আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
আসন্ন নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অ্যাসিড টেস্ট: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বড় পরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে পরাজিত ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রংপুর জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দেশের সবকিছুর ভিত্তি আইনশৃঙ্খলা। শুরুতে সমস্যা থাকলেও এখন অবস্থা ভালো। পুলিশ গুছিয়ে উঠে নিজেরা সংহত হতে পেরেছে। সামনে নির্বাচন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় টেস্ট (পরীক্ষা)। কেননা অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, সামনের নির্বাচন একটি আদর্শ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ ইতোমধ্যেই তাদের অবস্থান সুসংগঠিত করেছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন, আমাদের অ্যাসিড টেস্ট। নির্বাচনে পরাজিত ব্যক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবে। আমরা চাই, ভালো একটা নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব দিয়ে চলে যেতে।’
তৌহিদ হোসেনের মতে, ‘দুটো সেক্টরে (খাতে) বেশি গুরুত্ব দেওয়া দরকার: শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। বাইরের দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, কিন্তু আমরা পারছি না। আমরা চেষ্টা করছি। ডাক্তার, নার্সের সমস্যা নিরসনের অংশ হিসেবে (অন্তর্বর্তী সরকারের) এই স্বল্প সময়ে সাড়ে ৩ হাজার নার্স ও ৩ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই খাতে বাজেট বাড়ানো হয়েছে। আগামী বছর তা দেখা যাবে। আমরা কিছু প্রকল্প শুরু করেছি। আশা করছি, পরের সরকার তা ধরে রাখবে।’
প্রাথমিক শিক্ষার মান নিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রাথমিক শিক্ষার খুব ভয়ঙ্কর বাজে অবস্থা। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা প্রাইমারি শিক্ষকদের অনেক বেশি বেতন দিই, কিন্তু তাদের মধ্যে কোনো কর্মস্পৃহা দেখতে পাই না।’
১২ দিন আগে
ভোটের সময় ৮ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আট দিনব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের প্রস্তাব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা। তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যাচাই-বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ইসি। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির চার কমিশনার, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠক শেষে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এসব কথা বলেন।
আখতার আহমেদ বলেন, ‘মূলত পাঁচ দিনের ডেপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রাম করা হয়। সেখানে একটা প্রস্তাব এসেছে, এটা যেন আট দিন করা হয়। নির্বাচনের আগে তিন দিন নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তীকালে চার দিন। আমাদের ইনিশিয়াল প্রোগ্রামিং ছিল পাঁচ দিন। এখন প্রস্তাবনাটা আসছে, এটা আমরা পরীক্ষা করে দেখব।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ সদস্য মাঠে থাকবে। প্রায় দেড় লাখ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আনসার-ভিডিপি থেকে আসবেন প্রায় ৫ থেকে ৬ লাখ সদস্য।’
এ ছাড়াও নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠে কাজ করবে। তবে আরপিও সংশোধনের পর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হবে বলে জানান তিনি।
ইসি সচিব বলেন, আইজিপি মহোদয় জানিয়েছেন যে, দেড় লাখ পুলিশ এই ইলেকশনে কাজ করবেন এবং সবচেয়ে বড় বাহিনীটা আসবে আনসার ভিডিপি থেকে। হোম সেক্রেটারি বলেছেন—বডি ওর্ন ক্যামেরা, ড্রোনের ব্যবস্থা থাকবে। কাজেই ভিজিলেন্সটা অনেক বেশিই হবে।’
সেনাবাহিনী ইন এইড টু সিভিল পাওয়ারে থাকবে, নাকি তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে থাকবে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই ব্যাপারে আরপিওটা সংশোধন হয়ে আসুক। দুটো মতামতই আছে, কিন্তু তাদের কন্টিনিউয়েশনের পক্ষেই আলোচনা হচ্ছে। ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার যেটা আছে...তার সঙ্গে আরপিও’র সাংঘর্ষিক যেন না হয়, সে জিনিসটা আমরা লক্ষ্য করব।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে, বৈঠকে কোনো শঙ্কার কথা আসেনি।
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অনেক কিছু নির্বাচনে বাজেটের উপর নির্ভর করবে। বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি পরে সিদ্ধান্ত হবে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষে বৈঠকে অংশ নেন— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম কামরুল হাসান, সেনাবাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি লেফট্যানেন্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, নৌ-বাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, বিমান বাহিনী প্রধানের প্রতিনিধি এয়ার ভাইস মার্শাল রুশাদ দিন আসাদ, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, এনএসআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু মোহাম্মদ সরোয়ার ফরিদ, ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ভিডিপি অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, কোস্টগার্ড মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, র্যাব হেডকোয়ার্টার মহাপরিচালক এ কে এম শহীদুর রহমান, এসবি’র অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) জি এম আজিজুর রহমান, সিআইডি অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. ছিবগাত উল্ল্যাহ।
