গভর্নর
ইসলামী ব্যাংকে ব্যবসা পরিচালনা ও এলসি খোলায় বাধা নেই: গভর্নর
ইসলামী ব্যাংকে এখন থেকে ব্যবসা পরিচালনা ও লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে আর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইসলামী ব্যাংকের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠকে গভর্নর ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাবের দৈনিক ইতিবাচক ব্যালেন্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘শিগগিরই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করা হবে।’
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়েছে এস আলম গ্রুপ: চেয়ারম্যান
গভর্নর বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংকে গ্রাহকদের আমানত নিরাপদ। ইসলামী ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল গ্রাহকদের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট। তবে প্রয়োজনে তারল্য সহায়তার বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে।’
সভা শেষে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের নিয়মিত ব্যবসায়িক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক গভর্নরের কাছে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হয়েছ। ব্যাংকের পারফরম্যান্স ও ব্যবসায়িক সাফল্যের মাধ্যমে কোটি কোটি গ্রাহকের আস্থার কারণে ইসলামী ব্যাংক দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘুরে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ খেলাপি
১ মাস আগে
এস আলম গ্রুপের সম্পদ কিনবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
আমানতকারীদের অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে জনসাধারণকে এসব সম্পত্তি কেনার বিষয়ে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২৮ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকে আমানতকারীদের অর্থ পরিশোধে লুট হয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধারকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপ নিয়ন্ত্রিত ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড ভেঙে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ইতোমধ্যে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সব লেনদেন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রুপটি বিভিন্ন ভূসম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। এসব সম্পদ বিক্রি ঠেকাতে আইনি প্রক্রিয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ‘রাষ্ট্রের স্বার্থে’ এস আলম গ্রুপের কাছ থেকে জমি ও সম্পত্তি না কেনার পরামর্শ দেন।
ড. মনসুর আরও জানান, সুশাসন নিশ্চিত করতে ছয়টি ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে, শিগগিরই আরও পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে। এই নতুন বোর্ডগুলো রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসাবে ব্যাংকগুলো পরিচালনা করবে। যদি তারা প্রয়োজন মতো কাজ না করে তবে আরও পরিবর্তন আনা হবে।
মুদ্রাস্ফীতির বিষয় তুলে ধরে গভর্নর বলেন, দেশে সাম্প্রতিক বড় বন্যার কারণে আগামী দুই থেকে তিন মাসে মুদ্রাস্ফীতি কমার সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, ‘তবে আমি আশাবাদী আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উভয় পক্ষের প্রচেষ্টা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের যথাযথ নীতিগত ব্যবস্থা এবং একটি স্থিতিশীল সরবরাহ চেইন বজায় রাখা। আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করবে।’
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপের তিন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রসঙ্গে ড. মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এক ডলারও বিক্রি হবে না। তবে আমরা বাজার থেকে ডলার সংগ্রহ করে সরকারি ব্যয় মেটাতে সোনালীর ব্যাংকের মতো ব্যাংকে সরবরাহ করছি।’
তিনি আরও বলেন, লেটার অব ক্রেডিট (এলসি), বিদ্যুতের ঋণ এবং সার আমদানিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় মেটাতে ডলারের চাহিদা ব্যবস্থাপনার দিকে মনোনিবেশ করা হচ্ছে।
আমানতকারীদের উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে গভর্নর ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান এবং গণপ্রত্যাহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন। সবাই একযোগে টাকা উত্তোলন করলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংক তা পরিচালনা করতে পারবে না। শুধু যেটুকু প্রয়োজন তা তুলে নিন।’
ধুঁকতে থাকা ব্যাংকগুলোর আমানতকারীদের আশ্বস্ত করে ড. মনসুর বলেন, সংস্কার চলছে এবং সময় লাগবে।
