গণপরিবহন
যাত্রী দুর্ভোগ ও সেবা না বাড়িয়ে ভাড়া বৃদ্ধি অগ্রহণযোগ্য: ক্যাব চট্টগ্রাম
বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপদ ও সহজ গণপরিবহন হলেও বিগত সরকারগুলোর রেলওয়ের উন্নয়নে মনোযোগ না থাকায় রেলপথ যেভাবে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ হবার দরকার ছিলো তা হয়নি বলে দাবি করেছে ক্যাব চট্টগ্রাম।
অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ যাত্রীর চাহিদা থাকা সত্বেও টিকেট না পাওয়া, মন্ত্রণালয়ের লোকজন যাত্রী/ভোক্তাদের ভোগান্তি, হয়রানি ও অনিয়মের কথা শুনার সময় পাচ্ছে না।
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোভিড শয্যা বাড়ানোর দাবি ক্যাবের
এতে সংগঠনটি আরও দাবি করেছে যে মান্দাতার আমলের গ্রাহক অভিযোগ পদ্ধতি, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রগুলোর দুরাবস্থা, অকার্যকর, টিকেট কালোবাজারীদের সঙ্গে রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আতাঁতের কারণে যাত্রী হয়রানি বন্ধ হচ্ছে না।
ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয় যে সাধারণ জনগণ যখন নিত্যপণ্য ও সেবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে চরমভাবে জর্জরিত। এমতাবস্থায় রেলওয়ের সেবা না বাড়িয়ে ও ভোগান্তি নিরসন না করে ট্রেনের টিকিটের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত ভাড়ার হার কার্যকর হয়েছে ২৫ জানুয়ারি থেকে। এতে শোভন চেয়ার শ্রেণির ৩৮০ টাকার ভাড়া নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০৫ টাকা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কোচে আসন প্রতি ভাড়া ৭০ টাকা বাড়িয়ে ৬৩০ টাকার ভাড়া হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতারা।
২৮ জানুয়ারি ২০২৩ ইং গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সই করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, রেলপথ যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলেও রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, যাত্রীর স্বার্থ রক্ষায় চরম অবহেলা, অনীহা, রেল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি অব্যাহত রাখার জন্য রেল বিভাগ যাত্রী সেবার মান উন্নয়নে আন্তরিক নয়।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিতে প্রজ্ঞাপন চায় ক্যাব
যার কারণে রেলের ভাড়া দ্বিগুন করা হলেও সেবার মান বাড়েনি।
আর রেল ব্যবস্থাপনায় ভোক্তাদের কোন অংশগ্রহণ গুরুত্বই পায়নি। অভিযোগ প্রতিকারে ঢাবি’র শিক্ষার্থীদের লাগাতর ধর্মঘট ডাকলেও পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন হয়নি। এমনকি মান্দাতার আমলের সেই কোটা পদ্ধতি, টিকেট বিক্রয়ে সিন্ডিকেট প্রথা অব্যাহত আছে। যার কারণে রেলের টিকেট যাত্রীদের জন্য সোনার হরিণ হলেও কালোবাজারীদের কাছে অতি সহজলভ্য হয়ে আছে।
অনলাইনে টিকেট ছাড়ার পর সবগুলো বিক্রি দেখালেও ট্রেন ছাড়ার পর অনেক সীট খালি থাকে এবং লোকসানের সব দায়ভার রেলওয়ের ঘারে চাপে।
নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারের সদিচ্ছার কারণে রেলপথ মন্ত্রণালয় পৃথক মন্ত্রী পেলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত হয়নি।
তাই অবিলম্বে রেলপথে যাত্রী হয়রানি, ভোগান্তি ও অনিয়ম রোধে তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ডিজিটাল গ্রাহক সেবা কেন্দ্র (প্রয়োজনে প্রতিকার না পেলে ডিজি, মন্ত্রী, সচিবকে অবহিত করা যায় এমন ব্যবস্থা), বর্তমান টিকেট বিক্রয় ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকায়ন ও ঢেলে সাজানো, কোটাপদ্ধতি বাতিল, যাত্রীদের জন্য টিকেটপ্রাপ্তি সহজলভ্য করা, যাত্রীসেবার অনিয়ম রোধে রেলে তাৎক্ষণিক গ্রাহক সেবা কেন্দ্র/হেলপ লাইন চালু, সিদ্ধান্ত প্রদানে সক্ষম ও যোগ্য প্রতিনিধিকে রেলস্টেশনে অবস্থান নিশ্চিত করে সপ্তাহে অন্তত একদিন গণশুনানির আয়োজন করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রেলপথের সেবা ও ব্যবস্থাপনায় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে ভোক্তা প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ইফতার বিতরণের পরিবর্তে অর্থ প্রদানের আহ্বান ক্যাবের
রাজধানীতে গণপরিবহন সংকটে অফিসগামীদের ভোগান্তি
রাজধানীতে বিএনপির শেষ বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে শনিবার সকালে ঢাকার সড়কে গণপরিবহন স্বল্পতায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় অফিসগামীদের।
সকাল থেকে সড়কে কোনো গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে কিছু সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দেখা গেছে।
রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি দশম বিভাগীয় সমাবেশ করছে এবং সমাবেশস্থলে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন।
কোনো পরিবহন ধর্মঘট ডাকা না হলেও মালিকরা তাদের যানবাহন সড়কে নামাননি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গণপরিবহন সংকট; ভোগান্তিতে যাত্রীরা
ঢাকায় গণপরিবহন সংকট; ভোগান্তিতে যাত্রীরা
পুলিশ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে বুধবারের সংঘর্ষের পর উত্তেজনা ও সহিংসতার আশঙ্কার কারণে বৃহস্পতিবার ঢাকায় গণপরিবহনের চলাচল তুলনামূলকভাবে কম ছিল। এর ফলে সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গণপরিবহন না থাকায় দীর্ঘক্ষণ সড়কে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
বেসরকারি পরিবহন সংস্থা ‘আলিফ পরিবহন’-এর অপারেশন ম্যানেজার মো. আশরাফ ইউএনবিকে বলেন, প্রতিদিন এজেন্সির প্রায় ২৫০টি বাস রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলাচল করলেও, আজ সকাল থেকে এ সংখ্যা ছিল ১৩০-১৩৫টি।
সাধারণ দিনের তুলনায় সড়কে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের সংখ্যাও কম ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো জরুরি কাজ ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সিআইডির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট
সকাল থেকেই যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল বলেও জানান তিনি।
রইচ পরিবহনের লাইনম্যান মো. হিরন জানান, যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী তাদের ৪০টি বাসের মধ্যে ২০-২৫টি চলাচল করছে।
ট্রাফিক যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) আবু সালেহ মো. রায়হান বলেন, আজ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান (যানজটপ্রবণ এলাকা) যানজট মুক্ত।
তিনি আরও বলেন, অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় আজ সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যাও কম।
আরও পড়ুন: বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
রাজধানীতে ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজধানী ঢাকায় চলাচল করা ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন হয়েছে।রবিবার ঢাকায় মিরপুরে গাবলতীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনভেনশন সেন্টারে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘গণপরিবহনে নারীর নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি’র আওতায় গণপরিবহনে সিসি টিভি স্থাপন উদ্বোধনের এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, সিসি টিভি স্থাপনের মাধ্যমে গণপরিবহন নারীবান্ধব ও নিরাপদ হবে। নারীরা সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত বাসে উঠতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করবে। সিসি ক্যামেরা থাকায় এসব বাসের সাধারণ যাত্রীরাও সতর্ক থাকবে এবং তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যায়ক্রমে সকল বাসে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে নারীরা ৯৯৯ ও ১০৯ এর মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারবেন। হয়রানী বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে সিসিটিভির ফুটেজ আদালতে আলামত ও প্রামাণক হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নারীবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের ফলে আজ শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র ও উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রে নারীর পদচারণা বেড়েছে বহুগুণ। এর ফলে নারীকে প্রতিদিন কর্মস্থলে ও স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়। নারীরা গণপরিবহনের মাধ্যমে স্বল্প খরচে কর্মস্থল ও নিজ নিজ বাসস্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু নারীদের জন্য সরকারের এত উন্নয়নের কার্যক্রম গ্রহণের পরেও গণপরিবহনে নারীর প্রতি যৌন হয়রানির ঘটছে। গণপরিবহনে যাতায়াতকালে নারীরা অসম্মানজনক আচরণেরও শিকার হচ্ছেন। যার ফলে সভ্যতার এযুগে নারীরা চলাচলের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। এসব ঘটনা তাদের স্বাধীন চলাচলকে বাধাগ্রস্ত করছে। গণপরিবহনে এশিয়ার অন্যান্য দেশের নারীরা নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে প্রথম বাংলাদেশে কর্মজীবী নারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক বাস চালু করেন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের সকল গণপরিবহন নিরাপদ ও নারী বান্ধব করে তুলছে। শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকলে নারীরা নিরাপদ থাকে। নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। তিনি বাস মালিক সমিতির উদ্দেশে বলেন, চালকদের নিয়োগদানের পূর্বে তাদের সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে যেন তারা অপরাধ করলে তাঁদের দ্রুত শনাক্ত করা যায়। যাত্রীদের সাথে গাড়ির চালক ও স্টাফদের উত্তম আচরণ কেমন হবে, সে ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টু। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বাসচালক, স্টাফ, হেলপার যাত্রীসহ পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
