হত্যাকাণ্ড
বাগেরহাটে বিএনপি নেতা হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
বাগেরহাটে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য সজিব তরফদার হত্যাকাণ্ডের মামলার এক আসামি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) পিরোজপুরের কাউখালী থানার হুগলি বাটকা এলাকা থেকে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার তথ্যানুযায়ী বাগেরহাট উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- একটি দোনালা বন্দুক, একটি একনালা পাইপগান, একটি কার্তুজ এবং একটি ধারালো অস্ত্রের কাঠের বাট।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুকুরে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
আবু বক্কর শিকদার বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সোবহান শিকদারের ছেলে। সে কিলিং মিশনের সদস্য বলে পুলিশ জানায়।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফ এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, সজিব হত্যা মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে চারজন। আবু বক্কর ওই হত্যা মিশনের একজন সদস্য।
তিনি আরও জানান, আবু বক্কর সজিব হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ওই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ মামলার অপর আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে বলে মো. তৌহিদুল আরিফ জানান।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বাগেরহাটের ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য সজিব তরফদারকে (৪৫) মির্জাপুর এলাকায় সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায তার স্ত্রী নাঈমা ফারহানা বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত পরিচয়ের ৮ থেকে ৯ জনকে আসামি করে শুক্রবার বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ ইন্দোনেশিয়া নাগরিকের লাশ উদ্ধার
১ সপ্তাহ আগে
হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ আসামির যাবজ্জীবন
নওগাঁর মান্দা উপজেলার আজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা ও অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. মোখলেছুর রহমান এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী শামসুর রহমান ও আসামি পক্ষে আইনজীবী রফিকুল ইসলাম মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
এদিকে এই মামলার ৩৪ জন আসামির মধ্যে ৮ জন মারা গেছেন। শুনানির সময় ২২ জন আদালতে উপস্থিত এবং ৪ জন পলাতক ছিলেন।
২৬ জন আসামিরা হলেন- মনছুর আলী, আলতাব হোসেন মন্ডল, এনামুল হক, দেলোয়ার হোসেন, ফজের আলী, ফজলুর রহমান, কাদের আলী, জবেদ আলী, কাজেমুদ্দিন, ওহিদুল ইসলাম (রহিদুল), আছিব উদ্দিন, আনিছার রহমান, মোখলেছুর রহমান, কাশেম আলী মন্ডল, লিয়াকত আলী প্রামানিক, মোখলেছুর রহমান, জালাল উদ্দীন, মোজাহার আলী ওরফে মোজাফ্ফর আলী, শাহাজাহান, ছাইদুর রহমান, পৈক্যা (বুলু), আজাদ আলী মৃধা, আশরাফুল মৃধা, কলিমুদ্দিন মন্ডল, পটল ওরফে পরশ উল্যা প্রামানিক ও মাসুদ ওরফে কালু।
এদের মধ্যে মোখলেছুর রহমান, এনামুল হক, আনিছুর রহমান ও মোজাহার আলী পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুর রহমান বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে ১৯৯৮ সালে মান্দা উপজেলার ভরট্ট শিবনগর গ্রামে আজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর সকালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন আজিম উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ওই দিন বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে নিহত আজিম উদ্দিনের ছেলে মো. আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলা তদন্ত শেষে ৩৪ আসামির নাম উল্লেখ করে বিচারের জন্য আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরমধ্যে ৮ আসামির মৃত্যু হয়েছে।
দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে ৩০২ ও ৩৪ ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এবং প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
২ মাস আগে
জাতিসংঘের নেতৃত্বে ছাত্র বিপ্লবে ‘হত্যাকাণ্ডের’ তদন্ত শিগগিরই শুরু: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক।
তিনি ড. ইউনূসকে বলেছেন, ‘ছাত্র বিপ্লবের’ সময় বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের নেতৃত্বে শিগগিরই তদন্ত শুরু করা হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) টেলিফোন আলাপে তিনি বলেন, জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি দল তদন্তের জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে সরকারের প্রতি জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের আহ্বান
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকারীদের নজিরবিহীন ও বিধ্বংসী হত্যাকাণ্ডের সময় বাংলাদেশের ছাত্র বিপ্লবকে সমর্থন এবং তাদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য তাকে এবং তার দীর্ঘদিনের বন্ধু জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসকেও ধন্যবাদ জানান।
২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এই নেতা বলেন, মানবাধিকার হবে তার প্রশাসনের মূল ভিত্তি এবং প্রত্যেক নাগরিকের সুরক্ষা দেওয়াই সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
দেশ পুনর্গঠন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে জাতিসংঘের সহযোগিতাও কামনা করেছেন অধ্যাপক ইউনূস।আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্তে বাংলাদেশকে সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা
৩ মাস আগে
ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় ইয়াছিন মিয়া হত্যা মামলার আসামি দুই ভাইয়ের মধ্যে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া সেলিম মিয়াকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে হেরোইন পাচার মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন মো. শাহজাহান মিয়া (৩৭) এবং তার ভাই আসামি সেলিম মিয়াকে (৪৭) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ফকিরমূড়া গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম জানান, প্রেমের জের ২০২০ সালের ১৮ মে রাত সোয়া ৯টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ব্যাপারে নিহতের বড়ভাই মো. মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম উদ্দিন ও কুমিল্লা পিবিআইয়ের এসআই আব্দুর রজ্জাক সর্দার ২০২০ সালের ২১ মে আসামি শাহজাহান ও ১১ জুন আসামি সেলিমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন হয়।