৫৯ দিন আগে
সচিবালয় ছেড়ে শিক্ষার্থীরা স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায়, পুলিশ জিরো পয়েন্টে
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় তারা গুলিস্তানের স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় অবস্থান করছেন।
বিমান দুর্ঘটনায় হতাহত শিক্ষার্থীদের সঠিক তথ্য প্রকাশের দাবিতে এবং মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা দেরিতে স্থগিত ঘোষণা করার কারণে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার ও শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জুবায়েরের পদত্যাগ দাবিতে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। যদিও এরইমধ্যে শিক্ষা সচিবকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মাইলস্টোন কলেজে এত বড় বিপর্যয়ের পরও আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়নি। রাত তিনটার দিকে কেন এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে? সকালে ঘুম থেকে উঠে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার পর শুনেছি পরীক্ষা স্থগিত। এমন অবিবেচক শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবকে আর দেখতে চাই না। তাই তাদের পদত্যাগের দাবিতে সচিবালয়ের সামনে এসেছি।’
বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সচিবালয়ের সামনে এসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। প্রথমে তারা সচিবালয়ের তিন নম্বর ফটকের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পরে বিকেল পৌনে চারটার দিকে তারা ফটক খুলে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন।
এরপর সচিবালয়ের ভেতর পার্কিং অবস্থায় থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গাড়ি ভাঙচুরের জেরে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আরও পড়ুন: রণক্ষেত্র সচিবালয়, গেট ভেঙে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা=
১৪৯ দিন আগে
বিডিআর বিদ্রোহ: গোয়েন্দা সংস্থার চরম ব্যর্থতার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিশন
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান বলেছেন, ২০০৯ সালের ২৫ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারির বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তৎকালীন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর চরম অবহেলা এবং সময়মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যর্থতার কথা কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় নতুন ভবনে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিদ্রোহ চলাকালে সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো নিষ্ক্রিয় ছিল, যার সুযোগে হত্যাকাণ্ডসহ ভয়াবহ অপরাধ সংগঠিত হয়।
কমিশনের তথ্যমতে, তদন্তে এখন পর্যন্ত ১৫৮ জন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তির সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আরও প্রায় ৫০ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার কথা রয়েছে। এরমধ্যে তদন্তের খসড়া প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা কমিশনের সদস্যরা পর্যালোচনা করছেন।
এ ছাড়া, বিদেশি দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এজন্য চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমার সময় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।
ফজলুর রহমান বলেন, ‘মিলিটারি অ্যাকশন শুরু হলে এত বড় প্রাণহানি, নৃশংসতা ও সহিংসতা এড়ানো যেত। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছেও বিদ্রোহের আগে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল, কিন্তু তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তহীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের অজুহাত দিয়ে প্রয়োজনীয় সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ সময় গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতার পাশাপাশি তৎকালীন দুটি তদন্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি।
তিনি বলেন, “বিদ্রোহের প্রকৃত রহস্য আড়াল করতে পুরনো দুটি তদন্ত কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটিকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া কয়েকটি বক্তব্যে বিদ্রোহের সঙ্গে বিদেশি সংশ্লিষ্টতার বিষয় উঠে এসেছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
২০০৯ সালের ২৫ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে সংঘঠিত বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন, যা দেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।
ওই ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরণ আইনে করা মামলায় ১৩৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এ ছাড়া, আরও অন্তত ২২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
১৭৬ দিন আগে
ইসি যখনই নির্বাচনের তারিখ দেবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত: উপদেষ্টা
নির্বাচন কমিশন (ইসি) যখনই নির্বাচনের তারিখ দেবে, তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এ সময়ে পুলিশ বর্তমানে সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে, তাই মানুষ ভাবছে পুলিশ সচল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রবিবার (১৫ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব বলেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘পুলিশ আগের থেকে আরও বেশি সচল।’
