হত্যাকাণ্ড
হাবিবউল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুর খুন
রাজধানীর উত্তরখান থানাধীন পুরানপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হয়েছেন হাবিবউল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান ভুঁইয়া।
সোমবার (১০ মার্চ) ভোরের দিকে কোনো এক সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। উত্তরখানা থানার ডিউটি অফিসার হুমায়ুন কবির ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে উত্তরখানা থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘তিনি ভাড়া বাসায় একাই থাকতেন। গতকাল ভোর রাতে আনুমানিক পাঁচটায় কয়েকজন লোক এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে উত্তরা স্থানীয় লিংক ইউ হাসপাতাল ভর্তি করা হলে সেখানেই তিনি মারা যান।
সাইফুর রহমান ভুঁইয়ার লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ কমিশনার আহাম্মদ আলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে ছুরিকাঘাত করে বাসার বাথরুমে আটকে রাখা হয়। পরে তিনি কোনোরকমে বাথরুমের দরজা ভেঙে বের হয়ে এসে চীৎকার করতে থাকেন।’
‘ভোরে তেমন লোক ছিল না রাস্তায়। এরপরও একজন শুনতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন,’ বলেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তা আহাম্মদ আলী বলেন, ওই বাসায় সাইফুর রহমান একাই থাকতেন। দুদিন আগে তার বাসায় একজন নারী ও একজন পুরুষ এসে উঠেছিলেন। পুলিশ তাদের খোঁজ করছে।আরও পড়ুন: উত্তরায় দম্পতিকে রামদা দিয়ে কোপানোর ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জানা গেছে, সাইফুর রহমান ভূঁইয়া পরিবার নিয়ে শান্তিনগর এলাকায় থাকতেন। তবে উত্তরার উত্তরখান থানা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় মাঝে মাঝে থাকতেন। সেই বাসায় একাই ছিলেন বলেও জানা গেছে।ওই কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী রেজাউল রায়হান বলেন, সাইফুর রহমান স্যারকে কে বা কারা গতকাল ভোর রাতে (সেহেরির সময়) দেশী অস্ত্র দিয়ে হামলা করে হত্যা করেছে। তার গলায় ও মাথায় রামদার কোপের দাগ রয়েছে। হাসপাতালে শিক্ষকরা থাকলেও কেউ থানার সহযোগীতা নেয়নি বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সরকার পরিবর্তেনের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে সবাইকে পদত্যাগ করিয়ে নতুন করে শিক্ষকদের পদন্নতি দেওয়া হয়। সেখানে সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে উপাধ্যক্ষ করা হয়েছিলো। তিনি (সাইফুর) একসময় বিএনপির মতদর্শী থাকলেও আওয়ামী লীগের আমলে বিভিন্ন সেমিনারে যাওয়ার কিছু ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবি দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। এ নিয়ে ওই কলেজে শিক্ষকদের মধ্যে কোন্দল ছিলো বলে জানা গেছে।
১১ দিন আগে
হত্যাকাণ্ডের সুবিচার হতে হবে, অবিচার যেন না হয়: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ড ও গুম-খুনের বিচার হবে।
তিনি বলেন, ‘বিচার তাৎক্ষণিকভাবে করতে গেলে অবিচার হয়ে যায়। বিচারের মূল জিনিসটা হলো এটা সুবিচার হতে হবে...অবিচার যেন না হয়।’
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জুলাইয়ে শহীদ পরিবার ও আহতের মধ্যে আর্থিক চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম বলেই এই সংগ্রাম হয়েছে, এই আত্মত্যাগ হয়েছে। আমরা যদি অবিচারে নামি তাহলে তাদের আর আমাদের মধ্যে তফাতটা থাকল কোথায়? আমরা অবিচারে নামবো না।’
আরও পড়ুন: সম্পত্তিতে হামলা চালালে ফ্যাসিবাদীরা আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের সুযোগ পাবে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, যারা অপরাধী তাদের আমরা পুলিশের হাতে, আইনের হাতে সোপর্দ করব।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যেসকল মানুষ অপরাধী নয়, তাদের মানুষ বানাবো। তাদের বলব, ‘ভাই, এ দেশটি আমরা একসঙ্গে গড়ি, এই দেশ আমরা একসঙ্গে গড়ার স্বপ্ন দেখছি, তোমরাও সে স্বপ্ন দেখ। এদেশ আমার একার না, তোমারও এ দেশ। তুমি এদেশের সন্তান। আমিও এ দেশের সন্তান। তুমি আমাকে বহু কষ্ট দিয়েছে। আমি তোমারে কষ্ট দেব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একযোগে যত তাড়াতাড়ি পারি এটাকে একটা সুন্দর দেশ বানাবো। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। যারা অপরাধী নয়, তাদের সৎ পথে নিয়ে আসতে হবে।’
৩৯ দিন আগে
ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আ.লীগকে বিক্ষোভ করতে দেওয়া হবে না: প্রেস সচিব
গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (জানুয়ারি) সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা লেখেন।
সরকারে থাকাকালে আওয়ামী লীগের অপকর্মের বিবরণ দিয়ে শফিকুল আলম লিখেছেন, ‘প্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তি জোরপূর্বক গুমের শিকার হয়েছেন। প্রায় তিন হাজার জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শাপলা চত্বরের সমাবেশ এবং মাওলানা সাঈদীর বিচারিক রায়ের পর বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ বাহিনী হাসিনার শাসনামলে পুলিশ লীগে পরিণত হয়েছিল। হাসিনার একনায়কতন্ত্রে প্রায় ষাট লাখ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ভুয়া ও গায়েবি মামলা দেওয়া হয়। এমনকি দেশের প্রথম হিন্দু প্রধান বিচারপতিকেও নির্মমভাবে মারধর করা হয়, পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় এবং নির্বাসনে পাঠানো হয়।’
