এশিয়া
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য ৫০০ কোটি ডলারের এডিএফ গঠনে সম্মতি
দাতা সংস্থা ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এশীয় উন্নয়ন তহবিলের (এডিএফ) ১৪ এবং কারিগরি সহায়তা বিশেষ তহবিল (টিএএসএফ) ৮ এর জন্য ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে।
এডিবির ৫৭তম বার্ষিক সভায় এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
নিম্নলিখিত উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলো এডিএফ-১৪ থেকে অনুদানের প্রাথমিক প্রাপক- মাইক্রোনেশিয়ার ফেডারেটেড স্টেটস, কিরিবাটি, কিরগিজ প্রজাতন্ত্র, মালদ্বীপ, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, নাউরু, সামোয়া, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, তাজিকিস্তান, টোঙ্গা, টুভালু ও ভানুয়াতু।
আফগানিস্তান ও মিয়ানমারের জনগণকে সহায়তা করার জন্য এবং বাংলাদেশে রূপান্তরমূলক প্রকল্পগুলোর জন্যও অনুদান পাওয়া যাবে। এছাড়াও অনুদান পাবে ভুটান, কম্বোডিয়া, কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, নিউই, পাকিস্তান, পালাউ, পাপুয়া নিউ গিনি, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর এবং উজবেকিস্তান।
দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এডিএফ হচ্ছে এডিবির সবচেয়ে বড় অনুদানের উৎস এবং প্রতি চার বছর পর পর তা পুনরায় পূরণ করা হয়।
২০২৫-২০২৮ সালের অনুদান কার্যক্রমকে সমর্থন করবে এডিএফ-১৪ তহবিল ১৩তম পুনঃপূরণ।
এডিএফ-১৪ পুনঃপূরণকৃত এডিএফ-১৩-তে প্রাপ্ত ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি এবং যোগ্য এডিবি সদস্যদের এডিএফ অনুদানের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: এডিবির বার্ষিক সভা: এডিবি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
টিএএসএফ-৮ অনুদান সরবরাহ করবে- যা প্রকল্পগুলো প্রস্তুত, সক্ষমতা তৈরি ও প্রযুক্তিগত বা নীতি পরামর্শ সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
শুক্রবার (৩ মে) এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, 'আমাদের দরিদ্রতম ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সদস্যরা সাম্প্রতিক উন্নয়নের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে চাইছে। ফলে তাদের জন্য অনুদান আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, 'এই অসাধারণ পুনঃপূরণ যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জরুরি উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবির সঙ্গে এডিএফ দাতাদের অব্যাহত অংশীদারিত্বকে তুলে ধরে।’
এডিএফ-১৪ ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোকে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং ভঙ্গুর ও সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে থাকা দেশগুলোকে নিবেদিত সহায়তা করতে অগ্রাধিকার দেয়।
এডিএফ-১৪ জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখবে। এটি আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক জনসাধারণের পণ্য এবং রূপান্তরমূলক লিঙ্গভিত্তিক কাজের ক্ষেত্রে বিস্তৃত সহায়তা কার্যক্রমে সক্ষম করবে।
এটি তার সংকট প্রতিক্রিয়া শাখার মাধ্যমে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সহায়তাও সরবরাহ করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রবীণদের জন্য আরও বেশি বরাদ্দ দিতে জোর দিয়েছে এডিবি
আড়াই বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বা ৫১ শতাংশ পুনঃপূরণ দুটি নতুন দেশ- আর্মেনিয়া ও জর্জিয়াসহ দাতাদের অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। এডিবি এডিএফে তার নেট আয় স্থানান্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে। এডিএফ-১৩ তে মাত্র ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার থেকে এডিএফ-১৪ তে প্রায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে, যা ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি।
অবশিষ্ট শূন্য দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে আগের এডিএফ চক্র থেকে স্থানান্তর এবং তারল্য বিনিয়োগ থেকে আয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একইভাবে, এডিএফ-১৪ মেয়াদে এডিবি ১৬ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার রেয়াতি ঋণ প্রদান করতে চায়, যা দীর্ঘ ঋণ পরিশোধের সময়কালে খুব কম সুদের হার রয়েছে।
