ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন
ডিএনসিসির আওতাধীন সব ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন সব ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এলাকাকে 'নীরব এলাকা' ঘোষণা করল ডিএনসিসি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাউন্সিলরদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়ার্ডভিত্তিক জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সরবরাহ করার জন্য আঞ্চলিক অফিসের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর ফলে সুষ্ঠুভাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সরবরাহ সেবা নিশ্চিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৬ ওয়ার্ড পর্যন্ত কাউন্সিলরের কার্যালয় থেকে এবং ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিস থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো৷ গত ২৬ সেপ্টেম্বর সব কাউন্সিলরদের স্ব স্ব পদ থেকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদনের লিংক
http://bdris.gov.bd/br/application
আরও পড়ুন: মশা নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: ডিএনসিসির সিইও
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলমান উন্নয়ন সম্পন্ন করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
১ মাস আগে
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলমান উন্নয়ন সম্পন্ন করা হবে: ডিএনসিসি প্রশাসক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এসময় তিনি চলমান প্রকল্পের কাজের গুণগত মান নিশ্চিতে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে গাবতলী সিটি পল্লিতে ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প, কল্যাণপুর স্টর্ম ওয়াটার পাম্পিং স্টেশন এবং আমিন বাজার ল্যান্ডফিল সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ডিএনসিসির ৬ ভবন মালিককে ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা জরিমানা
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘চলমান কাজগুলো নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। কাজের গতি বাড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকতে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে কল্যাণপুর স্টর্ম ওয়াটার পাম্পিং স্টেশন সবসময় সচল রাখতে হবে এবং এটির আধুনিকীকরণ করতে হবে।’
আমিনবাজার ল্যান্ডফিল পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসিতে বিপুল পরিমাণ বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনায় আমিন বাজার ল্যান্ডফিল আধুনিকীকরণ করতে হবে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব, পরিচ্ছন্ন ঢাকা গড়ে তোলা হবে। এতে বায়ুদূষণ রোধ হবে। এছাড়া বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সঠিকভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।’
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসির ৫ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ কিউআরটি
তাই এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজের গতি বাড়াতে হবে বলে জানান প্রশাসক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, আবুল হাসনাত ও মো. আশরাফুল আলম তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক সার্কেল), মো. ফরহাদ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা), মোহাম্মদ আবুল কাশেম তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর), মো. রফিকুল ইসলাম তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ)।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশা নিধন অভিযান: লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা জরিমানা
২ মাস আগে
ডিএনসিসির ঈদের প্রধান জামাত মিরপুর গোলারটেক মাঠে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মিরপুর গোলারটেক মাঠে ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে জামাতে অংশ নেবেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তারা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫টি করে ঈদের জামাত আয়োজন করা হয়েছে।
