জাপা
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার জাপার এমপি
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘যারা কাস্টমসে চাকরি করেন তাদের প্রত্যেকেরই ঢাকা শহরে দুই-তিনটি বাড়ি রয়েছে।’‘বন বিভাগে যারা চাকরি করেন তাদেরও দুই-তিনটি স্বর্ণের দোকান আছে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নিলে আমরা দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো।
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন,‘আর তা না হলে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে হারে দুর্নীতি করছে, আমরা কী করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন যারা অসহায়। কারণ এখানে ৯০ ভাগ মানুষ ওই দিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ মানুষ ভালো থেকে কী করবে?’
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থবিলের ওপর সংশোধনী প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনের সময় একটি হলফনামা দিতে হবে উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, এই নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সিন্দবাদের দৈত্যের মতো দেশ শাসন করছে আ.লীগ সরকার: জিএম কাদের
তিনি বলেন,‘কিন্তু চাকরিতে আসা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি প্রথমে হলফনামা দেন, তারপর পাঁচ-দশ বছর হলফনামা দেন এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হয়, তাহলে দুর্নীতির চাবিকাঠি বন্ধ হয়ে যাবে। অন্যথায় এটা বন্ধ হবে না।’
তিনি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলেই ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম যেমন লেখা আছে তেমনি প্রধানমন্ত্রীর নামও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তিনি বলেন, 'ব্যবস্থা নিলে দুর্নীতি বন্ধ হবে। সংসদ সদস্যদের রেকর্ড থাকায় সব সরকারি কর্মকর্তার রেকর্ড তৈরি করলে দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব বলে মনে হয়।’
কুড়িগ্রাম-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হামিদুল হক খন্দকার বলেন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সরকারের দ্বৈত নীতি।
তিনি বলেন, 'একদিকে আপনি বলবেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স, অন্যদিকে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন। এটা কি সম্ভব? যারা বৈধ আয় উপার্জন করেন তাদের ৩০ শতাংশ কর দিতে হবে, আর যারা কালো টাকা হোয়াইটওয়াশ করবেন তাদের ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এতে স্বার্থ কার? এটা কোনো নৈতিকতার মধ্যে পড়ে বলে মনে হয় না।’
আরও পড়ুন: সংকট মোকাবিলায় অর্থনীতির দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করুন: জিএম কাদের
৪ মাস আগে
জাপার জাতীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের মধ্যেই দলের জাতীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। এর আগেই তিনি নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
রবিবার গুলশানে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, দল এখন যে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ
রওশন বলেন, একটি রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র চর্চার প্রধান ক্ষেত্র হচ্ছে দলের নিয়মিত জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান করা।
তিনি বলেন, ‘দলের কাউন্সিল আয়োজনের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। দলের নেতা-কর্মীদের দাবি অনুযায়ী আগামী মার্চে জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল করার ঘোষণা দিচ্ছি।’
কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন করতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন রওশন এরশাদ। এতে আহ্বায়ক হিসেবে কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে সহআহ্বায়ক, গোলাম সারোয়ার মিলনকে যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সফিকুল ইসলাম সেন্টুকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টিতে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন নিয়ে নতুন ভাঙন দেখা দেয়। গত সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন রওশন। তবে এবার তার দেবর ও দলের প্রধান জিএম কাদেরের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। দলটি রওশনের অনুগত কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেয়নি বলেও জানা গেছে।
এ অবস্থায় রওশন একটি সফল কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির শক্তি ফিরিয়ে আনার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে রওশনকে সমর্থন দেওয়ায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রওশন এরশাদের
রওশনের কাউন্সিল করার ঘোষণার পরপরই জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাবলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
এর আগে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়সহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে দল থেকে সরিয়ে দেন জিএম কাদের।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন এবং দলের প্রধান ও মহাসচিবকে দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
সম্প্রতি গুলশানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করা দলের নেতাদের একাংশের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় রওশন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'চলমান সংকট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দলের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি দলের গঠনতন্ত্রের ২০-১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ইসির তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন রওশন এরশাদ