উদ্বোধনী দিনে ৫টি বাস কোম্পানি ও ভিন্ন রুটের মোট ১০৮টি বাসে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
বাসগুলো হলো- চন্দ্রা টু ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার রুটের রাজধানী সুপার সার্ভিস লিমিটেডের পঁচিশটি, গাবতলী টু গাজীপুর রুটের বসুমতি ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের পঁচিশটি, মোহাম্মদপুর টু আবদুল্লাহপুর রুটের প্রজাপতি পরিবহন লিমিটেডের পঁচিশটি। ঘাটারচর টু আব্দুল্লাহপুর রুটের পরিস্থান পরিবহনের রয়েছে পঁচিশটি এবং গাবতলী টু সায়েদাবাদ রুটের গাবতলী এক্সপ্রেসের আটটি বাসে প্রাথমিক পর্যায়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
সরকারের অর্থায়নে কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে বেসরকারি সংস্থা দিপ্ত ফাউন্ডেশন।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
ভাস্কর্য আছে, থাকবে এবং আরও স্থাপন হবে: প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: রাজধানীতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ
সরকার জ্বালানির দাম বাড়ানোর ফলে শনিবার রাজধানীতে তীব্র পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। এদিন সকালে অধিকাংশ গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সরকার ডিজেল, অকটেন ও পেট্রোলের দাম যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ, ৫১.৭ শতাংশ ও ৫১ শতাংশ বাড়িয়েছে।
বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেল ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরকারের এই ঘোষণার পর পরিবহন মালিকরা রাজধানীতে গণপরিবহন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন।
গুলশান-১ এ অবস্থিত একটি বেসরকারি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত মাসুমা নাসরিন রিমি নামের এক নারী মিরপুর-১২ এর পূরবী বাসস্ট্যান্ডের সামনে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারেননি। অবশেষে তিনি অন্য যাত্রীদের সঙ্গে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় মহাখালী ওয়্যারলেস গেট এলাকায় যান।
রিমি বলেন, ‘আমি যে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠেছিলাম, তা মহাখালী ওয়্যারলেস গেট পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিকদের অবরোধের কারণে বেশিদূর যেতে পারেনি। অবশেষে, রিকশা নিয়ে কিছুদূর এবং হেঁটে কিছুদূর গিয়ে অফিসে পৌঁছলাম।’
বৈশাখী পরিবহনের কর্মচারী হাফিজুর রহমান জানান, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তারা মহাখালী-গুলশান-১ সড়ক অবরোধ করে।
হাফিজুর বলেন, ‘জ্বালানির দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে, তবে আমরা যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া নিতে পারি না। কারণ আমরা এখনও এই বিষয়ে কোনও নির্দেশনা পাইনি, যা অগ্রহণযোগ্য। আমরা যাত্রীদের সঙ্গে বিতণ্ডা এড়াতে আমাদের বাস চালাচ্ছি না।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: চট্টগ্রামে বাস চলাচল বন্ধ
শনিবার সরকারি ছুটির দিন হলেও অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণত এই দিনে তাদের অফিস খোলা রাখে। ফলে রাজধানীর বিভিন্ন বাস স্টপেজে প্রাইভেট সার্ভিসধারীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
অনেক অফিসগামীকে বাস না পেয়ে নিজ নিজ অফিসের দিকে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে রবিবার কাজের দিন হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়বে।
চট্টগ্রামে গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
দেশে সকল প্রকার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বাসসহ গণপরিবহন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক সমিতি।
শনিবার বেলা ৩টার দিকে বিষয়টি জানান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন।