সব মিলিয়ে এডিবি প্রতি ১ ডলার দাতাদের অনুদানের বিপরীতে ৮ ডলারের বেশি অনুদান ও রেয়াতি ঋণ দিতে পারবে।
যেসব রাষ্ট্র এডিএফ-১৪ তে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেগুলো হলো- আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জর্জিয়া, জার্মানি হংকং, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, লুক্সেমবুর্গ, মালয়েশিয়া, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, ফিলিপাইন, পর্তুগাল, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তাইপেই, চীন, তুৰ্কীয়ে, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: কার্যকরী-গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজে আগ্রহী এডিবি: ভাইস প্রেসিডেন্ট ভার্গব দাশগুপ্ত
৭ মাস আগে
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর জোরালো আহ্বান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
এশিয়ার দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মজুতদারি রোধে কঠোর হবে সরকার: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধা ভোগ করতে পারে। আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সম্পদ বিনিময় হচ্ছে ‘সাপ্লাই চেইনের’ সংকট সমাধানের অন্যতম মাধ্যম।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হলো পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করা। এখানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের মধ্যে পূর্ব এশিয়ার একাধিক বন্ধু দেশ আছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে ‘প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছেন। ‘একটি গ্রাম, একটি পণ্য’ উদ্যোগ সফল হলে নারী ক্ষমতায়নসহ রপ্তানিযোগ্য পণ্যে বৈচিত্র্য আনা সম্ভব হবে। দেশের মূল রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প ছাড়াও চামড়া, ফার্মাসিউটিক্যাল ও হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিতে আগ্রহী মঙ্গোলিয়া: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যের নতুন বাজার খোঁজার নির্দেশ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বুধবার মূলধন ব্যবস্থাপনা সংস্কারের অনুমোদন দিয়েছে। এটি এই অঞ্চলের ওভারল্যাপিং, সমকালীন সংকট মোকাবিলায় আগামী এক দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল অনুমোদন দিয়েছে।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় বিলিয়ন থেকে ট্রিলিয়ন ডলারে স্থানান্তরের জন্য বেসরকারি ও অভ্যন্তরীণ মূলধন সংগ্রহের মাধ্যমে তহবিলের সম্প্রসারণ আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক আর্থিক ঘাটতি ২.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত: এডিবি
ম্যানিলা থেকে পাওয়া এক বার্তায় বলা হয়, এডিবির ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েন্সি ফ্রেমওয়ার্কের (সিএএফ) আপডেটের মাধ্যমে এই সংস্কার চালু করা হয়েছে।
তারা ব্যাংকের বার্ষিক নতুন প্রতিশ্রুতির ক্ষমতা ৩৬ বিলিয়নেরও বেশি প্রসারিত করেছে। অর্থাৎ প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৪০ শতাংশ বাড়িয়েছে।
সামগ্রিক ঝুঁকি রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি এডিবির প্রত্যাশিত বিবেচ্য মূলধনের মাধ্যমে এই সম্প্রসারণ অর্জন করা হয়।
এই সংস্কারগুলো অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবিলা করতে এডিবির উন্নয়নশীল সদস্য দেশগুলোকে (ডিএমসি) সহায়তা করার জন্য একটি কাউন্টারসাইক্লিকাল লেন্ডিং বাফার তৈরি করে।
আগামী এক দশকে এডিবি তার ডিএমসি এবং বেসরকারি খাতের ক্লায়েন্টদের নিজস্ব অর্থায়নের ৩৬০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। যা এডিবি তার এএএ ক্রেডিট রেটিং বজায় রাখবে এবং ডিএমসিগুলোকে স্বল্প খরচে এবং দীর্ঘ মেয়াদে তহবিল সরবরাহের ক্ষমতা নিশ্চিত করবে।
সংস্কারগুলো একটি পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রবর্তনের মাধ্যমে এডিবির এএএ ক্রেডিট রেটিংকে আরও সুরক্ষিত করে। এটি আর্থিক চাপের সময় মূলধন কমে যাওয়া রোধ করবে। এডিবির ক্যাপিটাল অ্যঅডিকোয়েন্সি ফ্রেমওয়ার্ক প্রতি ৩ বছর পর পর পর্যালোচনা করা হয়।
এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রচেষ্টায় এডিবির সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারিত করবে।
তিনি বলেন, আমাদের সম্পদ দিয়ে আরও বেশি ও দ্রুত কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোকে (এমডিবি)। সেই আহ্বানে এডিবি'র সাড়া দেওয়ার অংশ হিসেবেই আমাদের আজকের এই সিদ্ধান্ত। এসব সম্পদ এই অঞ্চলের বেশকিছু জটিল সংকট মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে। যেমন- লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্বগত চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে মৌলিক চাহিদাগুলো সরবরাহ করতে সহায়তা করবে। এই অতিরিক্ত ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা আরও প্রসারিত হবে এবং বেসরকারি ও অভ্যন্তরীণ মূলধন সংগ্রহ এবং আমাদের কাজের প্রভাব সর্বাধিক করার জন্য নতুন প্রচেষ্টার মাধ্যমে আরও বাড়ানো হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
১ বছর আগে
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সার সম্মেলন
ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে এশিয়ার সবচেয়ে বড় সম্মেলন ‘ন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সার্স কনফারেন্স’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হয় এই কনফারেন্স।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটি ‘ফ্রিল্যান্সার অফ বাংলাদেশ’ এর আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশ নেওয়া মোট ৩ হাজার ফ্রিল্যান্সারের অংশগ্রহণে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন গুগলের বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা অংশের ইন্ডাস্ট্রি লিড গোলাম কিবরিয়া।
এছাড়াও ইন্টারন্যাশনাল গেস্ট হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ইনফ্লুয়েন্সার এবং ভিএফএক্স মেন্টর ইমরান আলী দিনা।
আরও পড়ুন: ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের নিবন্ধন করবেন যেভাবে
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন যোগাযোগ দক্ষতা অর্জন। ফ্রিল্যান্সার প্রশিক্ষণের সুযোগ কাজে লাগিয়ে মধুপুরের দুর্গম পাহাড়ের গায়রা গ্রামের একজন তরুণ গোটা এলাকার জীবন ধারা পাল্টে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাদের উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পর ওই গ্রামের ৩ শতাধিক মেয়ে-ছেলে প্রত্যন্ত পাহাড়ে বসে প্রতি মাসে কয়েক হাজার ডলার আয় করছে। একই অবস্থা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার আহমেদপুর গ্রামে। হাওরের এই প্রত্যন্ত গ্রামে এখন ৪৮ জন প্রোগ্রামার আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।
সম্মেলনের আহ্বায়ক ফয়সাল মুস্তাফা বলেন, ‘ফ্রিল্যান্সাররা সবসময় ঘরে বসে কাজ করেন, তাদের একে-অপরের সঙ্গে দেখা হওয়া, অভিজ্ঞতা বিনিময়, যোগাযোগ বাড়ানো ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখেই আমরা এই আয়োজন করেছি।’
সম্মেলনের অন্যতম আয়োজক রিফাত এম হক বলেন, ‘দেশের ৬৪ জেলা থেকেই দেশসেরা ফ্রিল্যান্সার, তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবী ও সফল উদ্যোক্তারা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সার কনফারেন্স।’
সম্মেলনের অন্যতম আয়োজক মিনহাজুল আসিফ বলেন, বাংলাদেশের আনাচে কানাচে থেকে এখন তরুণরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন এবং দেশে রেমিটেন্স নিয়ে আসছেন। তাদের প্রতি আমরা সবাই কৃতজ্ঞ এবং তাদের জন্য এরকম নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয় এই কনফারেন্স। এরপর গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইওসহ নানা বিষয়ে প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে দেশসেরা ১৫ জন ফ্রিল্যান্সারদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন প্রধান অতিথি মোস্তাফা জব্বার। সন্ধ্যায় স্বনামধন্য মিউজিক ব্যান্ড “ব্ল্যাক” এর গান পরিবেশনার মাধ্যমে সম্মেলনটি শেষ হয়।