আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
যশোরে ২৭৫ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ হাজার সদস্য
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনে ২৭৫টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরো জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ১৬ হাজার সদস্য।
তিনি জানান, এর মধ্যে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, সেনা সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্ধারিত পুলিশ সদস্যরা বডি ক্যামেরা ব্যবহার করবে। যাতে করে অপরাধীদের শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে ম্যাজিস্ট্রেটরা সাজা নিশ্চিত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) জেলা পুলিশ লাইন্সে আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সদস্যদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার এই কথা জানান।
পুলিশ সুপার জানান, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সদস্যদের জন্য এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
এ সময় ভোটারদের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদানের ব্যবস্থা করা এবং শতভাগ নির্বাচনি সরঞ্জাম ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে
পুলিশ সুপার বলেন, ভোটের দিন পুরো যশোর জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে দুই হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য, ১০ হাজার আনসার সদস্য, ৪৫০ বিজিবি সদস্য, সেনা সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা বাহিনীর ১৬ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
ব্রিফিংয়ে পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) রেশমা শারমিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ও জেলা আনসার কমান্ডেন্ট সঞ্জয় সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বেলাল হোসাইনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
৯ মাস আগে
নির্বাচন ২০২৪: বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে
বাগেরহাটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলা থেকে ব্যালট বাক্স ও ভোটের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উপজেলায় পাঠানোর কাজ শেষ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে অবস্থান করছে।
শনিবার উপজেলা থেকে ভোটকেন্দ্রে ভোটের বিভিন্ন সরঞ্জাম যাবে।
আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে’ হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন: তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট
জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহা. খালিদ হোসেন জানান, ৭ জানুয়ারি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পর্ণ করতে বিভিন্ন ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রার্থীদের প্রচার শেষ হয়েছে। এখন ভোটাররা প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আগ্রহের কথা জানালেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বাগেরহাট-১ আসনে ছয়জন, বাগেরহাট-২ আসনে ছয়জন, বাগেরহাট-৩ আসনে সাতজন এবং বাগেরহাট-৪ আসনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চারটি আসনে মোট ৪৮৮টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। মোট ভোটার ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬ জন, নারী ভোটার ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ জন এবং হিজড়া ভোটার আটজন।
রিটানিং অফিসার মোহা. খালিদ হোসেন জানান, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত যেসব প্রস্ততি তা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটের বিভিন্ন মালামাল এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। উপজেলা থেকে ভোট কেন্দ্রেগুলোতে মালামাল যাবে।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিযে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
খালিদ হোসেন আরও জানান, বাগেরহাট জেলায় প্রায় ৬০০ জন সেনাবাহিনী সদস্য, ৯ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, ১১০ জন আনসার সদস্য, ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ৫৫টি মোবাইল টিম, প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে স্টাইকিং ফোর্স, ৪টি স্টাইকিং ফোস রিজার্ভ থাকবে, কেন্দ্রভিত্তিক এক থেকে তিনজন পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
এছাড়া ডিবি, ডিএসবি ও সাদাপোশাকে পুলিশ আর মোংলায় ৬০ থেকে ৭০ জন নৌবাহিনী সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে-পরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: সিইসি
৯ মাস আগে
নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
নির্বাচন বিরোধী যেকোনো প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়ার মতো সামর্থ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে রংপুর নগরীর পুলিশ অফিসার্স মেসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত। এছাড়াও ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবসময় মাঠে থাকবে।
আরও পড়ুন: বড়দিন ও নববর্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আহ্বান আইজিপির
ভোটারদের উৎসবমুখর পরিবেশ ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, কেউ যদি ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বা অন্যভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনী পরিবেশ এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলেও জানান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে পুলিশ প্রধান রংপুর মেসে বিভাগের সব ইউনিটের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে মত বিনিময় করেন।
এসময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
১০ মাস আগে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর নয়াপল্টন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির নির্ধারিত জনসভাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
সংঘর্ষের পর কর্মসূচির মাঝপথে বিএনপির মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চ ও নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন।
এদিকে মঞ্চ ছাড়ার আগে ফখরুল রবিবার (২৮ অক্টোবর) সারাদেশে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেন।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ধাওয়ায় নয়াপল্টনের বিভিন্ন গলি-গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশ ও অন্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, পাথর ও অন্যান্য বস্তু নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: সালথায় রণক্ষেত্র: নিহত এক, আটক ৩
রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
১ বছর আগে
সব ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে: আইজিপি
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সব ধর্মের মানুষ যাতে তাদের ধর্মীয় উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে সেজন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনের সময় নগরীর মেরুল বাড্ডা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কখা বলেন।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: আইজিপি
তিনি বলেন, যে কোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং যে কোনো উপায়ে আপনাকে সাহায্য করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী এবং শান্তিতে বসবাস করতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।
কোনো ঘটনা বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে পুলিশকে অবহিত করার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি দ্রুত প্রতিক্রিয়া পেতে জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ এ কল করার পরামর্শ দিয়েছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে পুলিশ সব সময় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়।
প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ গ্রহণের পর দেশের জনগণের সঙ্গে একযোগে কাজ করে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে বলেও তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: অপরাধীরা ভালো পথে আসতে চাইলে সুযোগ দেওয়া হবে: আইজিপি
সিটি নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চ্যালেঞ্জ নেই: সিলেটে আইজিপি
১ বছর আগে
