কুতুবদিয়া
২৩ জন নাবিক নিয়ে কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আব্দুল্লাহ
সোমালি জলদস্যুদের হাতে ৩১ দিন বন্দি থাকার পর ১৪ এপ্রিল মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ জন নাবিক নিয়ে কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া পয়েন্টে নোঙর করেছে।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাহাজটি কুতুবদিয়া উপকূলে পৌঁছায় বলে জানান জাহাজের মালিক কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে ভিড়েছে এমভি আবদুল্লাহ
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সদরঘাট জেটিতে নাবিকদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার ৬৪ দিন পর পরিবারের দেখা পাবেন জাহাজটির নাবিকরা।
তাদের নিরাপদে ফিরে আসার খবরে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
মিজানুল জানান, কুতুবদিয়ায় পণ্য খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, 'আমি যতদূর জানি সব নাবিক নিরাপদ ও সুস্থ আছেন এবং পরবর্তী অগ্রগতি পরে জানানো হবে।’
৩৩ দিন জিম্মি থাকার পর গত ২৮ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাস করে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয় জাহাজটি।
জলদস্যুদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় এমভি আবদুল্লাহ প্রাথমিকভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরে নোঙর করে।
মোজাম্বিক থেকে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালি উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে সোমালি জলদস্যুরা জাহাজটিকে জিম্মি করে নেয়। জলদস্যুরা জাহাজ ও এর নাবিকদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং ১৩ এপ্রিল রাত পর্যন্ত তাদের আটকে রাখে।
এরপর গত ২১ এপ্রিল জাহাজটি প্রথম বন্দরের বাইরের নোঙরে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে এমভি আবদুল্লাহ
আজ দুপুরে দেশের উদ্দেশে আল হামরিয়া বন্দর ছাড়বে এমভি আব্দুল্লাহ
৭ মাস আগে
কুতুবদিয়ার বিচ্ছিন্ন জীবনে গতি আনছে বিদ্যুৎ
বঙ্গোপসাগর বেষ্টিত কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা হলো কুতুবদিয়া। প্রায় ২১৫ দশমিক ৮০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপ।
এপ্রিল মাস থেকে ছয়টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ২১৫ দশমিক ৮০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কুতুবদিয়া দ্বীপের প্রায় ২ লাখ মানুষের জীবনধারা অনেক বদলে গেছে।
যে দ্বীপটি সন্ধ্যার সময় অন্ধকারে ডুবে যেত, সেখানে এখন ঝলমলে বিদ্যুতের আলো রয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দ্বীপবাসী বিদ্যুৎ সংযোগ সুবিধা পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে: চীনা কর্মকর্তা
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি থেকে মগনামা ঘাট পর্যন্ত ৩৩ কেভি লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। সেখান থেকে সাগরের তলদেশে ফাইবার অপটিকসহ পাঁচ কিলোমিটার ডাবল সার্কিট সাবমেরিন লাইন নির্মাণ করে কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে কুতুবদিয়ায় প্রায় ২ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি দ্বীপে গিয়ে কুতুবদিয়ার ঘর-বাড়িতে আলোকসজ্জা দেখা গেছে। বিদ্যুতের কারণে ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও হচ্ছে।
স্থানীয় কিশোর রফিক, সেলিম ও আজিজুল এর আগে কখনো আইসক্রিম খায়নি।
কৃষক মনজুর আলমের একটি মোবাইল ফোন ছিল, কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় সেটি চার্জ দিতে পারতেন না।
বিদ্যুৎ-আসায় বর্তমানে কুতুবদিয়ার মানুষের জীবনধারা ‘বিদ্যুতের গতিতে’ বদলে গেছে।
এমনকি কয়েক মাস আগেও সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের ঝুঁকি নিয়ে গর্ভবতী নারীদের নিয়ে যাওয়া হতো চকরিয়া বা কক্সবাজারে। কিন্তু এখন আর সাগর পাড়ি দিতে হবে না।
দ্বীপে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে একটি অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়েছে।
এছাড়া লবণ চাষ কুতুবদিয়া উপজেলায় একটি সাধারণ কাজ। এখানে রয়েছে একটি বাতিঘর, সমুদ্র সৈকত এবং কুতুব আউলিয়ার মাজার।
আরও রয়েছে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত। যেখান থেকে অবিশ্বাস্য সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
এছাড়া এই দ্বীপের আরেকটি আকর্ষণ হল সি-গাল।
কুতুবদিয়ার বাসিন্দারা জানান, আগে দ্বীপটি আর্থ-সামাজিক অবস্থার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল। আধুনিক কৃষি শিক্ষা বা চিকিৎসা সেবার কোনো সুযোগ ছিল না।