তিনি বলেন, আপনারা উচ্চ সুদের হার বা অন্য কোনো কারণে এসব ব্যাংকে টাকা রেখেছেন। এখন, আপনার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে টাকা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করার ওপর জোর দিয়ে যতটুকু প্রয়োজন কেবল ততটুকুই তুলে নেওয়ার পরামর্শ দেন গভর্নর।
আরও পড়ুন: এস আলম গ্রুপের ১৩ জনের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখবে বিএফআইইউ
২ মাস আগে
ব্যবসার আড়ালে টাকা লুটকারীদের শাস্তি দিন: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে ব্যবসায়ী নেতারা
ব্যবসার নামে যারা অর্থ লুটপাট করেছেন তাদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকেরগভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠকে তারা এই দাবি জানান।
আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় এখন ২৭৮৪ মার্কিন ডলার: বিবিএস
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, 'যারা ব্যবসার নামে সম্পদ লুটপাট করেছে, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছে এবং যারা ব্যাংক লুট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে বলেছি। আমরা ব্যবসায়ীরা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে।’
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,‘আমরা প্রতারণা, লুটপাট ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে। মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।’
তিনি উল্লেখ করেন, 'আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে ঋণের কিস্তির মেয়াদ বাড়াতে বলেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তা না হলে অনেক ব্যবসা খেলাপি হয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, 'মার্কিন ডলারের উচ্চ বিনিময় হারের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা গভর্নরকে এটি নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছি এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে পদক্ষেপ নিতে বলেছি।’
মাহবুবুল বলেন, অর্থনীতি সুশৃঙ্খল রাখতে ব্যবসায়ীরা কাজ করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব ভালো পদক্ষেপে ও দেশের উন্নয়নে ব্যবসায়ীরা সহযোগিতা করবেন।
বিকেএমইএ'র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইডিএফের অর্থ বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এতে আমদানি-রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। সেখানে তিন মাসের কিস্তি পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
হাতেম আরও বলেন, ছয়টি ব্যাংকের কার্যক্রমে বিধিনিষেধ আরোপের কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিকেএমইএ নেতা হাতেম বলেন, 'সব ব্যাংকিং নীতিমালা ঠিক ছিল না, সেগুলো সংশোধন করা হয়েছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুদের হার নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ইডিএফের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ব্যবসায়ীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে থাকবে, যারা জালিয়াতি করেছে, তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।’
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
২ মাস আগে
ব্যাংকগুলোকে অবৈধ তারল্য সহায়তা দেবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক: গভর্নর আহসান মনসুর
শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকসহ কোনো ব্যাংককে অবৈধ তারল্য সহায়তা বা অন্য কোনো সুবিধা বাংলাদেশ ব্যাংক দেবে না বলে জানিয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ডরুমে ব্যাংকিং খাতের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মনসুর উল্লেখ করেন, ‘এখন যদি আমানতকারীরা এস আলমের দখলে থাকা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে, যা তাদের কৃতকর্মের ফল। আমাদের কিছু করার নেই। কারণ আমানতকারীদের অধিকার রয়েছে তাদের টাকা কোথায় রাখবেন তা ঠিক করার।’
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
আগামী ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন গভর্নর। মুদ্রানীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না তবে কিছুটা কঠোর করা হবে। মুদ্রা বাজার এখন ভালোই চলছে। মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১২৫ টাকায় উঠলেও এখন তা কার্ব (খোলা) বাজারে ১২০ থেকে ১২১ টাকায় নেমে এসেছে।
ব্যাংকিং খাতের অনিয়মের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তবে তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নয়। কারণ এর সঙ্গে কর্মসংস্থানের অনেক বিষয় জড়িত।
এস আলমের মালিকানাধীন ব্যাংক অধিগ্রহণ ও অন্যান্য দুর্বল ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বা তাদের বোর্ড ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন। তবে তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