আহমদিয়া সংঘর্ষ: পঞ্চগড়ে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ভবিষ্যতে যে কোনো ঝামেলা এড়াতে সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
আহমদিয়াদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র কেরে সহিংসতায় দুইজন নিহত ও শত শত আহত হওয়ার একদিন পরে, শনিবার জেলার সদর উপজেলায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকলেও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া আখড়ায় শনিবার শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী সাধুরহাট
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দুপুর ১টার দিকে তাদের স্বজনদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, অহমদিয়া সম্প্রদায় গ্রামে বিকাল ৩টায় সালানা জলসা বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার পর আহমদিয়া ভক্তরা, তাদের নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সালানা গ্রামে জড়ো হয়েছিল। শনিবার সকালে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
শুক্রবার পঞ্চগড় শহরে কাদিয়ানি সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে মুসল্লি ও পুলিশের একাংশের সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপুল ভোটে জয়
জুমার নামাজ শেষে পঞ্চগড় পৌর এলাকার কয়েকটি মসজিদ থেকে মুসল্লিরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
এরপর তারা পঞ্চগড় শহরে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তারা আহমদ নগর এলাকায় কাদিয়ানি জলসার দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হয়।
পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নগরীর সিনেমা হল রোড এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
বিক্ষোভ মিছিলের জেরে একপর্যায়ে পিছু হটতে হয় পুলিশকে।এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
সহিংসতার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় পঞ্চগড় শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
বিক্ষুব্ধ জনতা আহমেদনগরে অবস্থিত কাদিয়ানিদের প্রায় ২০টি বাড়িও লুট করে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১
১ বছর আগে
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হওয়ায় ইজতেমা মাঠে আগত বিদেশিসহ মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী ইজতেমা মাঠে প্রস্তুতিমূলক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, হজের পর মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত হিসেবে বিবেচিত ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ২০ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি অতিথিরা আগের বছরের তুলনায় বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইজতেমা মাঠে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হবে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১৩ জানুয়ারি শুরু
মন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমা আয়োজক কমিটির দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি তাদের মধ্যে বিগত বছরের মতো আর কোনো ভুল বোঝাবুঝি হবে না।’
সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, হাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম ও ইজতেমার আয়োজকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে আখেরি মোনাজাতে শেষ হল ইজতেমা
১ বছর আগে
বড়দিনকে কেন্দ্র করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: আইজিপি
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনকে সামনে রেখে সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি না থাকলেও যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শনিবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলে বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের খ্রিস্টান ভাই ও বোনদের আশ্বস্ত করতে চাই যে তারা একটি নিরাপদ পরিবেশে ও ধর্মীয় উত্সাহের মধ্যে তাদের বড়দিনের দিনটি উপভোগ করবে এবং আমরা এখানে তাদের সঙ্গে উৎসব উদযাপন করতে এসেছি। আমরা জানি, ভাগাভাগি করলে সুখ বাড়ে। এই কারণেই আমরা ভাগ করে নেয়ার মাধ্যমে তাদের সুখের মাত্রা বাড়াতে এসেছি। তারা কোনো ধরনের সাহায্য চাইলে আমরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
সম্প্রতি দুই জঙ্গির পলায়ন একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবি করে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আখতার, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
যীশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করতে রবিবার সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও খ্রিস্টান সম্প্রদায় বড়দিন উদযাপন করছে।
শনিবার বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের ১শ গীর্জায় কঠোর নিরাপত্তা
১ বছর আগে
গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী, সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
ঢাকার গোলাপবাগ মাঠ এখন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মীতে মুখরিত।
সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ এবং আশেপাশের এলাকাগুলোতেও একই অবস্থা।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সকাল থেকেই সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগ মাঠে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি পেয়ে শুক্রবার থেকেই হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেন।
দলটির নেতাকর্মীরা মঞ্চ প্রস্তুত ও অন্যান্য সব আয়োজন শুরু করেছেন। সকাল ১১টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরী ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং ঢাকার প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীতে প্রায় ৩২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেন, ‘নগরীতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য পুলিশ তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে রাজধানীতে চার হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনসার-ভিডিপির পরিচালক (অপারেশন্স) মো. কামরুল ইসলাম।
এদিকে সড়কে কোনো বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে কিছুসংখ্যক সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা দেখা গেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকার প্রথমে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। তবে সেখানে সমাবেশ করতে রাজি হয়নি দলটি।
রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট ও কুমিল্লায় এর আগে নয়টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ায় পর বিভাগীয় পর্যায়ে ঢাকা মহানগরীর এটি দশম সমাবেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে গোলাপবাগ মাঠে ভিড় জমাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
১ বছর আগে
পুলিশ হেফাজত থেকে জঙ্গি পালানোর দায় এড়াতে পারে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: র্যাব
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, পুলিশের হেফাজত থেকে সাজাপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি পালানোর দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এড়াতে পারে না।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ জনের কারাদণ্ড
র্যাবের এই পরিচালক বলেন, আগে গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে তথ্য পেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে ব্যবস্থা নেয়া বা পালিয়ে যাওয়া ঠেকানো সম্ভব হতো। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায় এড়াতে পারে না।
দুই জঙ্গি ইতোমধ্যে দেশ ছেড়েছে কি না জানতে চাইলে মঈন বলেন যে এ বিষয়ে এখনই তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন স্থানে তাদের গতিবিধির সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখছি।’
২০ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত চত্বর থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়। উভয়ই প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।
অন্য দুই আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হলেও ব্যর্থ হয় তারা। এ ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যার তদন্তে অগ্রগতি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: র্যাব
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত র্যাব
১ বছর আগে