গণপরিবহন
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ জরুরি বলে জানিয়েছেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানায় সংগঠনটি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক হাসিনা বেগম, ড. কামরান উল বাসেত, আব্দুল্লাহ মো. ফেরদৌস খান ও নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এই বিবৃতি দেন।
এতে বলা হয়, রাজধানীর গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলাজনিত সমস্যাটি আসলে রাজনৈতিক। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু দাবি করে, তাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, তাই রোড সেফটি ফাউন্ডেশন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও যানজট নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে সহজ এবং টেকসই সমাধান ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিশেন অথরিটির (ডিটিসিএ) অধীনে রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে কোম্পানিভিত্তিক গণপরিবহন পরিচালনা করা।
পুরাতন বাস প্রত্যাহার করে রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ হাজার আধুনিক নতুন বাস পরিচালনা করলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রাইভেটগাড়ি ব্যবহারকারীরা বাসে চলাচল করবেন। এতে প্রাইভেটগাড়ি নিরুৎসাহিত হবে। রাজধানীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসবে। একইসঙ্গে মোটরসাইকেলও হ্রাস পাবে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
বিবৃতিতে বলা হয়, আসলে রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে বাস সার্ভিস পরিচালনা ছাড়া গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও যানজট নিয়ন্ত্রণের সহজ কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য সরকারের নিজস্ব বাস থাকার সঙ্গে নগরের পরিবহন ব্যবস্থা সবসময় তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকতে হবে। যানজট নিয়ন্ত্রিত হলে কর্মঘণ্টা বাঁচবে, জ্বালানি সাশ্রয় হবে, আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আসবে এবং মানুষের মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা কমবে।
সবকিছু মিলে একটি স্বস্তির পরিবেশ গড়ে উঠবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিশেন অথরিটির (ডিটিসিএ) রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে বাস সার্ভিস পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও পরিবহন সংশ্লিষ্ট কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বিআরটিএ ও ডিটিসিএর পাশে দাঁড়িয়ে উদ্যোগটি সফল করা। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারি উদ্যোগে সমর্থন জানালে স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা ব্যর্থ হবে।
১৭ দিন আগে
রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট চরমে, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট, যা ধারণ করেছে তীব্র আকার। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আবদুল্লাহপুর, কুড়িল, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, কাকরাইল এবং পল্টন এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন অপেক্ষমান শত শত যাত্রী, অথচ দেখা নেই বাসের। যে দু-চারটি বাস যাচ্ছে তারও গেট লাগানো এবং যাত্রীতে ঠাসা, ওঠার নেই কোনো উপায়।
সরেজমিনে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দেখা যায়, সড়কে বাস না চললেও রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এবং রামপুরা ব্রিজের শেষ প্রান্তে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে আছে। কেন তারা রাস্তায় নামেনি জানতে চাইলে ভিক্টর বাসের হেলপার সুমন বলেন, নতুন নিয়মানুযায়ী বাস গোলাপি রঙ করতে অনেক বাসই নামেনি রাস্তায়। আর ই-টিকেটিং চালু হলে ড্রাইভার-হেলপার ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই বাকিরাও বাস নিয়ে রাস্তায় নামেনি।
গত সপ্তাহে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুর রুটে রাজধানীতে চলাচল করা বাস গোলাপি রঙ করে ই-টিকেটিং এর আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: নওগাঁ থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
প্রাথমিকভাবে ২১ কোম্পানির ২ হাজার ৬১০ বাস গোলাপি রঙের ই-টিকেটিংয়ের আওতাভুক্ত করা হলেও আগামীতে এ সংখ্যা এবং রুটের পরিধি আরও বাড়বে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