বকেয়া ঋণের বিষয়ে গভর্নর বলেন, 'আমরা এনপিএলের (বকেয়া ঋণের) বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানে যেতে চাই। এতে আমদানি-রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ব্যবসায়ীরা কিছুটা সময় চেয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবে, তবে আমরা যে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে এনপিএলের জন্য পদক্ষেপ নেব, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।’
সরকারি ব্যাংকের অস্থিতিশীলতা প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের অস্থিতিশীলতা দুর্ভাগ্যজনক।
এক প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, এক হাজার টাকার নোট বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেই।
বঙ্গবন্ধুর ছবি সরিয়ে নতুন গভর্নরের স্বাক্ষরিত নোট কি শিগগিরই আসবে? এ প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, যখন টাকশালে নোট তৈরির প্রয়োজন হবে, তখন নোটগুলো প্রিন্ট করে সই করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় উগ্র ডানপন্থীদের প্রচার করা মিথ্যে তথ্য
জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
২ মাস আগে
হুন্ডি অভিযানে দিনে ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক: গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, হুন্ডি সংযোগের কারণে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) হিসাব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, যেকোনো উপায়ে মানিলন্ডারিং কার্যক্রম রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এলসি ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে বাণিজ্য লেনদেন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।
সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত (সিআইডি) বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।
রউফ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে যোগদানের পর থেকে অর্থ পাচার রোধে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, '২০২২ সালে আমি যখন বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করি, তখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার মারাত্মক সংকট ছিল। সে সময় ওভার ইনভয়েসিং বন্ধে প্রথম পদক্ষেপ নিই।’
বিদেশে রপ্তানি পণ্যের মুনাফা রাখা সত্ত্বেও আবার মানি লন্ডারিংয়ের ঘটনা ঘটে। তা প্রতিরোধেও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নতুন দুই ডেপুটি গভর্নরের
হুন্ডি নিষিদ্ধের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানান গভর্নর।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা দেশে তাদের পরিবারকে হয়তো ৫০০ টাকা পাঠাবেন। সেক্ষেত্রে তিনি বিদেশে পরিচিত কাউকে সেই টাকা দেন এবং দেশে থাকা তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে সেই টাকা স্বজনদের দিচ্ছেন।
সেই টাকা বিদেশে পড়ে থাকে। এর বিপরীতে বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি এই অর্থ পরিশোধ করেছেন। আগে যেহেতু হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পেমেন্ট করা হতো, এখন তা এমএফএসের মাধ্যমে করা হয়।
প্রতিদিন প্রায় ২০০টি এ ধরনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হচ্ছে। পরে আবার গ্যারান্টি দিয়ে কিছু অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, কয়েকজনের বিরুদ্ধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে প্রচারণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে গভর্নর বলেন, দেশে প্রতি বছর মানি চেঞ্জারদের মাধ্যমে ৪৫ থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলারের লেনদেন হয়। ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২৭০ বিলিয়ন ডলারের ট্রানজিশন হয়।
কিন্তু লেনদেনের সামান্য অংশ সত্ত্বেও মানি চেঞ্জাররা ডলারের দর বাড়িয়ে দিলে অনেক প্রবাসী রেমিট্যান্স আটকে রাখার চেষ্টা করেন। এভাবেই ডলার সংকট তৈরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রউফ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘এজন্য মানি চেঞ্জারদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লেনদেন করা এড়িয়ে চলুন। এটা আমাদের দেশে সম্পূর্ণ বেআইনি।’
সিআইডি প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে গভর্নর সের্গেইভিচের বৈঠক অনুষ্ঠিত
৭ মাস আগে
বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন নতুন দুই ডেপুটি গভর্নরের
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত দুই ডেপুটি গভর্নর খুরশীদ আলম ও ড. মো. হাবিবুর রহমান।
শুক্রবার (৮ মার্চ) শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নব নিযুক্ত এই দুই গভর্নর।
