ডিএসএ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি বিএনপির
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে (ডিএসএ) গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে জঘন্য কালো আইন আখ্যা দিয়ে আইনটি পরিবর্তন না করে সম্পূর্ণ বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট দিয়ে ডিএসএ পরিবর্তন করার সরকারের পদক্ষেপ জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। কারণ আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পূর্ণ বাতিলের পক্ষে।
আরও পড়ুন: তারেক-জুবাইদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার দেশব্যাপী বিএনপির সমাবেশ
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আইনটি কোনোভাবেই বহাল থাকা উচিত নয়। কারণ এটি গণতন্ত্র ও জনগণের স্বাধীনতার জন্য সবচেয়ে জঘন্যতম কালো আইন।
বিএনপি নেতা বলেন, ডিএসএ প্রত্যাহার তাদের অন্যতম দাবি। যার জন্য তারা সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে।
ফখরুল বলেন, আমাদের মূল বক্তব্য হলো- আমরা আইনটির সম্পূর্ণ বাতিল চাই। কারণ, এটি গণতন্ত্র, জনগণের অধিকার এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে একটি আইন। সুতরাং, এই আইন (যেকোনো রূপে) রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
তিনি বলেন, সরকার মানুষকে প্রতারিত করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রূপান্তর করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড চাপের মধ্যে থাকায় সরকার তাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, উটপাখি ঝড়ের মুখোমুখি হলে বালিতে মাথা লুকানোর প্রবণতা রয়েছে। সরকারের পদক্ষেপও সেরকমই। তারা মনে করে যে তারা এভাবে মানুষকে বোকা বানিয়ে খুব স্মার্ট কাজ করছে।
আইন পরিবর্তনে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর তারা সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে তাদের দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা বলেন ফখরুল।
এর আগে সোমবার ডিএসএ-এর কিছু ধারা সংশোধন করে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাইবার নিরাপত্তা আইনে প্রতিস্থাপন করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, তারা ডিএসএ’র ধারায় অনেক পরিবর্তন এনেছে এবং নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। ডিএসএ বাতিল করা হয়নি বরং রূপান্তরিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে, তাদের প্রতিহত করুন: কাদের
সরকার পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে যাবে না: রিজভী
১ বছর আগে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল টিআইবি
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিলে মন্ত্রিসভার নেওয়া সিদ্ধান্তকে সতর্কতার সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) আইনটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে। পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা আইন নীতিগতভাবে অনুমোদন করে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর পরই একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানায় টিআইবি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের জায়গায় প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন যাতে স্বাধীন মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে তার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। এ ছাড়া এ আইন যেন গণমাধ্যমকে দমন করার হাতিয়ার না হয়ে ওঠে সে ব্যাপারে সকর্তও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এটি নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার ও বিশেষজ্ঞদের নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘টিআইবি ধারাবাহিকভাবে বলে এসেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে বা একেবারে ঢেলে সাজালেও আইনটিতে জনস্বার্থের কোনো প্রতিফলন ঘটবে না বা জনগণের কাছে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভা আইনটি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করতে চাই যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি যেভাবে নিবর্তনমূলক এবং কণ্ঠরোধ ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছিল, তা সরকার অনুধাবন করেই আইনটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনটি যেন শুধুমাত্র সাইবার অবকাঠামোর নিরাপত্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে এবং যাতে কোনোভাবেই সাইবার অবকাঠামো তথা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে স্বাধীন ও ভিন্নমত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা না হয়- তা নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ হতাশাজনক: টিআইবি
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন যেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রতিচ্ছবিতে পরিণত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গণমাধ্যম সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি আইনমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বহু ধারা সাইবার নিরাপত্তা আইনে যুক্ত হবে। আমাদের আশঙ্কার জায়গা ঠিক সেখানেই।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব ধারা মূলত ভিন্নমত দমন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে বহুল অপব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলো নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনে অন্তর্ভুক্ত না করার আহ্বান জানাই। নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনটি যেন নতুন মোড়কে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের রূপান্তর হয়ে ফিরে না আসে। তা না হলে, আইনটির নাম বদল হলেও কার্যত তা হবে একটি কালাকানুনকে প্রতিস্থাপন করে ভিন্ন নামধারণ করা আরেকটি কালাকানুন মাত্র।’
একইসঙ্গে, সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সব স্তরে সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি।
আরও পড়ুন: আরপিও সংশোধনী বিল মড়ার ওপর খাড়ার ঘা: টিআইবির উদ্বেগ
প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করুন: টিআইবি
১ বছর আগে
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ডিএসএ বাতিলের দাবি টিআইবি’র
বিশ্ব সংবাদপত্র স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আবারও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে সুশীল সমাজের পর্যবেক্ষণ সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সরকারকে গণমাধ্যমকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা সহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার সংগঠনটির পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) শেখ মঞ্জুর ই আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের উচিত গণমাধ্যমের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে তারা দেশের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কোনো বাধা ছাড়াই তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসকে মুক্তি দিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করুন: টিআইবি
