চা শিল্প
সিলেটের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম
চায়ের দেশ সিলেট ও ভিয়েতনামের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সর্ম্পক উন্নয়নের আগ্রহী দেশটি।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে নগর ভবনে ঢাকাস্থ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সিলেট তথা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সর্ম্পক সূদৃড় করা, সিলেটের ও ভিয়েতনামের চা শিল্পের মানোন্নয়ন ও বাজার বৃদ্ধিতে এক সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এসময় পর্যটন, তথ্প্রযুক্তি, নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন সহ আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনায় এক সাথে কাজ করার বিষয়েও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর ফয়ফুল আমীন, কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান,কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, মেয়রের সহকারি একান্ত সচিব মো. সোহেল আহমদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, আইটি কনসালটেন্ট মো. সাদাৎ থান সায়েম এবং ঢাকাস্থ ভিয়েতনাম দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।
আরও পড়ুন: ‘বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্সের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি’
আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
২ বছর আগে
চা শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, এটির ক্ষতি করা উচিত নয়: প্রধানমন্ত্রী
দেশের চা শিল্প যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সবাইকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘চা শিল্প আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এটি একটি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ফসল। তাই এই শিল্পের ক্ষতি করা উচিত নয়; এটাকে অবশ্যই আরও সমৃদ্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক: চা-শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
শনিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রাম এলাকার চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় চা শ্রমিকদের উন্নয়ন ও চা বাগান সম্প্রসারণে কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, চা শ্রমিকদের কাজের ধরন ও পরিবেশ অন্যান্য শ্রমিকদের তুলনায় ভিন্ন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চা শ্রমিকদের দেশের নাগরিকত্ব ছিল না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালে শিল্পমন্ত্রী থাকাকালে তাদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ কারণে আমি মনে করি আপনাদের প্রতি আমাদের কিছু অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে। আমরা সবসময় আপনাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছি।’
আরও পড়ুন: হামলা হলে পুলিশের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে চা শ্রমিকেরা তাদের মজুরি বাড়ানোর দাবি উত্থাপন করলে তিনি চা বাগানের মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করেন।
তিনি বলেন, মালিকরা যাতে চা শ্রমিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারে এবং তাদের সুযোগ-সুবিধার প্রতি খেয়াল রাখে সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সংক্ষিপ্তভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়নের উদ্যোগের বর্ণনা দিয়ে বলেন, সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য বাড়ি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উদ্ভূত পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার ওপর জোর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘সেই আঘাতের ঢেউয়ের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে, তাই আমরা সাধারণ মানুষের জন্য ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করার চেষ্টা করছি। যাতে তারা তাদের আয় দিয়েই নিজেদের পরিবার নিয়ে টিকে থাকতে পারে।’
পরে তিনি চার জেলার চা শ্রমিকদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায় উন্নীত করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া, প্লাকিং বোনাস (অতিরিক্ত চা পাতা তোলার সুবিধা), উৎসব বোনাস, অর্জিত ছুটি, অসুস্থতার সময় পাওয়া ছুটি ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, রেশন কার্ড এবং অবসর সুবিধাসহ শ্রমিকদের অন্যান্য সুবিধাগুলিও আনুপাতিকভাবে বৃদ্ধি করা হবে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার মতো সংকট বাংলাদেশে হবে না: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
বাংলাদেশের শীর্ষ চায়ের ব্র্যান্ড
সকালে বা কাজের চাপের মধ্যে এক কাপ চা আপনার মনমেজাজ ভালো করে দিতে পারে। ৫ হাজার বছরেরও আগে চীনে প্রথম চায়ের ব্যবহার শুরু হয়। সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের চা এবং বিভিন্ন প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে চা তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে চা সুস্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক পানীয় হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই সমাদৃত হয়ে আসছে। আসুন এই অঞ্চলের চা উৎপাদন শিল্পের ইতিহাস এবং বিকাশ নিয়ে আলোচনা করা যাক। আমরা বাংলাদেশের সেরা চায়ের ব্র্যান্ডগুলোতেও মনোনিবেশ করব এবং আপনার সঠিক স্বাদ অনুসারে এমন একটি ব্র্যান্ড পছন্দ করুন।
৩ বছর আগে