গণপরিবহন
ঈদযাত্রায় ঢাকার গণপরিবহনে ৮৩২ কোটির অধিক অতিরিক্ত ভাড়া আদায়: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় চলচলকারী গণপরিবহনগুলোতে বকশিশ হিসেবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ২০ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যার পরিমাণ ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকায় দাঁড়াবে বলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক পর্যবেক্ষণ এই তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ৫০ লাখ মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবে। তাছাড়াও ঈদবাজারসহ নানান প্রয়োজনে বিভিন্ন গণপরিবহনে বাড়তি ট্রিপ সম্পন্ন হবে। এসব যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করার পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নানামুখী তৎপরতার মধ্যেও এবারে ঈদযাত্রায় কেবল ঢাকা ছাড়তেই ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় পর্যবেক্ষণ উপকমিটির সদস্যরা গত ২০ মার্চ থেকে ঢাকা মহানগরীতে দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশ পথে ঈদযাত্রা পরিস্থিতি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রীসেবার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে আজ সকালে এমন তথ্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের দাবি যাত্রী কল্যাণ সমিতির
সংগঠনটির পর্যবেক্ষণে অনুযায়ী, সরকার বাস-লঞ্চ ও বিভিন্ন গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণে চালক, সহকারীর বেতন-ভাতা ও দুই ঈদের বোনাস প্রতিদিনের আদায়কৃত ভাড়ায় ধার্য্য থাকলেও দেশের কোনো পরিবহনে তা কার্যকর নেই। ফলে এবারের ঈদে ৯৮ শতাংশ গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ঈদ কেন্দ্রিক পরিবহনে চাঁদাবাজি বৃদ্ধি, পরিবহন কোম্পানিগুলোর বাড়তি খরচের যোগান দেওয়া, পরিবহনের মালিক-চালক-সহকারী ও অন্যান্য সহায়ক কর্মচারীদের ঈদ বোনাস তুলে নেওয়া। পরিবহন মালিকেরা বাড়তি মুনাফা লুফে নেওয়াসহ নানাকারণে বিভিন্ন শ্রেণির গণপরিবহন ও ভাড়ায়চালিত প্রাইভেট পরিবহনগুলো একে অন্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
সড়ক ও নৌ পথের পরিবহন মালিকদের নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় মনিটরিং ভিজিল্যান্স টিম থাকলেও এসব টিমে যাত্রী প্রতিনিধি না রাখায় যাত্রীর স্বার্থ কেউ দেখছেন না বলেও পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি যাত্রী নৌপথে পরিবহন হবে। ঢাকার সদরঘাট ও নারায়ণগঞ্জ নদী-বন্দরসহ বিভিন্ন ঘাট দিয়ে ২০০টি ছোট-বড় নৌযানে প্রায় ৪০ লাখ যাত্রী দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে। যাত্রীপ্রতি গড়ে ৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত শ্রেণিভেদে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। গড়ে যাত্রী প্রতি ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া আদায় হলে ঈদের আগে এসব যাত্রীদের কাছ থেকে ৮০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।
রাজধানীতে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ঈদকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য মেতে উঠেছে। ঈদে কেনাকাটা, বিভিন্ন টার্মিনালে যাতায়াতের পাশাপাশি দৈনন্দিন নানা কাজে এসব অটো ব্যবহার করতে গিয়ে প্রত্যেক যাত্রীকে গড়ে প্রতি ট্রিপে ২০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। ঈদে আগে রাজধানীতে চলাচলকারী ২০ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় প্রায় ৩০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ৬০ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।
ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, প্যাডেলচালিত রিকশা ঈদ বকশিসের নামে যাত্রীপ্রতি গড়ে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, রাজধানীতে চলাচলকারী প্রায় ৮ লাখ ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, প্যাডেলচালিত রিকশায় ৮ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হতে পারে। এই যানবাহনে যাত্রীদের ১৬০ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।
লেগুনা, দুরন্ত, দিগন্ত নানা নামে পরিচিত রাজধানীতে চলাচলকারী ৭ হাজার হিউম্যান হলারে ঈদের আগে প্রায় ৮০ লাখ ট্রিপ যাত্রীকে ঈদ বকশিসের নামে গড়ে প্রায় ২০ টাকা ভাড়া বাড়তি দিতে হবে। সেই হিসেবে ঢাকার হিউম্যান হলারে কেবল ১৬ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় হবে।
প্রাইভেটকার, জিপ ও মাইক্রোবাস ২০ হাজার, যেখানে ৬০ হাজার ট্রিপে গড়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা হারে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে এই পরিবহন ব্যবহারকারী যাত্রীদের ২১ কোটি টাকা বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।
এবারের ঈদে ঢাকা থেকে দুরপাল্লার রুটে বাস-মিনিবাসে ৩০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াতে যাত্রীপ্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই হিসেবে দুরপাল্লার রুটে বাস-মিনিবাসের যাত্রীদের ৯০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে।
প্রতিবছর ঈদে ঢাকা মহানগরীতে চলাচলকারি সিটি বাস সার্ভিসগুলো ঈদের ২ দিন আগে থেকে যেকোন গন্তব্যে গেলে ঈদ বকশিসের নামে ৫০ টাকা হারে যাত্রীর মাথাপিছু ভাড়া আদায় করে থাকে। এবারও ঈদের আগের ২ দিনে ঢাকার ৩ হাজার সিটি বাসে ৪০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছ থেকে গড়ে মাথাপিছু ৩০ টাকা হারে বাড়তি নিলে এইখাতে ১২ কোটি টাকা যাত্রীদের বাড়তি গুনতে হবে।
