ভাইরাল
চালক নিয়োগ: অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় ইবি ছাত্রলীগ সভাপতির জিডি
বুধবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত এবং অপর এক ব্যক্তির মধ্যে কথোপকথনের তিনটি অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় শুক্রবার রাতে ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এ বিষয়ে ইবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুন্সী কামরুল হাসান অনিক সাধারণ ডায়েরি করেন বলে জানান ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন্নুর জায়েদ বিপ্লব।
পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানান ওসি।
বুধবার রাতে শানজিদা আক্তার তানিয়া নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা অডিও কথোপকথন অনুসারে, ৩ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাসে চালক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মিলনকে টাকা দিতে বলতে শোনা যায় আরাফাতকে। তাদের চুক্তি অনুযায়ী মিলনের টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সময়মতো পরিশোধ করেননি।
বৃহস্পতিবার ইবি ক্যাম্পাস পেজ থেকে শেয়ার করা অডিও কথোপকথনে আরাফাতকে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য ফোনে এক ব্যক্তিকে চাপ দিতে শোনা গেছে।
শুক্রবার রাতে ইবি ক্যাম্পাস পেজ থেকে শেয়ার করা আরেকটি অডিও কথোপকথনে শোনা যায়, আরাফাত ও ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের মধ্যে ফোনে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। যেখানে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে তারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলছিলেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত ১২
আরাফাত এই ধরনের নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে তার শাস্তি দাবি করেন ইবি শাখার অনেক কর্মী।
যোগাযোগ করা হলে ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিক আরাফাত বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হওয়া অডিও কথোপকথন এডিটেড এবং এ ধরনের ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
ইবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, একটি মহল এডিটেড অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দিয়ে তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ইবির উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালামের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যক্তির কথোপকথনের মোট ১৪টি অডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ইবির ভিসি ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
১৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান এবং একজন ঠিকাদারের মধ্যে কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ইবিতে নিয়োগে অনিয়ম: ভিসির বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
১ বছর আগে
যে কারণে ফণিভূষণের বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল
৬৭ বছর বয়সে ফের বিয়ের পিড়িতে বসলেন চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক কমিশনার ফণিভূষণ মজুমদার তাপু।
সোমবার রাতে উপজেলার সাচার শ্রী শ্রী জগন্নাথ ধাম মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে ছেলে সন্তান ও নাতি-নাতনি নিয়ে সাত পাকে ঘুরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
শেষ বয়সের বিয়ে নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে কৌতুহলের শেষ ছিলনা। ফেসবুকে ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, ফণিভূষণ মজুমদার তাপু দুই ছেলে এক কন্যা সন্তানের জনক।
গত বছর করোনায় তাঁর স্ত্রী আলো রানী মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। স্ত্রীর মৃত্যুর দেড় বছর পর ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের আবদার রাখতে নতুন করে বিয়ের পিড়িতে বসলেন, এমনটাই জানান, ফনি ভূষণ মজুমদার তাপু।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
কনে শিউলি রানী কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা। কনের বয়স ৪০। কচুয়া পৌরসভার কড়ইয়া গ্রাম থেকে গাড়ি বহর নিয়ে উপজেলার সাচার জগন্নাথ ধাম মন্দিরে দু’জনে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক ও আত্মীয় স্বজনরা বিয়েতে অংশগ্রহণ করেন।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে নিয়ে বাড়ি ফিরেন ফণিভূষণ মজুমদার তাপু।
বৃদ্ধ বয়সে মাঝারি বয়সের কনেকে বিয়ে করে নিয়ে আসলে নব বধূকে এক নজর দেখতে এলাকার শত শত আবাল বৃদ্ধ বণিতা ভিড় জমাচ্ছেন আজও।
