২০ দলীয় জোট
২০ দলীয় জোট ছাড়ল খেলাফত মজলিস
রাজনৈতিকভাবে ‘অকার্যকর’ আখ্যা দিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে খেলাফত মজলিস।
খেলাফতের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম মজলিসে শুরার বৈঠকের পর রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে ২০-দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জাহাঙ্গীর বলেন, খেলাফত মজলিস দীর্ঘ ২২ বছর ধরে ২০ দলীয় জোটে আছে, কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে এর কোনো দৃশ্যমান রাজনৈতিক তৎপরতা ও কর্মসূচি নেই।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে ২০ দলীয় জোট কার্যত অকার্যকর হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করে তাদের মধ্যেই প্রচন্ড অনৈক্য: তথ্যমন্ত্রী
জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আদর্শিক, সাংগঠনিক অবস্থান এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের দলের মজলিস-ই-শুরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, খেলাফত মজলিস একটি আদর্শিক সংগঠন হিসেবে নিজস্ব স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে মাঠে ভূমিকা পালন করবে। আমরা এখন থেকে ২০ দলীয় জোটসহ সব রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের দল অন্য কোনো রাজনৈতিক জোটের সঙ্গে যুক্ত হবে না।
এর আগে মাওলানা ইসহাকের সভাপতিত্বে মজলিস-ই-শুরার প্রায় ২০০ সদস্য বৈঠকে অংশ নেন।
গত ১৪ জুলাই বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের আরেকটি অংশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের একটি অংশ জোট থেকে বেরিয়ে যায়।
১৯৯৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্র করার জন্য বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট গঠিত হয়। ২০০১ সালের নির্বাচনে এই জোট বিপুল ব্যবধানে জয় লাভ করে। এরপর ২০১২ সালে চারদলীয় জোটের পরিসর বাড়িয়ে ২০-দলীয় জোট করা হয়।
পড়ুন: সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
২০ দলীয় জোট ছাড়ল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
৩ বছর আগে
২০ দলীয় জোট ছাড়ল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
বুধবার (১৪ জুলাই) পুরানা পল্টনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া।
এসময় দলটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা জিয়া উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বিবৃতিতে বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বলেন, বিশেষ এক পরিস্থিতিতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচনী ঐক্য গড়ে তোলে। এরই ধারাবাহিকতায় ঐক্যবদ্ধভাবে কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করে।
এ সময় জোটের শরিক দলের যথাযথ মূল্যায়ন না করা, শরিকদের সাথে পরামর্শ না করেই উপনির্বাচন এককভাবে বর্জন করা, আলমদের গ্রেপ্তারে প্রতিবাদ না করা, প্রয়াত জমিয়ত মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমীর মৃত্যুতে বিএনপির পক্ষ থেকে সমবেদনা না জানানো এবং তার জানাজায় শরিক না হওয়ার অভিযোগ আনেন জমিয়ত মহাসচিব।
‘তাই জমিয়ত মনে করে ২০ দলীয় জোট ত্যাগ করা জমিয়তের জন্য কল্যাণকর। আজ থেকে জোটের কোনও কার্যক্রমে জমিয়ত সক্রিয় থাকবে না,’ বলেন বাহাউদ্দিন জাকারিয়া।
পড়ুন: লকডাউন শিথিলের সিদ্ধান্ত ভুল: বিএনপি
তিনি এই বছরের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার তাদের সকল ওলামায়ে কেরাম এবং নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।
জমিয়তের নেতা-কর্মীসহ আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের সকল মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের হয়রানি বন্ধেরও দাবি জানান।
এসময় অবিলম্বে দেশের সকল কওমি মাদরাসা পুনরায় চালুর দাবি জানান জমিয়ত মহাসচিব।
জাকারিয়া বলেন, দলের বেশিরভাগ সিনিয়র নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দুটি অংশ। একটি অংশের নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত নূর হোসাইন কাসেমী। অপর অংশের নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত মুফতি ওয়াক্কাস। দুটি দলই দীর্ঘদিন ধরে ২০ দলীয় জোটে শরীক ছিলেন।
নূর হোসাইন কাসেমীর অংশ জোট ছাড়ার ঘোষণা দিলেও মুফতি ওয়াক্কাসের অনুসারীরা বলছেন, তারা এখনও ২০-দলীয় জোটের সাথে রয়েছেন এবং যারা জোট ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাদের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই।
যোগাযোগ করা হলে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, তাদের নেতারা (জমিয়তের একটি অংশ) আজ (বুধবার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন এবং পরে এ জাতীয় একটি বিবৃতি দিয়েছেন।’
পড়ুন: কল-কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নেই: বিএনপি
হাটহাজারীতে তাণ্ডব: হেফাজত নেতা নাসির উদ্দিন মুনির গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি জমিয়তের অনেক নেতা আত্মগোপনে রয়েছেন। এছাড়া তাদের অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। জোট ছাড়ার কারণে যদি তাদের নেতা-কর্মীরা মুক্তিপান তবে আমরা খুশিই হবো।’
৩ বছর আগে
সিটি নির্বাচন: বিএনপি প্রার্থীদের ২০ দলের সমর্থন
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের প্রতি শুক্রবার সমর্থন জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট।
৪ বছর আগে