গণপরিবহন সংকট, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, সঠিক সময়ে টিকিট না পাওয়া, যানজটসহ নানান ঝক্কি-ঝামেলা এড়াতে এবারের ঈদে প্রায় ২৫ লাখ যাত্রী মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। তাদের ৩০ শতাংশ নিজেদের বাইক ব্যবহার করছে। কেবলমাত্র ঢাকা মহানগরীর ৫ লাখ রাইডশেয়ারিং মোটরসাইকেলে যাত্রী প্রতি গড়ে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ১০০ টাকার বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এতে ২ কোটি ৫০ লাখ ট্রিপ যাত্রীর কাছে ২৫০ কোটি বাড়তি ভাড়া আদায় করছে।
প্রতিবছর ঈদে ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহন ঠেকাতে নানান ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও বিপুল সংখ্যক নিম্নআয়ের লোকজন কম খরচে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করে থাকে। এবারের ঈদে ঢাকা থেকে ৮০ হাজার যাত্রী ট্রেনের ছাদে করে বাড়ি যাবে। তাদের প্রত্যেককে গড়ে কমপক্ষে ১০০ টাকা হারে ৮০ লাখ টাকা রেলে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ঘুস দিতে হবে। খাবার গাড়ি, ইঞ্জিন, দুই বগির মাঝে, কোচের ভেতরে বিনা টিকিটে যাতায়াত করবে আরো প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী। ট্রেনে কর্মরত টিটিই, গার্ড, সরকারি-বেসরকারি ষ্টুয়ার্ড, বেসরকারি ক্যান্টিন অপারেটরের লোকজন, ট্রেনে দ্বায়িত্বরত জিআরপি, এনআরবি ও স্টেশনে দ্বায়িত্বরত টিকিট চেকারদের যাত্রী প্রতি গড়ে ৩০০ টাকা হারে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঘুস দিতে হবে।
আকাশপথে সরকারি-বেসরকারি উড়োজাহাজে ঈদের ১০দিন আগে থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মহোৎসব চলছে। কোনো কোনো পথে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া আদায় হচ্ছে। এই ঈদে কমপক্ষে ১ লাখ যাত্রী অভ্যন্তরীণ রুটে আকাশপথ ব্যবহারে যাত্রী প্রতি গড়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা বাড়তি ভাড়া নিলে ৩৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে।
সদরঘাট নদীবন্দরসহ বিভিন্ন লঞ্চ ও খেয়াঘাটে নৌ-পথে যাতায়াত ও খেয়া পারাপারের যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে ঈদ উপলক্ষে ৫ টাকার মাসুল ঘাট ইজারাদারের লোকজন ১০ থেকে ২০ টাকা হারে আদায় করে থাকে। এসময়ে পণ্য নিয়ে খেয়া পারাপার বা লঞ্চে আরোহণে ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত কুলি মজুরি বাবদ দাবি করা হয়। খেয়া পারাপারে ঈদবাজারের প্যাকেট প্রতি মাসুল দাবি করা হয়। যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এবারের ঈদে সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের আশেপাশে খেয়া পারাপারে ১০ কোটি ট্রিপ যাত্রীর যাতায়াত হবে। এসব যাত্রীর মাথাপিছু ১০ টাকা হারে বাড়তি হিসেবে ১০০ কোটি টাকা বাড়তি ঘাট মাসুল আদায় করে লুটপাট করে ইচ্ছে মতো যাত্রী হয়রানি করছে, বেসরকারি ইজারাদার, বিআইডাব্লিউটিএর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এসব লুটপাটের পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির
ঢাকা শহরে অভ্যন্তরীণ যাতায়াত ও ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঈদযাত্রায় কেবল ৮৩২ কোটি ৩০ লাখ টাকার বেশি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় হচ্ছে। আন্তঃজেলাসহ সারাদেশে সকল মহানগর হিসাবে আনলে তা দশগুন বাড়বে। এহেন অতিরিক্ত ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে দ্রব্যমূল্য, চাঁদাবাজি, সামাজিক অস্থিরতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, পরিবহনে বিশৃঙ্খলা ও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। নিম্ন আয়ের লোকজন ভোগান্তিতে পড়ছে। এখান থেকে উত্তরণে গণপরিবহনে ডিজিটাল ভাড়া আদায় চালু করা, নগদ টাকার লেনদেন বন্ধ করা, সড়ক-মহাসড়কে সিসি ক্যামরা পদ্ধতিতে প্রসিকিউশন চালু করা, আইনের সুশাসন নিশ্চিত করা জরুরি।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ আহমদ, অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, মোহাম্মদ আরিফ প্রমুখ।
২২ দিন আগে
ভিড়যুক্ত শপিংমল ও গণপরিবহনে করোনা সংক্রমণ: সাবধানতায় করণীয়
জাতিসংঘের হিউম্যানিটারিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিস রিলিফওয়েব অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পুরো ঢাকা জুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা ছিলো ৩২টি। এদের মধ্যে কারোরই মৃত্যু হয়নি। বরং পূর্বের ও জানুয়ারির এই রেকর্ড থেকে মোট আরোগ্য লাভের সংখ্যা দাড়িয়েছিলো ৭২-এ। মোটা দাগে সংক্রমণের এই অনুপাত নিম্নগামী, তবে এখনও তা একদম শূন্যের কোঠায় চলে যাইনি। সুতরাং করোনাকালীন সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলো এখনও বজায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে শপিংমল ও গণপরিবহনের মতো ভিড়যুক্ত স্থানগুলোতে সাবধানতা অবলম্বন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ এবং তা প্রতিরোধে করণীয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
করোনা সংক্রমণের লক্ষণ
কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ১৪ দিন পরে দৃশ্যমান হতে শুরু করে উপসর্গগুলো। প্রাথমিক পর্যায়ে লক্ষণগুলো নিতান্তই হাল্কা ভাবে দেখা দেয়। অবশ্য কারও কারও ক্ষেত্রে শুরুতেই গুরুতর আকার ধারণ করে।
কোভিডের নতুন ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রে লক্ষণগুলোতে বেশ পরিবর্তন দেখা যায়। মূলত টিকা দেওয়ার অবস্থার উপর নির্ভর করে এই পরিবর্তন হয়।
আরো পড়ুন: নিরাপদ ব্রয়লার মুরগি কী, কেন খাবেন
অধিকাংশ কেসগুলোতে যে লক্ষণগুলো দেখা দেয়, সেগুলো হলো-
জ্বর বা ঠান্ডা লাগা, কফ, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যাথা, সর্দি, স্বাদ বা গন্ধের অনুভূতি কমে আসা, প্রচন্ড ক্লান্তি, পেশী বা শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, এবং ডায়রিয়া।
ভিড়যুক্ত শপিংমলে ও গণপরিবহনে করোনা থেকে বাঁচতে করণীয়
.