আরও পড়ুন: দেশের মানুষের কল্যাণেই ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও স্বাস্থ্যকর জায়াগায় নিতে হবে: প্রেস সচিব
‘যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ এই গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড এবং প্রকাশ্য দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চাইবে এবং যতক্ষণ না তাদের অন্যায়কারী নেতাকর্মীরা বিচার ব্যবস্থার কাছে আত্মসমর্পণ করে তাদের অপরাধের জন্য বিচারকার্যের প্রক্রিয়া শুরু করে পাপমোচন করতে উদ্যোগ না নেবে এবং যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ তাদের বর্তমান নেতৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে নিজেকে আলাদা না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের বিক্ষোভ করার অনুমতি দিয়েছিল?’
আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো নায্য বিক্ষোভ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করেনি জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা সমাবেশ করার স্বাধীনতা এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আজ সকালে গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সাড়ে পাঁচ মাসে কেবল ঢাকায় কমপক্ষে ১৩৬টি বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বিক্ষোভের ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবুও, সরকার কখনো বিক্ষোভ-সমাবেশের ওপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেননি।’
আমাদের কি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করার সুযোগ দেওয়া উচিত?—প্রশ্ন রেখে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায় যে আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যায় অংশ নিয়েছিল। তাদের পরিচালিত হত্যাকাণ্ডে শহিদ হয়েছেন কয়েকশ তরুণ শিক্ষার্থী, এমনকি নাবালক শিশুরাও। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যা, খুন ও তাণ্ডবের জন্য দায়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের দলীয় সরকার।’
তিনি লিখেছেন, ‘গতকাল কয়েকজন বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মীর সাক্ষাৎকারের বরাতে নিউইয়র্ক-ভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, শেখ হাসিনা তার ১৬ বছরের একনায়কত্বের শাসনামলে সরাসরি হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: জুলাই ঘোষণার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে: প্রেস সচিব
‘তিনি (হাসিনা) একটি চোরতন্ত্র (ক্লেপ্টোক্রেসি) এবং খুনি শাসনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। নিরপেক্ষ ও স্বাধীন একটি প্যানেল বলছে, শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধায়নে তার ঘনিষ্ঠরা ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে। দুর্নীতিগ্রস্ত চুক্তি থেকে কোটি কোটি ডলার চুরির দায়ে হাসিনার পরিবারের বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে।’
পৃথিবীর কোনো দেশ কি একদল খুনি এবং দুর্নীতিবাজ চক্রকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেবে?—প্রশ্ন রেখে তিনি আরও লিখেছেন, ‘কোনো দেশই জবাবদিহিতা ছাড়া স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফেরার অনুমতি দেয় না। বাংলাদেশের জনগণ এই খুনিরা কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশ করলে তার বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেবে।’
‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো ধরনের প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেব না। আওয়ামী লীগের পতাকাতলে কেউ যদি অবৈধ বিক্ষোভ করার সাহস করে তবে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’
৫১ দিন আগে
মেহেরপুরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই যুবদল নেতা বহিষ্কার
মেহেরপুরে গাংনী পৌর যুবদলের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি আলমগীর হোসেনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই যুবদল নেতাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) গাংনী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম ও সদস্য সচিব এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেন।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- গাংনী পৌর যুবদলের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিকুল ইসলাম।
বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, আলমগীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পৌর যুবদলের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক রবিউল ইসলাম বিপ্লবকে ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের পদসহ দলীয় সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