আরও পড়ুন: অমর একুশে: ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তারা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন তারা।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শ্রদ্ধা
৭ মাস আগে
ডি গ্রেড নিয়ে বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের অবস্থানের অবনতি
নিউইয়র্কভিত্তিক আর্থিক সাময়িকী গ্লোবাল ফাইন্যান্সের রিপোর্ট কার্ড অনুসারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানদের কর্মক্ষমতার বৈশ্বিক মূল্যায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ডি গ্রেড পেয়েছেন। এমনকি তার অবস্থান তার শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষেরও পিছনে।
রবিবার ম্যাগাজিনের সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড-২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও টাকার অবমূল্যায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল পারফরম্যান্সকে দায়ী করা হয়েছে।
এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান শক্তিকান্ত দাস, ভিয়েতনামের নগুয়েন থি হং এবং সুইজারল্যান্ডের থমাস জর্ডান এপ্লাস (এ+) গ্রেড নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। ভারতীয় গভর্নরের গ্রেড ২০২২ সালে এ থেকে ২০২৩ সালে এ+হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিনে এমাইনাস (এ-) পেয়েছেন, আর পাকিস্তানের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নর জামিল আহমেদ সি-গ্রেড পেয়েছেন।
১৯৯৪ সাল থেকে গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গভর্নরদের মূল্যায়ন করে আসছে।
'সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড' নিয়মিতভাবে সাময়িকীর বার্ষিক প্রকাশনা হিসেবে প্রকাশিত হয়। ১০১টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের জন্য এই সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডলারের বিনিময় হার না বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও আবারও বেড়েছে
গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন জানিয়েছে, কোভিড-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল।
কিন্তু ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে টাকার ৯ দশমিক ৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়। দেশের বাজারে ডলার–সংকটে হিমশিম খান আমদানিকারকেরা। রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য অনেকটা বেড়ে মূল্যস্ফীতি লাগামহীন হয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমতে থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের কারণে মূল্যস্ফীতির মতো বাহ্যিক ধাক্কার মুখে নাজুক অবস্থানে পড়ে যায় বাংলাদেশ।’
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সিনিয়র অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর ইউএনবিকে বলেন, এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কর্মক্ষমতার চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থার প্রতিফলন বেশি।
থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান মনসুর বলেন, ‘এর জন্য তাকে (গভর্নর) ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা উচিত নয়।’
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা সরকারের আর্থিক নীতি বাস্তবায়ন করেন।’
প্রাক্তন আইএমএফ অর্থনীতিবিদ মনসুর বলেছেন, ‘দেশের নীতিগুলো সহায়ক না হলে কোনও কেন্দ্রীয় গভর্নর একা ভাল কাজ করতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, প্রতিবেদনে দেশের দুর্বল রাজস্ব আদায়, মূল্যস্ফীতি এবং টাকার মানের অবমূল্যায়নের প্রতিফলন ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ ১ বছরের জন্য ডলার বুকিং নীতি চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বেশি দামে ডলার বিক্রি: ১০ ব্যাংকের কোষাগার প্রধানদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ কী?
১ বছর আগে
হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মাউই শহরে দাবানলে পুড়ে কমপক্ষে ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) এ তথ্য নিশ্চিত করে হাওয়াইয়ের গভর্নর জোশ গ্রিন বলেন, ‘কয়েকটি জায়গা ছাড়া পুরো লাহাইনা পুড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, আগুনে এক হাজারেরও বেশি স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে, সেগুলো এখনও জ্বলছে।
গ্রিন আরও বলেন, আমরা মর্মাহত। ১৯৬০ সালের সুনামিতে বিগ আইল্যান্ডে ৬১ জন নিহত হওয়ার পর এটিই দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সরকারি হিসাবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৩। তবে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গত মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) উত্তপ্ত গ্রীষ্মকাল এবং একটি ক্ষণস্থায়ী হারিকেনের প্রবল বাতাস থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। মাউইবাসীকে অবাক করে দিয়ে মুহূর্তে দ্বীপের বাড়িঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৮ সালের ক্যাম্প ফায়ারের পর থেকে এটি দেশটির সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল। ২০১৮ সালে কমপক্ষে ৮৫ জন নিহত হয় এবং প্যারাডাইস শহর ধ্বংস হয়ে যায়।