মান সম্পন্ন মাস্ক পরিধান করা
করোনা ভাইরাস প্রবেশের জন্য মানবদেহের প্রধান অঙ্গগুলো হলো মুখ ও নাক। তাই মাস্ক পরিধানের মতো পুরনো সুরক্ষামূলক ব্যবস্থার কোনও বিকল্প নেই। শপিংমলে কেনাকাটার সময় বিভিন্ন ধরণের মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, নানা ধরণের কাপড়-চোপড় ধরে দেখতে হয়। এমনকি এ যাবতীয় কার্যক্রম চলে অত্যন্ত ভিড়ের মধ্যে থেকে।
এছাড়া দেশের জনসাধারণের সবচেয়ে বড় অংশটিই যাতায়াতের জন্য গণপরিবহনের উপর নির্ভর করেন। ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করায় এই যানবাহনগুলোতে অনিয়ন্ত্রিত ভিড় একদমি নতুন নয়। শিশু থেকে শুরু করে নারী ও বৃদ্ধ সকলেই এই ভিড়ের মধ্যেই কাটিয়ে দিচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা।
আরো পড়ুন: তীব্র গরমে পানিশূন্যতা প্রতিরোধে উপকারী শাকসবজি
এই অপরিষ্কার জায়গাগুলোতে যে কোনও জীবাণু থেকে নিরাপদে থাকতে ভালো মানের মাস্ক পরা জরুরি। মুখ এবং নাক সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখে এমন সার্জিক্যাল মাস্ক ভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর। একাধিকবার ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ব্যবহার করলে তা নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। একই সাথে মাস্ক পরে থাকার সময় এটি বারবার স্পর্শ না করা এবং প্রয়োজন ছাড়া মুখ থেকে সরানো উচিত নয়।
হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ করা
করোনাকালীন সময়গুলোতে হাত ধোয়াটা রীতিমত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো। এই অভ্যাসটিই আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে, গণপরিবহনে ওঠা-নামার পর, এবং শপিংমলে প্রবেশের পর হাত ধুয়ে নেওয়া উচিত। বাসায় সাবান-পানি ও ৬০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহার করা জরুরি। আর বাইরে সার্বক্ষণিক একটি পকেট স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখতে হবে। বড়দের পাশাপাশি বাচ্চা ও বয়স্কদের পরিচ্ছন্নতার দিকেও নজর রাখা জরুরি। ঘরে ঢোকার পর, স্কুলে ও অন্যত্রে চলতে ফিরতে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে তাদেরকে সাহায্য করতে হবে।
অতিরিক্ত ভিড় এড়িয়ে চলা
সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর জন্য ভিড় এড়ানো অত্যাবশ্যক। ঈদের মতো বিভিন্ন উপলক্ষগুলোতে নামকড়া দোকানগুলোতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। একই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয় কাজে যেতে বা কাজ শেষে বাড়ি ফেরার জন্য যানবাহনে ওঠার সময়।
স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা ভেবে এই প্রবণতা থেকে সর্বদা দূরে থাকা উচিত। কেনাকাটার ক্ষেত্রে কখনোই অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়া যাবে না। যাতায়াতের জন্য একটু আগে ঘর থেকে বেরতে হবে।
আরো পড়ুন: নিরাপদে স্ট্রিট ফুড খাওয়ার ১০টি উপায়
বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে পারতপক্ষে বেশি ভিড়যুক্ত পরিবহন এড়িয়ে চলা উত্তম। অপেক্ষা করে তুলনামূলক ফাঁকা যানবাহনে উঠা যেতে পারে। বাসা ও কাজের জায়গা খুব বেশি দূরে না হলে পায়ে হেটে যাওয়া-আসা করা উপযুক্ত।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভের সময়ের মতো প্রতিটি ভবনেই সামাজিক দূরত্ব বজায়কে পুনঃবাস্তবায়ন করা দরকার। শপিংমলে কেনাকাটার বা গণপরিবহনের লাইনে সবক্ষেত্রে প্রত্যেকের মধ্যে কমপক্ষে ৩ ফুট (১ মিটার) দূরত্ব রাখা বাঞ্ছনীয়। এটি সম্ভব না হলে নিদেনপক্ষে গায়ে গা লেগে যায় এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে হবে।
বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুদের অবস্থানের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা উচিত। বড় বড় শপিংমলগুলোতে লিফ্টের পরিবর্তে উপরে উঠার জন্য সিঁড়ি বেছে নিতে হবে।
গণপরিবহনে দরজার কাছে জটলা করা যাবে না। দুই সারি সিটের মাঝের চলাচলের জায়গাটিতে এক স্থানে ভিড় না করে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাড়ানো উচিত।
আরো পড়ুন: বাসা-বাড়ির রান্নায় সিলিন্ডার গ্যাসের খরচ কমাবেন যেভাবে
ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা
রাস্তাঘাটে ও বিভিন্ন ভবনে চলাফেরার সময় সর্বাধিক ব্যবহৃত উন্মুক্ত পৃষ্ঠগুলো ভাইরাস ছড়ানোর জন্য উপযুক্ত। যেমন- প্রবেশ দরজার হাতল, চলন্ত সিঁড়ির রেলিং, লিফ্টের বোতাম, গণপরিবহনে সিলিং-এর হাতল ইত্যাদি। এগুলো ব্যবহারের জন্য সাথে সার্বক্ষণিক টিস্যু রাখা যেতে পারে।
শিশুরা যেন এরকম কিছু না ধরে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বয়স্করা গ্লাভ্স বা টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন। যে জায়গাগুলোতে ঘন ঘন এরকম পৃষ্ঠের সংস্পর্শে যেতে হয়, সেখানে উৎকৃষ্ট হচ্ছে পকেট স্যানিটাইজার। এছাড়া কোনও কোনও ক্ষেত্রে (যেমন দরজা) অনেকে কনুই বা কাঁধ ব্যবহার করে থাকেন।
লেনদেনে ডিজিটাল মাধ্যমগুলো ব্যবহার করা
নগদ টাকা লেনদেনে হাতের স্পর্শ থাকে বিধায় এখানে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। নগদবিহীন বা ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতিগুলো এক্ষেত্রে সেরা ও নিরাপদ বিকল্প। এখন ছোট থেকে বড় প্রায় সব ধরণের দোকানগুলো মোবাইল ব্যাংকিং, কার্ড পেমেন্ট বা কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থা রাখে।
যাতায়াতের ক্ষেত্রে এ ধরণের লেনদেনের জন্য রাইড শেয়ার পরিষেবাগুলোই একমাত্র অবলম্বন। কেননা দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থায় এখনও এই সুবিধা সংযুক্ত করা হয়নি।
আরো পড়ুন: পবিত্র রমজান ২০২৫-এ ইফতারের জন্য ঢাকার সেরা ১০টি রেস্টুরেন্ট
পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল আছে এমন জায়গা বেছে নেওয়া