ডিএনসিসির উদ্যোগে কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ২৭০টি ঈদের জামাত আয়োজন করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথমবারের মতো মিরপুর গোলারটেক মাঠে ডিএনসিসির ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকা উত্তরে বসবাসরত নগরীবাসীর মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে এবার ঈদে গোলারটেক মাঠে ডিএনসিসির প্রধান জামাত আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
এই উদ্যোগের মাধ্যমে এলাকাবাসীর মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে মনে করেন মেয়র।
মেয়র আতিক বলেন, ‘আমি নিজেও এই জামাতে অংশগ্রহণ করব। এর ফলে ঢাকা উত্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ হবে। ওয়ার্ডভিত্তিক ঈদের জামাত আয়োজনের পাশাপাশি এবার প্রথম বড় পরিসরে মিরপুরে ডিএনসিসির প্রধান জামাত আয়োজন হচ্ছে।'
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় নগরবাসীকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন এবং সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গুলশানে এ বছর পহেলা বৈশাখ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও উদযাপন করা হয়েছে।'
৫ মাস আগে
সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মাদকমুক্ত সুস্থ সমাজ গঠনে ও সুস্থতার জন্য খেলাধুলা করতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়া সাইক্লিং অতি উত্তম শরীর চর্চা।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, মাসে দুই দিন সাইকেল চালানোর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় রাস্তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে।
শনিবার (৮ জুন) সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে গুলশান-২ গোলচতত্ত্বর পর্যন্ত সাইকেল র্যালি পেডাল ফর প্ল্যানেট এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নানাভাবে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিভিন্ন যানবাহনের কারণে কার্বন নিঃসরণ বাড়ছে। কিন্তু সাইকেল এমন একটি পরিবেশবান্ধব যান যেটি কোনো কার্বন নিঃসরণ করে না। তাই সাইকেল চালানোকে উৎসাহিত করছি।
মেয়র বলেন, আমরা সাইকেল লেন করে দেব। যদিও সাইকেল লেন করে দিলেও দেখা যায় দখলদাররা সেখানে দখল করে ফেলে। স্বেচ্ছাসেবক ও যুবসমাজকে নিয়ে এ ধরনের দখলদারদের প্রতিহত করব।
এসময় মেয়র আরও বলেন, পার্ক ও মাঠগুলো আমাদের রক্ষা করতে হবে। ফার্মগেটের আনোয়ারা পার্কে শপিং মল করতে দেওয়া হবে না। সেখানে পার্কই থাকবে। মানুষ এ পার্কে হাঁটবে, শরীর চর্চা করবে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জাগো ফাউন্ডেশন এবং ভলান্টিয়ার ফর বাংলাদেশ যৌথভাবে এ র্যালি আয়োজন করে। র্যালিটির লক্ষ্য ছিল কার্বন নির্গমন, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদ ভবন থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে বিজয় সরণি, মহাখালী ও বনানী হয়ে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর গিয়ে শেষ হয়। ৩৫০ জন সাইক্লিস্ট এতে অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারী সাইক্লিস্টদের উৎসাহ দিতে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম নিজে র্যালিতে অংশ নেন। তিনিও সাইকেল চালিয়ে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে গুলশান-২ গোলচত্বর পর্যন্ত যান।
র্যালিতে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক করভি রাখসান্দ।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়র ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের শপথ গ্রহণ
৫ মাস আগে
মশা নিধনে ডিএনসিসির খাল না হওয়া সত্ত্বেও আমরা পরিষ্কার করছি: মেয়র আতিক
মশা নিধনের লক্ষ্যে ডিএনসিসির খাল না হওয়া সত্ত্বেও সেগুলো আমরা পরিষ্কার করছি বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কিউলেক্স মশা নিধনে আমরা খাল পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করেছি। উত্তরার রাজউক খালে প্রচুর কচুরিপানা। যার ফলে উত্তরা এলাকায় কিউলেক্স মশা ব্যাপক বেড়ে গেছে।
বুধবার (২০ মার্চ ) সকালে রাজধানীর উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের রাজউক খালে ডিএনসিসির মশক নিধন ও পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, উত্তরার রাজউক খালটির মালিকানা রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ)। আজকে এসে জানতে পারলাম এটিতে ওয়াসারও মালিকানা আছে। আমি অনেকবার বলেছি খালটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু এখনও খালটি হস্তান্তর করা হয়নি। এই এলাকায় নিয়মিত ওষুধ ছিটালেও, খালের কচুরিপানা থেকে প্রচুর মশা জন্মায়। স্থায়ী সমাধানের জন্য খাল পরিষ্কারের কোনো বিকল্প নাই। তাই মশা নিধনের লক্ষ্যে ডিএনসিসির খাল না হওয়া সত্ত্বেও আমরা পরিষ্কার করছি।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা শহরে সাধারণত কিউলেক্স ও এডিস এই দুই ধরণের মশা রয়েছে।
