পাহাড়
পাহাড়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা
শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পাহাড়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি করে কেউ যাতে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করতে না পারে সেজন্য সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি পুরো দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে।’
সোমবার (২৬ আগস্ট) বান্দরবান সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে বান্দরবান জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। অর্ন্তবর্তী সরকারের রূপরেখা অনুযায়ী পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করা হবে। আমাদের ইচ্ছামতো সদস্য সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারব না। তবে সদস্যদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত দুইজন ছাত্র প্রতিনিধিকে রাখা গেলে ভালো হবে।’
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করা হবে। তারা এলাকার মঙ্গলের জন্য কাজ করবেন।’
তিনি বলেন, ‘কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্দেহে সাধারণ বমদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে মুক্তির বিষয়ে কোনো আইনি জটিলতা আছে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হবে।’
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেক পিছিয়ে থাকায় এ অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় টিকতে পারে না। তাই দারিদ্র্য বিমোচন তথা মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের পাশাপাশি এই এলাকার মানসম্পন্ন সুশিক্ষা এবং পরিবেশের সুরক্ষা ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাব।
এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে পর্যটন শিল্প বিকাশে কাজ করা হবে বলে জানান সুপ্রদীপ চাকমা।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কংকন চাকমা, বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম বিল্লাহসহ বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সভা শেষে বান্দরবান জেলার সুশীল সমাজ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন এবং বিভিন্ন দল ও সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পার্বত্য উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে ঢামেকে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান
প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে গণতন্ত্রে উত্তরণের রোডম্যাপ নেই: ফখরুল
২ মাস আগে
পাহাড় সামলাতে ব্যর্থ সরকার: জি এম কাদের
পাহাড় সামলাতে সরকার ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের।
তিনি বলেন, পাহাড়ের সামান্য ঘটনায় যদি সরকার হিমশিম খায়, তাহলে দেশে বড় ধরনের বিপদ হলে জনগণ দাঁড়ানোর রাস্তা খুঁজে পাবে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকালে রংপুর সার্কিট হাউসে তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের হামলা নতুন কিছু নয়। এর আগেও হয়েছে, সেটি আবার সমাধানও হয়েছে। কিন্তু এবারের ঘটনা একেবারেই আলাদা।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও খুনসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এতে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি বাহিনীর সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে। কিন্তু কাজের ব্যাপারে জবাবদিহি নেই। যে যার ইচ্ছে মতো কাজ করছে।
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র ভেঙেছে।
তিনি বলেন, মানুষ তার অধিকার হারিয়েছে। জাতীয় পার্টি চেষ্টা করছে অধিকার নিয়ে কথা বলার। কিন্তু সরকার ভেতর থেকে কলকাঠি নেড়ে দলকে দুই ভাগ করার চেষ্টা করছে।
