প্রবেশ
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে সুপারিশের ব্যাখ্যা দিলেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষদের জন্য ৩৫ ও নারীদের জন্য ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে কেন এই সুপারিশ করা হয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও দেন সুপারিশ কমিটির আহ্বায়ক মুয়ীদ চৌধুরী।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সুপারিশের পেছনের যুক্তি ব্যাখ্যা দেন তিনি।
কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘মেয়েদের একটু আলাদা করে বেশি বয়স দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হলো, মেয়েদের ছেলেদের মতো ওই বয়সে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয় না। ফ্যামিলি অবলিগেশন্স থাকে, বিয়ে হয়ে যায়, বাচ্চাকাচ্চা হয়। তাই তারা যেন আসতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের নারী কর্মকর্তার সংখ্যা তুলনামূলক কম। কোটা আছে, কিন্তু অতটা ফুলফিল হয় না এখনও। সেজন্য আমরা এ সুপারিশ দিয়েছি। যাতে নারীরা এ সুবিধাটা পায়, তারা আসতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৩৫ বছর (চাকরিতে প্রবেশে) সবার জন্য প্রযোজ্য হবে, তবে নারীদের জন্য আমরা ২ বছর বাড়িয়ে ৩৭ বছর সুপারিশ করেছি। এতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়বে।’
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিশনের
কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলেছি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোও দেখেছি। বিভিন্ন দেশে যে বয়সসীমা আছে সেটার সঙ্গে আমাদের সুপারিশ সঙ্গতিপূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে আলাদা নয়।’
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে, এ বিষয়ে উনারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এমন সুবিধা আছে সেজন্য আমরা এটা করেছি। আমরা নতুন কিছু আবিষ্কার করিনি।’
সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বিষয়ে কমিটি কোনো সুপারিশ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন যাদের বিষয়ে সুপারিশ করলাম, তারা চাকরি করে অবসরে আসতে অনেক সময়। এরমধ্যে অনেক কিছু চিন্তা করে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এছাড়া এখন যারা অবসরে যাবেন, তারা আগের বয়স অনুসারী চাকরিতে ঢুকেছেন, তাদের অবসরের ক্ষেত্রে তো কোনো অসুবিধা নেই। আগামী ৮ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত তো তারাই অবসরে যাবেন। এটা নিয়ে এখনই চিন্তার কোনো কারণ নেই। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর কারণে তাদের ওপর তো কোনো প্রভাব পড়ছে না। যাদের বয়সের সুপারিশ আমরা করেছি তারা এখনও চাকরিতে ঢুকেইনি, জন্মগ্রহণই করেনি। তারা চাকরিতে ঢোকার পর চাকরি করলে তখন কী করতে হবে, সেটা সরকার সেই সময় সিদ্ধান্ত নেবে।’
চাকরিতে অবসরের বয়স বাড়ানো নিয়ে কোনো ক্ষোভ হবে না বলেও জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবিতে অনেকদিন ধরে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে চাকরিচ্যুত!
গত ৩০ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনরতরা। তাদের সরিয়ে দিতে কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড ছোড়ে পুলিশ। এরপরও তারা সেখানে অবস্থান নেন। পরে তারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরে ওইদিনই চাকরি প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সাবেক সচিব ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী এ কমিটির আহ্বায়ক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সদস্য সচিব। কমিটিতে সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল ও তৎকালীন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বর্তমানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সদস্য হিসেবে ছিলেন। কমিটি গত ৯ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেয়।
আরও পড়ুন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে: কমিটির আহ্বায়ক
২ মাস আগে
অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় শিশুসহ ১৬ বাংলাদেশি আটক
দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে ১৬ জন বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে তাদের আটক করে বিজিবি-৪২ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ভারতবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় বাংলাদেশি পর্যটক আটক, ভারতীয় ভিসা বাতিল
আটকরা হলেন- দিনাজপুরের বিরলের ভান্ডারা ইউনিয়নের বেতুড়া গ্রামের বাহানু রায়ের ছেলে মানিক চন্দ্র রায় (৩৫); একই ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ফটিক চন্দ্র রায়ের স্ত্রী সাদিকা রায় (৪৫), ছেলে সাদিপ চন্দ্র রায় (২৫) সাদিপ চন্দ্র রায়ের স্ত্রী জয়ন্তী রাণী (২২) ও সন্তান রবিজিৎ (৪); মঙ্গল সরেনের ছেলে মিলন সরেন (২৮); মিলন চন্দ্রের (৩৭) স্ত্রী পারভীন ও তার শিশু কন্যা মিনাশ্রী মন্দিরা (১); ধামইড় ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের সুশিল চন্দ্র রায়ের ছেলে রুবেল চন্দ্র রায় (২০); কাহারোল উপজেলার পশ্চিম সাদিপুর গ্রামের কমল কুমার রায়ের ছেলে চিন্ময় চন্দ্র রায় (২৪); একই উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের অনিল চন্দ্র রায়ের ছেলে পার্থ চন্দ্র রায় (২৮); তরকন্দা গ্রামের শশি রায়ের ছেলে খোকন রায় (২৬); নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরের লক্ষণপুর বালাপাড়া গ্রামের সরৎ চন্দ্র রায়ের ছেলে রতন চন্দ্র রায় (৩৭); রতন চন্দ্র রায়ের ছেলে কাজল রায় (২৫); শিশু ভৈরব চন্দ্র (৫) ও মাধব চন্দ্র (১)।
বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসানুল ইসলাম বলেন, আটকরা নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা। বিজিবির কিশোরীগঞ্জ বিওপির আওতাধীন ভান্ডারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খোপরা গ্রামে সীমান্তের মেইন পিলার নম্বর ৩৩১ এর সাব পিলার ৩ এস এর পাশ দিয়ে অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল তারা। এসময় ৮ জন পুরুষ, ৪ জন নারী ও ৪ জন শিশুসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়।
আইনি ব্যবস্থার জন্য আটকদের বিরল থানায় তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় মাদারীপুরে আ.লীগ নেতা আটক
৩ মাস আগে
৮ দিন ধরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ২ হাজার পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক
ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর ও বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে পণ্যবোঝাই প্রায় দুই হাজার ট্রাক আটকে আছে। গত ৮ দিন ধরে এসব ট্রাক যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
মূলত, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর দুই দেশের মধ্যে ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় এই পণ্যজট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ১০ চাকার ট্রাকে প্রতিদিন দেড় হাজার রুপি ও ছয় চাকার ট্রাকে প্রতিদিন ১ হাজার রুপি মাশুল গুনতে হচ্ছে। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারকরা।
আরও পড়ুন: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সপ্তাহের সাতদিনই ২৪ ঘণ্টা পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমোদন ছিল দুই দেশের সরকার। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে ওপারে পেট্রাপোল বন্দরে অন্তত ৭০০ ট্রাক এবং বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে অন্তত দেড় হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।
এ বিষয়ে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ২০০-৩০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে আমদানি ট্রাকের সংখ্যা কমে ২০০-৩০০ ও রপ্তানি ট্রাকের সংখ্যা কমে ৫০-১০০ ট্রাকে এসে ঠেকেছে।’
আরও পড়ুন: ৪ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, ‘ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ও কারফিউ চলাকালে আমাদানি-রপ্তানি কমে গেছে। সেইসঙ্গে কমে গেছে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারিও।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘কারফিউ জারির এক সপ্তাহ আগে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বিভিন্ন সংগঠন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। এটা সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নয়। সে দেশের বিভিন্ন সংগঠন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। যত দ্রুত সম্ভব আগের মতো পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার বিষয়টিতে ফিরতে চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে ভারত থেকে ৩৩৫-৩৭০ ট্রাক পণ্য আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ৪০-৮০ ট্রাকপণ্য রপ্তানি হয়েছে।
৪ মাস আগে
সুন্দরবনে ৩ মাসের জন্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ।
শনিবার (১ জুন) খেকে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) পর্যন্ত সুন্দরবনে এ নিষেধাজ্ঞা কর্যকর হবে। এই সময়ে বনজীবী, সাধারণ জনগণ ও দর্শনার্থীরা বনে প্রবেশ করতে পারবে না।
সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানসের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর এ সিদ্ধান্ত নেয় বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী সরকার, সেনাবাহিনীর সুনাম কলঙ্কিত: ফখরুল
এই তিন মাস সুন্দরবনের নদী-খালের মাছের প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। এই সময়ে সুন্দরবনের নদী ও খালে থাকা বেশির ভাগ মাছ ডিম ছাড়ে। এ ছাড়া এই সময়ে বন্য প্রাণীদেরও প্রজনন মৌসুম।
তাই সুন্দরবনে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সমন্বিত সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকত।
পরে ২০২২ সালে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নিষেধাজ্ঞা এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে। সেই থেকে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস বনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, বনের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আইআরএমপির সুপারিশ অনুযায়ী আগামী তিন মাস সুন্দরবনে সব ধরনের প্রবেশ বন্ধ থাকবে। এই সময়ে জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালদের পাশও বন্ধ থাকবে। কোনোভাবে অবাঞ্চিত কেউ বনে প্রবেশ করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞার সময়ে বনে যাতে কোনো প্রকার অন্যায় অপরাধ সংগঠিত হতে না পরে, সেজন্য বন বিভাগ সতর্ক থাকবে।
বন বিভাগের মতে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে নানা নাম ও আকারের ৩৪৪ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরী ও গেওয়া গাছ বেশি।
এছাড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বানর, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২৯০ প্রজাতির পাখি, ১২০ প্রজাতির মাছ, ৩৫টি সরীসৃপ, ৮টি প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে।