রঙ করার এ কার্যক্রমে দুই দিন ধরে আব্দুল্লাহপুরের এই রুটে রীতিমতো বাস সংকট দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি ট্রাফিক কার্যক্রম জোরদার করায় অনেকেই মামলার ভয়ে বাস নিয়ে বের হচ্ছেন না। অনেক ড্রাইভার-হেলপার দাবি করছেন ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
অনাবিল বাসের চালক আলমগীর বলেন, ‘জায়গায় জায়গায় সার্জেন্ট আর চেকপোস্ট। রাস্তায় নামলেই শিওর মামলা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাস নিয়ে নামা যাবে তখন।’
এদিকে বাসের সংখ্যা কম থাকায় রাস্তায় বেড়েছে রিকশা আর বাইকের চলাচল। একদিকে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে বেপরোয়া বাইক- সব মিলিয়ে এই রুটে একটু পর পর সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট।
মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে বের হয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, প্রায় আধাঘণ্টার ওপর দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি তিনি। রিকশা ভাড়া আকাশচুম্বী। সব মিলিয়ে হঠাৎ করেই রাস্তায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে পুরানা পল্টন যাবেন ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান। রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত হেঁটে এসে ভিড় ঠেলে কোনো রকমে রমজান বসে উঠেছেন। ভেবেছেন, কাকরাইল নেমে সেখান থেকে আবার হেঁটে পুরানা পল্টন যাবেন। কিন্তু ভয়াবহ যানজটের কারণে বাসটিকে চলতে হচ্ছে ঢিমেতালে। পরে মালিবাগ-মৌচাক নেমে আবার হাঁটা শুরু করেন তিনি।
সড়কে দুর্দশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রাস্তায় নেমে জানতে পারি ভিক্টর পরিবহনসহ কয়েকটি বাস চলছে না। যে কারণে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন। কিন্তু গাড়ি উঠেও দেখা যাচ্ছে সেটা চলছে না। এতে উভয়সংকটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
এদিকে বাস সংকটের মধ্যেই রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুনর্বাসন এবং আর্থিক সাহায্যের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন দুবাই ফেরত প্রবাসীরা। এতে করে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, বাংলামোটর, কাকরাইল এবং কাওরানবাজার এলাকাতেও বড় রকমের যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কে যানজট এবং বাসের সংখ্যা কেন কম সে ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেনি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিক বিভাগের উত্তরা জোনের সহকারী ডেপুটি কমিশনার (এডিসি) ফজলুল করিম বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আমরাও বাসের সংখ্যা কম পেয়েছে। কিন্তু কী কারণে রাস্তায় বাস কম সে ব্যাপারে এখনো পরিষ্কার জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, অনেক বাস গোলাপি রঙের ই-টিকেটিং এর আওতায় আসতে চাওয়ায় রঙ করতে দেয়া হয়েছে। এতে করে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বাস নেমেছে রাস্তায়।
বাড্ডা ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার শারমিন আক্তার বলেন, গোলাপি রঙের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে অনেক বাসের হেলপার এবং ড্রাইভার ধর্মঘট করেছে। তাই তারা বাস নিয়ে রাস্তায় নামেনি। এতে করেও গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে শুরু কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার দাবিতে রাজধানীর সায়দাবাদ এবং যাত্রাবাড়ি এলাকায় দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে বাস ড্রাইভার-হেলপাররা। এতে করে এসব এলাকার যান চলাচল এক রকমের বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, 'আমরা সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজধানীর সড়কে কোনো ভাঙাচূড়া আনফিট গাড়ি চলবে না। ধীরে ধীরে সব গাড়ি ই-টিকেটিং এর আওতায় আনা হবে। এর প্রতিবাদে তুরাগ এবং বলাকা বাসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।'
ই-টিকেটিং এর ডিভাইস সংক্রান্ত কাজের কারণে অনেক বাস সড়কে নামেনি। এছাড়া অনেকে বুঝে না বুঝে এ ব্যবস্থার বিরোধীতা করছে। যারা সড়কে বাস না নামিয়ে উল্টা রাস্তা অবরোধ করছে তাদেরকে কেউ খারাপ উদ্দেশ্য হাসিলে ইন্ধন দিচ্ছে বলে দাবি করেন সাইফুল।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ক্ষোভ জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এটা নতুন কিছু না। কোনো সিদ্ধান্ত বাস মালিকদের মন মতো না হলে তারা যাত্রী জিম্মির হাতিয়ার ব্যবহার করে। অন্যদিকে সরকার সিদ্ধান্ত দেয় ঠিকই কিন্তু মনিটরিং করে না। এতে করে সড়কে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। সরকারের উচিত মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।