অতিরিক্ত লোকসমাগমের জায়গাটি যদি বদ্ধ হয় তাহলে তা এমনিতেই অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে। এমন পরিবেশ শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর। তাই গণপরিবহন বা শপিংমল যেখানেই থাকা হোক না কেন, যতটা সম্ভব উন্মুক্ত বায়ুপ্রবাহের দিকে সরে যাওয়া উচিত।
শপিংমলে লিফ্টে লোকসংখ্যা বেশি হয়ে গেলে বের হয়ে এসে সিঁড়ি ব্যবহার করা উত্তম। গণপরিবহনের ক্ষেত্রে জানালার দিকের সিটে বসে জানালা খুলে দেওয়া যায়।
বয়স্ক ও শিশুদের জন্য পৃথক জায়গার ব্যবস্থা রাখার ক্ষেত্রে ঠিক এমন স্থানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। বদ্ধ, গরম, ও বাতাসবিহীন স্থানে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যথাসম্ভব ঘরের বাইরে বের হওয়ার বিকল্প পন্থা অবলম্বন করা
করোনা পরবর্তী সময়ে ব্যাপকভাবে বিকাশ লাভ করেছে অনলাইন যোগাযোগ এবং রিমোট জব। এতে অধিকাংশ প্রয়োজনীয় কাজগুলো ঘরে থেকেই করে ফেলা সম্ভব হয়। তাছাড়া কেনাকাটা ও বিনোদন সবকিছুই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাথে। এই জীবনধারা যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুগান্তকারি এক প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
আরো পড়ুন: রেস্তোরাঁ-শপিং মলে প্রবেশের আগে যে বিষয়গুলোতে সাবধান থাকা জরুরি
তাই প্রতিদিনের বিভিন্ন কাজের জন্য বাইরে না বেরিয়ে আগে ভাবা উচিত যে তা ঘরে থেকেই করা সম্ভব কিনা। গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এর জন্য মোবাইল থেকে শুরু করে ভিডিও কলিং-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। এগুলো এখন আর আগের মতো দুষ্প্রাপ্য নয়।
এই প্রবণতা যে শুধু ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে তা নয়। সময় বাঁচিয়ে কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্যও এটি যথেষ্ট উপযোগী।
পরিবহন ব্যবহারে অগ্রিম বুকিংকে অগ্রাধিকার দেওয়া
গণপরিবহনের জন্য দীর্ঘ লাইনে ভিড়ের মধ্যে দাড়িয়ে থাকা বিপুল সময় নষ্ট করে। একই সাথে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জন্যও তৈরি করে সহায়ক পরিবেশ। চলন্ত বাসের সাথে দৌড়াতে দৌড়াতে লাফিয়ে পাদানি উঠে পড়া এখন হরহামেশাই দেখা যায়। কোনও রকম সামাজিক দূরত্বের কথা না ভেবে প্রতিদিনি এমন ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে চলেছেন হাজার হাজার যাত্রী।
কিন্তু সময় ও অর্থ সবকিছুর চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। তাই যে কোনও মূল্যেই এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে অগ্রিম যানবাহন বুক করা দরকার। দূর পাল্লার যানবাহনগুলোতে অগ্রিম সিট বুকিং বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু শহরের ভেতরের যাতায়াতের ক্ষেত্রে এমন সুযোগ শুধু রাইড শেয়ারিং সেবাগুলোতেই রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির দিক দিয়ে ভাবলে এই সেবাগুলো সব দিক থেকে নিরাপদ।
আরো পড়ুন: তরুণদের মধ্যে স্ট্রোকের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে: জানুন কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
ব্যক্তিগত ব্যবহারের উপকরণগুলো সর্বদা সঙ্গে রাখা
ফুটপাত, শপিংমল, ও যানবাহনে খাবার খাওয়ার জন্য শুধুমাত্র নিজস্ব জিনিসপত্রের উপর নির্ভর করা উচিত। দোকান বা হোটেলে যে গ্লাস, প্লেট, চামচ, ছুরি দেওয়া হয় তা এড়িয়ে চলাই ভালো। পানি পানের জন্য ব্যক্তিগত বোতল বা ফ্লাস্ক অনেকেই সঙ্গে রাখেন। এর পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবহার্য ছোট-খাট সামগ্রীও বাসা থেকে ভালভাবে ধুয়ে ব্যাগে ভরে নিতে হবে। সেই সাথে ঘরের বাইরে সর্বত্রে নিজের খাবার ও এই ব্যবহার্য জিনিসপত্র অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য এটি অতীব জরুরি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় তারা যে কোনও সংক্রমণের সহজ শিকারে পরিণত হয়।
শেষাংশ
ভিড়যুক্ত শপিংমল ও গণপরিবহনে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে উপরোক্ত সাবধানতাগুলোর কোনও বিকল্প নেই। করোনাকালীন সময়গুলোর মতো মাস্ক পরিধান, হাত নিয়মিত স্যানিটাইজ, পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের স্থানে থাকা, এবং যথাসম্ভব ঘরে থাকাটা এখনও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভিড় এড়িয়ে চলা, অযাচিত স্পর্শকাতর স্থানগুলো এড়িয়ে চলা, এবং ডিজিটাল লেনদেন হতে পারে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের অনুকূল পদক্ষেপ। এগুলোর সাথে কার্যকরি সংযোজন হতে পারে অগ্রিম পরিবহন বুকিং এবং ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিসপত্র সর্বদা সাথে রাখা। সর্বসাকূল্যে, এই করণীয়গুলোর মাঝে নিহিত রয়েছে একটি সুরক্ষিত জীবনধারণে অভ্যস্ত হওয়ার রূপরেখা।
আরো পড়ুন: মরণঘাতী ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ থেকে বাঁচতে করণীয়
২৩ দিন আগে
চালু হলো ‘হেল্প অ্যাপ’, অভিযোগ করলেই এফআইআর
রাজধানীর গণপরিবহনে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে চালু হয়েছে হ্যারাসমেন্ট এলিমিনেশন লিটারেসি প্রোগ্রাম (হেল্প) অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে কোনো নারী অভিযোগ করলে তা এফআইআর হিসাবে গণ্য করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ডিএমপি শেখ সাজ্জাদ আলী।
ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ও সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের যৌথভাবে চালু করা পরিষেবাটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ সাজ্জাদ আলী বলেন, হেল্প অ্যাপের মাধ্যমে কোনো নারী অভিযোগ করলে এক কিলোমিটারের মধ্যের থানায় তা এফআইআর হিসাবে লিপিবদ্ধ হবে। পরবর্তীতে এই অভিযোগকে ভিত্তি ধরেই মামলার প্রস্তুতি নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: এফআইআরে নাম থাকলেই গ্রেপ্তার নয়, পুলিশ আগে তদন্ত করবে: ডিএমপি কমিশনার