কিউলেক্স মশা আমাদের অনেক বিরক্ত করে, কামড় দেয়। কিউলেক্স মশার কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয় না। কিন্তু এডিস মশার কামড়ে মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি আছে। এডিস মশা মানুষের বাসা-বাড়ি, অফিস আদালতের জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্মে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য যার যার ঘর, বাড়ি, অফিস, আদালত তাদেরই কিন্তু দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ আমাদের পক্ষে দেখা অসম্ভব কারো বাড়ির ছাদে পানি জমে আছে কিনা। কারও ছাদে, বারান্দায় নারিকেলের খোসা, রঙের কৌটা, অব্যবহৃত টায়ার পড়ে আছে কি না। ভবনের বেজমেন্টে গাড়ির গ্যারেজে পানি জমে আছে কি না সেটি দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এগুলো নিজেদের দায়িত্ব।
মেয়র বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ শুধু একা সিটি করপোরেশনের পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। আর কিউলেক্স মশার জন্য খালগুলো পরিষ্কার করছি। গুলশান লেকে, বারিধারা লেকেও প্রচুর মশা। আমরা সেগুলো পরিষ্কার করছি। অন্যান্য সংস্থাগুলো যার যার জায়গাগুলো পরিষ্কার করতে হবে। খালগুলোতে সরাসরি পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ দেওয়ার ফলে অনেক মশার জন্ম হয়। উত্তরা এলাকায় ওয়াসা একটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণ করবে। এটি নির্মাণে কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। কিন্তু এই অন্তর্বতীকালীন খালগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
এসময় তিনি বলেন, উত্তরার রাজউক খালটি আমাদের হস্তান্তর করলে পরিষ্কার করে এখানে একটি নান্দনিক জায়গা করে দেবো। এখানে ওয়াটার বোট চলবে। মাছের চাষও সম্ভব হবে। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই পয়ঃবর্জ্যের ব্ল্যাক ওয়াটার (দূষিত পানি) খালে আসা বন্ধ করতে হবে। ওয়াসা ও রাজউককে এগিয়ে আসতে হবে। সব সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
মেয়র আরও বলেন, আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর থেকেই ব্যাপকভাবে ক্যাম্পেইন শুরু করব। গতবার মশার লার্ভা নিধনের জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) আমদানির উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু আপনারা জানেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জালিয়াতির কারণে সেটি ব্যবহার করা যায়নি। তাই এবার আমরা সিটি করপোরেশন থেকে সরাসরি বিটিআই আমদানি করছি। আশা করছি আগামী দুই মাসের মধ্যে বিটিআই নিয়ে আসব। ওষুধ ছিটানোর জন্য অত্যাধুনিক মেশিনও (হুইলবারো মেশিন) আনার প্রক্রিয়া চলছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা বর্ষার আগেই প্রস্তুতি নিয়েছি।
আরও পড়ুন: জনগণকে নিয়ে গুলশান-বারিধারা লেক পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি: মেয়র আতিক
মহাসড়কে ইফতার বিতরণ করছেন ফেনী পৌরসভার মেয়র
৮ মাস আগে
জনগণকে নিয়ে গুলশান-বারিধারা লেক পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান লেক ও বারিধারা লেক মূলত রাজউকের অধীনে আছে, তাই এই লেক দুইটি হস্তান্তর করুক আর না করুক সেটি নিয়ে চিন্তা না করে জনগণকে নিয়ে লেক পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।
মেয়র বলেন, রাজউকের কাছে আমি চিঠি দিয়েছি এগুলোকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে দিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু এই লেক এখনো রাজউকের অধীনে রয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনকে দেয়নি।
শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও গুলশান সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে গুলশান লেক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গুলশান লেকের পাশেই গুলশান জামে মসজিদ। এই মসজিদের মুসল্লিরা আমাকে বার বার জানিয়েছেন লেকের দূষিত পানির দুর্গন্ধ মসজিদে আসে। দুর্গন্ধে টেকা যায় না। গুলশান সোসাইটি, বারিধারা সোসাইটির নেতারা আমার কাছে গিয়েছেন। তারা নিজেরা এই লেক পরিষ্কারে অংশ নিতে চান।