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- বেসিস এর প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, বাক্কো এর সেক্রেটারি জেনারেল তৌহিদ হোসাইন, বি এফ ডি এস এর চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান, এডিশনাল ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সাঈদ নাসরুল্লাহ অভি, ওমেন-ইন-ইকমার্স এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা, পাঠাও এর ফর্মার ফাউন্ডার হুসাইন এম ইলিয়াস, পেওনিয়ার এর সিনিয়র বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার নাফিউর রহমান, আপওয়ার্ক এর লিড জেনারেশন ম্যানেজার সাইদুর মামুন খান, ফাইভার মার্কেটপ্লেসের কমিউনিটি টিম লিড জাহিদুল ইসলাম, আপওয়ার্কের অফিসিয়াল লিড ম্যানেজার সাইদুর মামুন, নেক্সট ভেঞ্চার্স এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ জায়েদসহ আরও অনেকে।
এই সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে ছিল- বেসিস, বাক্কো, বিএফডিএস, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) এবং বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।
অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পন্সর নেক্সট ভেঞ্চার্স, পাওয়ার্ড বাই পার্টনার বিকাশ, প্লাটিনাম স্পনসর পেওনিয়ার ও ইউআই বার্ন, টিশার্ট স্পন্সর কোডম্যান বিডি, ডিওয়াইটি ও ভাইজার এক্স।
আরও পড়ুন: এশিয়ার সবচেয়ে বড় 'ফ্রিল্যান্সারস সম্মেলন’ হচ্ছে ঢাকায়
ফ্রিল্যান্সারদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে: পলক
১ বছর আগে
সপ্তম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো শুরু হয়েছে ইউনানে
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের কুনমিংয়ে বুধবার শুরু হয়েছে সপ্তম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং বন্ধুত্বে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ‘আশার সেতু’: চীনা রাষ্ট্রদূত
বিশ্বের ৮৫টি দেশ ও অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ৩০ হাজারের বেশি প্রদর্শক, প্রতিনিধি এবং অতিথিরা এই প্রদর্শনীতের যোগ দিচ্ছেন। পাঁচ দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে অনলাইন ও অফলাইনে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমে অংশ নেবেন তারা।
‘সাধারণ উন্নয়নের জন্য সংহতি ও সমন্বয়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। এখানে দক্ষিণ এশিয়া প্যাভিলিয়ন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্যাভিলিয়ন, সম্পদ-ভিত্তিক অর্থনীতি প্যাভিলিয়ন এবং বন্দর অর্থনীতি প্যাভিলিয়নসহ ১৫টি প্রদর্শনী হল স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও
'শান্তি ও স্থিতাবস্থা' বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি চীন-ভারতের
১ বছর আগে
বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি: আইএমএফ দল
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফরকারী দল বলেছে, অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বর্ধনশীল।
রবিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ বলেছেন:‘একটি চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পটভূমিতে, বাংলাদেশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি। তবে ক্রমাগত মুদ্রাস্ফীতির চাপ, বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতা এবং প্রধান বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর ধীরগতি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং টাকার মানের ওপর প্রভাব ফেলবে।’
সাম্প্রতিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে আনন্দের নেতৃত্বে দলটি ২৫ এপ্রিল ঢাকায় পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ
প্রতিনিধি দলটি আইএমএফ-সমর্থিত কর্মসূচির অধীনে মূল প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যাপারেও অগ্রগতি দেখেছে।
আনন্দের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা (ইসিএফ) /বর্ধিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ) / স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই সুবিধা (আরএসএফ) ব্যবস্থার প্রথম পর্যালোচনাতে মূল্যায়ন করা হবে, যা এই বছরের শেষের দিকে করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