এরপর ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষ ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ, যুক্তিতর্ক ও শুনানির মাধ্যমে আসামি শাহজাহানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনায় তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জালাল উদ্দীন টিপু বলেছেন, রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
আরও পড়ুন: শিশু রিয়াদ হত্যা মামলা: ২৪ বছর পর ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
৩ মাস আগে
কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ-আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি ফখরুলের
শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘সরকার যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, সেটি রক্তপাতের ঘটনাগুলো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টামাত্র।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি করেন।
বিবৃতিতে তিনি আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থসহ আরও কয়েকজন বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে সরকার: ফখরুল
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাস ঢাকতে এবং সহিংসতার দায় বিএনপির ওপর চাপাতে সরকারের 'অশুভ চেষ্টার' অংশ হিসেবে বিএনপির নিরীহ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বাড়িঘরে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তারা বিএনপি নেতাদের না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার, তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং তাদের আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাদের ওপর আন্দোলনে ভূমিকা রাখার অভিযোগ এতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সদস্য মিথ্যা দোষারোপ করছে। যদি তাই হয়, তাহলে কেন তাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হলো না? এটাই জনগণের প্রশ্ন। এতে প্রমাণিত হয়, বিএনপি বা বিরোধী দল কেউই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়।’
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের 'ক্যাডাররা' কয়েকশ’ নিরীহ ছাত্রকে হত্যা করেছে।
ফখরুল বলেন, ছয়জন হত্যার ঘটনা তদন্তে সরকারের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ‘এটা পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ার শামিল। তাই সব ঘটনা ও হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেছে জনগণ।’
আরও পড়ুন: ২০০০ বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে: ফখরুল
অন্যথায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত বলে মনে করে দেশবাসী।
বিএনপি মহাসচিব শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশ ও আনসার সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পরিবারকে নগদ দুই লাখ টাকা ও আট লাখ টাকা সঞ্চয়পত্র দিয়েছে। কিন্তু গণহত্যায় কয়েকশ’ নিরীহ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করার সাক্ষী হয়েছে দেশের মানুষ।’
ছাত্র হত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ফখরুল।
বিএনপিসহ বিরোধী দলের গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির ২ নেতাসহ ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ গ্রেপ্তার
৩ মাস আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ.লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ২
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুস সালামসহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ জুন) রাতে সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মামলার প্রধান আসামি আশরাফুল হকের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম আম্বিয়া এবং ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.আশরাফুল হক।
শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকোমল চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলায় নয়ালাভাঙ্গা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল হককে প্রধান আসামি করে ৫২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, মামলার পর পুলিশ এজাহারে উল্লেখ করা দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাণীহাটি কলেজের সামনে আশ্রয়ণ প্রকল্পে দুর্বৃত্তরা হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সালাম। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন মতিন। মতিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আব্দুস সালাম শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। মতিন আলী হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। আধিপত্য নিয়ে এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছে। এর এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুস সালাম, অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন আশরাফুল হক। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে আগেও হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে বেশ কিছু মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতাসহ ২ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
৪ মাস আগে
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫তম বার্ষিকী রবিবার
রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ১৫তম বার্ষিকী আগামীকাল রবিবার।
২০০৯ সালের এই দিন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিল।
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে।
আরও পড়ুন: পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের এক যুগ: নানা কর্মসূচিতে শহীদদের স্মরণ