আরও পড়ুন: জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে: মেয়র আতিক
শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরিষ্কার অভিযানে ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পাশাপাশি গুলশান সোসাইটি, ছয়টি স্কুলের শিক্ষার্থী, জাগো ফাউন্ডেশন ও শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রায় ৪০০ জন অংশ নেন।
ছয়টি স্কুল হলো- স্যার জন উইলসন স্কুল, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল, স্কলাস্টিকা স্কুল, দিল্লি পাবলিক স্কুল, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং সানিডেল স্কুল।
গুলশান লেক পার্কে শিক্ষার্থী ও অতিথিরা মিলিত হয়।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে গুলশান-৬৩ নম্বর রোডের গুলশান জামে মসজিদের পাশ থেকে লেক পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেয়র মো. আতিকুল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন।
মেয়রি বলেন, গুলশান মসজিদের সামনে লেকের খুব খারাপ অবস্থা হয়ে আছে। এই এলাকার মলমূত্র সব এখানে ফেলা হয়। এটি মেনে নেওয়া যায় না। এই লেকগুলোতে মাছের চাষ হয় না, মশার চাষ হচ্ছে। আমি চাই এই লেকগুলোতে শিশুরা খেলবে। ওয়াটার ট্যাক্সি চলবে। আরও আধুনিক যন্ত্র থাকবে যা দিয়ে তারা খেলবে। কিন্তু পানি হয়ে আছে শতভাগ দূষিত। এখানকার কোনো মানুষ এই লেক থেকে উপকৃত হচ্ছে না। এই এলাকায় অতিরিক্ত মশা, যা এই লেকগুলো থেকে হয়। গুলশান এলাকার মানুষের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই লেক পরিষ্কার করে দিচ্ছে।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, সরকারের একার পক্ষে একটা সোসাইটিকে সুন্দর করা সম্ভব নয়, যতক্ষণ না এখানকার মানুষই এগিয়ে আসে। আজকে এখানকার বিভিন্ন স্বনামধন্য স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিশুরা এই কার্যক্রমে উপস্থিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ফাউন্ডেশনও এখানে উপস্থিত হয়েছে। গুলশান বনানী অভিজাত এলাকা। এখানকার একেকটি ফ্ল্যাট ২৫ কোটি, ৫০ কোটি টাকা মূল্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এই এলাকার বিল্ডিংগুলো থেকে পয়োবর্জ্য সরাসরি এই লেকে এসে পড়ছে।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির স্টর্ম ড্রেনের সঙ্গে একটি চোরাই পাইপ সংযুক্ত করা হচ্ছে। এই ড্রেন দিয়ে শুধু বৃষ্টির পানি যাওয়ার কথা। যারা পয়োবর্জ্য সরাসরি ফেলবে তাদের পাইপে আমি কলাগাছ থেরাপি দেব। যাতে করে এই বর্জ্য আবার তাদের দিকে ব্যাক যায়। একটা ছোট ইটিপি প্ল্যান্ট মাত্র তিন লাখ টাকা। এসব প্ল্যান্ট করতে রাস্তার নিচে যতটুকু জায়গা লাগে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা করে দেবে। আমরা চাই শুধু সরকার না এলাকাবাসী এগিয়ে আসুক।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আরও পড়ুন: দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তা-ঘাট খুলে দেওয়ার নির্দেশ মেয়র আতিকের
পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না: মেয়র আতিক
৮ মাস আগে
খাল দখলকারীদের ধিক্কার জানালেন ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় সরকারি খাল, খাস জমি এগুলো কতিপয় দখলদার অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি যারা খাল, খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক।
যারা সরকারি জমি, জনগণের জমি দখল করেছে তাদেরকে আমি ধিক্কার জানাই।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর সাতারকুল-ভাটারা একশ’ ফুট এলাকায় সূতিভোলা খালের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন এবং খালের দলখ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সমস্যা শুনে সমাধান করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, কাউন্সিলর, নদী রক্ষা কমিশনসহ পরিবেশ নিয়ে কাজ করে এমন অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি ও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিব। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করব। অভিযান শুরু হয়েছে। এই অভিযান চলবে।
শুরুতে ডিএনসিসি মেয়র সূতিভোলা খাল এবং পরে পাশের সমুদ্র খালের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র সূতিভোলা খালের পাড় দিয়ে হেটে যান।