৮ মাস আগে
ভোটারদের টাকা বিতরণকালে জাপার ২ নেতা-কর্মী আটক
বগুড়ায় ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণের সময় স্থানীয় জনগণ জাতীয় পার্টির দুই নেতা-কর্মীকে আটক করেছে।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করেছেন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল দিকে শহরের উত্তর চেলোপাড়া এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে সাড়ে ১৯ লাখ টাকার চোরাই মোবাইল জব্দ, আটক ২
আটক ব্যক্তিরা হলেন- জাতীয় পার্টি বগুড়া শহর শাখা সভাপতি আবু তাহের এবং দলের কর্মী দেবেক।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে উত্তর চেলোপাড়া লায়ন কমিউনিটি সেন্টারে নারীদের প্রবেশ করতে দেখেন। এতে এলাকাবাসীর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হলে স্থানীয় একদল যুবক ওই কমিউনিটি সেন্টারের সামনে যান।
তারা সেখানে যাওয়া সমবেত নারীদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, এনজিও থেকে তাদের ডাকা হয়েছে। পরে ওই যুবকরা কমিউনিটি সেন্টারের ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, কয়েকজন ব্যক্তি আগত নারীদের টাকা দিচ্ছেন।
এ অভিযোগ পাবার পর জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনকে জানান। পরে নির্বাচন অফিসে বিষয়টি জানানো হলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ চন্দ্র সরকার সরকারের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে পৌঁছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ত্রিমুখী সংঘর্ষে বাবা-ছেলের মৃত্যু
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান অলিউল্লাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুইজন ব্যক্তিকে থানায় দিয়ে গেছেন। তাদের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ চলমান।
বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, শহরের চেলোপাড়া এলাকায় স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর পক্ষে টাকা বিতরণের অভিযোগে স্থানীয়রা দুইজনকে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আটকে রাখে। আমরা তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় পাঠিয়ে দিই। তবে আটককালে তাদের কাছে কোনো টাকা পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) সৈয়দ কবির আহাম্মেদ মিঠু আটক দুই ব্যক্তিকে চেনেন না দাবি করে বলেন, তারা প্রতারক। তাদের শাস্তি দাবি করছি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৫৭ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, গ্রেপ্তার ১
এদিকে শনিবার দুপুরে বগুড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কবির আহমেদ বলেছেন, আমার ফেসবুক আইডিকে বা কারা হ্যাক করে আমি নির্বাচন থেকে সরে গেছি বলে যে প্রচার চালানো হয়েছে তা সঠিক নয়।
আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে একটি চক্র একাজ করেছে। আমি নির্বাচনে আছি এবং থাকব।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, ট্রাকচালক আটক
১০ মাস আগে
সিলেট-৫ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপার প্রার্থী সাব্বির
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ না থাকায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট-৫ আসনের জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী সাব্বির আহমদ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকালে সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের এ ঘোষণা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভারত সীমান্তে যুবকের লাশ উদ্ধার
সাব্বির আহমদ বলেন, সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিলেটে এসেও একই কথা বলেছিলেন। কিন্তু আমরা মাঠে সেরকম কোনো পরিবেশ পাচ্ছি না। তাই নির্বাচন করা খুবই কঠিন।
তিনি আরও বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিলেট সার্কিট হাউজে সব প্রার্থীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেসময় আমরা বিভিন্ন অভিযোগ দিয়েছি। তিনি বিষয়টি নোট করেছেন। এ অভিযোগ দেওয়ার পর নির্বাচনের পরিবেশ আরও খারাপ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন করার কোনো পরিবেশ নেই। তাই নির্বাচন বর্জন করেছি।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
সাব্বির আহমদ বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি বলেছেন তোমার এলাকার পরিবেশ তুমি বোঝ। যদি সেরকম পরিবেশ না থাকে তাহলে বর্জন কর।
সাব্বির আহমদ নির্বাচন বর্জন করায় সিলেট-৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী (কেটলি), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ আল কবির (ট্রাক্টর), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কুতুব উদ্দীন আহমদ শিকদার (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. বদরুল আলম (ডাব), বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) মো. খায়রুল ইসলাম (হাতপাঞ্জা)।
আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
১০ মাস আগে
জাপা কোনো ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন করছে না: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা থাকতে হয়, তা না হলে ভালো নির্বাচন হয় না। তবে এটার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আমাদের হাতে ছিল না।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখন কোনো দোটানার মধ্যে নেই। আশা ও আগ্রহ নিয়ে নির্বাচনে এসেছি। আমরা আশাবাদী হতে চাই। আমাদের একটা ধারণা, আর যাই হোক আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর কোনো ঝুঁকি নেই।
