ঢাকা মহানগর ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে বিষয়টি তদন্ত করে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
এছাড়াও, আদালত কিশোরের শারীরিক ক্ষত পরীক্ষা করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালককে তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে বলেছে।
আরও পড়ুন: হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে মামলার আবেদন কার্টুনিস্ট কিশোরের
মেডিকেল বোর্ড কিশোরের শরীরের আঘাতগুলো কতটা পুরানো তা পরীক্ষা করবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দেবে।
কিশোর গত ১০ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে তাকে হেফাজতে রেখে ‘নির্যাতন’ এর বর্ণনা দেন।
কিশোরের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এর আগে বলেছিলেন, আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবে বলে জানায়।
আরও পড়ুন: ১০ মাস পর কারামুক্ত কার্টুনিস্ট কিশোর
বড়ুয়া বলেন, কিশোরকে হেফাজতে ‘নির্যাতন’ করা হয় এবং তার কানের পর্দা ফেটে গেছে।
এর আগে গত ৩ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কার্টুনিস্ট কিশোরের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। প্রায় দশ মাস পর গত ৪ মার্চ কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ থেকে তিনি মুক্তি পান।
গত বছর ৫ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে মুশতাক আহমেদ ও কার্টুনিস্ট আহমেদ কিশোরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন কার্টুনিস্ট কিশোর
তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। এছাড়া ফেসবুকে সরকারবিরোধী মন্তব্য পোস্ট করার অভিযোগে রমনা থানায় আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
পরে আদালত এই মামলায় কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মুশতাককে কারাগারে পাঠায়।
মুশতাককে গ্রেপ্তারের পরপরই বাংলাদেশের তিন শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি কার্টুনিস্ট আহমেদ কিশোরের পাশাপাশি তার মুক্তির দাবিতে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল।
লেখক মুশতাক আহমেদ (৫৩) গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে মারা যান। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয় এবং ছাত্রসংগঠনগুলো ঢাকায় বিক্ষোভ করে।