তিনি বলেন, দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়লেও অন্যদিকে নির্ভীক সাংবাদিকতাও কমেছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ব্যবহার করে হয়রানি, হামলা ও মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ ‘২০২২ ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স’-এ ১০টি স্থান পিছিয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬২তম স্থানে রয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস এর ২০২৩ সূচক এই সপ্তাহে প্রকাশের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, এটির ফরাসি সংক্ষিপ্ত আরএসএফ (রিপোর্টার্স সানস ফ্রন্টিয়ার্স ) নামেও পরিচিত৷
ইফতেখারুজ্জামান অভিযোগ করেন যে ডিএসএ আইনের অধীনে দায়ের করা প্রতি চারটি মামলার মধ্যে একটিতে সাংবাদিকদের জড়িত করার জন্য দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।
তিনি যোগ করেন, গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা, ন্যায়বিচারের অভাব এবং ডিএস এ’র ভয়ের কারণে সাংবাদিকরা এখন সেলফ সেন্সরশিপে জড়িত।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন সমাধান নয়, অবিলম্বে বাতিল করুন: টিআইবি
১ বছর আগে
অবিলম্বে ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ
ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখতে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় নিবেদিত একটি মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ, বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ বাংলাদেশের (ইউএনবি) বিশেষ সংবাদদাতা এবং জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) অধীনে দায়ের করা সাম্প্রতিক মামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ এই কাজের তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এটি এই আইনের প্রয়োগের পুনর্মূল্যায়ন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষাকারীদের অধিকার রক্ষার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা ডিএসএ মামলায় জাহাঙ্গীরকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এবং বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট মানবাধিকার রক্ষক অ্যাডভোকেট শাহানুর ইসলাম পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যাডভোকেট শাহানুর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করা এবং মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক নীতিকে সম্মান ও সমুন্নত রাখার পরিবেশ তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
উপরন্তু, তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি শুরু থেকেই ব্যাপক সমালোচনার বিষয়, কারণ এটি চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
অ্যাডভোকেট শাহানুর মনে করেন, এই আইনের অপব্যবহারের ফলে বিশেষ করে সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষকদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, যারা গণতন্ত্রের নীতি সমুন্নত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মৌলিক অধিকারের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে দায়ের করা মামলাগুলোর ক্রমাগত বৃদ্ধির উপর জোর দেন।
জাস্টিসমেকার্স বাংলাদেশ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে এবং তার দাবির পক্ষে দাঁড়িয়েছে যে তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো বানোয়াট, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একজন দায়িত্বশীল ও পেশাদার সাংবাদিক এবং মানবাধিকার রক্ষক হিসেবে তিনি সর্বদা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এমএসএফ
১ বছর আগে
ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে এমএসএফ
ইউএনবির বিশেষ প্রতিবেদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশিষ্ট আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের নেতৃত্বে মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য নতুন সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
বৃহস্পতিবার সংগঠনটি এ মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা ও অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।
এমএসএফ বলেছে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসীদের মধ্যে ভয় তৈরি করছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘সাংবাদিকরা এই আইনের অপব্যবহারের শিকার হচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, শুরু থেকেই আইনটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলেও এ আইনের নামে হয়রানি বেড়েই চলেছে।
এদিকে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সিনে-জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনও।
ক্র্যাবের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকার হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় আমাকে জড়ানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
‘এ ধরনের অভিযোগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’ ‘একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি সবসময়ই দায়িত্বশীল ও পেশাগতভাবে আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি।’
তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী একটি খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে তাদের নিজস্ব স্বার্থ রক্ষার জন্য আমাকে এমন একটি মামলায় জড়িয়েছে।’
গত ১২ এপ্রিল হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন।
এদিকে হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা ডিএসএ মামলায় জাহাঙ্গীরকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
১ বছর আগে
সাবেক ডাকসু ভিপি নূরের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলা খারিজ
ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত ফেসবুক লাইভে আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে ভিপি নূরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্রটি আমলে নেওয়ার কথা ছিল।
তবে, আদালত নূরের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্রটি বাতিল করে তাকে খালাস করে দিয়ে মামলাটি খারিজ করার নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ডিআরইউ
অভিযোগপত্রে নুরকে পলাতক ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চেয়েছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
২০২১ সালের ১৯ এপ্রিল সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসেন বাদী হয়ে পল্টন থানায় ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: ইউএনবি’র সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ডিএসএ মামলার নিন্দা জানিয়েছে ক্র্যাব
১ বছর আগে
কার্টুনিস্ট কিশোরের মামলা গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিলো আদালত
কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) আওতায় গ্রেপ্তারের পরে তাকে হেফাজতে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলা রবিবার আদালত গ্রহণ করেছে।
৩ বছর আগে