হাওয়াই ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র অ্যাডাম ওয়েইনট্রাব বলেছেন, ‘আমরা এখনও জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় আছি। অনুসন্ধান ও উদ্ধার আমাদের অগ্রাধিকার।’
আরও পড়ুন: চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাবদাহে ১৪৭ জনের মৃত্যু
ওয়েইনট্রাব আরও বলেন, ফায়ার লাইনগুলো নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকারী দলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভেতরে ঢুকতে পারবে না।
বস্কো বে নামে লাহাইনার এক বাসিন্দা মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার প্রায় প্রতিটি ভবনে আগুন জ্বলছে, বাতাসের মধ্যে স্ফুলিঙ্গ ছুটে আসছে।
বে বলেন, তিনি দ্বীপের বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে একজন। তিনি দ্বীপের প্রধান বিমানবন্দরে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন তিনি বাড়ি ফেরার অনুমতির অপেক্ষায় আছেন।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা গুয়াতেমালার ৩১ বছর বয়সী বাবুর্চি মার্লন ভাসকেজ জানান, তিনি যখন ফায়ার অ্যালার্ম শুনতে পান, তখন আর গাড়ি নিয়ে পালানোর সুযোগ ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমি দরজা খুলে দেখি আগুন প্রায় আমার উপরে ছিল।’
বর্তমানে তিনি একটি জিমনেসিয়ামের পরিত্যক্ত একটি ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দৌড়ে পালিয়েছিলাম। প্রায় সারারাত এবং পরের দিন পর্যন্ত আমরা দৌড়েছি। কারণ আগুন তখনও থামেনি।’
লাহাইনার বাসিন্দা কামুয়েলা কাওয়াকোয়া ও আইউলিয়া ইয়াসো দম্পতি ধোঁয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের পালানোর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন।
তারা জানান, তাদের ৬ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে তারা সুপারমার্কেটে গিয়েছিলেন। সেখানে আগুন দেখে দ্রুত তাদের অ্যাপার্টমেন্টে ফেরেন তারা। এসময় তাদের চারপাশের ঝোপগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, তারা দ্রুত পোশাক পরিবর্তন করে দৌড়ানো শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
বৃহস্পতিবার চেলসি ভিয়েরার নামক এক বাসিন্দা জানান, সে ও তার দাদি লুইস আবিহাই হেল মাওলুতে বাস করতেন। সে আগুন থেকে পালাতে পারলেও তার দাদির কী হয়েছে তা তিনি জানেন না। দাদির বয়স ৯৭ বছর।
তিনি বলেন, মানুষ ওই দ্বীপে বসবাসরত স্বজনদের খুঁজছে এবং হাসপাতালে ফোন করছেন। আমার কাছে ফোন নেই, তাই পরিবারকেও জানাতে পারছি যে আমি নিরাপদে আছি।
তিনি বলেন, ‘তিনি (দাদি) কোথায় গেছেন, কোথায় খোঁজ করব বা কাকে জিজ্ঞাসা করব আমি জানি না।’
৯১১, ল্যান্ডলাইন ও সেলুলার পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় দ্বীপে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মাউয়ের কিছু অংশেও বিদ্যুৎ চলে গেছে।
রাজ্য পরিবহন পরিচালক অ্যাড স্নিফেন জানান, দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার মাউইয়ের প্রায় ১১ হাজার অধিবাসীকে এবং বৃহস্পতিবার কমপক্ষে ১৫০০ জনকে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা রাজধানী হনলুলুর হাওয়াই কনভেনশন সেন্টারে কয়েক হাজার মানুষের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তূত করেছে।
লাহাইনার দক্ষিণ-পূর্বের কিহেইতে বুধবার রাতেও গাছ ও বাড়িতে আগুন জ্বলতে থাকায় দ্বীপটির মাটি পর্যন্ত পুড়ে লাল হয়ে গেছে।
এই গ্রীষ্মে বিশ্বজুড়ে চরম আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ের মধ্যে এটি সর্বশেষতম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ছে।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সের এনভা্য়রনমেন্টাল জিওগ্রাফি’র একজন সহযোগী অধ্যাপক টমাস স্মিথ বলেছেন, হাওয়াইতে দাবানল অস্বাভাবিক নয়। গত কয়েক সপ্তাহের আবহাওয়া একটি বিধ্বংসী দাবানলের জ্বালানি তৈরি করেছিল এবং হারিকেন ডোরা’র ফলে সৃষ্ট প্রবল বাতাস মিলে এই বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
মেয়র মিচ রথ বলেছেন, হাওয়াইয়ের বিগ আইল্যান্ডও বর্তমানে দাবানলের কবলে পড়ছে। যদিও সেখানে কোনো আহত বা ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
হাওয়াইয়ের রাজ্য প্রতিরক্ষা বিভাগের মেজর জেনারেল কেনেথ হারা বুধবার রাতে বলেছেন, তিনি কর্মকর্তাদের যোগাযোগ পুনরুদ্ধার ও খাবার পানি সরবরাহ করার কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক পুনরুদ্ধারের গতি বাড়িয়েছে বেইজিং