কাজেই আমাদের, জনগণকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবেন। এখন জনগণ অংশগ্রহণ করবে কি না সেটা তাদের বিষয়।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত নির্বাচনী কর্মী সভায় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য তিনি দুই দিনের সফরে রংপুরে এসেছেন।
জিএম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি রাজনীতি টিকিয়ে রাখার জন্য নির্বাচনে এসেছে। ভবিষ্যতে আমরা যদি মনে করি সেটা কার্যকর হচ্ছে না, আওয়ামী লীগ এবং নির্বাচন কমিশন তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করছে না, তখন আমরা আমাদের পার্টির ফোরামে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানো ঝুঁকি এই মুহূর্তে নেই। কাজেই আমরা মনে করছি নির্বাচনটা ভালো করার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। নির্বাচনে যাওয়ার শর্ত এবং সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী ও দলের অনৈক্য দূর করার জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় থাকা জাতীয় পার্টির জন্য লাভজনক। তবে আমাদের অপশনও আছে, যদি দেখি আমাদের শর্ত মতে কার্যক্রম হচ্ছে না, তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তা করব।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার জিএম কাদেরের
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় পার্টির প্রত্যাশা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমাদের ডিমান্ড হলো প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। পেশীশক্তি এবং অর্থের ব্যবহার ও প্রভাব থেকে নির্বাচনকে মুক্ত রাখতে হবে। নির্বাচন বিধিমালা মেনে চলতে হবে। এটা যদি তারা মেনে না চলেন তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
জিএম কাদের বলেন, আমরা পার্লামেন্টে থাকার জন্য নির্বাচন করছি। আমরা কোনো ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচন করছি না। এটা কোনো মহাজোট হচ্ছে না। বিভিন্ন দলের ধারণা তৈরি হয়েছে আমরা জোট করেছি। আমাদের ক্যান্ডিডেটরাও অনেকেই ভুল করছেন। এটা ইলেকশন কমিশনের দেখা উচিত ছিল। আমরা আগে মহাজোটে ছিলাম কিন্তু এখন আর নেই। এই নির্বাচন মহাজোটের নির্বাচন হচ্ছে না। আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে সেই ধরনের কোনো চুক্তিও করিনি।
পার্টির মহাসচিবের নির্বাচনী পোস্টারে ‘জাতীয় পার্টি মনোনীত ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত’ লেখা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি এটা চুন্নু করেনি। তার একজন ভক্ত ওই পোস্টার ছাপিয়েছে। যিনি ছাপিয়েছেন তিনি চুন্নুর ভক্ত এবং আওয়ামী লীগ করে। চুন্নু সাহেব ওই পোস্টার সরিয়ে নেওয়ার জন্য তার ভক্তকে অনুরোধও করেছেন। আমাদের অনেক প্রার্থী এমন ভুল করেছেন।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে ‘হত্যার হুমকি’, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ!
১০ মাস আগে
খুলনায় নির্বাচনী প্রচারে নামেনি ৬ জাপা প্রার্থী
ক্ষোভ ও হতাশায় খুলনার ছয়টি আসনে এখনও নির্বাচনী প্রচারে নামেননি জাতীয় পার্টির (জাপা) ছয় প্রার্থী।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে এখনই সরে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তাদের তিনজন। বাকি তিনজন আরও দু-তিনদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পক্ষে মত দিয়েছেন।
তবে দলের জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোর অধিকাংশ নেতাই মতবিনিময় সভায় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে সভা করেন দলের নেতা-কর্মীরা।
এতে দলের ছয় প্রার্থী, মহানগর, জেলা, থানা, উপজেলা ও ওয়ার্ড কমিটি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অধিকাংশ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নন।
নেতা-কর্মীরা জানান, মূলত খুলনার একটি আসনেও আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছাড় না দেওয়ায় নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
তাদের ধারণা ছিল, খুলনা-৬ আসনটি আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেবে, কিন্তু তা হয়নি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী মো. শাহীদ আলম ও খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু নির্বাচন থেকে এখনই সরে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।
তবে বাকি তিন প্রার্থী দলের নেতাদের মনোভাবের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে মত দেন।
খুলনা-৪ আসনের প্রার্থী মো. ফরহাদ আহমেদ বলেন, বেশিরভাগ নেতা তাদের বক্তৃতায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। সভায় দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকায় গিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিষয়টি জানানো হবে। সেখান থেকে সন্তোষজনক সমাধান না পেলে তারা ছয় প্রার্থী খুলনায় ফিরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জন করতে পারেন।
খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আসন ভাগাভাগি নিয়েই মূলত নেতা-কর্মীর মাঝে ক্ষোভ। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। ওই আসনগুলোর বাইরে আমরা যাতে ভোট না পাই সেই ধরনের একটা কাজ হয়ে গেছে। এখন তো মানুষ আমাদের দালাল বলছে। আমরা ভোটারদের কাছে গিয়ে কী বলব?