সফরকালে আইএমএফ দল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অন্যান্য সরকারি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রতিনিধি দলটি বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, দ্বিপক্ষীয় দাতা এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছে।
আরও পড়ুন: বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: সমন্বিত এক্সচেঞ্জ রেট ও প্রতিযোগিতামূলক ঋণের হারকে অগ্রাধিকার
১ বছর আগে
চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ: আইএমএফ
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সর্বশেষ প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে যে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, আগামী অর্থবছরে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জিডিপি বৃদ্ধির হারের দিক থেকে ভিয়েতনামের পরে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে থাকবে।
আইএমএফ এর এশিয়া ও প্যাসিফিক মে ২০২৩-এর আঞ্চলিক অর্থনৈতিক আউটলুক রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৪ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে চীন ও ভারতকে ছাড়িয়ে যাবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: আইএমএফ-বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠক: সমন্বিত এক্সচেঞ্জ রেট ও প্রতিযোগিতামূলক ঋণের হারকে অগ্রাধিকার
বাংলাদেশে চাহিদা-ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার কারণে ২০২৩ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশে নেমে আসবে।
যা এখনও চীনের পাঁচ দশমিক দুই শতাংশের অনুমিত প্রবৃদ্ধির হারের চেয়ে বেশি।
তবে বাংলাদেশের চেয়ে চীনের অর্থনীতি অনেক বড়।
আইএমএফের প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশের জন্য সম্প্রতি অনুমোদিত এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
এছাড়া স্থিতিস্থাপকতা এবং টেকসই সুবিধা ব্যবস্থা জলবায়ু বিনিয়োগের অগ্রাধিকারের অর্থায়ন এবং দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করতে আর্থিক স্থানকে প্রসারিত করবে।
প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে।
এছাড়া বিশেষ করে বাংলাদেশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জসহ এই অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ উদীয়মান বাজারে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজনে আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করে।
আরও পড়ুন: বিবিএসের জিডিপি ও মুদ্রাস্ফীতির তথ্য নতুন পদ্ধতিতে হালনাগাদে সন্তুষ্ট আইএমএফ
কিছুটা স্বস্তির জন্য আইএমএফের ঋণ নিয়েছে বাংলাদেশ: আইএমএফের এমডিকে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে ভারতের ওপর আক্রমণের অভিযোগ আদানির
এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ভারতের আদানি গ্রুপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা ও শর্ট-বিক্রেতা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের একটি প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করেছে। তারা প্রতিবেদনটিকে ‘বিদ্বেষপূর্ণ’, ‘ভিত্তিহীন’ ও ‘নির্দিষ্ট কিছু ভুল তথ্য’ এ পূর্ণ বলেও অভিহিত করেছে।
হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে জালিয়াতি এবং অন্যান্য অপকর্মের অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর থেকে গ্রুপের শেয়ার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
যদিও সোমবার আদানি গ্রুপ কিছু হারানো শেয়ার পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এদিন গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজ ৩.২ শতাংশ লাভ করেছে এবং আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড ৩.৩ শতাংশ লাভ করেছে। এছাড়া আদানির অন্যান্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সাইকেলে হজযাত্রায় বেনাপোল হয়ে ভারত গেলেন থাই নাগরিক সালাম
রবিবার আদানি গ্রুপের প্রকাশিত ৪০০ পৃষ্ঠার প্রতিক্রিয়ায় তারা হিন্ডেনবার্গকে ভারত ও দেশটির প্রতিষ্ঠানগুলোকে আক্রমণ করার এবং সিকিউরিটিজ ও বৈদেশিক মুদ্রার আইন ভঙ্গ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