তারা জানান, সরকার দ্বীপে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ব্যবস্থা করেছে। কুতুবদিয়াবাসী এখন বুঝতে পারছেন বিদ্যুৎ কতটা জরুরি।
এছাড়া শিল্প, কোল্ড স্টোরেজ, ব্যবসাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এদিকে রাস্তার আলো যাতায়াতের পথকে সহজ করে দিচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
তারা আরও জানান, দ্বীপে উৎপাদিত মাছ, শুকনো ফল, লবণ, তরমুজ, সুপারিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হচ্ছে। দ্বীপবাসী আশা করছে পর্যটনের দ্রুত প্রসার ঘটবে।
হাতিয়া, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপের জন্য একটি ১০০ শতাংশ নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই বিদ্যুতায়ন প্রকল্প। যা ২০২০ সালে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাতে নেওয়া হয়েছিল।
এদিকে চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেই কুতুবদিয়া দ্বীপে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১
মনোয়ারখালী গ্রামের কৃষক মনজুর আলম বলেন, আগে তেল দিয়ে জেনারেটর চালিয়ে মোবাইল চার্জ দিতাম। তেল না থাকলে আমাকে অন্যের বাড়িতে গিয়ে সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ করতে হতো। এখন আমার ঘরে বিদ্যুৎ আছে।
আরস সিকদারপাড়ার ৬৪ বছর বয়সী বজল করিমের বাড়িতে বিদ্যুৎ এসেছে এক মাস হলো।
তিনি বলেন, আমি এখন আমার বাড়িতে একটি রাইস কুকার ব্যবহার করতে পারি। আমিও একটা ফ্রিজ কিনলাম। আমি এতে মাছ রাখতে পারি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা জানান, গত এপ্রিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পর এলাকার মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসার প্রতিও মানুষের আগ্রহ বেড়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা সদরের বড়ঘোপ বাজারের ব্যবসায়ী করিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কুতুবদিয়াবাসীর স্বপ্ন পূরণ করেছে।
তিনি বলেন, কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ আসবে তা কখনো ভাবিনি। আমরা ১২ এপ্রিল রাত থেকে বিদ্যুৎ পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের জীবন দ্রুতই বদলে গেছে।
এদিকে কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশিখালী গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল আলমের বাড়িতে বৈদ্যুতিক আলো জ্বলছে। এছাড়া বাড়ির লোকজন রঙিন টেলিভিশনে খবর দেখছেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতের অভাবে শিশুরা বেশিক্ষণ অন্ধকারে ঘরে বসে লেখাপড়া করতে পারত না। এখন তারা কম্পিউটারও ব্যবহার করতে পারে।
জেলে জালাল আহমদ জানান, এতে অন্তত ৩৪ হাজার জেলে উপকৃত হবে। তিনিসহ কয়েকজন মাছ সংরক্ষণে হিমাগার নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কুতুবদিয়ার প্রবীণরা জানান, কোভিড-১৯ মহামারির সময় সারাদেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারলেও কুতুবদিয়ার শিক্ষার্থীরা সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল।
দ্বীপের বাসিন্দারা জানান, দ্বীপের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে রাতে কয়েক ঘণ্টা জেনারেটর দিয়ে চিকিৎসা সেবা চালানো হয়। যদি জেনারেটর শৃঙ্খলার বাইরে ছিল, মোমবাতির আলোতে বিভিন্ন চিকিৎসা করা হয়েছিল। এখন সে অবস্থা নেই।
দ্বীপের বাসিন্দারা আরও জানান, বিদ্যুৎ পাওয়ায় তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র ডিসেম্বরে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কর্মকর্তারা
১ বছর আগে
কুতুবদিয়া দ্বীপ থেকে ১৭ জেলে জীবিত উদ্ধার
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপ থেকে ১৭ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার দুপুরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কক্সবাজার জেলায় গত ২৪ আগস্ট ২০২২ এফ ভি ‘মা-বাবার দোয়া-২’ নামক একটি ফিশিং ট্রলার ভোলা তজুমুদ্দিন এলাকা থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে গমন করলে ইঞ্জিন বিকল হয়ে নিয়ন্ত্রনহীনভাবে সমুদ্রে ভাসতে থাকে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ৩ জেলে জীবিত উদ্ধার
তিনি জানান, ২৭ আগস্ট আনুমানিক ২টা ৩০ মিনিটের সময় বিকল হয়ে যাওয়া মাছ ধরার ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে জাতীয় হেল্প লাইন ৯৯৯ এর মাধ্যমে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনকে অভিহিত করে। পরে কোস্টগার্ড কুতুবদিয়ার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আমিনুল সাজ্জাদের নেতৃত্বে বিকাল সাড়ে ৪টায় ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৭ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে।
এছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা এবং খাবার সরবরাহ শেষে ফিশিং বোটের মালিককে ট্রলার এবং জেলেদের হস্তান্তর করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবি: আরও ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
মেঘনায় ট্রলার ডুবি: ৭ জেলে জীবিত উদ্ধার
২ বছর আগে
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মঙ্গলবার ভোররাতে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলো-কক্সবাজারের কুতুবদিয়াপাড়ার মুফিজ আলমের ছেলে মো. জায়েদ (৫) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াদ (৬)।
সমুদ্র সৈকতের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুব আলম জানান, সৈকত কর্মীরা সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক ও নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে জোয়ারের পানি দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় এ দুই শিশু।
আরও পড়ুন: উলিপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, জলদস্যু প্রধানসহ আটক ১৫
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা ও কক্সবাজারের পেকুয়া কুতুবদিয়া থেকে অভিযান চালিয়ে জলদস্যু বাহিনীর প্রধান নূরুল কবীর ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুনসহ ১৩ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দের দাবি করেছে এলিট ফোর্স।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান, মো. মামুন, নুরুল কবির, আব্দুল হামিদ, আবু বক্কর, মো. ইউসুফ, গিয়াস উদ্দিন, সফিউল আলম মানিক, আব্দুল খালেক, রুবেল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম জিকু, মো. সুলতান এবং মনজুর আলম।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চান্দগাঁও র্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ।
র্যাব জানায়, জেলেদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা এবং মুক্তিপণ না পেলে জেলেদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো এ বাহিনী।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে ট্রাকচাপায় পোশাক শ্রমিক নিহত
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার ও শনিবার চটগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে জলদস্যূ নুরুল আফসার, নূরুল কাদের, হাসান, মো. মামুনকে আটক করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ডান্ডিবাজার এলাকায় থেকে জলদস্যু বাহিনী প্রধান কবীরের আস্তানা অভিযান চালানো হয়। এসময় আরও ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৬টি ওয়ানশুটার গান, ৪টি কার্তুজ, ৫টি কিরিচ, একটি ছুরি, একটি রামদা, দুটি হাসুয়া জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, গত ১৪ জানুয়ারি ১৭ জন জেলে মাছ ধরার জন্য সাগরে গেলে জলদস্যু কবির বাহিনীর কবলে পড়ে। মাছ ধরার বোটসহ তাদেরকে অপহরণ করে কবির বাহিনী। এরপর জেলেদেরকে জিম্মি করে মারধর করে ও নির্যাতন চালায়। বোট মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। পরবর্তীতে মালিক ২ লাখ টাকা দিলে জেলেদের ধরা ২ হাজার ইলিশ মাছ লুট করে নিয়ে যায়। জেলেদের জিম্মি করার তথ্যটি র্যাব-৮ জানতে পারে। পরে আমরা সম্মিলিতভাবে সমুদ্রে অভিযান পরিচালনা করি। আমাদের অভিযানের কথা জানতে পেরে ১৭ জানুয়ারি জলদস্যুরা ১৬ জনকে ছেড়ে দেয়। তারা তীরে আসার পর আনোয়ার নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পারি। তারাই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার জলদস্যুদের আটক করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, নিরীহ জেলেদের অপহরণ করে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ নিয়েছে জলদস্যুরা। র্যাব এমন তথ্যের ভিত্তিতি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং কবীর বাহিনীর প্রধান ও সেকেন্ড ইন কমান্ড মামুনসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝিকরগাছায় পরোয়ানাভুক্ত ১২ আসামি গ্রেপ্তার
ট্র্যান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগারকে হত্যাচেষ্টা
২ বছর আগে
কক্সবাজারে সাদা পোশাকে ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের ৩ সদস্য আটক
কক্সবাজারে বসতবাড়িতে ঢুকে এক নারীকে পিস্তল ঠেকিয়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়ার সময় উপপরিদর্শকসহ (এসআই) পুলিশের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ছিনতাইকালে পুলিশ সদস্যরা সাদা পোশাকে ছিলেন।
৩ বছর আগে