এর মধ্যে মধ্যে ২ প্রজাতির উভচর, ১৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৫ প্রজাতির পাখি এবং ৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিল্পী সমিতির সম্পাদক পদে ডিপজলের নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত
আর্থিক অভিজাতদের সহায়তা করতে সাংবাদিকদের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা: সিপিডি
৬ মাস আগে
সাংবাদিকদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশের প্রয়োজন নেই, সব তথ্য ওয়েবসাইটে আছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশের কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ তাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য ব্যাংকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কোন দেশে অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ঢোকা যায়? যে কেউ কি ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করতে পারে? সবকিছুই ওয়েবসাইটে আছে। কেন আপনার প্রবেশ করা দরকার?’
আরও পড়ুন: সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতিতে স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে: হাছান মাহমুদ
শনিবার(১৮ মে) রাজধানীর ঢাকার ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'নৈশভোজের পর সাংবাদিকদের সামনে তার বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়েছে কি না, তা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার সঙ্গে একবার কথা বললেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তিনি (প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা) হয়তো মার্কিন আসিসট্যান্ট সেক্রেটারিকে এটি (নিষেধাজ্ঞা) প্রত্যাহার করতে বলেছেন।’
বিএনপির ভারতবিরোধী অবস্থান প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, তিনি গণমাধ্যমে দেখেছেন বিএনপি তাদের ভারতবিরোধী অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে। ‘বিরোধিতা না করে তারা কি মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে পারে? তাদের হাতে কোনো বিষয় নেই, তারা তাদের অস্তিত্বের জানান দিতেই কিছু নিয়ে আসে। শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থান থেকে সরে এসে তাদের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আশ্রয় নিতে হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ-ধ্বংসযজ্ঞ-রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
৭ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রবেশের ক্ষেত্রে উদারতার সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের
মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে বাংলাদেশে নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশের উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আমাদের যেন কোনো শঙ্কা বা উদ্বেগের কারণ না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছি। বিশেষ করে চীন ও ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানীর সেতু ভবনে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভোটাররা বিএনপিকে বর্জন করেছে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডাকা হয়েছে। তারা বলেছেন, সংঘাতে যারা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে তাদের ফেরত নেবেন তারা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তবে এখন আর নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে দেবো না। এর আগে উদারতা দেখিয়ে সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল। এখন সেই উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই। তারা আমাদের জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সাহায্য অনেক কমে গেছে। এ বোঝা আমরা আর কতদিন সইবো?
বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ ও নির্বাচনে না আসায় বিএনপি এখন চরম হতাশ। সেই হতাশা কাটাতে দলটির নেতারা এখন সরকার বিরোধীতার নামে বিরোধীতাই তারা করবে। এটা তারা সিদ্ধান্ত নিয়েই করেছে। সরকারের ইতিবাচক হলেও নেতিবাচক কিছু বলতে হয়, সেরকম উক্তি করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অবৈধ: ওবায়দুল কাদের
এর আগে সেতুভবনে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বুধবার সকালে রাজধানীর বনানীতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদী এ প্রকল্প ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে ব্যক্তিগত ক্ষোভের কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। সড়ক দুর্ঘটনা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাচ্ছে না।
সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্পকে অগ্রাধিকার প্রকল্প উল্লেখ করে এখন থেকে নিজেই তত্ত্বাবধান ও মনিটরিং করবেন বলে জানান তিনি।
প্রকল্পের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ দুর্নীতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে নেই আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
১০ মাস আগে
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ৫ হাজার ট্রাক
দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে ৫ হাজার ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ফলে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়ছে। ইতিমধ্যে রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে।
৩ বছর আগে