দ্রুত সমস্যা সমাধান করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আনফিট গাড়ি, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, বাড়তি ভাড়া রাখা বন্ধ করতে সরকারের শক্তিশালী মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
৩১ দিন আগে
পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবহার বাড়াতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী সোমবার পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেলে চড়ে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিদর্শনে যান।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে নেমে পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে যান।
মেট্রোরেলে ভ্রমণকালে পরিবেশমন্ত্রী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবহারের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ওসমানী উদ্যানে বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করলেন পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে জনসাধারণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন মালিকরা পরিবেশবান্ধব পরিবহন পরিচালনা করলে এবং জনসাধারণ পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহার করলে বায়ুদূষণ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তার সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জনগণকে ঝামেলামুক্ত সেবা প্রদানের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, সব ধরনের দুর্নীতিমুক্ত থেকে আইন, বিধি-বিধান মোতাবেক সরকারি কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিপূর্ণভাবে জনগণের সেবা করব: পরিবেশমন্ত্রী
ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
৪১৬ দিন আগে
গণপরিবহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশ হয়: টিআইবি
রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন বা আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানোর অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
ট্রেনে দেওয়া আগুনে তিন বছরের শিশুসহ চারজনকে হত্যা, গণপরিবহনে আগুন, রেললাইন কাটা ইত্যাদি ধ্বংসাত্মক ঘটনা থেকে বের হয়ে আসার জন্য রাজনৈতিক মহলকে আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ট্রেনের একটি বগি থেকে মা, শিশুসন্তানসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বিষয় হিসেবে দেখার সুযোগ নেই উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মানুষ পুড়িয়ে কীসের রাজনীতি? ক্ষমতা কি মানুষের জীবনের থেকে বেশি মূল্যবান? লাশ নিয়ে রাজনীতির অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত: টিআইবি জরিপ
বলপ্রয়োগ ও সহিংসতাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলের মূল উদ্দেশ্য যে প্রক্রিয়ায় জনকল্যাণ থেকে সরে ক্ষমতায় স্থির হয়, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায়ই রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা প্রকটতর হতে থাকে। মানবতাকে জিম্মি করে, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের লাশকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা বা দলীয় এজেন্ডা হাসিলের জন্য ব্যবহারের ঘটনাই সময়ের পরিক্রমায় আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বিবাদমান দুই রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের সব মহলের কাছে আমাদের দাবি, নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ গরম আর মাঠ দখলের নামে সব প্রকার বলপ্রয়োগসহ মানুষের জীবননাশের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসুন। অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশের পথ থেকে সরে আসুন।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টিআইবির চিঠি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের মাঝে এসব ধারাবাহিক নৃশংসতার দায় আন্দোলনরত দলগুলো এড়াতে পারে না। আবার, এর পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ মিথ্যা হলে, তা প্রমাণের দায়িত্ব সরকারের ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের। আমরা সত্যিকারের অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নৃশংসতার সুযোগসন্ধানী রাজনীতি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি আদায়ের পথ হতে পারে না।
