রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনা শুরুর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন শনিবার মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন।
ড. মোমেন বলেছেন, একটি স্বার্থানেষী মহল মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে কারণ সে তার নিজ দেশ মিয়ানমার ফিরে যেতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: উখিয়ায় শীর্ষ রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা
বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
মুহিবুল্লাহর ভাই হাবিবউল্লাহর অভিযোগের ভিত্তিতে উখিয়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুনের এফআইআর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জুর মোর্শেদ।
বুধবার রাতে অজ্ঞাত হামলাকারীরা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, সেখানে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মুহিবুল্লাহ হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক ১
নিহত মানবাধিকার কর্মী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে মাস্টার মুহিবুল্লাহ নামে জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি কুতুপালং ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) প্রধান ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার দ্রুত তদন্তের দাবি অ্যামনেস্টির