এদিকে বিয়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর এ প্রসঙ্গে তাপু বলেন, গত বছর আমার প্রথম স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করার পর আমি একাকিত্ব জীবন অতিবাহিত করছিলাম। এ জন্যেই মূলত পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।
তাঁর এক নাতি অর্ঘ মজুমদার বলেন, ঠাকুরমা’র মৃত্যুতে আমরা ভাই-বোন একা হয়ে পড়ি, ঘর ফাঁকা ফাঁকা। মা ও বাবা চিকিৎসক হওয়ায় তারা সব সময় ব্যস্ত থাকেন। দাদা ফার্মেসি নিয়ে বাজারে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। আমাদের খেলার সাথী নতুন ঠাকুমাকে পেয়ে আমরা মহা খুশি।
আরও পড়ুন: ভাইরাল হওয়া ফোনালাপ এডিটেড: দাবি কুমিল্লার আ.লীগ নেতার
এসআই স্বামী-এএসপি স্ত্রীর ছবি ভাইরাল
২ বছর আগে
রোহিনীর ঘরে এখন এক বউ
এক সঙ্গে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করে ভাইরাল হয়েছিলেন পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদার ইউনিয়নের যামিনী চন্দ্র রায়ের ছেলে রোহিনী চন্দ্র রায়। তবে বিয়ের ২২ দিনের মাথায় তার দ্বিতীয় স্ত্রী মমতা রানীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ মে) উভয়পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে বিচ্ছেদ হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মমতা রানীর ভাই পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘দুই বিয়ের বিষয়টি আমরা আর বাড়াবাড়ি করতে চাই না। সমাজে এমনিতেই আমাদের অনেক কথা শুনতে হয়েছে। বোনের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের পরিবারের পক্ষে এ নিয়ে কোন অভিযোগ নেই।’
পড়ুন: বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান
২ বছর আগে
ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ব্যাংক কর্মকর্তার নাম নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস। তার গ্রামের বাড়ি নগরকান্দার পুরাপাড়ায়।
জানা যায়, গতকাল বুধবার (৯ মার্চ) সোনালী ব্যাংকের ফরিদপুরের নগরকান্দা শাখায় অডিট চলছিল। অডিট শেষে রাত ১০ টার দিকে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তার সহকর্মীদের অনুরোধে নলিনী রঞ্জন নাচ করেন। এসময় এক কর্মকর্তা সেই নাচের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। পরে মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। পরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া করেন মানুষ।
আরও পড়ুন: খুলনায় অর্থ আত্মসাৎ মামলায় অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে
এ ব্যাপারে একাধিক ব্যক্তি জানান, ফরিদপুরের নগরকান্দা সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তাদের গ্রাহকদের বসিয়ে রেখে আনন্দ বিনোদন করা দুঃখজনক। কাজে ফাঁকি দিয়ে ব্যাংক কর্মকতার ড্যান্স করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
তবে এব্যাপারে নাচ করা নলিনী রঞ্জন বিশ্বাস গ্রাহক বসিয়ে রেখে নৃত্য করার বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে বলেন, আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা। আমি নৃত্যের মাস্টার হিসেবে একসময় কাজ করতাম। এটা আমাদের এক সহকর্মী জানতে পেরে সে আমাকে ডেকে নিয়ে একটু শ্রান্তি বিনোদনের অনুরোধ জানান। পরে আমি নৃত্য করি। তবে, সেটা কোনো অফিস কিংবা গ্রাহক সেবার সময়ে নয়। কারণ, রাত ১০ টায় নৃত্য করেছি ; সেটা গ্রাহক সেবার সময় হতে পারেনা।
এব্যাপারে জানতে সোনালী ব্যাংকের নগরকান্দা শাখার ব্যবস্থাপকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: পাবনায় ট্রেনে কাটা পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু
২ বছর আগে
ভাইরাল হওয়া ফোনালাপ এডিটেড: দাবি কুমিল্লার আ.লীগ নেতার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ফোনালাপ এডিটেড বলে দাবি করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী মাস্টার। এর প্রতিবাদে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশও করেছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তারা এই মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ সময় সমাবেশে বক্তব্য দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, দেবিদ্বার উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি কাউছার হায়দার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য লুৎফুর রহমান বাবুল, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুনুর রশীদ, দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন,ফতেহাবাদ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামসহ, ধামতি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে নেতারা বলেন, যারা অডিওটি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র,আমরা আইননানুগভাবে এর মোকাবিলা করব।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে চালক নিহত, আহত ৭