তিনি বলেন, ন্যাশনাল গার্ড হেলিকপ্টার আগুনের উপর ১ লাখ ৫০ হাজার গ্যালন (৫ লাখ ৬৮ হাজার লিটার) পানি দিয়েছে।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা ১৪ জনকে উদ্ধার করেছে যারা আগুনের শিখা ও ধোঁয়া থেকে বাঁচতে পানিতে ঝাঁপ দিয়েছিল।
মাউই কাউন্টির মেয়র রিচার্ড বিসেন জুনিয়র বুধবার বলেছেন, কর্মকর্তারা এখনও আগুনের কারণ অনুসন্ধান শুরু করেননি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার উটাহ ভ্রমণ করে মাউই’র ঘটনাকে দেশের জন্য বড় বিপর্যয় বলে ঘোষণা করেছেন।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ‘যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছে, যাদের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে; অবিলম্বে তাদের সাহায্য পৌঁছানোর বিষয়টি ফেডারেল সরকার নিশ্চিত করবে।
১ বছর আগে
এলসি খোলার সংকট শিগগিরই স্বাভাবিক হবে: বিবি গভর্নর
আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিতে এলসি নিষ্পত্তিতে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের(ডিসিসিআই)নেতারা।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে ডিসিসিআই সভাপতি মো. সমীর সাত্তারের নেতৃত্বে ডিসিসিআই-এর নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদ তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানান।
ডিসিসিআই নেতারা গভর্নরকে বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: আইএমএফের ‘রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফান্ড’ থেকে ঋণ নেয়ায় এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ
এর পাশাপাশি রমজানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে এলসি নিষ্পত্তির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করার লক্ষ্যও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রয়োজন।
ডিসিসিআই দল ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের কাছ থেকে ঋণ পুনরুদ্ধারের কঠোর পদক্ষেপ নিতে ব্যাংকিং আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অলস লোন নিয়ন্ত্রণে সুশাসন নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, অর্থনীতি বর্তমানে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি এবং চীনে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি।
আরও পড়ুন:বিএসইসি স্টক মার্কেটের শরিয়াহ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন
তিনি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ স্থিতিশীল রয়েছে।
আগামী এক-দুই মাসের মধ্যে এলসি খোলার বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
গভর্নর বলেন, আসন্ন রমজানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এলসি মার্জিন কমিয়ে আনাসহ বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৈঠকে ডিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম গোলাম ফারুক আলমগীর আরমান, সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনা আলী এবং পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডিমের ডজনে বাড়ল ৩০-৩৫ টাকা
১ বছর আগে
জানুয়ারি থেকে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট থাকবে না: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, দেশের রপ্তানি ও রেমিট্যান্স; আমদানির তুলনায় উদ্বৃত্ত হওয়ায় ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার কোনো সংকট থাকবে না।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আয়োজিত এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে আর্থিক খাতের অবস্থার ওপর বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
রউফ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তদন্তে দেখা গেছে যে চলতি বছরের শুরু থেকে দেশের আমদানির পরিমাণ অস্বাভাবিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি বেড়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং আমদানিকৃত পণ্য যাচাই-বাছাই করায় আমদানি কমে গিয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: মোবাইলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন
তিনি বলেন, ‘তদন্তে আমরা দেখেছি যে কিছু পণ্য ২০ শতাংশ থেকে ২০০ শতাংশ ওভার ইনভয়েসিং দিয়ে আমদানি করা হয়েছে। আমরা এ ধরনের ঘটনা যাচাই করার কারণে আমদানির পরিমাণ কমে গেছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আন্ডার-ইনভয়েসিং ও ওভার-ইনভয়েসিং, বৈদেশিক মুদ্রা পাচার এবং রাজস্ব আয় উভয় রোধে কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এবং ইআরডি সচিব শরিফা খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রেমিটেন্স: প্রতি ডলার ১০৭ টাকা নির্ধারণ করল কেদ্রীয় ব্যাংক
অক্টোবরের দুই সপ্তাহে দেশে ৭৬৯.৮৮ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে
১ বছর আগে