কাদের বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা চলছে। জাতীয় পার্টিকে ধরে রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদেরও শক্ত অবস্থান তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলাউদ্দিন মিয়া মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
রংপুর-৩ আসনে জাপার মনোনয়ন ফরম নিলেন জিএম কাদের
৭ মাস আগে
ভূস্বর্গ কাশ্মীরে ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, ঘুরতে যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
পাহাড় চূড়া, দীঘল উপত্যকা ও এক পশলা হৃদের প্রাণবন্ত ঐকতানের অন্য নাম কাশ্মীর। তুষারাবৃত চূড়া এবং ব্যস্ত-সমস্ত তৃণভূমির অবারিত মোহনীয়তায় নিমেষেই খুঁজে পাওয়া যায় ভূস্বর্গ নামটির মানে। সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও উষ্ণ আতিথেয়তা যে কোনো পরিব্রাজককে আপন করে নিতে যথেষ্ট। ভারতীয় উপমহাদেশের সর্ব উত্তরে অবস্থিত বিশ্ব জোড়া পর্যটকদের এই প্রিয় গন্তব্য নিয়েই এবারের ভ্রমণ কড়চা। চলুন, জেনে নেয়া যাক কাশ্মীর ভ্রমণের আদ্যোপান্ত।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরে যাওয়ার উপায়
ভিসা প্রক্রিয়া
কাশ্মীর ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা লাগবে। এর জন্য ভিসা আবেদনকারীর পাসপোর্টটি আনুমানিক প্রস্থানের দিন থেকে ন্যূনতম ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পাসপোর্ট বইয়ে কমপক্ষে দুটি পৃষ্ঠা খালি থাকতে হবে।
এই পাসপোর্টের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সও সঙ্গে রাখা যেতে পারে।
ভিসা আবেদনের জন্য একটি পাসপোর্ট আকারের ছবি জেপিজি বা পিএনজি ফাইলের মাধ্যমে আপলোড করতে হবে।
কাশ্মীরে যেয়ে কোথায় থাকা হবে তার একটা প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। হোটেলে থাকার ক্ষেত্রে বুকিংয়ের কাগজপত্র প্রিন্ট করে নিতে হবে।
ভারতে প্রবেশ ও ত্যাগ করার সময়টা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বিমান বা ট্রেন যেভাবেই যাওয়া হোক না কেন, আসা-যাওয়ার টিকেট দেখাতে হবে।
সর্বোপরি, কাশ্মীরে যাবতীয় খরচ চালানোর জন্য যথেষ্ট ভ্রমণ তহবিল আছে কিনা তার একটা প্রমাণ দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
ঢাকা থেকে কাশ্মীর যাতায়াত
জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে সংযোগ আছে ভারতের দিল্লী অথবা চণ্ডিগড়ের। ঢাকা থেকে আকাশপথে সরাসরি এই রাজ্যগুলোতে পৌঁছা যায়। স্থলপথে যেতে হলে রেলপথে বা বাসে কলকাতা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে হবে।
কাশ্মীরের জনপ্রিয় জায়গাগুলো ঘুরতে হলে প্রথমে যে পর্যন্ত যেতে হবে সে জায়গাটি হচ্ছে শ্রীনগর। দিল্লী থেকে শ্রীনগর বিমানে যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ৯ ঘণ্টা। এখানে খরচ হতে পারে প্রায় ২৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা।
রেলপথে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে কলকাতার হাওড়ার ট্রেন আছে যেখানে শ্রেণীভেদে জনপ্রতি ভাড়া ২ হাজার ৫৯৯ থেকে ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা। তারপর হাওড়া থেকে ট্রেন বদলে যাওয়া যাবে জম্মু। এখানে ননএসি স্লিপারগুলোর ভাড়া ৭৫০ থেকে ৭৯০ রুপি বা ৯৯০ থেকে ১ হাজার ৪২ দশমিক ৮ টাকা (১ ভারতীয় রুপি = ১ দশমিক ৩২ বাংলাদেশি টাকা)।
ঢাকা থেকে বাসে গেলে কলকাতা পর্যন্ত বাস ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৬০ টাকা। অতঃপর রেলপথে জম্মু পৌঁছানোর পর শ্রীনগরের বাকিটা পথ গাড়িতে শেয়ার করে কিংবা বাসে করে যেতে হবে। সব মিলিয়ে এভাবে শ্রীনগর পর্যন্ত যেতে সময় লাগতে পারে সর্বোচ্চ ২ দিন ১৯ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া ভ্রমণ: জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান, ঘুরতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
