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা খুব খুশি। নিরপাদ ও সহজ লেনদেন, তাৎক্ষণিক ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগ, ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সুবিধা এবং ছিনতাই, মলম পার্টির খপ্পর থেকে রক্ষায় স্মার্ট হাট চমৎকার উদ্যোগ।’ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়া, কাউন্সিলররা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য সরাবে ডিএসসিসি
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাদসিকের ১০ কমিটি
গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সকলকে অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের আহ্বান জানিয়ে ডিজিটাল পশুর হাট থেকে একটি গরু ক্রয় করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার (৪ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ই-ক্যাব আয়োজিত 'ডিএনসিসি ডিজিটাল পশুর হাট'র উদ্বোধন শেষে ঈদুল আজহায় কুরবানির উদ্দেশে একটি গরু ক্রয় করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যত্রতত্র পশুর হাট নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী দেশে করোনা সংক্রমন ঊর্ধ্বগতি থাকায় জনসমাগম এড়াতে হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে দেশের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স একটি আধুনিক বাণিজ্যিক পদ্ধতি যা দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আস্থা অর্জন করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
করোনা মহামারিতে ই-কমার্সের গুরুত্ব আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ই-ক্যাবসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ এগিয়ে আসায় দেশের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা এবং ঘরবন্দী মানুষের নিকট প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সহজে পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: নির্ধারিত স্থানের বাইরে পশুর হাট বসতে দেয়া হবে না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
তাজুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর কোভিড-১৯ পরিস্থিতি আরও বেশি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। জনসমাগম এড়াতে আমাদের আরও বেশি সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। গত ঈদুল আযহা পশুর হাট পরিচালনায় অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে এবং আমরা সফলও হয়েছি। এবছরও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মোকাবিলা করতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, অনলাইনে কেনাকাটায় সব মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যারা ডিজিটাল টেকনোলজি সম্পর্কে অথবা ডিজিটাল লেনদেন সম্পর্কে খুব ভালো জানেন না তাদেরকে কীভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সম্পৃক্ত করা যায় সে উপায় বের করতে হবে।
গণমাধ্যমে ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনলাইনে কেনাকাটা বৃদ্ধিকরণে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য প্রচার-প্রচারণার চালানোর উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্ম শুধু ক্রয়-বিক্রয় নয়, অর্থনৈতিক, সামাজিক নিরাপত্তাজনিত এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অনেক বিষয়ে অবদান রাখছে। এই ব্যবস্থা শুধু শহরে নয় গ্রাম-গঞ্জেও ছড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রী বলেন, পুরো পৃথিবী একটি ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে করোনা তাণ্ডবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ মানুষের জীবন-জীবিকা স্থবির হয়ে পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বহুমাত্রিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণের ফলে আমাদের দেশে করোনা সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সিটির খেলার মাঠে কোরবানির পশুর হাট নয়: ডিএসসিসি মেয়র তাপস
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-বিভাগের সিনিয়র সচিবরা অংশগ্রহণ করেন।