তিনি বলেন,‘সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা চট্টগ্রামের সকল বাস চালকদের অনুরোধ করেছি গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামার জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। এরপর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্তে যাবো।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে হঠাৎ করেই সব ধরনের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ হওয়ায় শনিবার থেকে নগরে বাস না চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাস মালিকদের সংগঠন। এর ফলে বাসসহ সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়ে চট্টগ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি: চট্টগ্রামে বাস চলাচল বন্ধ
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: বাড়ছে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি: বাড়ছে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া
দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে গণপরিবহন ও লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে সরকার নির্দেশিত নতুন দাম কার্যকর হওয়ায় সড়ক ও নৌ উভয় রুটের পরিবহন খাতের জ্বালানি খরচ ১৩ দশমিক ১৬ থেকে ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এনার্জি অ্যান্ড মিনারেল রিসোর্স ডিভিশনের এক বিশ্লেষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১১৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনের দাম যথাক্রমে ১৩০ ও ১৩৫ টাকা লিটারে বাড়িয়েছে সরকার।
বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ডিজেলের দাম প্রতি লিটার ৩৪ টাকা বৃদ্ধির ফলে প্রতি কিলোমিটার যাত্রীপ্রতি ৫২ সিটের দূরপাল্লার বাস ভাড়া ০.২৯২ টাকা বা ১৬ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়বে এবং শহর এলাকায় ৫২ সিটের বাসের ভাড়া ০.২৮৩ টাকা বা ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
জ্বালানি বিভাগের তথ্যানুসারে, একইভাবে ডিজেল চালিত মোটর লঞ্চের প্রতি কিলোমিটার যাত্রীপ্রতি ভাড়া ০.৪২ টাকা বা ১৯.১৮ শতাংশ বাড়তে পারে।
বিশ্লেষণ অনুসারে, প্রতি কিলোমিটার দূরপাল্লার বাসের ভাড়া বর্তমান ১.৮০ টাকার বিপরীতে ২.০৯২ টাকা হতে পারে।
একটি সিটি কোচের জন্য, বর্তমান ২.১৫ টাকা থেকে প্রতি কিলোমিটার যাত্রীপ্রতি ভাড়া বেড়ে ২.৪৩ টাকা হবে।
একইভাবে প্রতি কিলোমিটার লঞ্চ ভাড়া বর্তমান ২.১৯ টাকা থেকে বেড়ে ২.৬২ টাকা হবে বলে জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
সর্বশেষ ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছিল।
শুক্রবার জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এবং ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) পেট্রোলিয়ামের দাম সামঞ্জস্য করেছে। কারণ বিশ্ব বাজারে এগুলোর দাম দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘যতদিন সম্ভব হয়েছে সরকার জ্বালানির দাম বাড়ায়নি। এখন বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কিছু সমন্বয় করতে হবে।’
তবে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হলে দাম কমতে পারে বলে কিছুটা আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানির দাম কমায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই অনুযায়ী জ্বালানির দাম সংশোধন করা হবে।’
নসরুল হামিদ আরও বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় অনেক দেশই নিয়মিত দামের সমন্বয় করছে।
এছাড়াও, বিপিসি ইতোমধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত গত ছয় মাসে পেট্রোলিয়াম বিক্রিতে আট হাজার ১৪ দশমিক ৫১ কোটি টাকা লোকসান করেছে।
আরও পড়ুন: ১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৩৫ টাকা
ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল: কৃষি মন্ত্রণালয়
গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
সারাদেশের গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কার্যকর ও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ'র প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মামুনুর রহমান ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর ১২২ ধারা অনুযায়ী বাস, মিনিবাস তথা গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিধিমালা প্রনয়ণ না করতে পারার ব্যর্থতা, আইন অনুযায়ী ভাড়ার তালিকা প্রকাশ্য স্থান ও সহজে দৃশ্যমান স্থানে না টানিয়ে ভাড়া আদায় করার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ব্যর্থতা এবং আইন অনুযায়ী যাত্রীদের থেকে বাস মালিক, কন্টাক্টরদের বেশি ভাড়া আদায় বন্ধ করার ব্যর্থতা কেন বেআইনি ও আইন পরিপন্থী ঘোষণ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, কমছে দোকান-পাট খোলার সময়ও