নারী নির্যাতনের মতো ঘটনায় অনেক সময় ভুক্তভোগী বা তার পরিবার থানায় যেতে চায় না। তারা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চায়। এই অ্যাপ চালু হওয়ায় কাউকে থানায় আসতে হবে না। অভিযোগ পর্যালোচনা করে পুলিশ নিজেই বাদি হিসেবে মামলা রুজু করতে পারবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরুতে এই সেবা ঢাকার বছিলা থেকে সায়েদাবাদ রুটে বাস্তবায়ন করা হবে। পরবর্তীতে এটিকে সব রুটে চালু করার ওপর জোর দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এ ব্যাপারে পুলিশ সব ধরনের সাহায্য করবে। রাজধানী এখন অনেক বিস্তৃত। সবকটি রুট ধরে কাজ করতে পারলে নারীরা গণপরিবহনে আর অনিরাপদবোধ করবে না। আর এমন একটি অ্যাপ চালু হয়েছে, এ বিষয়টিও সবাইকে জানাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ধর্ষণ প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বলেন, নারী নির্যাতনের যে-সব চিত্র সামনে আসে তার থেকেও বাস্তবতা অনেক বেশি ভয়াবহ। নির্যাতনরোধে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: নারীদের জন্য মার্শাল আর্ট: ঢাকার কোথায় শিখবেন কুংফু, জুডো, বা কারাতে
৩৩ দিন আগে
গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ জরুরি বলে জানিয়েছেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানায় সংগঠনটি।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক হাসিনা বেগম, ড. কামরান উল বাসেত, আব্দুল্লাহ মো. ফেরদৌস খান ও নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এই বিবৃতি দেন।
এতে বলা হয়, রাজধানীর গণপরিবহনে বিশৃঙ্খলাজনিত সমস্যাটি আসলে রাজনৈতিক। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হবে।
রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু দাবি করে, তাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, তাই রোড সেফটি ফাউন্ডেশন শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় দলগুলোর হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও যানজট নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে সহজ এবং টেকসই সমাধান ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিশেন অথরিটির (ডিটিসিএ) অধীনে রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে কোম্পানিভিত্তিক গণপরিবহন পরিচালনা করা।
পুরাতন বাস প্রত্যাহার করে রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ হাজার আধুনিক নতুন বাস পরিচালনা করলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রাইভেটগাড়ি ব্যবহারকারীরা বাসে চলাচল করবেন। এতে প্রাইভেটগাড়ি নিরুৎসাহিত হবে। রাজধানীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসবে। একইসঙ্গে মোটরসাইকেলও হ্রাস পাবে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
বিবৃতিতে বলা হয়, আসলে রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে বাস সার্ভিস পরিচালনা ছাড়া গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও যানজট নিয়ন্ত্রণের সহজ কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য সরকারের নিজস্ব বাস থাকার সঙ্গে নগরের পরিবহন ব্যবস্থা সবসময় তাদের নিয়ন্ত্রণেই থাকতে হবে। যানজট নিয়ন্ত্রিত হলে কর্মঘণ্টা বাঁচবে, জ্বালানি সাশ্রয় হবে, আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি আসবে এবং মানুষের মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা কমবে।
সবকিছু মিলে একটি স্বস্তির পরিবেশ গড়ে উঠবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিশেন অথরিটির (ডিটিসিএ) রুট ফ্রাঞ্চাইজ পদ্ধতিতে বাস সার্ভিস পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করলেও পরিবহন সংশ্লিষ্ট কতিপয় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত গণপরিবহনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে বিআরটিএ ও ডিটিসিএর পাশে দাঁড়িয়ে উদ্যোগটি সফল করা। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারি উদ্যোগে সমর্থন জানালে স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা ব্যর্থ হবে।
৫১ দিন আগে
রাজধানীতে গণপরিবহন সংকট চরমে, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে গণপরিবহন সংকট, যা ধারণ করেছে তীব্র আকার। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
আবদুল্লাহপুর, কুড়িল, বসুন্ধরা, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, কাকরাইল এবং পল্টন এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন অপেক্ষমান শত শত যাত্রী, অথচ দেখা নেই বাসের। যে দু-চারটি বাস যাচ্ছে তারও গেট লাগানো এবং যাত্রীতে ঠাসা, ওঠার নেই কোনো উপায়।
সরেজমিনে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দেখা যায়, সড়কে বাস না চললেও রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এবং রামপুরা ব্রিজের শেষ প্রান্তে সারি সারি বাস দাঁড়িয়ে আছে। কেন তারা রাস্তায় নামেনি জানতে চাইলে ভিক্টর বাসের হেলপার সুমন বলেন, নতুন নিয়মানুযায়ী বাস গোলাপি রঙ করতে অনেক বাসই নামেনি রাস্তায়। আর ই-টিকেটিং চালু হলে ড্রাইভার-হেলপার ক্ষতির মুখে পড়বে। তাই বাকিরাও বাস নিয়ে রাস্তায় নামেনি।
গত সপ্তাহে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুর রুটে রাজধানীতে চলাচল করা বাস গোলাপি রঙ করে ই-টিকেটিং এর আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: নওগাঁ থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
প্রাথমিকভাবে ২১ কোম্পানির ২ হাজার ৬১০ বাস গোলাপি রঙের ই-টিকেটিংয়ের আওতাভুক্ত করা হলেও আগামীতে এ সংখ্যা এবং রুটের পরিধি আরও বাড়বে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