কাশ্মীরের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলো
শ্রীনগর
কাশ্মীরের প্রবেশদ্বার শ্রীনগরেই মিলবে অপার্থিব অনুভূতির সঞ্চার করা ডাল লেকের স্নিগ্ধতা। এছাড়া এই লেকে রয়েছে এশিয়ার প্রথম ভাসমান সিনেমা হল। শঙ্করাচার্য মন্দিরের চূড়া থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের এই রাজধানী শহরটির প্রায় পুরোটা চোখে পড়ে।
৮ মাস আগে
বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড় ভ্রমণ: বাংলার দার্জিলিং যাওয়ার উপায় ও খরচের বৃত্তান্ত
পাহাড় বেয়ে চূড়ায় ওঠার সময় মাঝপথে থেকে নিচের দিকে তাকালে স্বভাবতই ফেলে আসা জনপদগুলোকে পিপিলিকার মতো মনে হয়। কেমন হবে যদি নিচে তাকিয়ে দেখা যায় সব হারিয়ে গেছে মেঘের নিচে! শ্বেত শুভ্র পেঁজা তুলাগুলোকে আলগোছে পা ছুঁয়ে যাওয়াটাকে মোটেই পার্থিব মনে হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশি ট্রেকাররা হরহামেশা এরকম দৃশ্যের সম্মুখীন হন না। কিন্তু বান্দরবানের এমন কিছু পাহাড় আছে, যেগুলো সত্যিকার অর্থেই এরকম অভিজ্ঞতার অবতারণা করতে পারে। ট্রেকাররা সুউচ্চ পাহাড়ের উপর আবিষ্কার করেন এক জাদুর নগরী। এগুলোর মধ্যে চিম্বুক পাহাড়ে উঠলে মনে হবে যেন সাক্ষাত দার্জিলিং।
পাহাড়ি সৌন্দর্য্যের রানী বান্দরবানের এই প্রাচীন ঐশ্বর্য নিয়েই এবারের ভ্রমণবিষয়ক নিবন্ধ। চলুন, বাংলার দার্জিলিং চিম্বুক পাহাড় ট্রেকিংসহ ভ্রমণের বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
চিম্বুক পাহাড়ের বিশেষত্ব ও ভৌগলিক অবস্থান
চট্টগ্রাম বিভাগের পার্বত্য জেলা বান্দরবানের থানচিতে অবস্থিত এই পাহাড়টি স্থানীয় অনেকের কাছে কালা পাহাড় নামেও পরিচিত। বান্দরবান জেলা সদর থেকে জায়গাটির দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। গড় সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ফুট উঁচু এই প্রাকৃতিক বিস্ময় বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পাহাড়।
এই উচ্চতায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা ছাড়াও ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে অনায়াসেই দেখে নেওয়া যায় মেঘাচ্ছন্ন পাহাড়গুলোকে। এ কারণে ঐতিহাসিক স্থানটি অনেক আগে থেকেই পর্যটকদের কাছে বাংলার দার্জিলিং হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
৯ মাস আগে
খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া বা হাতি মাথা ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা দর্শনীয় স্থানগুলোতে নান্দনিকতার পাশাপাশি থাকে মৌলিকতার ছোঁয়া। তার অকৃত্রিমতা অপরিবর্তিত রেখে কিছু মানবসৃষ্ট অবকাঠামোর সংযোজন জায়গাটির সৌন্দর্য্য আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। খাগড়াছড়ির মায়ুং কপাল, হাতিমুড়া, বা হাতি মাথা ঠিক এমনি একটি জায়গা, যার প্রাচীনতায় লেশমাত্র দাগ ফেলেনি মনুষ্য সৃষ্টকর্ম। উল্টো প্রকৃতির এই অপার বিস্ময়কে সাজিয়ে তুলেছে শৈল্পিক অলঙ্করণে। অদ্ভূত আকৃতির এই পাহাড় নিয়েই এবারের ভ্রমণকথা।
এমন মজার নামের রহস্য উদ্ঘাটনের পাশাপাশি চলুন জেনে নেয়া যাক- কোন কোন বিষয়গুলো জায়গাটির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়িয়েছে।
হাতিমুড়া বা মায়ুং কপালের অবস্থান ও বিশেষত্ব
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য চট্রগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার দুর্গম পাহাড় ঘেরা অন্যতম ইউনিয়ন পেরাছড়া। এই ইউনিয়নেরই সবচেয়ে দর্শনীয় পাহাড়টির নাম হাতি মাথা বা মায়ুং কপাল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২০৮ ফুট উচু এই পাহাড় নানা জনগোষ্ঠীর মোট ১৫টি গ্রামকে সযত্নে আগলে রেখেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার সীমান্তবর্তী ভাঙ্গামুড়া, মাখন তাইসা পাড়া, বদলছড়া, হাজা পাড়া, কিনাপা পাড়া, কাপ্তালপাড়া, বাগড়া পাড়া, সাধুপাড়া, ও কেশব মহাজনপাড়া।