এছাড়া রুল পেন্ডিং অবস্থায় আগামী এক মাসের মধ্যে বাস থামার প্রতিটি নির্দিষ্ট জায়গায় প্রকাশ্য ও যাত্রীদের নিকট সহজে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার তালিকা প্রকাশ ও সেগুলো ইলেকট্রনিক বিলবোর্ডের মাধ্যমে উক্ত তালিকা প্রদর্শনের জন্য ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিআরটিএ'র প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মামলা পরিচালনা করেন রিটের বাদী ও আইনজীবী জনাব মো. আবু তালেব। সাথে ছিলেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান ও ব্যারিস্টার মুসতাসীম তানজীর।
এর আগে গত ৪ জানুয়ারি রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব।
তিনি জানান, মূলত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর কয়েকটি ধারা বাস্তবায়নের দাবিতে রিটটি করেছি। রিটে সড়ক পরিবহন সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ ডিসেম্বর থেকে গণপরিবহনে হাফ ভাড়া কার্যকর
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মধ্যে রাজধানীর গণপরিবহনকে ‘শৃঙ্খলাবদ্ধ’ করার উদ্যোগ
আপাতত স্কুল খোলা থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আপাতত স্কুল খোলা থাকবে। যদি সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পায়, তখন আমরা দেখব স্কুল নিয়ে কী করা যায়। যদি বেশি হারে বৃদ্ধি পায়,তাহলে স্কুল বন্ধ করার প্রয়োজন দেখা দেবে। তবে এখনও সেই অবস্থা হয়নি।
করোনাভাইরাসের নতুন ঢেউ মোকাবিলায় নানা ধরনের বিধিনিষেধের অংশ হিসেবে সব ধরনের দোকানপাট রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে আবারও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে গণপরিবহন। শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়ার দুই হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রেন ও লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, করোনা নিয়ন্ত্রণে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে জেলায় জেলায় স্বাস্থ্য বিধির বিষয়ে নিদের্শনা চলে যাবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যের জাতীয় কারিগরি কমিটির নির্দেশনা আছে, প্রধানমন্ত্রী সেগুলো অনুমোদন করছেন। রাত ৮টার মধ্যে সকল দোকানপাট বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের যানবাহন বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে। এ বিষয়ে জেলায় জেলায় আগামী দুই একদিনের মধ্যে নির্দেশনা চলে আসবে এবং কার্যকর হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: রেস্টুরেন্টে খেতে লাগবে ভ্যাকসিন কার্ড: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী, কমছে দোকান-পাট খোলার সময়ও
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় সরকার আবারও বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে। গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন এবং দোকান-পাট রাত ১০টার পরিবর্তে ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখাসহ আগামী সাতদিনের মধ্যে এসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘গণপরিবহন ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে এবং দোকান-পাট রাত ১০টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।’
আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: করোনায় কমেছে সুস্থতার হার
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ওমিক্রনের কিছু রোগী পাওয়া গেছে। গত দুই সপ্তাহ গড়ে ২৫০ জন ছিল করোনা রোগী। গতকাল ছিল ৬৭৫ জন। যেভাবে বাড়ছে তা আশঙ্কাজনক।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এখন দেশের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ যানবাহনে চলাচল করতে পারবে না, করলে জরিমানা।’
তিনি জানান, দোকান-পাট রাত ১০টার জায়গায় রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। দোকানে মাস্ক ছাড়া কেউ যেতে পারবে না। গেলে দোকান মালিক ও ক্রেতা সবার জরিমানা করা হবে।
এখনই লকডাউন না
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউনের চিন্তা এখনও করছে না সরকার। সংক্রমণ বেড়ে গেলে তখন সেটা নিয়ে চিন্তা করা হবে।
সীমান্ত বরাবর স্ক্রিনিং জোরদার করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ২০ হাজার শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রোগী আরও বাড়লে আমাদের পরবর্তী করণীয় নিয়েও আমরা ভাবছি।
এর আগে সোমবার করোনা মোকাবিলায় সরকার বিধিনিষেধ তীব্রতর করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার ছাড়িয়েছে
লিওনেল মেসি করোনায় আক্রান্ত