রঙ করার এ কার্যক্রমে দুই দিন ধরে আব্দুল্লাহপুরের এই রুটে রীতিমতো বাস সংকট দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি ট্রাফিক কার্যক্রম জোরদার করায় অনেকেই মামলার ভয়ে বাস নিয়ে বের হচ্ছেন না। অনেক ড্রাইভার-হেলপার দাবি করছেন ই-টিকেটিং ব্যবস্থায় ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
অনাবিল বাসের চালক আলমগীর বলেন, ‘জায়গায় জায়গায় সার্জেন্ট আর চেকপোস্ট। রাস্তায় নামলেই শিওর মামলা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাস নিয়ে নামা যাবে তখন।’
এদিকে বাসের সংখ্যা কম থাকায় রাস্তায় বেড়েছে রিকশা আর বাইকের চলাচল। একদিকে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য, অন্যদিকে বেপরোয়া বাইক- সব মিলিয়ে এই রুটে একটু পর পর সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট।
মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতে বের হয়েছিলেন আনোয়ার হোসেন। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, প্রায় আধাঘণ্টার ওপর দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাননি তিনি। রিকশা ভাড়া আকাশচুম্বী। সব মিলিয়ে হঠাৎ করেই রাস্তায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে পুরানা পল্টন যাবেন ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান। রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত হেঁটে এসে ভিড় ঠেলে কোনো রকমে রমজান বসে উঠেছেন। ভেবেছেন, কাকরাইল নেমে সেখান থেকে আবার হেঁটে পুরানা পল্টন যাবেন। কিন্তু ভয়াবহ যানজটের কারণে বাসটিকে চলতে হচ্ছে ঢিমেতালে। পরে মালিবাগ-মৌচাক নেমে আবার হাঁটা শুরু করেন তিনি।
সড়কে দুর্দশার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, রাস্তায় নেমে জানতে পারি ভিক্টর পরিবহনসহ কয়েকটি বাস চলছে না। যে কারণে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন। কিন্তু গাড়ি উঠেও দেখা যাচ্ছে সেটা চলছে না। এতে উভয়সংকটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিপাতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
এদিকে বাস সংকটের মধ্যেই রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুনর্বাসন এবং আর্থিক সাহায্যের দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন দুবাই ফেরত প্রবাসীরা। এতে করে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, বাংলামোটর, কাকরাইল এবং কাওরানবাজার এলাকাতেও বড় রকমের যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সড়কে যানজট এবং বাসের সংখ্যা কেন কম সে ব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেনি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিক বিভাগের উত্তরা জোনের সহকারী ডেপুটি কমিশনার (এডিসি) ফজলুল করিম বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আমরাও বাসের সংখ্যা কম পেয়েছে। কিন্তু কী কারণে রাস্তায় বাস কম সে ব্যাপারে এখনো পরিষ্কার জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, অনেক বাস গোলাপি রঙের ই-টিকেটিং এর আওতায় আসতে চাওয়ায় রঙ করতে দেয়া হয়েছে। এতে করে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বাস নেমেছে রাস্তায়।
বাড্ডা ট্রাফিক জোনের সহকারী কমিশনার শারমিন আক্তার বলেন, গোলাপি রঙের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে অনেক বাসের হেলপার এবং ড্রাইভার ধর্মঘট করেছে। তাই তারা বাস নিয়ে রাস্তায় নামেনি। এতে করেও গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীতে শুরু কাউন্টার থেকে যাত্রী তোলার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী তোলার দাবিতে রাজধানীর সায়দাবাদ এবং যাত্রাবাড়ি এলাকায় দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করেছে বাস ড্রাইভার-হেলপাররা। এতে করে এসব এলাকার যান চলাচল এক রকমের বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, 'আমরা সাফ জানিয়ে দিয়েছে রাজধানীর সড়কে কোনো ভাঙাচূড়া আনফিট গাড়ি চলবে না। ধীরে ধীরে সব গাড়ি ই-টিকেটিং এর আওতায় আনা হবে। এর প্রতিবাদে তুরাগ এবং বলাকা বাসের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। তাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।'
ই-টিকেটিং এর ডিভাইস সংক্রান্ত কাজের কারণে অনেক বাস সড়কে নামেনি। এছাড়া অনেকে বুঝে না বুঝে এ ব্যবস্থার বিরোধীতা করছে। যারা সড়কে বাস না নামিয়ে উল্টা রাস্তা অবরোধ করছে তাদেরকে কেউ খারাপ উদ্দেশ্য হাসিলে ইন্ধন দিচ্ছে বলে দাবি করেন সাইফুল।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ক্ষোভ জানিয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, এটা নতুন কিছু না। কোনো সিদ্ধান্ত বাস মালিকদের মন মতো না হলে তারা যাত্রী জিম্মির হাতিয়ার ব্যবহার করে। অন্যদিকে সরকার সিদ্ধান্ত দেয় ঠিকই কিন্তু মনিটরিং করে না। এতে করে সড়কে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। সরকারের উচিত মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করা।
দ্রুত সমস্যা সমাধান করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আনফিট গাড়ি, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা, বাড়তি ভাড়া রাখা বন্ধ করতে সরকারের শক্তিশালী মনিটরিং প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
৬৬ দিন আগে
পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবহার বাড়াতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী সোমবার পরিবেশবান্ধব মেট্রোরেলে চড়ে পরিবেশ অধিদপ্তর পরিদর্শনে যান।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সচিবালয় মেট্রো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে নেমে পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে যান।