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) কয়েকশ সদস্য সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। তারা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে।
পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
ওই ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা হয়, এর মধ্যে একটি হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগে আর বাকিগুলো বিদ্রোহের অভিযোগে।
এই হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ডের এ মামলায় ২৭৭ জন আসামি খালাস পেয়েছে।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিদ্রোহীকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর জওয়ানকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পিলখানার শহীদদের প্রতি জাতির শ্রদ্ধা নিবেদন
৮ মাস আগে
বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লালমনিরহাটে মিছিল ও সমাবেশ
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবিতে 'প্রতীকী লাশ' নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এক ব্যক্তি ও তার সহযোগীরা।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ বাংলাদেশির নেতৃত্বে মিছিলটি উপজেলা পরিষদ মোড় থেকে শুরু হয়ে পাটগ্রাম উপজেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে হত্যাকাণ্ডের শিকার ২২২ জন: বিএইচআরসি
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার হানিফ বাংলাদেশির নেতৃত্বে মিছিলে অংশ নেন- সাদিকুল ইসলাম ও নুরুন্নবী মিয়া, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এনইউ আহমেদ, ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার সৌরভ হোসেন বেলাল ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আরিফ হোসেন।
শোভাযাত্রা শেষে এক সমাবেশে হানিফ বাংলাদেশি অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার বাংলাদেশের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সীমান্তে বহু বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে।
তাছাড়া মিয়ানমার ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে নির্যাতনের পর বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারের মর্টার শেলের আঘাতে বাংলাদেশে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
কেন চোরাকারবারিদের হত্যা করে ধরা হচ্ছে না এবং বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না- এমন প্রশ্ন রেখে হানিফ বাংলাদেশি বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পর দেশগুলো গরু চোরাকারবারি হিসেবে চালিয়ে দেয়।
১৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফে প্রতীকী লাশ নিয়ে প্রথম শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলায় এ ধরনের শোভাযাত্রা করার ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আরসা কমান্ডার গ্রেপ্তার
৮ মাস আগে
ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আরসা কমান্ডার গ্রেপ্তার
মিয়ানমারের রাখাইনকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী গ্রুপ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) দুই কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
র্যাব-১৫-এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আবু সালাম চৌধুরী জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাব উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহীন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে আরসার দুই শীর্ষ কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে অভিযানে আরসার একটি টর্চার সেলের সন্ধান মিলেছে।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজন হলেন- আরসার অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার, ওলামা বডি ও টর্চার সেলের প্রধান ওসমান ওরফে সালমান। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি র্যাব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ওসমান গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তার হত্যাকাণ্ডসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ, গ্রেপ্তার ১: র্যাব
সমাবেশের ৩ দিন আগেই বিএনপির ১২শ’ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার : রিজভী
১ বছর আগে
মানিকগঞ্জে ঘুমন্ত বড়ভাইকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ ছোটভাইয়ের বিরুদ্ধে
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ঘুমন্ত বড়ভাইকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছোটভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ছোটভাই পলাতক রয়েছে। রবিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের ভাকুম ফকিরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বড়ভাই আবু রায়হান (২৭) ও হত্যাকারী ছোটভাই রোমান (২৪) একই গ্রামের শাহজাহান ফকিরের ছেলে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহজাহান ফকিরের তিন ছেলে আবু রায়হান, রোমান ও জামান (১৮)।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রায় এক বছর আগে রোমান প্রেম করে বিয়ে করে। পরিবারের কেউ তা মেনে নেয়নি। এ ছাড়া টাকা-পয়সা নিয়ে ওই পরিবারে বিরোধ চলছিল। মা-বাবা একঘরে ও পাশেই অন্য একটি ঘরে একই খাটে ঘুমান তিন ভাই। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাত ৯টার দিকে খাবার খেয়ে তিন ভাই ঘুমাতে যান। বড়ভাই রায়হান ও ছোটভাই জামান শুয়ে পড়লেও রোমান চেয়ারে বসেছিলেন। রাত ১২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় রায়হানকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে রোমান পালিয়ে যায়। এ সময় বড়ভাই রায়হানের গোংগানির শব্দে ঘুম ভেঙে যায় ছোটভাই জামানের। তখন তার মা-বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন তিনি। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরেই রায়হান খুন হয়েছেন। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত রোমানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
১ বছর আগে