অন্যদিকে, সহিংসতা প্রতিরোধের নামে বলপ্রয়োগ, সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা হবে, ঢালাও ধরপাকড় হবে, বিনা বিচারে মানুষ জেল খাটবে, তা-ও কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে মনে করে টিআইবি।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
৪৫০ দিন আগে
৩ দিনে ১১টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
৩০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১টি গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, অগ্নিসংযোগের শিকার যানবাহনসমূহের মধ্যে ঢাকায় চারটি, গাজীপুরে পাঁচটি এবং সিলেট ও দিনাজপুর জেলায় একটি করে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তিনটি কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি বাস ও তিনটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা বলেন, এই সময়ের মধ্যে ১৯টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিটের মোট ৯৬ জন সদস্য আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ ও হরতাল চলাকালে এ পর্যন্ত ২৪৪টি যানবাহন ও প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ ঘণ্টায় ১১ অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে ১২টি যানবাহন: ফায়ার সার্ভিস
ঢাকার মধ্যে মিরপুরে অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
নারায়ণগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
৪৬৬ দিন আগে
গণপরিবহনের ১৪০ চালককে প্রশিক্ষণ দিল আহছানিয়া মিশন
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির(বিআরটিএ) উদ্যোগে গণপরিবহনের ১৪০ জন চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধিত-২০১৩) বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জোয়ার সাহারা বিআরটিসি বাস ডিপোতে আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
‘পেশাজীবী গাড়ি চালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ’ শিরোনামে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যের ক্ষতিবিষয়ক তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমান ইমন।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
এসময় ধুমপানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কুফল, স্বাস্থ্যঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে গণপরিবহন চালকদের (বাস, সিএনজি, লেগুনা, টেম্পু) জানানো হয়। চালক ও চালকের সহকারীদের ধূমপানের ফলে গণপরিবহনে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হন যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা।
এ ছাড়া জনবহুল জায়গা- যেমন বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, নৌবন্দর, সরকারি বিভিন্ন অফিসসহ উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেসব স্থানে ধূমপানকারীদের কারণে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন অনেক শিশু-নারীসহ সব অধূমপায়ীরা।
গণপরিবহন শতভাগ তামাকমুক্ত রাখা ও আইনের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও বিআরটিএ’র যৌথ উদ্যোগে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ৩০ দালাল আটক
৪৯৮ দিন আগে
যাত্রী দুর্ভোগ ও সেবা না বাড়িয়ে ভাড়া বৃদ্ধি অগ্রহণযোগ্য: ক্যাব চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপদ ও সহজ গণপরিবহন হলেও বিগত সরকারগুলোর রেলওয়ের উন্নয়নে মনোযোগ না থাকায় রেলপথ যেভাবে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ হবার দরকার ছিলো তা হয়নি বলে দাবি করেছে ক্যাব চট্টগ্রাম।
অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ যাত্রীর চাহিদা থাকা সত্বেও টিকেট না পাওয়া, মন্ত্রণালয়ের লোকজন যাত্রী/ভোক্তাদের ভোগান্তি, হয়রানি ও অনিয়মের কথা শুনার সময় পাচ্ছে না।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোভিড শয্যা বাড়ানোর দাবি ক্যাবের
এতে সংগঠনটি আরও দাবি করেছে যে মান্দাতার আমলের গ্রাহক অভিযোগ পদ্ধতি, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রগুলোর দুরাবস্থা, অকার্যকর, টিকেট কালোবাজারীদের সঙ্গে রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আতাঁতের কারণে যাত্রী হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না।
ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয় যে সাধারণ জনগণ যখন নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরমভাবে জর্জরিত। এমতাবস্থায় রেলওয়ের সেবা না বাড়িয়ে ও ভোগান্তি নিরসন না করে ট্রেনের টিকিটের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত ভাড়ার হার কার্যকর হয়েছে ২৫ জানুয়ারি থেকে। এতে শোভন চেয়ার শ্রেণির ৩৮০ টাকার ভাড়া নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০৫ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোচে আসন প্রতি ভাড়া ৭০ টাকা বাড়িয়ে ৬৩০ টাকার ভাড়া হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতারা।
২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ইং গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সই করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, রেলপথ যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলেও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, যাত্রীর স্বার্থ রক্ষায় চরম অবহেলা, অনীহা, রেল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি অব্যাহত রাখার জন্য রেল বিভাগ যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে আন্তরিক নয়।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
যার কারণে রেলের ভাড়া দ্বিগুন করা হলেও সেবার মান বাড়েনি।
আর রেল ব্যবস্থাপনায় ভোক্তাদের কোন অংশগ্রহণ গুরুত্বই পায়নি। অভিযোগ প্রতিকারে ঢাবি’র শিক্ষার্থীদের লাগাতর ধর্মঘট ডাকলেও পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন হয়নি। এমনকি মান্দাতার আমলের সেই কোটা পদ্ধতি, টিকেট বিক্রয়ে সিন্ডিকেট প্রথা অব্যাহত আছে। যার কারণে রেলের টিকেট যাত্রীদের জন্য সোনার হরিণ হলেও কালোবাজারীদের কাছে অতি সহজলভ্য হয়ে আছে।
অনলাইনে টিকেট ছাড়ার পর সবগুলো বিক্রি দেখালেও ট্রেন ছাড়ার পর অনেক সীট খালি থাকে এবং লোকসানের সব দায়ভার রেলওয়ের ঘারে চাপে।
নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের সদিচ্ছার কারণে রেলপথ মন্ত্রণালয় পৃথক মন্ত্রী পেলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত হয়নি।
তাই অবিলম্বে রেলপথে যাত্রী হয়রানি, ভোগান্তি ও অনিয়ম রোধে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ডিজিটাল গ্রাহক সেবা কেন্দ্র (প্রয়োজনে প্রতিকার না পেলে ডিজি, মন্ত্রী, সচিবকে অবহিত করা যায় এমন ব্যবস্থা), বর্তমান টিকেট বিক্রয় ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন ও ঢেলে সাজানো, কোটাপদ্ধতি বাতিল, যাত্রীদের জন্য টিকেটপ্রাপ্তি সহজলভ্য করা, যাত্রীসেবার অনিয়ম রোধে রেলে তাৎক্ষণিক গ্রাহক সেবা কেন্দ্র/হেলপ লাইন চালু, সিদ্ধান্ত প্রদানে সক্ষম ও যোগ্য প্রতিনিধিকে রেলস্টেশনে অবস্থান নিশ্চিত করে সপ্তাহে অন্তত একদিন গণশুনানির আয়োজন করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রেলপথের সেবা ও ব্যবস্থাপনায় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভোক্তা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ইফতার বিতরণের পরিবর্তে অর্থ প্রদানের আহ্বান ক্যাবের
৭৭৫ দিন আগে
রাজধানীতে গণপরিবহন সংকটে অফিসগামীদের ভোগান্তি
রাজধানীতে বিএনপির শেষ বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে শনিবার সকালে ঢাকার সড়কে গণপরিবহন স্বল্পতায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় অফিসগামীদের।
সকাল থেকে সড়কে কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দেখা গেছে।
রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি দশম বিভাগীয় সমাবেশ করছে এবং সমাবেশস্থলে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন।
কোনো পরিবহন ধর্মঘট ডাকা না হলেও মালিকরা তাদের যানবাহন সড়কে নামাননি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গণপরিবহন সংকট; ভোগান্তিতে যাত্রীরা
৮২৪ দিন আগে
ঢাকায় গণপরিবহন সংকট; ভোগান্তিতে যাত্রীরা
পুলিশ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে বুধবারের সংঘর্ষের পর উত্তেজনা ও সহিংসতার আশঙ্কার কারণে বৃহস্পতিবার ঢাকায় গণপরিবহনের চলাচল তুলনামূলকভাবে কম ছিল। এর ফলে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গণপরিবহন না থাকায় দীর্ঘক্ষণ সড়কে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
বেসরকারি পরিবহন সংস্থা ‘আলিফ পরিবহন’-এর অপারেশন ম্যানেজার মো. আশরাফ ইউএনবিকে বলেন, প্রতিদিন এজেন্সির প্রায় ২৫০টি বাস রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলাচল করলেও, আজ সকাল থেকে এ সংখ্যা ছিল ১৩০-১৩৫টি।
সাধারণ দিনের তুলনায় সড়কে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের সংখ্যাও কম ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো জরুরি কাজ ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সিআইডির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট
সকাল থেকেই যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল বলেও জানান তিনি।
রইচ পরিবহনের লাইনম্যান মো. হিরন জানান, যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী তাদের ৪০টি বাসের মধ্যে ২০-২৫টি চলাচল করছে।
ট্রাফিক যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান বলেন, আজ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান (যানজটপ্রবণ এলাকা) যানজট মুক্ত।
তিনি আরও বলেন, অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় আজ সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যাও কম।
আরও পড়ুন: বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
৮২৬ দিন আগে
রাজধানীতে ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকায় চলাচল করা ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন হয়েছে।রবিবার ঢাকায় মিরপুরে গাবলতীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি’র আওতায় গণপরিবহনে সিসি টিভি স্থাপন উদ্বোধনের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, সিসি টিভি স্থাপনের মাধ্যমে গণপরিবহন নারীবান্ধব ও নিরাপদ হবে। নারীরা সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত বাসে উঠতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। সিসি ক্যামেরা থাকায় এসব বাসের সাধারণ যাত্রীরাও সতর্ক থাকবে এবং তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে সকল বাসে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে নারীরা ৯৯৯ ও ১০৯ এর মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন। হয়রানী বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সিসিটিভির ফুটেজ আদালতে আলামত ও প্রামাণক হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নারীবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের ফলে আজ শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র ও উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীর পদচারণা বেড়েছে বহুগুণ। এর ফলে নারীকে প্রতিদিন কর্মস্থলে ও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়। নারীরা গণপরিবহনের মাধ্যমে স্বল্প খরচে কর্মস্থল ও নিজ নিজ বাসস্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু নারীদের জন্য সরকারের এত উন্নয়নের কার্যক্রম গ্রহণের পরেও গণপরিবহনে নারীর প্রতি যৌন হয়রানির ঘটছে। গণপরিবহনে যাতায়াতকালে নারীরা অসম্মানজনক আচরণেরও শিকার হচ্ছেন। যার ফলে সভ্যতার এযুগে নারীরা চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। এসব ঘটনা তাদের স্বাধীন চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করছে। গণপরিবহনে এশিয়ার অন্যান্য দেশের নারীরা নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে প্রথম বাংলাদেশে কর্মজীবী নারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক বাস চালু করেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের সকল গণপরিবহন নিরাপদ ও নারী বান্ধব করে তুলছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে নারীরা নিরাপদ থাকে। নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। তিনি বাস মালিক সমিতির উদ্দেশে বলেন, চালকদের নিয়োগদানের পূর্বে তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে যেন তারা অপরাধ করলে তাঁদের দ্রুত শনাক্ত করা যায়। যাত্রীদের সাথে গাড়ির চালক ও স্টাফদের উত্তম আচরণ কেমন হবে, সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বাসচালক, স্টাফ, হেলপার যাত্রীসহ পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী দিনে ৫টি বাস কোম্পানি ও ভিন্ন রুটের মোট ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
বাসগুলো হলো- চন্দ্রা টু ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার রুটের রাজধানী সুপার সার্ভিস লিমিটেডের পঁচিশটি, গাবতলী টু গাজীপুর রুটের বসুমতি ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের পঁচিশটি, মোহাম্মদপুর টু আবদুল্লাহপুর রুটের প্রজাপতি পরিবহন লিমিটেডের পঁচিশটি। ঘাটারচর টু আব্দুল্লাহপুর রুটের পরিস্থান পরিবহনের রয়েছে পঁচিশটি এবং গাবতলী টু সায়েদাবাদ রুটের গাবতলী এক্সপ্রেসের আটটি বাসে প্রাথমিক পর্যায়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সরকারের অর্থায়নে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা দিপ্ত ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
৮৭৯ দিন আগে