এর আগে, এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রবিউল ইসলাম বিপ্লব, ১ নম্বর ওয়ার্ড (বাঁশবাড়িয়া) যুবদলের সাবেক সভাপতি মফিকুল ইসলাম ও কোদাইলকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) সিপিসি-৩, মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি দল গ্রেপ্তার করে। গতকাল (শুক্রবার) আদালতে নিলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২ জানুয়ারি দিবাগত রাতে গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়া এলাকার মঈন উদ্দীনের ছেলে আলমগীর হোসেনকে গলাকেটে হত্যা করে সহড়াবাড়িয়া ইছাখালি মাঠের একটি গাছের নিচে ফেলে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: শেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ২
নিহত আলমগীর হোসেনের কাছে একই গ্রামের মো. মফিকুল ইসলামের ২ লাখ টাকা পাওনা ছিল। প্রায় ৪ বছর আগে আলমগীর ঘাতক মফিকুলের কাছ থেকে এই টাকা ধার নেন। এরপর দেড় বছর আগে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে (দুবাই) চলে যান। প্রায় ২ মাস আগে আলমগীর দেশে ফেরত এলে পাওনা টাকার প্রতিশোধ নিতেই মফিকুল তার বন্ধু যুবদল নেতা রবিউল ইসলাম বিপ্লব ও কোদাইলকাটি গ্রামের আলমগীর হোসেনসহ কয়েকজন মিলে তাকে টাকা ধার দেওয়ার নাম করে সহড়বাড়িয়া-কামারখালী মাঠে নিয়ে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা মইন উদ্দীন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
৭৬ দিন আগে
‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আজকের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি’
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘আমাদের সর্বপ্রথম দাবি হলো, আজকের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করবেন না। কোনো অপরাধী ছাড় পাবেন না। আমরা তাদের এ আশ্বাসের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে চাই।’
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক বৈঠক শেষে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব এ কথা জানান।
মামুনুল হক বলেন, আমরা একেবারে স্পষ্ট যে এটি কোনো সংঘর্ষ ছিল না, বরং এটি ছিল এক পক্ষীয় হামলা। সাদপন্থিরা এখানে হামলা চালিয়ে নিরীহ লোকদের হতাহত, খুন ও অসংখ্য মানুষকে জখম করেছে।
আরও পড়ুন: যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জামায়াতের
তিনি আরও বলেন, আমরা এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জোরদারভাবে জানিয়েছি— এই হামলার আগে থেকে কারা কারা জড়িত সেই প্রমাণ ইতোমধ্যে জনসমক্ষে চলে এসেছে। কারা সেখানে গেট, বাউন্ডারি ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে ঢুকছে সেগুলোর ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিতেও সেগুলো রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিয়ে প্রথমে বেলা ১১টায় বৈঠকে বসেন। পরে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের সঙ্গে বসেন উপদেষ্টাদেরা।
৯৩ দিন আগে
ইজতেমায় খুনিদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুইজন নিহতের ঘটনায় জড়িতদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। খুনিদের কোনো অবস্থায়ই ছাড় দেওয়ার কোনো অবকাশ নেই।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে মিশর পৌঁছেছেন ড. ইউনূস
বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হতাহতের পর মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের নিয়ে প্রথমে বেলা ১১টায় বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টা। এতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। পরে মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, আজকের মধ্যেই মামলা করবেন। প্রকৃত দোষীকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।
বিশ্ব ইজতেমার তারিখ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এটা নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। সবাইকে একত্রিত করতে হবে। আপনারাও চাচ্ছেন সবাই এক হতে। তারা যদি আবার আলোচনা করে একটা সমাধানে আসতে পারে। তারা আলোচনা করার পর আমরা একটা সিদ্ধান্ত দেব।
আহতদের সুচিকিৎসা দেওয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে হলেও সরকার নেবে বলে জানান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আরও পড়ুন: মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছেন: রিজভী
৯৩ দিন আগে
বাগেরহাটে বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
বাগেরহাটে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য সজিব তরফদার হত্যাকাণ্ডের মামলার এক আসামি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) পিরোজপুরের কাউখালী থানার হুগলি বাটকা এলাকা থেকে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার তথ্যানুযায়ী বাগেরহাট উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- একটি দোনালা বন্দুক, একটি একনালা পাইপগান, একটি কার্তুজ এবং একটি ধারালো অস্ত্রের কাঠের বাট।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
আবু বক্কর শিকদার বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহান শিকদারের ছেলে। সে কিলিং মিশনের সদস্য বলে পুলিশ জানায়।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, সজিব হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে চারজন। আবু বক্কর ওই হত্যা মিশনের একজন সদস্য।