খুলনা-২ আসনের প্রার্থী মো. গাউসুল আজম বলেন, দলের নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করায় আমরা এখনও প্রচার শুরু করিনি।
খুলনা-১ আসনের প্রার্থী কাজী হাসানুর রশীদ বলেন, কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এখনও নির্বাচনী প্রচারে নামিনি। আমরা ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী মো. শাহীদ আলম বলেন, খুলনায় জাতীয় পার্টিকে একটি আসনেও ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ। সে কারণে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সভায় দলের নেতারা আমাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার জন্য বলেছেন।
খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেব, প্রচারে নামব নাকি নির্বাচন থেকে সরে যাব।
আরও পড়ুন: রংপুর-৩ আসনে জাপার মনোনয়ন ফরম নিলেন জিএম কাদের
আসন বণ্টনের বিষয় আসেনি: জাপার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের
১০ মাস আগে
জাতীয় পার্টি ও শরিকদের সঙ্গে ৩২টি আসন ভাগাভাগি আওয়ামী লীগের
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি (জাপা) এবং ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে মোট ৩২টি আসন ভাগাভাগি করেছে।
৩২টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬টি আসন জাপার জন্য এবং বাকি ছয়টি আসন ১৪ দলীয় জোটের তিনটি শরিকদের জন্য ছেড়ে দিয়েছে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) নগরীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া এসব কথা জানান।
৩২টি আসনে তার দলের প্রার্থী প্রত্যাহারের বিষয়টি ইসিকে জানাতে এসেছিলেন বিপ্লব।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে তিনটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে দুটি এবং জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) সঙ্গে একটি আসন ভাগাভাগি করছে আওয়ামী লীগ।
রবিবার আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন থেকে তাদের প্রার্থী তুলে নেয় এবং দলটি এর আগে ৩২টি আসনের মধ্যে দুটি আসনে প্রার্থী দেয়নি।
জাপার জন্য ছেড়ে দেওয়া ২৬টি আসন হলো ঠাকুরগাঁও- ৩, নীলফামারী- ৩ ও ৪, রংপুর- ১ ও ৩, কুড়িগ্রাম- ১ ও ২, গাইবান্ধা- ১ ও ২, বগুড়া- ২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী- ১, বরিশাল- ৩, পিরোজপুর- ৩, ময়মনসিংহ- ৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ- ৩, মানিকগঞ্জ- ১, ঢাকা- ১৮, হবিগঞ্জ- ১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২, ফেনী- ৩, চট্টগ্রাম- ৫ ও ৮ এবং নারায়ণগঞ্জ- ৫।
আরও পড়ুন: ইসির আপিল শুনানি শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৭৫ প্রার্থী
১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করা ছয়টি আসন হলো বগুড়া-৪, রাজশাহী-২, কুষ্টিয়া-২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪।
২৬টি আসনে জাপা প্রার্থীরা হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ আসনে রানা মোহাম্মদ সোহেল, নীলফামারী-৪ আসনে আহসান আদেলুর রহমান, রংপুর-১ আসনে হোসেন মুকবুল শাহরিয়ার, রংপুর-৩ আসনে গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের), কুড়িগ্রাম-১ আসনে একেএম মুস্তাফিজুর রহমান, কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ, গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গাইবান্ধা-১ আসনে আবদুর রশিদ সরকার, বগুড়া-২ আসনে শরীফুল ইসলাম জেন্নাহ, বগুড়া-৩ আসনে মো. নুরুল ইসলাম তালকুদার, সাতক্ষীরা-২ আসনে মো. আশরাফুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ আসনে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল-৩ আসনে গোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-৩ আসনে মো. মাশরেকুল আজম রবি, ময়মনসিংহ-৫ আসনে সালাহ উদ্দিন আহমেদ (মুক্তি), ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মো. মুজিবুল হক (চুন্নু), মানিকগঞ্জ-১ আসনে জহিরুল আলম রুবেল, ঢাকা-১ আসনে শরিফা কাদের, হবিগঞ্জ-১ আসনে মো. আবদুল মোনেম চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মো. আবদুল হামিদ, ফেনী-৩ আসনে মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ আসনে মো. সোলায়মান আলম শেঠ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে সেলিম ওসমান।
জাসদের তিন প্রার্থী হলেন- বগুড়া-৪ আসনে একেএম রেজাউল করিম তানসেন, কুষ্টিয়া-২ আসনে হাসানুল হক ইনু ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন।
এছাড়া, বরিশাল-২ আসনে রাশেদ খান মেনন ও রাজশাহী-২ আসনে ফজলে হোসেন বাদশা এবং পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির (জেপি-মঞ্জু) প্রতিদ্বন্দ্বী আনোয়ার হোসেন (মঞ্জু)।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার জিএম কাদেরের