হাতি মাথার খাড়া পাহাড় বেয়ে পাহাড়ি জনগণের উঠানামার সুবিধার্থে ২০১৫ সালের ১৩ জুন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয় ৩০৮ ফুট দীর্ঘ লোহার সিঁড়ি। এই সিঁড়ি পথ দিয়ে পাহাড় চূড়ায় যেতে ৩০০টি ধাপ পেরোতে হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার লালন শাহের মাজার ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
মায়ুং কপাল বা হাতি মাথা নামের উৎপত্তি
অদ্ভূত আকৃতির এই পাহাড় প্রাকৃতিকভাবেই গঠন পেয়েছে হাতির মাথার মত আর এ কারণেই ‘হাতি মাথা’ বা 'হাতিমুড়া' নামকরণ। ‘মায়ুং কপাল’ নামের উৎপত্তি এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ত্রিপুরাদের কাছ থেকে। তারা ‘হাতি’ বোঝাতে ‘মায়ুং’ এবং ‘মাথা’ বোঝাতে ‘কপাল’ শব্দ ব্যবহার করে, আর এ দুয়ে মিলেই পাহাড়ের নাম হয়েছে হাতি মাথা।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি নামে পরিচিত এই পাহাড়টি। স্থানীয়দের অনেকে একে হাতি মুড়া বলে ডাকে। চাকমাদের কাছে এটি ‘এঁদো সিরে মোন’ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন:তাজিংডং ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও খরচ
মায়ুং কপাল পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
পাহাড়ি বনের মাঝ দিয়ে নির্মিত সিঁড়ির নিচ থেকে উপরের দিকে সিঁড়ির প্রান্ত দেখা যায় না। দেখে মনে হয় যেন সিঁড়ির ধাপগুলো আকাশেরও উপরে উঠে গেছে। আর তাই সিঁড়ি নির্মাণের পর থেকে স্থানীয় গ্রামবাসীদের কাছে পাহাড়ের দারুণ একটি নাম প্রচলিত হয়, আর সেটি হচ্ছে- ‘স্বর্গের সিঁড়ি’। এরকম নাম এবং সিঁড়ির অনিন্দ্য দৃশ্যের জন্যই গত কয়েক বছর ধরে পাহাড় ট্রেকারদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হাতি মুড়া
হাতি মুড়া পৌঁছার দীর্ঘ ট্রেইলপথের একঘেয়েমিতা দূর করেছে খরস্রোতা চেঙ্গি নদী। নদীর ওপর দিয়ে পাড়াপাড়ের জন্য রয়েছে কাঠের সাঁকো। এর পরে বিস্তৃত সমতল ভূমির দু’পাশে কোথাও জুম ক্ষেত, কোথাও বা ধু ধু প্রান্তর। এমন মাঠ পেরোতেই দেখা মিলবে অদ্ভূত নামের এক পাহাড়ি গ্রামের। ‘বানতৈসা’ নামের এই গ্রামে ত্রিপুরাদের বসবাস।
বানতৈসার পর স্বর্গের সিঁড়ির আগ পর্যন্ত আর কোনও জনপদ নেই। তবে উঁচু-নিচু রাস্তা ধরে এগোনোর সময় পাহাড়ের আনাচে-কানাচে চোখে পড়বে ছোট ছোট মাচাঘর। দীর্ঘ পায়ে হাঁটা পথে এখানকার কুয়া থেকে বরফ ঠান্ডা পানিতে গলা ভিজিয়ে নেয়া যায়।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ভিসা ছাড়াই যেসব দেশে যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
হাতিমাথা পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছতেই সামনে দেখা যাবে প্রায় ১২০ ডিগ্রি কোণ করে বেঁকে উপরের দিকে উঠে গেছে স্বর্গের সিঁড়ি। কমপক্ষে এক থেকে দেড় ঘন্টা লাগবে এই সিঁড়ি বেয়ে চূড়ায় পৌঁছতে।
স্বর্গে নিয়ে না গেলেও এই সিঁড়ির শেষ প্রান্ত পর্যটকদের পৌঁছে দেয় নয়নাভিরাম সুন্দর এক গ্রামে। সেই চূড়া থেকে প্রায় পুরো খাগড়াছড়ি শহরটাই দেখা যায়। মনে হয় যেন নেপাল বা ভুটানের কোনও পর্যটন স্পট।
১০ মাস আগে
তাজিংডং ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও খরচ
সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে শূন্যের মাঝে নিজেকে আবিষ্কার করা আর প্রকৃতির অপার বিস্ময়ের কাছে নিজেকে সঁপে দেওয়া যেন একই সুরের ঐকতান। আর সেই সংগীত যেন অনুনাদে বাজতে থাকে শীতের শুরুতে। শীতে নেই অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়ার চিন্তা। বরং আকাশ আর পাহাড়ের মাঝে মেঘ আর কুয়াশার প্রতিযোগিতা অ্যাড্রেনালিন বাড়িয়ে দেয় মাঝপথে থেমে যাওয়া কোনো পর্বতারোহীর। ট্রেকার আর রোমাঞ্চপ্রেমীরা এই কারণেই শিশির মাখা ঋতুকে বেছে নেন তাদের দুর্গমপ্রিয় উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙানোর জন্য। দেশে ট্রেকিংয়ের জন্য অন্যতম সেরা গন্তব্যের নাম তাজিংডং। বিপজ্জনক ঝিরিপথ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চূড়া নিয়েই আজকের নিবন্ধ। চলুন, দুর্গম চূড়াটির অভিমুখে রওনা হওয়ার পূর্বে পুরো যাত্রার ব্যাপারে সম্যক ধারণা নেয়া যাক।
তাজিংডংয়ের অবস্থান ও বিশেষত্ব
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বের পাহাড়ী অঞ্চল বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন রেমাক্রী পাংশা। এই ইউনিয়নের সাইচল নামের পর্বতসারির অংশ তাজিংডং। উপজেলা সদর থেকে জায়গাটির দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার।
প্রকৃত উচ্চতা ৭৮৯ মিটার (2,৫৮৯ ফুট) হলেও সরকারি হিসাব মতে ১ হাজার ২৮০ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট এই প্রাকৃতিক বিস্ময়টি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। এর আগে দেশের চূড়াগুলোর মধ্যে উচ্চতার দিক থেকে শীর্ষস্থানে ছিল কেওক্রাডং।
অবশ্য বেসরকারি গবেষণায় এই খেতাবের দাবিদার সাকা হাফং চূড়া , যা এখনও সরকারিভাবে স্বীকৃতি পায়নি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের তিনাপ সাইতার জলপ্রপাত ভ্রমণের উপায় ও খরচ
তাজিংডং নামের উৎপত্তি
তাজিংডং সংলগ্ন রেমাক্রী অঞ্চলে বসবাসরত উপজাতীদের ভাষায় খুব বড় কোনো কিছু বোঝাতে ‘তাজিং’ শব্দ ব্যবহার করা হয়। আর ‘ডং’ শব্দ দিয়ে বোঝানো হয় পাহাড়কে। এভাবে ‘তাজিং’ ও ‘ডং’ শব্দ দুটি একত্রিত করে বিরাটকায় কোনো পাহাড় বোঝাতে ‘তাজিংডং’ নামের প্রচলন ঘটে। সরকারিভাবে এটি বিজয় নামেও পরিচিত।
বিজয় বা তাজিংডং ভ্রমণের সেরা সময়
বর্ষাকালে অন্য সব পাহাড়ি পথের মতো তাজিংডংও পরিণত হয় মৃত্যুকূপে। এছাড়া শুধু শুষ্ক মৌসুমগুলোতেই চাঁন্দের গাড়ি করে পাহাড়ের কাছাকাছি পৌঁছা যায়।
আর গরমের সময়গুলোতে এমন দুর্গম গিরিপথ বেয়ে ওঠা ঘর্মাক্ত কলেবরে কুলিয়ে ওঠা যায় না। তাই তাজিংডং আরোহণের সেরা সময় শীতের একদম শুরুর দিকে, যখন কুয়াশার চাদরে ঝিরিপথ অন্ধকার হয়ে যায় না। সেই সঙ্গে যদি পূর্ণিমা থাকে, তাহলে ভ্রমণ উচ্ছ্বাসের ষোলো আনাই পূরণ হয়।
আরও পড়ুন: মনপুরা দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় এবং আনুষঙ্গিক খরচ
ঢাকা থেকে তাজিংডং পৌঁছার উপায়
ঢাকাবাসীদের জন্য বান্দরবান যাওয়ার সেরা উপায় হলো বাসরুট। কেননা, এই পথে একমাত্র বাসেই রয়েছে সরাসরি বান্দরবান সদর পর্যন্ত যাওয়ার উপায়। বাস গাবতলী, কল্যাণপুর, কলাবাগান, মহাখালী, ফকিরাপুল বা যাত্রাবাড়ীর যে কোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে বান্দরবানের বাস পাওয়া যায়।
বাস কোম্পানি এবং এসি ও ননএসি ভেদে এগুলোতে ভাড়া পড়তে পারে জনপ্রতি ৮৫০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা।
ট্রেনে ভ্রমণ করতে হলে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম, তারপর চট্টগ্রাম থেকে লোকাল বাসে বান্দরবান। কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সারা দিন বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রামের ট্রেন পাওয়া যায়। এগুলোতে শ্রেণীভেদে ভাড়া পড়তে পারে মাথাপিছু ২৮৫ থেকে ৭৮৮ টাকা।
যাতায়াতের সময় বাঁচিয়ে আরও কম সময়ে যেতে চাইলে রয়েছে উড়োজাহাজে করে যাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রেও ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথমে চট্টগ্রামেই নামতে হবে। আর এখানে সময় লাগবে মাত্র ১ ঘণ্টা। চট্টগ্রামগামী বিমানগুলোর টিকিট মূল্য পড়তে পারে জনপ্রতি ৩ হাজার ৫০০ থেকে ১১ হাজার ১৭৫ টাকা পর্যন্ত। কমপক্ষে ১ মাস আগে থেকে টিকিট কাটলে খরচ আরও কমিয়ে আনা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শীতকালে বাংলাদেশে ভ্রমণের জনপ্রিয় ১০ স্থান
চট্টগ্রামে পৌঁছে এখানকার বিআরটিসি টার্মিনাল বা দামপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ভাড়ায় পাওয়া যাবে বান্দরবানের বাস।
বান্দরবান জেলা শহর থেকে প্রায় ৭৯ কিলোমিটার দূরত্বে থানচি উপজেলার অবস্থান। বান্দরবান থেকে বাসে কিংবা রিজার্ভ জিপ বা চাঁন্দের গাড়িতে করে থানচি যাওয়া যায়। বান্দরবানের থানচি বাসস্ট্যান্ডে প্রতি ঘণ্টায় পাওয়া যাবে থানচির লোকাল বাস। জনপ্রতি ২০০ টাকা ভাড়ায় এগুলো থানচি পৌঁছে দেয় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টায়। চাঁন্দের গাড়িতে ১২ থেকে ১৪ জনের গ্রুপের জন্য খরচ পড়তে পারে ৫ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা। এই যাত্রাটা বেশ আনন্দের; তাছাড়া এভাবে যেতে সময়ও লাগে অনেক কম; প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা।
থানচি থেকেই শুরু হয় পায়ে হাটা যাত্রা। আগে অনেকে রুমা হয়ে তাজিংডং যেতো কিন্তু বর্তমানে রুমা থেকে শুধুমাত্র কেওক্রাডং পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এছাড়া কোনোভাবে যেতে পারলেও জাদিপাই পর্যন্ত যাওয়া যাবে। তাই এখন তাজিংডং চূড়ায় ওঠার একমাত্র উপায় থানচি হয়ে যাওয়া। এ রুটে হেডম্যানপাড়া হয়ে শেরকরপাড়া দিয়ে তাজিংডং পৌঁছাতে হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটের জাফলং ভ্রমণ: যাওয়ার উপায় ও যাবতীয় খরচ
১০ মাস আগে
চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড়ে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টায় উপজেলার আধুনগর রশিদার ঘোনা কূলপাগলী পাহাড়ি এলাকা এলাকায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ঝিরিতে লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেয়। পুলিশের একটি টিম সেখানে পৌঁছে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। তবে গলে যাওয়ায় শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন শনাক্ত করা যায়নি।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, লাশের পরনে ছিল কালো বোরকা, পাশে এক জোড়া স্যান্ডেল পড়ে ছিল। তবে কিভাবে লাশ এখানে এসেছে কেউ কিছু বলতে পারতেছে না। লাশটি দেখে মনে হচ্ছে এটি অন্য এলাকার।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান, লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, স্থানীয়রা লাশটি দেখে আমাদের খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লাশটির গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে।ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ওই নারীর পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অটোরিকশার ধাক্কায় নারী নিহত
নরসিংদীতে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নারীর মৃত্যু
১১ মাস আগে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড় থেকে সাবেক নিরাপত্তা কর্মীর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাহাড় থেকে মনির আহমেদ (৭৫) নামে সাবেক এক নিরাপত্তা কর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে চবির ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের পেছনের পাহাড়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরের বাগাতিপাড়ায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
মৃত মনির আহমেদ চবির সাবেক নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন।
জানা যায়, একই অনুষদের ঝাড়ুদার জগদীশ রুদ্র প্রথমে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে সবাইকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে।
ধারণা করা হচ্ছে তিনি সেখানে বাঁশ কাটতে গিয়েছিলেন। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি এখনও।
অনুষদের ঝাড়ুদার জগদীশ রুদ্র বলেন, আমি অনুষদের পানির মোটর ছেড়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি ঝোপ ফাঁকা। রাস্তা হয়ে আছে। তখন আমি একটু সামনে এগিয়ে আসতেই দেখি একজনের পা দেখা যাচ্ছে। পরে আমার সহকর্মী কাজল রুদ্রকে ডেকে আনি। লাশটাকে দেখতে মনির ভাইয়ের মতো লাগল, তাই আমরা ছবি তুলে ওনার মেয়েকে দেখাই। ছবি দেখে বাবাকে শনাক্ত করেন মেয়ে।
মৃত মনির আহমদের ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের প্রহরী মো. তারেক মিয়া বলেন, আসরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর থেকে তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। বাবার লাশ পাওয়া গেছে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে। ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ঝাড়ুদার জগদীশ বাসায় জানিয়েছে। পরে আমি এসে বাবার লাশ দেখতে পাই।
চবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাটহাজারী থানা থেকে লোক এসে পোস্টমর্টেমের জন্য লাশ নিয়ে গেছে। পাহাড়ে তার লাশ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় পোস্টমর্টেম না হলে তো কিছু বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভাড়া বাসা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেটে ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে পরিত্যক্ত মর্টার শেল!
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় বৃষ্টিতে মাটি ধুয়ে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল বেরিয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার লালমাই পাহাড়ের বড় ধর্মপুর এলাকায় মর্টার শেলটি দেখতে পান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরাকান আর্মি ও আরসার ওপর দায় চাপাল মিয়ানমার
স্থানীয়রা জানান, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লালমাই পাহাড়ে অনেক যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে এই অবিস্ফোরিত শেলটি সে সময়ের।
সোমবার লালমাই পাহাড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। সেই বৃষ্টিতে লালমাই পাহাড়ের বড়ধর্মপুর এলাকার মাটি সরে গিয়ে মর্টার শেলটি বের হয়ে আসে। মঙ্গলবার সকালে শেলটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূঁইয়া জানান, ঢাকায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে আসার পর মর্টার শেলটি উদ্ধার করে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএসআরএমের কারখানা থেকে ২টি মর্টার শেল উদ্ধার
হিলিতে ধানের জমি থেকে পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার
১ বছর আগে
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে বৃদ্ধ নিহত
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা সদরের ঝিলংঝা ইউনিয়নের পূর্বলারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বৃদ্ধ মোহাম্মদ আজম (৬৫) কক্সবাজার সদরের ঝিলংঝার পূর্বলার পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলের কিল-ঘুষিতে বাবা নিহত
স্থানীয়রা জানান, আজম পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করেছিল। কিন্তু সেই বাড়িতে রাতে পাহাড়ের কিছু মাটি ধসে পড়ে। পরে মাটি সরানোর জন্য আজম সেখানে যান। এ সময় ধসে পড়া মাটি সরানোর সময় ওপর থেকে পাহাড়ের আরও মাটি ধসে পড়লে আজম চাপা পড়েন। পরে তার স্ত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪, আহত ৭
বাঁশখালীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
১ বছর আগে