মেট্রোরেলে ভ্রমণকালে পরিবেশমন্ত্রী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন ব্যবহারের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ওসমানী উদ্যানে বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ করলেন পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে জনসাধারণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, পরিবহন মালিকরা পরিবেশবান্ধব পরিবহন পরিচালনা করলে এবং জনসাধারণ পরিবেশবান্ধব যানবাহন ব্যবহার করলে বায়ুদূষণ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদসহ সদর দপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তার সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জনগণকে ঝামেলামুক্ত সেবা প্রদানের জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, সব ধরনের দুর্নীতিমুক্ত থেকে আইন, বিধি-বিধান মোতাবেক সরকারি কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিপূর্ণভাবে জনগণের সেবা করব: পরিবেশমন্ত্রী
ইটভাটার দূষণ শনাক্তে ‘ব্রিক ক্লিন ট্র্যাকার’ ব্যবহার করবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
৪৫০ দিন আগে
গণপরিবহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশ হয়: টিআইবি
রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন বা আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানোর অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
ট্রেনে দেওয়া আগুনে তিন বছরের শিশুসহ চারজনকে হত্যা, গণপরিবহনে আগুন, রেললাইন কাটা ইত্যাদি ধ্বংসাত্মক ঘটনা থেকে বের হয়ে আসার জন্য রাজনৈতিক মহলকে আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: মুক্ত সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে হতাশাজনক ব্যর্থতার স্বাভাবিকতার দৃষ্টান্ত: টিআইবি
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের তিনটি বগিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ট্রেনের একটি বগি থেকে মা, শিশুসন্তানসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বিষয় হিসেবে দেখার সুযোগ নেই উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মানুষ পুড়িয়ে কীসের রাজনীতি? ক্ষমতা কি মানুষের জীবনের থেকে বেশি মূল্যবান? লাশ নিয়ে রাজনীতির অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত: টিআইবি জরিপ
বলপ্রয়োগ ও সহিংসতাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, ‘রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলের মূল উদ্দেশ্য যে প্রক্রিয়ায় জনকল্যাণ থেকে সরে ক্ষমতায় স্থির হয়, ঠিক সেই প্রক্রিয়ায়ই রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা প্রকটতর হতে থাকে। মানবতাকে জিম্মি করে, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের লাশকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা বা দলীয় এজেন্ডা হাসিলের জন্য ব্যবহারের ঘটনাই সময়ের পরিক্রমায় আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বিবাদমান দুই রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের সব মহলের কাছে আমাদের দাবি, নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ গরম আর মাঠ দখলের নামে সব প্রকার বলপ্রয়োগসহ মানুষের জীবননাশের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসুন। অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশের পথ থেকে সরে আসুন।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে টিআইবির চিঠি
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘চলমান আন্দোলনের মাঝে এসব ধারাবাহিক নৃশংসতার দায় আন্দোলনরত দলগুলো এড়াতে পারে না। আবার, এর পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ মিথ্যা হলে, তা প্রমাণের দায়িত্ব সরকারের ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের। আমরা সত্যিকারের অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নৃশংসতার সুযোগসন্ধানী রাজনীতি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি আদায়ের পথ হতে পারে না।
অন্যদিকে, সহিংসতা প্রতিরোধের নামে বলপ্রয়োগ, সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা হবে, ঢালাও ধরপাকড় হবে, বিনা বিচারে মানুষ জেল খাটবে, তা-ও কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না বলে মনে করে টিআইবি।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
৪৮৫ দিন আগে
৩ দিনে ১১টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
৩০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১টি গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, অগ্নিসংযোগের শিকার যানবাহনসমূহের মধ্যে ঢাকায় চারটি, গাজীপুরে পাঁচটি এবং সিলেট ও দিনাজপুর জেলায় একটি করে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তিনটি কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি বাস ও তিনটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা বলেন, এই সময়ের মধ্যে ১৯টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিটের মোট ৯৬ জন সদস্য আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ ও হরতাল চলাকালে এ পর্যন্ত ২৪৪টি যানবাহন ও প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ ঘণ্টায় ১১ অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে ১২টি যানবাহন: ফায়ার সার্ভিস
ঢাকার মধ্যে মিরপুরে অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
নারায়ণগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
৫০০ দিন আগে
গণপরিবহনের ১৪০ চালককে প্রশিক্ষণ দিল আহছানিয়া মিশন
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির(বিআরটিএ) উদ্যোগে গণপরিবহনের ১৪০ জন চালককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন (সংশোধিত-২০১৩) বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জোয়ার সাহারা বিআরটিসি বাস ডিপোতে আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