বিষয়টি নিয়ে রওশন আলী মাস্টার বলেন, ‘আমার পুরো বক্তব্য শুনলে বুঝতে পারবেন আমি কি বলেছি। কাকে উদ্দেশ্য করে বলেছি। এখানে কথোপকথনের অংশ বিশেষ নিয়ে অডিও ক্লিপসটি ভাইরাল করা হয়।’
উল্লেখ্য, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী মাস্টার ও দেবিদ্বার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা রুহুল আমিনের এক ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।
ওই ফোনালাপে রওশন আলী মাস্টার বলেন, ‘যারা নৌকা করে সব রাজাকারের বাচ্চা। কী করবেন রাজনীতি করে। যে দেশে টাকা দিলে নমিনেশন পাওয়া যায়, যে দেশে টাকা দিলে মন্ত্রিত্ব পাওয়া যায়, যে দেশে টাকা দিলে সব আকাম চলে।’
এই ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কুমিল্লা জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় জোড়া খুনের মামলায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
কুমিল্লায় ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
২ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়েছেন আলাল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জন্য মঙ্গলবার ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বর্তমানে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
একটি বিবৃতিতে, তিনি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বিতর্কিত ও আপত্তিকর মন্তব্যগুলোও প্রত্যাহার করেছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শায়রুল জানান, কিডনি জটিলতায় আলাল এখন ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিবৃতিতে আলাল বলেন, ‘যেহেতু আমার একটি গুরুতর অস্ত্রোপচার হয়েছে, আমার পরিবার আমাকে সব খারাপ খবর থেকে দূরে রেখেছে। যদিও আমি দেরিতে জানতে পেরেছি অতীতে আমি যে মন্তব্যগুলো করেছি তা ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা আলালের রাজনীতিতে থাকা উচিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপি নেতা বলেন, ‘৪৯ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে কারও মর্যাদা, অনুভূতি ও বিশ্বাসে আঘাত করেননি। তবে,একজন মানুষ হিসাবে আমিও ভুলের ঊর্ধ্বে নই।’
তিনি বলেন, ‘যারা আমার অসতর্ক মন্তব্যে আঘাত পেয়েছেন তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। একই সাথে, আমি মন্তব্য প্রত্যাহার করছি।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করায় রবিবার খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম আলালের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, আলাল ১ অক্টোবর আলোচনার সময় শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও সম্প্রতি এমন মন্তব্যের জন্য আলালের সমালোচনা করেছেন এবং বলেছেন যে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
আরও পড়ুন: এবার মুরাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি বিএনপির
৩ বছর আগে
ক্ষুদে ক্রিকেটার সাদিদের দায়িত্ব নিলেন বরিশাল জেলা প্রশাসক
অতি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সাদিদের বোলিংয়ের ভিডিও দৃষ্টি কেড়েছে কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার, লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন ও রশিদ খানদের মতো ক্রিকেটারদের।
ভাইরাল হওয়া মাত্র ৬ বছর বয়সী শিশু আসাদুজ্জামান সাদিদ বরিশালের চার নম্বর ওয়ার্ড মহাবাজ এলাকার উলালঘুনি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ।
বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল জেলা প্রশাসকের বাসভবনের অফিস কক্ষে আসাদুজ্জামান সাদিদকে তার মামা সহ আমন্ত্রণ জানিয়ে সম্মানিত করেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এসময় জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার আসাদুজ্জামান সাদিদের সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন আইসিইউতেজেলা প্রশাসক বলেন, সাদিদ বরিশালের গর্ব। এতো ছোট বয়সে ও নিজের প্রতিভা প্রকাশ করেছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের বড় বড় খেলোয়াড়দের মন কেড়েছে। আমাদের উচিৎ ওর দেখভাল করা যাতে করে ওর হাতের জাদু হারিয়ে না যায়। সাদিদের খেলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, আমরা সাদিদ এর প্রতিভা ধরে রাখতে ওর পাশে থাকবো।এসময় উপস্থিত ছিলেন বিসিবির পরিচালক আলমগীর খান আলো, সাদিদের মামা সিরাজুল ইসলাম শুভসহ আরও অনেকে।সাদিদের মামা সিরাজুল ইসলাম সাদিদ’র ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে নিয়ে প্রতিদিন অনুশীলনে নামেন। ভাগ্নের বোলিংয়ের ভিডিও তেমন কিছু না ভেবেই ফেসবুকে আপলোড দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনায় ১৭২০ ক্রিকেটারের পাশে বিসিবিউল্লেখ্য,ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার সাদিদের এই ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। সেখানে কমেন্টে বর্তমান ক্রিকেটের সফলতম লেগ স্পিনার রশিদ খানও প্রশংসা করেছেন সাদিদের। এছাড়াও নিজের টুইটারে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন।