এসময় মেয়রের উপস্থিতিতে খালের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ইটের তৈরি ওয়াল ভেঙে দিয়ে প্রায় আধা কিলোমিটার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলের আদলে সুতিভোলা খাল সাজানো হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মত বিনিময়কালে আতিকুল ইসলাম বলেন, মূল খালের পাশে অনেক খাস জমি রয়েছে। সেসব খাস জমিতে শিশুদের জন্য খেলাধুলার জায়গা করে দেওয়া হবে, খালের পাড়ে ওয়াকওয়ে, সাইকেল লেন, নান্দনিক গণপরিসর, পার্ক, নৌকার জন্য ঘাট নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রথম ধাপে ৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার খালের উন্নয়ন কাজ করা হবে। এর আওতায় সূতিভোলা খাল ও সমুদ্র খালের উন্নয়ন হবে। প্রায় সাত কিলোমিটার খাল উন্নয়নের এই প্রকল্পে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এই উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
মেয়র বলেন, ঢাকার পূর্ব পাশে মোট প্রায় ২৯ কিলোমিটার খালের উন্নয়ন ও খালগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি তৈরি করা হবে। এ বছরের মধ্যে প্রথম ধাপে সূতিভোলা খালের ৭ কিলোমিটার উন্নয়ন করব এবং পরে বাকী ২২ কিলোমিটারের উন্নয়ন করা হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্জ্য সম্পদে পরিণত হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৯ মাস আগে
বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতার আশ্বাস তুরস্কের
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে মেয়রের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত গত ফেব্রুয়ারি মাসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে মানবিক সহায়তা দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় রাষ্ট্রদূত ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতিদিন অসংখ্য জলবায়ু উদ্বাস্তু ঢাকায় প্রবেশ করে। বস্তিবাসীরা প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। ডিএনসিসির আওতাধীন বস্তিগুলোতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে সহযোগিতা প্রয়োজন। সহযোগিতা প্রদান করা হলে এই শিশুরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে।’
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উজবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
আলাপকালে বস্তিতে বসবাসকারী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষা সহায়তা, প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানসহ ছোট ছোট খেলার মাঠ নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করা বিষয় একমত পোষণ করেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও রাষ্ট্রদূত রামিস সেন।
এসময় ডিএনসিসি মেয়র এই ধরনের উদ্যোগের ফলে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেয়র আতিক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ও তার নামে একটি পার্ক করা হয়েছে। আবার তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। এছাড়াও বনানীর সড়কটির সংলগ্ন একটি পার্কও কামাল আতাতুর্কের নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে অনেক গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতায় ঢাকা ও আঙ্কারা যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।’
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ-সচিব পর্যায়ের সভা শুরু
কুয়েতের নতুন আমিরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
১১ মাস আগে
অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না: ডিএনসিসি মেয়র
অনুমতি ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গাছের গুরুত্ব আমাদের অনুধাবন করতে হবে। দুঃখজনক হলো আমরা অনেকে গাছের গুরুত্ব বুঝি না। পরিবেশ রক্ষায় ও জীবনের জন্য অপরিহার্য অক্সিজেন পেতে গাছের বিকল্প নেই।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে নগর সবুজায়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