‘পেশাজীবী গাড়ি চালকদের পেশাগত দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ’ শিরোনামে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যের ক্ষতিবিষয়ক তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের প্রোগ্রাম অফিসার অদুত রহমান ইমন।
আরও পড়ুন: বিআরটিএ স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স যেভাবে করবেন
এসময় ধুমপানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কুফল, স্বাস্থ্যঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে গণপরিবহন চালকদের (বাস, সিএনজি, লেগুনা, টেম্পু) জানানো হয়। চালক ও চালকের সহকারীদের ধূমপানের ফলে গণপরিবহনে পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হন যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা।
এ ছাড়া জনবহুল জায়গা- যেমন বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, নৌবন্দর, সরকারি বিভিন্ন অফিসসহ উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেসব স্থানে ধূমপানকারীদের কারণে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন অনেক শিশু-নারীসহ সব অধূমপায়ীরা।
গণপরিবহন শতভাগ তামাকমুক্ত রাখা ও আইনের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও বিআরটিএ’র যৌথ উদ্যোগে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিআরটিএ কার্যালয় থেকে ৩০ দালাল আটক
৫৩২ দিন আগে
যাত্রী দুর্ভোগ ও সেবা না বাড়িয়ে ভাড়া বৃদ্ধি অগ্রহণযোগ্য: ক্যাব চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপদ ও সহজ গণপরিবহন হলেও বিগত সরকারগুলোর রেলওয়ের উন্নয়নে মনোযোগ না থাকায় রেলপথ যেভাবে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ হবার দরকার ছিলো তা হয়নি বলে দাবি করেছে ক্যাব চট্টগ্রাম।
অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ যাত্রীর চাহিদা থাকা সত্বেও টিকেট না পাওয়া, মন্ত্রণালয়ের লোকজন যাত্রী/ভোক্তাদের ভোগান্তি, হয়রানি ও অনিয়মের কথা শুনার সময় পাচ্ছে না।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোভিড শয্যা বাড়ানোর দাবি ক্যাবের
এতে সংগঠনটি আরও দাবি করেছে যে মান্দাতার আমলের গ্রাহক অভিযোগ পদ্ধতি, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রগুলোর দুরাবস্থা, অকার্যকর, টিকেট কালোবাজারীদের সঙ্গে রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আতাঁতের কারণে যাত্রী হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না।
ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয় যে সাধারণ জনগণ যখন নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরমভাবে জর্জরিত। এমতাবস্থায় রেলওয়ের সেবা না বাড়িয়ে ও ভোগান্তি নিরসন না করে ট্রেনের টিকিটের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত ভাড়ার হার কার্যকর হয়েছে ২৫ জানুয়ারি থেকে। এতে শোভন চেয়ার শ্রেণির ৩৮০ টাকার ভাড়া নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০৫ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোচে আসন প্রতি ভাড়া ৭০ টাকা বাড়িয়ে ৬৩০ টাকার ভাড়া হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতারা।
২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ইং গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সই করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, রেলপথ যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলেও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, যাত্রীর স্বার্থ রক্ষায় চরম অবহেলা, অনীহা, রেল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি অব্যাহত রাখার জন্য রেল বিভাগ যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে আন্তরিক নয়।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
যার কারণে রেলের ভাড়া দ্বিগুন করা হলেও সেবার মান বাড়েনি।
আর রেল ব্যবস্থাপনায় ভোক্তাদের কোন অংশগ্রহণ গুরুত্বই পায়নি। অভিযোগ প্রতিকারে ঢাবি’র শিক্ষার্থীদের লাগাতর ধর্মঘট ডাকলেও পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন হয়নি। এমনকি মান্দাতার আমলের সেই কোটা পদ্ধতি, টিকেট বিক্রয়ে সিন্ডিকেট প্রথা অব্যাহত আছে। যার কারণে রেলের টিকেট যাত্রীদের জন্য সোনার হরিণ হলেও কালোবাজারীদের কাছে অতি সহজলভ্য হয়ে আছে।
অনলাইনে টিকেট ছাড়ার পর সবগুলো বিক্রি দেখালেও ট্রেন ছাড়ার পর অনেক সীট খালি থাকে এবং লোকসানের সব দায়ভার রেলওয়ের ঘারে চাপে।
নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের সদিচ্ছার কারণে রেলপথ মন্ত্রণালয় পৃথক মন্ত্রী পেলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত হয়নি।
তাই অবিলম্বে রেলপথে যাত্রী হয়রানি, ভোগান্তি ও অনিয়ম রোধে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ডিজিটাল গ্রাহক সেবা কেন্দ্র (প্রয়োজনে প্রতিকার না পেলে ডিজি, মন্ত্রী, সচিবকে অবহিত করা যায় এমন ব্যবস্থা), বর্তমান টিকেট বিক্রয় ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন ও ঢেলে সাজানো, কোটাপদ্ধতি বাতিল, যাত্রীদের জন্য টিকেটপ্রাপ্তি সহজলভ্য করা, যাত্রীসেবার অনিয়ম রোধে রেলে তাৎক্ষণিক গ্রাহক সেবা কেন্দ্র/হেলপ লাইন চালু, সিদ্ধান্ত প্রদানে সক্ষম ও যোগ্য প্রতিনিধিকে রেলস্টেশনে অবস্থান নিশ্চিত করে সপ্তাহে অন্তত একদিন গণশুনানির আয়োজন করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রেলপথের সেবা ও ব্যবস্থাপনায় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভোক্তা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ইফতার বিতরণের পরিবর্তে অর্থ প্রদানের আহ্বান ক্যাবের
৮০৯ দিন আগে