এছাড়া হিন্ডেনবার্গকে অভিযুক্ত করে বলেছে যে এটি আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে এবং এর শেয়ার বিক্রিতে ধস নামানোর চেষ্টা করছে।
আদানির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এটি নিছক কোনো নির্দিষ্ট কোম্পানির ওপর কোনো অযৌক্তিক আক্রমণ নয়, বরং ভারতের ওপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। কেননা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা ও গুণমান হলো ভারতের প্রবৃদ্ধির ঐতিহ্য ও ভবিষ্যত উন্নয়নের প্রত্যাশা।’
জবাবে হিন্ডেনবার্গ ফার্ম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে আদানির প্রতিক্রিয়া মূলত তার ত্রুটিগুলোকে নিশ্চিত করেছে এবং তারা তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
হিন্ডেনবার্গ আরও বলেছে, আদানি গ্রুপ তার উন্নয়নকে ভারতের সাফল্যের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করছে।
হিন্ডেনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি ভারত একটি প্রতিনিধিত্বকারী গণতন্ত্র এবং একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত সমৃদ্ধ একটি উদীয়মান পরাশক্তি। আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে ভারতের ভবিষ্যত আদানি গোষ্ঠীর মাধ্যমে আটকে রাখা হয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘আমরা এটাও বিশ্বাস করি যে জালিয়াতি মানে জালিয়াতি। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি তা করলেও, তা জালিয়াতিই থাকে।’
আরও পড়ুন: দুই ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ১ পাইলট নিহত
কয়লা খনির মাধ্যমে গৌতম আদানি এবং তার পরিবার ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এছাড়াও তাদের রয়েছে অবকাঠামো, বন্দর, ডেটা ট্রান্সমিশন, মিডিয়া, নবায়নযোগ্য শক্তি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদন এবং কৃষিসহ বিভিন্ন শিল্পের ব্যবসা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আদানির নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ প্রায় দুই হাজার শতাংশ বেড়েছে।
ব্লুমবার্গের বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে, গত বছরের শেষের দিকে প্রায় ১২৫ বিলিয়ন ডলার সম্পদ নিয়ে আদানি অ্যামাজনের প্রধান জেফ বেজোসকে ছাড়িয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির খেতাব পেয়েছেন।
গত সপ্তাহের লোকসানের পর, ব্লুমবার্গের সূচকে তিনি ৯২.৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে বিশ্বের সপ্তম ধনীর স্থানে রয়েছেন।
হিন্ডেনবার্গ তার প্রতিবেদনে বলেছে দুই বছরের তদন্তের ভিত্তিতে তারা ‘আদানি গ্রুপ: কিভাবে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি কর্পোরেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কলকাঠি নাড়ছে’-শিরোনামের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।
হিন্ডেনবার্গ তার প্রতিবেদনে ৮৮টি প্রশ্ন তালিকাভুক্ত করেছে এবং তারা এসব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য আদানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
এরমধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগই গ্রুপের ঋণের মাত্রা, এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের কার্যকলাপ, অফশোর শেল কোম্পানির ব্যবহার এবং জালিয়াতির অতীত তদন্ত বিষয়ে।
বিনিয়োগকারীরা বুধবার আদানি-সংযুক্ত শেয়ারগুলো ডাম্প করা শুরু করে এবং আদানি গ্রুপ প্রায় ৪৮ বিলিয়ন ডলার বাজার মূল্য হারায়।
প্রতিক্রিয়ায় আদানি গ্রুপ বলেছে যে হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের ৮৮টি প্রশ্নের একটিও ‘স্বাধীন বা সাংবাদিকতাগত তথ্য অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি।’ এগুলোর অধিকাংশই ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর বা পক্ষপাতদুষ্ট।
সোমবার সিএনবিসি টিভি ১৮-এর সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে আদানির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা জুগেশিন্দর সিং বলেছেন, গ্রুপের মোট ঋণ ছিল ৩০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ৯ বিলিয়ন ডলার ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলোর থেকে নেয়া।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতের ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত
হিন্ডেনবার্গ বলেছিল যে আদানি তাদের উত্থাপিত ৮৮টি প্রশ্নের মধ্যে ৬২টির উত্তর দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আদানির প্রতিক্রিয়ার মাত্র ৩০ পৃষ্ঠা প্রাসঙ্গিক; বাকি পৃষ্ঠাগুলোয় আদালতের রেকর্ড, সাধারণ তথ্য, কোম্পানির আর্থিক ও ‘অপ্রাসঙ্গিক কর্পোরেট উদ্যোগ’ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আদানি গ্রুপের আইনি বিভাগের প্রধান যতীন জলন্ধওয়ালা বলেছিলেন যে গ্রুপটি হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছে।
হিন্ডেনবার্গ বলেছে যে তারা তাদের প্রতিবেদনে অটল এবং তারা আদানি গ্রুপের আইনি পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে।
১ বছর আগে
বিশ্বব্যাপী কোভিড আক্রান্ত ৬৭ কোটি ছুঁই ছুঁই
এশিয়া এবং বিশ্বের অন্যান্য অংশে ভাইরাসের 'ওমিক্রন উপ-ভেরিয়েন্টের আকস্মিক বৃদ্ধির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ আক্রান্তের সামগ্রিক সংখ্যা ধীরে ধীরে ৬৬ কোটি ৯০ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
বিশ্বব্যাপী সর্বশেষ তথ্য অনুসারে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ কোটি ৮৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩৭ গণনা করা হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা ৬৭ লাখ ১৩ হাজার ৭০০ জনে পৌঁছেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৩০ লাখ ৮৬ হাজার ৯২৭ জনের করোনা আক্রান্তের রেকর্ড করা এবং দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ লাখ ২১ হাজার ৯৭ জন মারা গেছেন, যা বিশ্বজুড়ে উভয় সংখ্যায় সর্বোচ্চ।
ভারত রবিবার কোভিড-১৯ এর ১৫৩টি নতুন সংক্রমণের প্রতিবেদন করেছে, এতে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৪৬ লাখ ৮১ হাজার ১৭০ জনে। এই সময়ের মধ্যে সারা দেশে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, ভারতের কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৭২০ জনে থেমে রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যুশূন্য, শনাক্ত ১৭
এদিকে, ফ্রান্সে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৪ লাখ সাত হাজার ৭২৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থান দখল করেছে, আর সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে ভাইরাসে দেশটিতে এক লাখ ৬২ হাজার ৬৪৩ জন মারা গেছে।
বাংলাদেশে কোভিড পরিস্থিতি
রবিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ১৭ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) অনুসারে, নতুন আক্রান্তসহ দেশের মোট আক্রান্ত বেড়ে ২০ লাখ ৩৭ হাজার ২৬৭ জনে এ দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, সরকারি হিসাবে মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৪০ জনে স্থির রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: বিশ্বে আক্রান্ত ৬৬ কোটি ৭২ লাখ ছাড়াল
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ কোটি ৬৬ লাখ ছাড়াল
১ বছর আগে
বিশ্ব করোনা: আক্রান্ত বেড়ে ৬২ কোটি ৫৫ লাখ ছাড়াল
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৫০ লাখ অতিক্রম করেছে।
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬২ কোটি ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪২৫ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৬৫ লাখ ৫৭ হাজার ৬৯৭ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব করোনা: মৃত্যু ৬৪ লাখ ২০ হাজারের কাছাকাছি
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার ৭৫৫জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৮৭ হাজার ৩৫০ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে শুক্রবার পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ৪৬ লাখ ৫ হাজার ১৪৯জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৫ জনে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব করোনা:মৃত্যু ৫৩ লাখ ১১ হাজার
বিশ্ব করোনা: মৃত্যু ৫৩ লাখ ছুঁই ছুঁই
২ বছর আগে