৩ বছর আগে
ছাত্রীর শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে শিক্ষকের পাঠদান: মিশ্র প্রতিক্রিয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক কিশোরী ছাত্রীর শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে ক্লাসে পাঠদান করিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন পঙ্কজ মধু নামের এক শিক্ষক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক।
রবিবার (৩ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
তবে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বিষয়টিকে মানবিকভাবে দেখলেও আবার অনেকেই বিষয়টিকে সাজানো নাটক বলে মনে করছেন। সচেতন মহল মনে করেন বিষয়টি ঠিক নয়। এতে শিশুটির স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: রমাকান্তরা আবার স্কুলে যেতে চায়
এ বিষয়ে শিক্ষক পঙ্কজ মধু জানান, করোনা মহামারির প্রথম দিকে গোপনে ৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় বিষয়টি স্কুলের কেউ জানতো না। স¤প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এক ছাত্রীর অনুপস্থিতি দেখতে পাই। বিদ্যালয় থেকে ছিটকে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করি। পরে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার বিয়ে ও সন্তানের খবর পাই। তারপরও ছাত্রীর পরিবারকে অনুরোধ করি তাকে স্কুলে পাঠানোর। রবিবার ওই ছাত্রী শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে স্কুলে আসে। সন্তান নিয়ে ওই ছাত্রীর ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে দেখে শিশুটিকে আমি কোলে নিই।
তিনি আরও বলেন, ভাইরাল হবে এমন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। স্নেহ-মমতা থেকে শিশুটিকে কোলে নিয়ে ক্লাস করিয়েছি।
আরও পড়ুন: ১০ ঘণ্টা পর স্কুলের টয়লেট থেকে বাকপ্রতিবন্ধী ছাত্রী উদ্ধার
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, বিষয়টি নাটক ছাড়া আর কিছুই না। কেন সেই শিক্ষার্থী তার কোলের শিশুকে বাড়িতে না রেখে স্কুলে নিয়ে আসলো। এতে মায়ের পাশাপাশি শিশুটিরও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন এ বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন ভট্টাচার্য বলেন, শিশুকে নিয়ে এভাবে স্কুলে যাওয়া সঠিক হয়নি। এতে শিশুসহ মায়ের ঝুঁকি রয়েছে। সরকার যেহেতু স্কুলের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেননি। সেক্ষেত্রে এভাবে স্কুলে নেয়া ঠিক নয়। দুই ঘণ্টা একজন শিক্ষক কিভাবে শিশু নিয়ে ক্লাস করলেন। এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: করোনা: স্কুল মাঠ দখল করে ধান চাষ
সিভিল সার্জন ডাক্তার মো.একরাম উল্লাহ জানান, করোনাকালীন সময়ে শিশুকে নিয়ে এভাবে স্কুলে যাওয়ায় শিশুটির সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু করোনা নয় অন্যান্য রোগেরও ঝুঁকি থাকে।
৩ বছর আগে
দেবিদ্বারে কিশোরীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার ৪
কুমিল্লার দেবীদ্বারে ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে না নেয়ায় এক কিশোরী ও তার মা-বাবাকে প্রকাশ্যে লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেছে। এই নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মো. নুরুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, নারগিছ আক্তার ও কুলছুম আক্তার।
আরও পড়ুন: অ্যাম্বুলেন্সে অন্তঃসত্ত্বা নারীর লাশ, গ্রেপ্তার ২
র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুলতানপুর ইউনিয়নের কুরছাপ পূর্বপাড়ায় প্রকাশ্যে লাঠিপেটার ঘটনায় দেবিদ্বার থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা করেন কিশোরীর বাবা জামাল হোসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতনের ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় তুমুল সমালোচনা চলছে।
আরও পড়ুন: অভয় অ্যাপ: কিশোরীদের নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা
৩ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রীর মাছ শিকার ও পোশাক সেলাইয়ের ছবি ভাইরাল
একটি দেশ চালানোর মতো শত ব্যস্ততার মাঝেও কখনও কখনও সাদাসিধে আটপৌড়ে জীবন যাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪ বছর আগে