উন্নয়নশীল দেশ
বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারে: বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক
বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেলকে বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলো অনুসরণ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক পরমেশ্বরন আইয়ার।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
‘বাংলাদেশ এক অভূতপূর্ব পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে,’ বলেও উল্লেখ করেন বিশ্বব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
আরও পড়ুন: জ্বালানি দক্ষতার উন্নতি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: বিশ্বব্যাংক
আইয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, তার নেতৃত্ব ও পরিকল্পনার কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা জানান।
উন্নয়ন যাত্রার পরবর্তী ধাপে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করার আশ্বাস দেন তিনি।
বিশ্বব্যাংকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে উন্নতি লাভ করছে। দেশের পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থাও অসাধারণ।
তিনি বলেন, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, বৈশ্বিক ঋণদাতা ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ৭০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে।
এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচির বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আইয়ারকে অবহিত করেন।‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন। আমরা জনগণের একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ও দল সব দিক বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে।
জলবায়ু সমস্যা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কার্বন নিঃসরণকারী দেশ না হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ভোগ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে ।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পরিবেশ রক্ষা এবং ঢাকা শহরের চারপাশের নদীগুলোর নাব্যতা নিশ্চিত করার জন্য একটি সামষ্টিক বিনিয়োগ কর্মসূচির আওতায় শহরটিকে আরও বাসযোগ্য করে তোলার বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার বেসরকারি খাতের জন্য সবকিছু উন্মুক্ত করেছে এবং বেসরকারি খাতে সহায়তা দিচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের অল্টারনেটিভ এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আহমেদ কায়কাউস, ইআরডি সেক্রেটারি শরিফা খান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৫ বছরে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়েছে ৫ গুণ: বিশ্বব্যাংক
১ বছর আগে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত রপ্তানি সুযোগ কাজে লাগান: প্রধানমন্ত্রী
২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার কথা বিবেচনা করে নতুন দীর্ঘমেয়াদী রপ্তানি নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের পর যখন আমরা এলডিসি থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব, আমরা কিছু সুযোগ পাব... আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এবং দেশের আরও উন্নয়ন করতে আমাদের সেই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।’
সোমবার সরকারি বাসভবন গণভবনে রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পর লক্ষ্য হবে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে থাকায় বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে অনেক দেশ বাংলাদেশ থেকে খাদ্য সামগ্রী আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আমরা খাদ্য সামগ্রী রপ্তানি করতে পারতাম। আমরা এর জন্য উদ্যোগ নিতে পারি।’
তিনি বলেন, দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন এবং সেসব পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে বিপুল সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার রপ্তানি খাতকে গুরুত্ব দিয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দায়ের
তিনি বলেন, ‘ভারত গ্রহণের পর, আমরা এক বছরের ভিত্তিতে নীতির পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী রপ্তানি নীতি প্রণয়নের পদক্ষেপ নিয়েছি। অর্জনগুলো ধরে রাখতে হলে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, সরকার ২০২৪ (২০২১-২০০৪) পর্যন্ত রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেছেন ‘...কিন্তু এর পর আমরা কী করব? এরই মধ্যে, আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হচ্ছি। আমি মনে করি আগামী দিনে আমরা কী করব বা আমরা কীভাবে এগিয়ে যাব তা বিবেচনা করার এটাই সঠিক সময়।’
তিনি বিশ্বব্যাপী বর্তমান অর্থনৈতিক অস্থিরতার কথা মাথায় রেখে অর্থনীতির জন্য পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নির্ধারণের উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সারা বিশ্বে নতুন বাজার খুঁজতে হবে। আমাদের পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে, আমাদের রপ্তানি ঝুড়িতে নতুন আইটেম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বেসরকারি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে এবং প্রতিটি সেক্টরকে উদ্যোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত করেছে কারণ সরকারের একার পক্ষে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, রপ্তানি খাতের উন্নয়নের জন্য একটি কৌশল গ্রহণ করতে হবে এবং পণ্য চিহ্নিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমরা একটি সম্ভাব্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি-২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে।’
প্রধানমন্ত্রী আইসিটি এবং ডিজিটাল ডিভাইস, আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, হালকা ও মাঝারি ওজনের শিল্প, মোটর যান এবং ইলেকট্রনিক মোটর গাড়ির কথা উল্লেখ করে পণ্য বৈচিত্র্যের কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশ-বিদেশের বিনিয়োগ নিয়ে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: খাদ্য মজুদ ও কালোবাজারির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির এই অগ্রগতির ফলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে এখন আমাদের সবুজ ও পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের দিকে নজর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: বসবাস উপোযোগী দৃষ্টিনন্দন ঢাকা গড়ে তুলতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
শনিবার (৪ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইবিএ অডিটোরিয়ামে ইনস্টিটিউট অব এনার্জি আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল গ্রিন বিজনেস’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সম্ভাবনাকে নির্মূল করে যে উন্নয়ন তা কখনো টেকসই হবে না। তাই ব্যবসায়ীদের এখন থেকেই পরিবেশবান্ধব সবুজ বিনিয়োগের দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, জ্বালানি বা এনার্জি শিল্পায়নের জন্য অপরিহার্য। সেই জ্বালানির উৎস পরিবেশবান্ধব না হলে তা সমগ্র মানবজাতিকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে। এই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই সবুজ অর্থনীতি ও সবুজ বিনিয়োগ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় গুরুত্ব পেয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ঢাকা শহরে প্রতিদিন ছয় হাজার টন আবর্জনা তৈরি হয়। এ আবর্জনা সঠিক ব্যবস্থাপনা করা গেলে দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।
স্থানীয় মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে পরিবেশের ক্ষতি হলে আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা রেখে যেতে পারব না। তাই আমাদের মানুষের জীবনের মান উন্নত করার সঙ্গে পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানা।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
১ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরও সহায়তার আহ্বান মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর ফলে বিশ্বজুড়ে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে তা আরও বেড়ে যাওয়া; কোনো কিছুই পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় অর্থায়ন হ্রাস বা অন্য কোন সিদ্ধান্তের অজুহাত হতে পারে না।
রবিবার লোকালি লেড অ্যাডাপ্টেশন (এলএলএ) এর গ্লোবাল হাবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মোমেন এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: কূটনীতিকদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ: মোমেন
তিনি বলেন, গ্লোবাল হাবের লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশ সরকার গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনকে (জিসিএ) পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
মোমেন বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি আমাদের প্রতি তার অবিরাম সমর্থনের স্পষ্ট সাক্ষ্য দেয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এসময় বান কি মুন এবং সমগ্র জিসিএ দলকে আবারও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে জিসিএ গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে কাজ করতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। সত্যিই ঢাকায় আজ এই জিসিএ আঞ্চলিক অফিসের গ্লোবাল হাবের উদ্বোধনের আয়োজন একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। শিগগিরই আমরা অন্যান্য আয়োজন করার পরিকল্পনা করছি।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব এবং বোর্ডের চেয়ার, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন বান কি-মুন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন প্রফেসর ড. প্যাট্রিক ভারকুইজেন এবং ব্রিটিশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বক্তব্য দেন।
মোমেন গ্লোবাল হাব প্রতিষ্ঠায় সহায়তার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যুক্তরাজ্যকে অনুসরণ করে অন্যান্য দেশ/প্রতিষ্ঠানগুলো উদার অর্থায়নে এগিয়ে আসবে।’
মোমেন বলেন, প্রতি বছর বাংলাদেশের ছয় লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং নদী ভাঙনের কারণে তাদের ঘরবাড়ি, তাদের পূর্বপুরুষের পেশা থেকে উৎখাত হচ্ছে। তাদের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিচ্ছে সরকার, যদিও তাদের উৎপাটনে সরকারের কোন ভূমিকা নেই।
বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায়, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর প্রায় ২০ শতাংশ বন্যায় প্লাবিত হবে এবং কয়েক লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যূত হবে।
মোমেন বলেন, ‘যদি কয়েক লাখ লোক তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যূত হয়, তবে এটি একটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করবে।’
তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি হওয়ার আগে আমি বিশ্ব নেতাদের তাদের পুনর্বাসনের দায় ভাগ করে নিতে এবং এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার অনুরোধ করব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জিসিএ-এর সঙ্গে আমাদের যাত্রা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ও অগ্রগতিশীল। এটা দেখে আমি আনন্দিত যে মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে জিসিএ ও বাংলাদেশ সরকার অভিযোজন কার্যক্রম গড়ে তুলেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই গ্লোবাল হাবের মাধ্যমে অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে ভাসমান কৃষি, বৃষ্টির জল সংগ্রহ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা, জলবায়ু প্রতিরোধী ফসলের জাতগুলোর মতো ঘরোয়া সমাধানগুলো বিনিময় করতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে ‘চিন্তিত নন’, তাকে সরল ও ভালো মানুষ বললেন মোমেন
প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক আরও গভীর হবে: মোমেন
২ বছর আগে
কপ-২৭: উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত ১০ হাজার কোটি ডলার বাস্তবায়ন করতে বলবে বাংলাদেশ
প্যারিস চুক্তি ও কনভেনশনের অধীনে নির্ধারিত সমষ্টিগত জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতারা আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৭ এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২৭ তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস বা কপ-২৭ আয়োজন করা হবে জলবায়ুর জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্যে কপ-২৬ এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে।
যে বিষয়গুলো আমলে নেয়া হবে: জরুরিভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা, স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা ও জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু সংক্রান্ত কাজে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার তহবিল প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করবে।
মিশরের শহর শারম আল-শেখে ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য বর্ধিত তহবিলের গুরুত্বও তুলে ধরবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ এর আগে জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের
প্যারিস চুক্তির অধীনে দেশগুলো প্রতিশ্রুতিগুলোকে কর্মে পরিণত করার মাধ্যমে তারা যে বাস্তবায়নের নতুন যুগে রয়েছে তা কপ-২৭ এ দেখানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ৭ ও ৮ নভেম্বর শারম আল-শেখ জলবায়ু বাস্তবায়ন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং ১৫ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকভাবে মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আগামী মাসে শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনের পূর্বে ক্ষয়ক্ষতির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন বৈশ্বিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে জলবায়ু পরিবর্তন একটি নিরাপত্তা সমস্যা এবং এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) নিয়মিত বিরতিতে আলোচনা করা উচিত।
বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ একটি সাহসী কণ্ঠস্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়।
বাংলাদেশ এর জলবায়ু দুর্বলতা থেকে স্থিতিস্থাপকতা এবং জলবায়ু সমৃদ্ধির পথে যাত্রা করার লক্ষ্যে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ চালু করেছে। সরকার এটিকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য একটি যুগান্তকারী নীতিগত নির্দেশিকা হিসেবে দেখছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট: বিশ্বনেতাদের ‘মুনাফার চেয়ে মানুষকে’ অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান তরুণদের
২ বছর আগে
ডব্লিউটিও এর অধীনে দেশ অনেক বেশি বিকল্প সুবিধা পাবে: শেখ হাসিনা
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত 'পরাজিত' হবে এমন আশঙ্কা দূর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) বিধিমালার অধীনে দেশ অনেক বেশি বিকল্প সুবিধা পেতে সক্ষম হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকের সম্ভবত সন্দেহ আছে যে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হব। কিন্তু আমরা যেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হব তার চেয়ে অনেক বেশি সুবিধা পেতে সক্ষম হব। এটি আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ হবে।‘
আরও পড়ুন: পূর্বাচলে অত্যাধুনিক প্রদর্শনী কেন্দ্র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র ভার্চুয়ালি উদ্বোধন কালে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত কেন্দ্রটি সারা বছর বিভিন্ন পণ্য-ভিত্তিক মেলার স্থায়ী স্থান। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় এটি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) নির্মাণ করেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা ও মেঘনা নামে দুই বিভাগ চান প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখুন: সচিবদের প্রধানমন্ত্রী
দেশের বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সচিবদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতেও যেন এগিয়ে যেতে পারে সেইভাবেই আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।’
বুধবার এনইসির সম্মেলন কক্ষে সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা ভিত্তিটা তৈরি করেছি।
ডেল্টা প্ল্যান পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের আরও অনেক উন্নত হতে হবে, আমরা সেই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
উন্নয়ন পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়নে তিনি সচিবদের কাজ করার নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে তৃণমূলের মানুষকে উন্নত জীবন দেয়া।
তিনি বলেন, মানুষ যাতে দরিদ্র্য থেকে মুক্তি পায়, উন্নত জীবন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং শিক্ষাসহ সকল মৌলিক অধিকার লাভের সুযোগ পেতে পারে সে লক্ষেই সরকার কাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে যাতে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ না হয়।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাব কারণ আমরা ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়াই মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করার সংকল্প প্রধানমন্ত্রীর
গ্রামে ৫জি সম্প্রসারণসহ একনেকে ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
৩ বছর আগে
উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি ধরে রাখতে দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি ধরে রাখতে সরকার শিক্ষার প্রসার এবং উপযুক্ত দক্ষ কারিগর ও নাগরিক গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর।
৩ বছর আগে