ঢাকা-বেইজিং
সহযোগিতার গভীর সম্পর্কের 'ঐতিহাসিক সুযোগের' সম্মুখে ঢাকা-বেইজিং: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশ ও চীন এখন দুই দেশের মধ্যে গভীর সহযোগিতার ক্ষেত্রে 'উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক সুযোগের’ সম্মুখীন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
রাজধানীতে এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি বলেন, 'কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চীন প্রস্তুত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের প্রশংসা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূতের
রাষ্ট্রদূত ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব বৃদ্ধি, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা সুসংহতকরণ, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভকে গভীর করা এবং সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চীনা দূতাবাসের সেন্টার ফর চাইনিজ স্টাডিজ (এসআইআইএস-ডিইউ) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সহযোগিতায় সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীতে 'বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: একটি ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি' শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন এসআইআইএসের একাডেমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াং জিমিয়ান, বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা বিষয়ক শ্বেতপত্র বিষয়ক কমিটির সভাপতি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিআইআইএসএস’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস প্রমুখ।
মূল বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, আমাদের উভয় দেশের ঐতিহাসিক সুযোগ ও বাহ্যিক পরিবেশ গভীর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে।
তবে তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সমতা ও পারস্পরিক সুবিধার মূল নীতিগুলো অপরিবর্তিত রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'দুটি দেশের জনগণের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্ব অপরিবর্তিত রয়েছে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে সমর্থন ও এগিয়ে নিতে সরকার ও সমাজ উভয়ের দৃঢ় সংকল্প অপরিবর্তিত রয়েছে।’
অধ্যাপক ইয়াং জিমিয়ান বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং উভয় দেশ জাতীয় উন্নয়নের মূল সন্ধিক্ষণে রয়েছে।
তিনি বলেন, অস্থিতিশীল আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিবেশের মধ্যে দুই দেশের উচিত শাসন বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় বাড়ানো, নিজ নিজ শক্তির সমন্বয় বাড়ানো, একে অপরের মূল স্বার্থকে সমর্থন করা এবং যৌথভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
২ মাস আগে
ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ করবে: বিমানমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ‘ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই ফ্লাইট বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, উন্নয়ন ও ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির নিদর্শন।’
তিনি বলেন, ‘এই ফ্লাইট চালুর ফলে আমাদের দেশের জনগণ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা সরাসরি বেইজিংয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া পর্যটনসহ অন্যান্য ব্যবসার ক্ষেত্রেও এর সুফল পাওয়া যাবে।’
বুধবার (১০ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার চায়নার ঢাকা-বেইজিং-ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: পর্যটন শিল্পে বিনিয়োগ করলে সমবায় সমিতিকে সহযোগিতা করা হবে: বিমানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘যারা উন্নয়ন চায় না তারা কানেক্টিভিটি নিয়ে অসত্য বলে। তারা দেশকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায়। তারা ভুলে যায় কানেক্টিভিটি মানেই উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি মানেই বাণিজ্য। যত বেশি কানেক্টিভিটি বাড়বে, এ দেশের জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তত বেশি সুবিধা পাবেন।’
ফারুক খান বলেন, ‘বর্তমানে চীনের কুনমিং ও গুয়াংজুতে সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে। বুধবার এয়ার চায়নার ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু হলো। আগামী ১৫ জুলাই একই রুটে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু হবে। ভবিষ্যতে চীনের আরও নতুন নতুন গন্তব্যে ঢাকা হতে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে। সংযোগ আরও বাড়বে।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স লিউ ইউয়ান, আরভিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এইচ ভি এম লুৎফর রহমান, এয়ার চায়নার কান্ট্রি ম্যানেজার আন মিং প্রমূখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায়: বিমানমন্ত্রী
সরাসরি বিমান যোগাযোগ বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে: বিমানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
১৫ জুলাই থেকে ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ভ্রমণের ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু করছে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স।
সোমবার (১ জুলাই) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-বেইজিং রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ঘোষণা দেয় এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও শনিবার ঢাকা থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করবে দুটি ফ্লাইট। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেইজিংয়ের ডাশিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রুটে চলবে ফ্লাইট দুটি।
এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, এই ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যোগাযোগ আরও সমৃদ্ধ হবে। যা দেশ দুটির জনগণের মধ্যে সংযোগ ও বন্ধুত্ব মজবুতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেন, চীন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হয়ে কাজ করছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগ আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে। যেহেতু চীনে প্রচুর পর্যটক রয়েছে, আমরা ভবিষ্যতে কক্সবাজার এবং কুনমিং বিমানবন্দরের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়টি পর্যালোচনা করছি।’
এছাড়াও দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে মিয়ানমার, ভারত, চীন, নেপাল ও ভুটানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হবে বলে জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধনে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এই রুটটি বৃহত্তর সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে সংযোগ এবং উভয় পক্ষের জন্য সমান লাভ বয়ে আনবে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার সুযোগ আরও প্রসারিত করবে। এছাড়াও এই রুট চীন ও বাংলাদেশের জনগণকে ভ্রমণের সুযোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা-বেইজিং রুট উদ্বোধন করায় চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সকে ধন্যবাদ জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সংযোগই সবকিছু, সংযোগ ছাড়া কিছুই করা যায় না। চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স জিএসএ, অ্যামনেস্টার সলিউশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআই পরিচালক হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, এই নতুন রুট দুই দেশের মানুষ, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির মধ্যে সংযোগ বাড়াতে কাজ করবে। এই সংযোগ বাণিজ্য, পর্যটন, শিক্ষা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার জন্য নতুন দ্বার উন্মোচনের পাশাপাশি দুই দেশকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে।
চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক জি কাংজিয়া বলেন, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স এভিয়েশন শিল্পে একটি শীর্ষস্থানীয় নাম। গত বছর আমরা ঢাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি যাত্রী নিয়ে চীনে গেছি। এই বছরের প্রথমার্ধে সংখ্যাটি এরই মধ্যে ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা উপভোগ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করার আমন্ত্রণ জানান।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, শীর্ষস্থানীয় ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর প্রতিনিধিসহ অন্যান্য নিমন্ত্রিত অতিথিরা।
৫ মাস আগে
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে আসুন একসঙ্গে কাজ করি: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ-চীন কৌশলগত সহযোগিতা অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করতে বাংলাদেশের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একত্রে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটিক্যাল ব্যুরোর সদস্য ওয়াং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে চীনের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
দুই দেশের নেতাদের মধ্যে যে গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য হয়েছে তা আরও বাস্তবায়নে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
১৫ জানুয়ারি দেওয়া বার্তায় ওয়াং বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের প্রতিবেশী এবং বন্ধুত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে রূপরেখা দিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত
কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৪৯ বছরে দুই দেশ সবসময় একে অপরকে সম্মান করেছে, একে অপরের সঙ্গে সমান আচরণ করেছে এবং পারস্পরিক সুবিধা ও সমতা বজায় রেখেছে।
তিনি বলেন, চীন ও বাংলাদেশ পরস্পরের মূল স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে দৃঢ়ভাবে একে অপরকে সমর্থন করেছে। চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়ানের অভিনন্দন
১১ মাস আগে
ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক উন্নয়নে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এবং বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করতে বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রেখে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে চীন যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও গভীর এবং এর ফলে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
আরও পড়ুন: কারো বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের সম্ভাব্য কারণ কী হতে পারে?
সোমবার(২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
চলতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের দশম বার্ষিকী পালন করেছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন,‘বিআরআই-এর অধীনে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতাও সুফল পাওয়ার সময়ে প্রবেশ করেছে।’
বাংলাদেশই প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশ যারা বিআরআইতে যোগ দিয়েছে।
গত সাত বছরে, বিআরআই সোনালী বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দশেরকান্দি স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে,যা বাংলাদেশে অবকাঠামোগত অবস্থার উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
আরও পড়ুন: ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআই সম্পর্কে দৃঢ়ভাবে বলেছেন যে এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের একটি নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে দুই দেশের উচিত উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো কাজে লাগানো। উন্নয়ন কৌশলকে আরও সংহত করা, উচ্চমানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা করা। এবং একে অপরের পূরক ও পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাকাজে লাগানো।
তিনি বলেন, 'আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা: গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করেননি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। জনগণের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানকে আরও জোরদার করার জন্য এটি চীন ও বাংলাদেশের নেতারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে একাধিক সুবিধামূলক ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, আপাতত দুই দেশের মধ্যে প্রতি সপ্তাহে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট চলমান রয়েছে। এতে ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
ঢাকা-বেইজিং সহযোগিতার দ্বার আরও বিস্তৃত: রাষ্ট্রদূত ওয়েন
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বিপুল সম্ভাবনা ও প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার দ্বার এখন আরও বিস্তৃত।
শুক্রবার রাতে ঢাকার একটি হোটেলে চীনা নববর্ষ বসন্ত উৎসব-২০২৩ উদযাপনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আসুন আত্মবিশ্বাস ও সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য হাত মেলাই এবং চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার দৃঢ় ও স্থিতিশীল উন্নয়নের প্রচার করি।’
আরও পড়ুন: চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর: ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ৪ চুক্তি-সমঝোতা সই
চীনা দূতাবাস ও অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই (এবিসিএ) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
দুই দেশের মধ্যে মানুষের সঙ্গে মানুষের ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কূটনৈতিক সম্পর্কের চেয়ে দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগের ইতিহাস অনেক পুরানো।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীনা নববর্ষ সম্প্রীতি ও সহযোগিতার উৎসব। চীনা ঐতিহ্যের মধ্যে সম্প্রীতি গভীরভাবে প্রোথিত। এ কারণেই চীনা জনগণ সম্পর্ক বজায় রেখে সর্বদা সম্প্রীতির মূল্য দিয়েছে।’
তিনি বলেন, চীন সরকারের ঘোষিত নতুন নীতির কারণে চীন ভ্রমণ অনেক সহজ হবে এবং ফেব্রুয়ারি থেকে আরও ফ্লাইট চালু হবে।
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
‘কোয়াডে’ বাংলাদেশ যোগ দিলে ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক খারাপ হবে
১ বছর আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত করতে ঢাকা-বেইজিং আলোচনা
কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ‘দ্রুত প্রত্যাবাসনের’ উপায় নিয়ে বৃহস্পতিবার আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
৪ বছর আগে