রোহিঙ্গা নেতা
উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে রোহিঙ্গা নেতা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোহাম্মদ হোসেন (৪০) নামে এক রোহিঙ্গা নেতা নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বালুখালী ক্যাম্প-১৮ ইস্টে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নেতা নিহত
নিহত হোসেন ব্লক-৮ এর মোহাম্মদ শফিকের ছেলে। তিনি ওই ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা বা হেড মাঝি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নিহতের ছোট ভাই নুর হাশেম জানান, সকালে মোহাম্মদ হোসেন বাড়ির পাশে বসে ছিলেন। হঠাৎ সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি ফারুক আহমেদ বলেন, একদল সন্ত্রাসী হঠাৎ এসে তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।
বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত: জৈন্তাপুর পুলিশ
১ বছর আগে
উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মঙ্গলবার ভোররাতে এক রোহিঙ্গা নেতাকে গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শাহাব উদ্দিন (৩৫) ছিলেন ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একজন সাব-মাঝি। তিনি ওই ক্যাম্পের এইচ/১৪ ব্লকের মনির আহমেদের ছেলে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে তার বাড়িতে ঢুকে ২০ থেকে ৩০ জনের একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা তার বুকে, ডান হাতে ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছুরিকাঘাত করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করতে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউ’র ৩ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা
ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, শিবিরে একাধিক গোষ্ঠীর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার ফলেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটল। নিহতের পরিবার ও অন্যদের কাছ থেকে হত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
তিনি বলেন, পরবর্তী যেকোনো ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়া ক্যাম্পে ২ রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা, আটক ২
কক্সবাজারে ইউএনএইচসিআর অফিসের সামনে রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা
২ বছর আগে
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যায় ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) সকালে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। অপর ১৪ জন এখনো পলাতক।
২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া ডি ব্লকে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর মুহিববুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত ভার পান উখিয়া থানার ওসি তদন্ত সালাহ উদ্দিন। তদন্ত শেষে সোমবার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৩ জন সাক্ষীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জনকে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হলেও ৭ জনের ঠিকানা-অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, ফলে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।
পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ফতোয়াদাতা জকোরিয়া গ্রেপ্তার
মুহিবুল্লাহ হত্যা: ৩ আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
মুহিবুল্লাহ হত্যা: গ্রেপ্তার ৩ জনের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
২ বছর আগে
মুহিবুল্লাহ হত্যা: ১৬৪ ধারায় আসামি ইলিয়াসের জবানবন্দি
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে মো. ইলিয়াস নামে এক আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। কক্সবাজার মূখ্য বিচারিক হাকিম মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে তিনি এ জবানবন্দি দেন। রবিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার কোর্ট পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা।
আসামি মো. ইলিয়াস উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে-৫ এর রজক আলীর ছেলে।
ওই কর্মকর্তা জানান, শনিবার (৯ অক্টোবর) তিন দিনের রিমান্ড শেষে মো. ইলিয়াসকে আদালতে নেয়া হয়। পরে কক্সবাজার মূখ্য বিচারিক হাকিম মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
এর আগে রবিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে-৫ এ অভিযান চালিয়ে ইলিয়াসকে আটক করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান।
উল্লেখ্য,২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়ায় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের অফিসে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর তাদের প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড দেন কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালত।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ১
৩ বছর আগে
মুহিবুল্লাহ হত্যা: আরও তিন জনের ৩ দিনের রিমান্ড
উখিয়ার লম্বাশিয়ায় রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির মধ্যে বাকি তিনজনেরও তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আব্দুস সালাম,মোহম্মদ জিয়াউর ও মো. ছালাম।
আরও পড়ুন: শিগগিরই মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে গত রবিবার একই মামলায় অভিযুক্ত অন্য দুই আসামি ছলিম উল্লাহ ও শওকত উল্লাহকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়ায় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের অফিসে একদল অস্ত্রধারী গুলি করে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যা: ২ জনের ৩ দিনের রিমান্ড
৩ বছর আগে
মুহিবুল্লাহ হত্যায় গ্রেপ্তার ৪
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত চার রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) ও উখিয়া থানা পুলিশ।
তাদের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে উখিয়া থানা পুলিশ।
আদালতে সোপর্দ করা দুজন হলেন উখিয়া কুতুপালং ৭ নম্বর ক্যাম্পের সি ব্লকের নুর বশরের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ ওরফে লম্বা সেলিম, রহিম উল্লাহর ছেলে শওকত উল্লাহ।