তিনি আরও জানান, আবু বক্কর সজিব হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ মামলার অপর আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে মো. তৌহিদুল আরিফ জানান।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বাগেরহাটের ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সজিব তরফদারকে (৪৫) মির্জাপুর এলাকায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায তার স্ত্রী নাঈমা ফারহানা বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত পরিচয়ের ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করে শুক্রবার বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ইন্দোনেশিয়া নাগরিকের লাশ উদ্ধার
১৩২ দিন আগে
হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ আসামির যাবজ্জীবন
নওগাঁর মান্দা উপজেলার আজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা ও অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী শামসুর রহমান ও আসামি পক্ষে আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
এদিকে এই মামলার ৩৪ জন আসামির মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন। শুনানির সময় ২২ জন আদালতে উপস্থিত এবং ৪ জন পলাতক ছিলেন।
২৬ জন আসামিরা হলেন- মনছুর আলী, আলতাব হোসেন মন্ডল, এনামুল হক, দেলোয়ার হোসেন, ফজের আলী, ফজলুর রহমান, কাদের আলী, জবেদ আলী, কাজেমুদ্দিন, ওহিদুল ইসলাম (রহিদুল), আছিব উদ্দিন, আনিছার রহমান, মোখলেছুর রহমান, কাশেম আলী মন্ডল, লিয়াকত আলী প্রামানিক, মোখলেছুর রহমান, জালাল উদ্দীন, মোজাহার আলী ওরফে মোজাফ্ফর আলী, শাহাজাহান, ছাইদুর রহমান, পৈক্যা (বুলু), আজাদ আলী মৃধা, আশরাফুল মৃধা, কলিমুদ্দিন মন্ডল, পটল ওরফে পরশ উল্যা প্রামানিক ও মাসুদ ওরফে কালু।
এদের মধ্যে মোখলেছুর রহমান, এনামুল হক, আনিছুর রহমান ও মোজাহার আলী পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুর রহমান বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ১৯৯৮ সালে মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামে আজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর সকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন আজিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ওই দিন বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে নিহত আজিম উদ্দিনের ছেলে মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা তদন্ত শেষে ৩৪ আসামির নাম উল্লেখ করে বিচারের জন্য আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরমধ্যে ৮ আসামির মৃত্যু হয়েছে।
দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
১৯৩ দিন আগে
জাতিসংঘের নেতৃত্বে ছাত্র বিপ্লবে ‘হত্যাকাণ্ডের’ তদন্ত শিগগিরই শুরু: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক।
তিনি ড. ইউনূসকে বলেছেন, ‘ছাত্র বিপ্লবের’ সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের নেতৃত্বে শিগগিরই তদন্ত শুরু করা হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) টেলিফোন আলাপে তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি দল তদন্তের জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকারীদের নজিরবিহীন ও বিধ্বংসী হত্যাকাণ্ডের সময় বাংলাদেশের ছাত্র বিপ্লবকে সমর্থন এবং তাদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য তাকে এবং তার দীর্ঘদিনের বন্ধু জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকেও ধন্যবাদ জানান।
২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এই নেতা বলেন, মানবাধিকার হবে তার প্রশাসনের মূল ভিত্তি এবং প্রত্যেক নাগরিকের সুরক্ষা দেওয়াই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
দেশ পুনর্গঠন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে জাতিসংঘের সহযোগিতাও কামনা করেছেন অধ্যাপক ইউনূস।আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা
২১৯ দিন আগে
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় ইয়াছিন মিয়া হত্যা মামলার আসামি দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সেলিম মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন মো. শাহজাহান মিয়া (৩৭) এবং তার ভাই আসামি সেলিম মিয়াকে (৪৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ফকিরমূড়া গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম জানান, প্রেমের জের ২০২০ সালের ১৮ মে রাত সোয়া ৯টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ব্যাপারে নিহতের বড়ভাই মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন ও কুমিল্লা পিবিআইয়ের এসআই আব্দুর রজ্জাক সর্দার ২০২০ সালের ২১ মে আসামি শাহজাহান ও ১১ জুন আসামি সেলিমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন হয়।
এরপর ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষ ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক ও শুনানির মাধ্যমে আসামি শাহজাহানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জালাল উদ্দীন টিপু বলেছেন, রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
২৩৪ দিন আগে