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
১০ মাস আগে
জাতীয় পার্টি আগামী নির্বাচনে ২৮৩ জন প্রার্থী দেবে: চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বলেছেন, নির্বাচনকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও অর্থবহ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তার দল ২৮৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সব বাধা অতিক্রম করে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। কোনো চাপ নেই। চাপ থাকলে অন্য দলগুলোও যোগ দিত। আমরা একটি একক দল এবং আমরা আমাদের নিজস্ব রোডম্যাপ তৈরি করেছি।’
নির্বাচনের পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সহায়তা করছে এবং তারা এ বিষয়ে আশ্বস্ত।
তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আলোচনা চলছে এবং নির্বাচনকে অর্থবহ করতে তা অব্যাহত থাকবে।’
দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পক্ষ থেকে তিনি জাপা প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান এবং জনগণ গণতন্ত্র রক্ষা ও সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কাজ করবে বলে তারা আশাবাদী।
চুন্নু বলেন, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে ২৮৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী জাপা প্রার্থীদের চিঠি দিচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার জিএম কাদেরের
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা সর্বাধিক সংখ্যক আসন জিততে পারি তবে আমরা খুশি হব। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। কিছু ক্ষেত্রে কিছু কৌশল থাকবে। এখন শেয়ার করতে চাই না। আমি আমার দলের কৌশল শেয়ার করব না।’
মঙ্গলবার চুন্নু বলেন, তারা আগামী ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে এগিয়ে এসেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে পারি, জাপা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছে। জাপা এখানে থেমে যেতে আসেনি।
এর আগে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী দলীয় নেতা ও জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।
এসময় রওশনের ছেলে রাহগীর আল মাহি (সাদ) এরশাদ ও তার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ তার সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে ‘হত্যার হুমকি’, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ!
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কে এম শাখাওয়াত মুন বলেন, বৈঠকে দুই নেতার মধ্যে আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনে অংশ নেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জাপা নেতা রওশন বলেন, বর্তমান নির্বাচনী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তাকে বাদ দিয়ে জাপার যোগদানের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু বলেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন সময় নেই, আর কী বলব?
রওশন বলেন, জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি এবং তিনি তার ছেলের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এমনকি তিনি তার (সাদ) কথা মনে পর্যন্ত করেননি।
তিনি বলেন, তারা (জাপা চেয়ারম্যান) ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের বাদ দিয়েছেন। ‘আমি কেন তাদের সমর্থন করব?’
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রওশনের
১০ মাস আগে
জিএম কাদেরকে ‘হত্যার হুমকি’, নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ!
হত্যার হুমকি সম্বলিত বার্তা পাওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান নিশ্চিত করেছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ওই থানায় জাপা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে কাদেরের পক্ষে জিডি করেন।
জিডি অনুসারে, জিএম কাদের বৃহস্পতিবার ভোরে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছ থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পান। যাতে ওই ব্যক্তি তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়েও স্পষ্টতই সতর্ক করেছেন ওই ব্যক্তি।
ওসি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের সঙ্গে নির্বাচনী জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ রওশনের
বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
১০ মাস আগে
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২৮৯টি আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ (জিএম) কাদের।
গত ২০ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে জাপা।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি তার কথা রাখবে: জাপা
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
১১ মাস আগে