পুলিশ পরিদর্শক চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রবিবার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই রোহিঙ্গার রিমান্ড শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার চার জনের মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান জিয়াউর রহমান ও আব্দুস সালামকে শুক্রবার মধ্যরাতে এবং শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ লম্বা সেলিমকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আটক করে। এছাড়া উখিয়া থানা পুলিশ শনিবার বিকালে শওকত উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্জুর মোর্শেদ বলেন, শওকত উল্লাহকে ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ পর্যন্ত মুহিব্বুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এপিবিএন তিনজন এবং থানা পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে শওকত উল্লাহ ও মোহাম্মদ সেলিমকে আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত ১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার তিন রোহিঙ্গাকেই উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দেয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় মামলা করেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা মুহিবুল্লাহর নিজ অফিসে ৫ রাউন্ড গুলি করে। এসময় ৩ রাউন্ড গুলি তার বুকে লাগে। খবর পেয়ে এপিবিএন সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ‘এমএসএফ’ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা শুরুর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন।
ড. মোমেন বলেছেন, একটি স্বার্থানেষী মহল মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে কারণ সে তার নিজ দেশ মিয়ানমার ফিরে যেতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তের দাবি জাতিসংঘের
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
৩ বছর আগে
মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা শুরুর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন।
ড. মোমেন বলেছেন, একটি স্বার্থানেষী মহল মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে কারণ সে তার নিজ দেশ মিয়ানমার ফিরে যেতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: উখিয়ায় শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবউল্লাহর অভিযোগের ভিত্তিতে উখিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুনের এফআইআর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জুর মোর্শেদ।
বুধবার রাতে অজ্ঞাত হামলাকারীরা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, সেখানে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ১
নিহত মানবাধিকার কর্মী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে মাস্টার মুহিবুল্লাহ নামে জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি কুতুপালং ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) প্রধান ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
৩ বছর আগে
মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ১
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে শুক্রবার একজনকে আটকের কথা জানিয়েছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
আটক রোহিঙ্গা নাগরিক মো. সেলিম ওরফে লম্বা সেলিম (২৭) উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ১৪নং এপিবিএনের পুলিশ সুপার নাইমুল হক জানান, হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এপিবিএন সদস্যরা বেলা ১১ টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্প -৬ থেকে তাকে আটক করে।
পরে সেলিমকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উখিয়া থানায় মামলাটি করেন মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিব উল্লাহ।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইষ্ট-ওয়েস্ট ১নং ব্লকে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মুহিবুল্লাহ আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ এন্ড হিউম্যান রাইট সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় মামলা
রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের গভীর শোক
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা নেতা হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্তের দাবি জাতিসংঘের
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর তদন্ত দাবি করেছে জাতিসংঘ (ইউএন)।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগী মুখপাত্র স্টেফানি ট্রেমব্লে বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে এই ব্যাপারে তদন্ত করতে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
এসময় জাতিসংঘ বাংলাদেশসহ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও সহায়তার জন্য শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছাসেবী, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের আহ্বান অব্যাহত রেখেছে।জাতিসংঘ বলেছে যে তারা এই প্রচেষ্টায় দৃঢ়ভাবে তাদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের গভীর শোক
৩ বছর আগে
রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির
শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের সুষ্ঠু বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত তদন্তের দাবি করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের নেতৃত্বদানকারী মুহিবুল্লাহ (৪৬),গতকাল রাতে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে তার কার্যালয়ে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন,শীর্ষস্থানীয় রোহিঙ্গা কর্মীর হত্যাকাণ্ড বিশ্বের সমগ্র সম্প্রদায়ের মাঝে নাড়া দিয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতার মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের গভীর শোক
হাম্মাদি বলেন,আমরা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এবং জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে শরণার্থী,নাগরিক সমাজকর্মী,রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়ের মানবাধিকার কর্মীসহ শিবিরগুলোতে মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করুন,যাদের মধ্যে অনেকেই তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে সহিংসতা একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
তিনি বলেন,মাদকের কার্টেল পরিচালনাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো মানুষকে হত্যা করেছে এবং জিম্মি করেছে। আরও রক্তপাত রোধে কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মুহিবুল্লাহ ২০১৯ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
হাম্মাদি বলেন, মহিব উল্লাহ রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একজন প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন, যিনি ক্যাম্পে সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং মানবাধিকার ও শরণার্থীদের সুরক্ষার পক্ষে কথা বলেছিলেন।
তিনি মিয়ানমারের সামরিক শাসকের হাতে হত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্যও প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
৩ বছর আগে