আরও পড়ুন: খাল পাড়ের অবৈধ স্থাপনা সরাতে হুঁশিয়ারি দিল ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, আমি বার বার বলেছি, গাছ কাটলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমার কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি, অনুমতি ছাড়া ডিএনসিসি এলাকায় কেউ গাছ কাটতে পারবে না। গাছ কাটার আগে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ করতে হবে। কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সড়ক ও ফুটপাতে গাছ লাগানো হচ্ছে। বিভিন্ন বস্তিতে প্রায় পাঁচ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। প্রতিটি গাছকে জিপিআরএস অ্যাপের মাধ্যমে আইডি নম্বর দিয়ে রোপণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গাছে নম্বর দেওয়া ও জিপিআরএস ম্যাপিং করা হচ্ছে। প্রকৌশল বিভাগ এটি তত্ত্বাবধান করছে। বর্জ্য বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছি খালের পাড়ে গাছ লাগাতে হবে। আমরা এখন যে গাছগুলো লাগাচ্ছি একটা সময় পরে সবুজায়ন হবে, গাছে ফুল হবে, ফল হবে, গাছ ছায়া দেবে, অক্সিজেন দেবে।
মেয়র আরও বলেন, গাছ লাগানো অনেক সহজ, কিন্তু পরিচর্যা করে বড় করে তোলা কঠিন। এখন পর্যন্ত আমরা যেসব গাছ লাগিয়েছি, আমাদের কাছে প্রতিটি গাছের ম্যাপিং আছে। গাছ কত ইঞ্চি লাগানো হয়েছে, কীভাবে বড় হচ্ছে ও পরিচর্যা করা হচ্ছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আছে।
তিনি আরও বলেন, গাছগুলোর পরিচর্যা করা হচ্ছে। আজকে গাছ লাগালে অবশ্যই এর দুই বছর পরে ফল পাওয়া যাবে। আমি নতুন কিছু গাছ লাগাচ্ছি। রসকাউ গাছ রোপন করছি। রসকাউ গাছের ফল পাখির খুবই প্রিয়। আমরা সবুজ ও পাখির কিচিরমিচির দেখতে চাই।
তিনি বলেন, ঢাকাকে দৃষ্টিনন্দন করতে সবুজায়নের পাশাপাশি স্ট্রিট আর্ট করে দিচ্ছি। মগবাজার ফ্লাইওভারের পিলারে স্ট্রিট আর্ট করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, মিরপুর জল্লাদখানায় পাকিস্তানিরা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মমভাবে হত্যা করে কুয়ার ভেতরে ফেলে রেখেছিল। সেটি ছিল খুবই ভয়ানক একটি জায়গা। ওখানে ময়লার ভাগাড় ছিল, মাদকাসক্তরা সেখানে নেশা করত। আমরা জল্লাদখানাটি দৃষ্টিনন্দন করে সাজিয়েছি। আপনারা গেলে দেখতে পাবেন শিশুদের জন্য খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাস্তা বাড়াতে জায়গা ছাড়ার আহ্বান ডিএনসিসি মেয়রের
ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
১ বছর আগে
দেশে প্রথম বারের মতো ডিএনসিসিতে চালু হলো ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় গাড়ি পার্কিংয়ে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে দেশে প্রথম বারের মতো ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ চালু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগরভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডিএনসিসি স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়।
যেখানে সেখানে অবৈধ পার্কিং বন্ধ করতে এবং নিরাপদ পার্কিং নিশ্চিত করতে পরীক্ষামূলকভাবে ‘স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং’ চালু করেছে ডিএনসিসি।
গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং নামে এই পার্কিং অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে গুলশান এলাকার আটটি বিভিন্ন সড়কে ২০২টি স্পটে স্মার্ট পার্কিং চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে নগরভবনে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, দুর্বার গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ডিজিটালাইড হচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন আর দুর্বার গতিতে আমরা এগিয়ে যাই।
মন্ত্রী বলেন, ডাক্তারের সেবার জন্য ফোন করছেন। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে মানুষ যোগাযোগ করছে। বর্তমানে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও আজ মোবাইল ও ইন্টারনেটের আওতায় আছেন ও বিভিন্ন সেবা নিচ্ছেন। দুর্বার গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, তার একটি কারণ আমরা ডিজিটাল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার ডিএনসিসিতে স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং চালু হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট সোসাইটি দরকার, স্মার্ট এডুকেশন দরকার, স্মার্ট গভার্ন্যান্স দরকার। সেটিও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম সভাপতির বক্তৃতায় বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় স্মার্ট অন স্ট্রিট পার্কিং চালু হচ্ছে। এই ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশে প্রথম। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান সিএলডিপির (কমার্শিয়াল ল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) আওতায় মিয়ামি সিটি থেকে বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে এই উদ্যোগ নিয়েছি আমরা। সবার সহযোগিতায় এটি সফল হবে। পর্যায়ক্রমে উত্তর সিটির প্রতিটি এলাকায় এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অনলাইনে ট্যাক্স নিচ্ছে, যেখানে কোনো ক্যাশে হোল্ডিং ট্যাক্স নেওয়া হয় না। আমরা অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স নিচ্ছি। আপনারা কেউ হোল্ডিং ট্যাক্স সশরীরে এসে দেবেন না, সবাই অনলাইনে হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করবেন।
তিনি বলেন, কারণ কিছু কিছু অসাধু কর্মকর্তা আছে যারা আপনাকে ‘আকাশের যত তারা সিটি করপোরেশনে তত ধারা’ এগুলো দেখিয়ে দেবে। তাই অনলাইন ওপেন করবেন আপনার ট্যাক্স আপনি দিয়ে দেবেন।
মেয়র আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স চালু করে দিয়েছি। কোনো অভিযোগ জানাতে আমরা সবার ঢাকা অ্যাপ চালু রেখেছি। যে কেউ যেকোনো জায়গা থেকে অনলাইনে অভিযোগ জানাতে পারছেন এবং আমরা তা সমাধান করে দিচ্ছি।
মেয়র বলেন, সবার ঢাকা অ্যাপে আসা অভিযোগগুলোর মধ্যে আমরা ৯৮ শতাংশ সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। এসব অনলাইন কার্যক্রমই হলো স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ। দুর্নীতিমুক্ত এবং জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতেই আমরা এরকম অনলাইন সিস্টেম চালু করেছি। অনলাইনে জনগণের কাছে সব আধুনিক সেবা পৌঁছে দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: উন্নয়নকৃত মাঠ ও পার্ক রক্ষায় ডিএনসিসি মেয়রের আহ্বান
ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং বিবরণ:
বিষয়- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাইলট আকারে স্মার্ট অনস্ট্রিট পার্কিং চালুকরণ সংক্রান্ত।
• ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রাথমিকভাবে ছয় মাসের জন্য গুলশান এলাকায় গাড়ি পার্কিং কার্যক্রম মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে পরিচালনার জন্য পাইলটিং কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
• পাইলটির জন্য গুলশান এলাকার সড়ক নম্বর– ৫২, ৫৮, ৬২, ৬৩, ৬৪, ১০৩, ডিআইটি সাকুলার রোড, গুলশান ২ ইনার সাকুলার রোডে গাড়ি পার্কিং এর জন্য সড়কে প্রয়োজনীয় রং করাসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
• ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ মাঠ পর্যায়ে আলোচ্য পাইলটিং কার্যক্রমটি তদারকি করা হবে। পাইলটিং কার্যক্রমের ফলাফলের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার আরও ২৯টি স্থানে উক্ত কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করা হবে।
• আলোচ্য পাইলটিং কার্যক্রম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং এলওসিসি যৌথ সমন্বয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
• নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি কার পার্কিং স্থানের সন্নিকটে ওয়ার্ডেন নিয়োজিত করা হবে।
• পার্কিং বরাদ্দ কার্যক্রম অ্যাপের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।
• অ্যাপে প্রাথমিকভাবে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
• রেজিস্ট্রেশন শেষে গাড়ির ড্রাইভার পার্কিং স্পটের ১০০ মিটারের মধ্যে এসে গাড়ি পার্কিং করতে হবে।
• গাড়ির পার্কিং এর জন্য পেমেন্ট ব্যবস্থা ডিজিটাল করা হয়েছে।
• পিওসির মাধ্যমে অনগ্রাউন্ডে পেমেন্ট করা যাবে।
ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং ফি-
কার/জিপ/মাইক্রোবাস:
প্রথম দুই ঘণ্টা ৫০ টাকা, তৃতীয় ঘণ্টা ৫০ টাকা এবং চতুর্থ ঘণ্টা থেকে প্রতি ঘণ্টার জন্য ১০০ টাকা।
মোটরসাইকেল:
প্রথম দুই ঘণ্টা ১৫ টাকা, তৃতীয় ঘণ্টা ১৫ টাকা এবং চতুর্থ ঘণ্টা থেকে প্রতি ঘণ্টার জন্য ৩০ টাকা।
শনিবার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পার্কিং ফি প্রযোজ্য হবে। রাত ১০টার পর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত পার্কিং এর জন্য কোনো ফি লাগবে না। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও অন্যান্য সরকারি ছুটির দিন পার্কিং সম্পূর্ণ ফ্রি।
আরও পড়ুন: খালের আধুনিকায়নে ডিএনসিসির সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী
১ বছর আগে