পুলিশ পুরোপুরিভাবে সচল হয়েছে কিনা এই প্রসঙ্গে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘গেল পনেরো বছরের মতো পুলিশ আমরা চাচ্ছি না, যে গেল দুইটি পিট্টি মারলো। আমরা মানবিক পুলিশ চাই, যারা সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে, সবকিছু ভালোভাবে চলবে। পুলিশ এখন ভালো ব্যবহার করে, তাই মানুষ ভাবে পুলিশ সচল হয়নি। কিন্তু পুলিশ আগের থেকে আরও বেশি একটিভ (সচল)।’
এদিকে, সম্প্রতি লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক শেষে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানানো হয়।ৎ
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব প্রস্তুতি আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলার বাহিনী এজন্য প্রস্তুত রয়েছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যখন নির্বাচনের তারিখ দেবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তখনই প্রস্তুত আছে।’
এ সময় সীমান্তে পুশ ইন সম্পর্কে জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বেশ আলোচনা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাছাড়া ভারতের হাইকমিশনারের সঙ্গেও কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের দেশের নাগরিক ভারতে থেকে থাকেন, তাহলে প্রোপার চ্যানেলে পাঠালে আমরা নেব। কিন্তু এভাবে জঙ্গলে ফেলে যাওয়া, নদীর ওপর ফেলে যাওয়া, লেকের ওপর ফেলে যাওয়া— এটা কোনো সভ্য দেশের কাজ হওয়া উচিত না।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করেছি, আমাদের দেশের নাগরিক হলে প্রোপার চ্যানেলে পাঠাও, আমরা নিয়ে নেব।’
আরও পড়ুন: তারেক দেশে ফিরতে পারেন যেকোনো সময়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ বিষয়ে মিডিয়াকেও প্রচার চালাতে বলেন তিনি। এছাড়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া, ঢাকার উত্তরায় র্যাবের পোশাক পরে কয়েকজন এসে মোবাইলে আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের এজেন্টের কাছ থেকে কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি। আমরা সর্বোচ্চভাবে চেষ্টা করছি, এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনার।’
১৮৬ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সবসময় সজাগ-সতর্ক থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সবসময় সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাজধানীর কয়েকটি থানা পরিদর্শনকালে সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঘুমাতে পারে ও নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকি করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ফোর্স ও টহলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ-আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ও সজাগ রয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপিত চেকপোস্টগুলোও কাজ করছে। যৌথবাহিনীর অপারেশনও ভালোভাবে চলছে।
থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছে। থানাসমূহ সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা দেখতেই তিনি পরিদর্শন করছেন বলে জানান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোরের দিকে দায়িত্বে শিথিলতা দেখায়। এ সুযোগে সন্ত্রাসী ও অপরাধীরা নানা রকম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছি, তারা যেন এসময়েও সজাগ ও সতর্ক থাকে।
চলমান যৌথ অভিযান আর কতদিন চলবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি হলে যৌথ অভিযান বন্ধ করা হবে। তবে অন্যান্য অভিযান চলমান থাকবে।
তিনি আরও জানান, গতকাল গুলশান থানায় দায়িত্বে অবহেলা করায় একজন এসআই ও একজন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
উপদেষ্টা তার বারিধারার ডিওএইচএস’র বাসা থেকে বের হয়ে ইসিবি চত্বর, কালশী, পল্লবী, মিরপুর-১০ হয়ে মিরপুর থানায় পৌঁছান। পরিদর্শন শেষে সেখান থেকে মিরপুর-১ হয়ে দারুসসালাম থানায় যান। দারুসসালাম থানা থেকে টেকনিক্যাল মোড়, শ্যামলী হয়ে আদাবর থানা পরিদর্শন করেন। পরে সেখান থেকে মোহাম্মদপুর থানায় যান। মোহাম্মদপুর থানা পরিদর্শন শেষে ধানমন্ডি ২৭, সংসদ ভবন, বিজয় সরণি, মহাখালী, বনানী হয়ে বারিধারার বাসায় ফিরে আসেন তিনি।
থানাগুলো পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা থানার অভ্যর্থনা কক্ষ, হাজতখানাসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনা ঘুরে দেখেন। তিনি ডিউটি অফিসার-সহ কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এসময় তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আরও তৎপর হওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের টহল কার্যক্রম পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পথিমধ্যে তিনি জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার চেকপোস্ট ও কালশী মোড় চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন এবং দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাছাড়া উপদেষ্টা মিরপুর থানা মোড় ও টেকনিক্যাল মোড়ে উপস্থিত সাধারণ জনগণের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান।
২৯৫ দিন আগে
যশোরে ২৭৫ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ হাজার সদস্য
পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরের ছয়টি আসনে ২৭৫টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরো জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে ১৬ হাজার সদস্য।
তিনি জানান, এর মধ্যে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, সেনা সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত নির্ধারিত পুলিশ সদস্যরা বডি ক্যামেরা ব্যবহার করবে। যাতে করে অপরাধীদের শনাক্ত করে তাৎক্ষণিকভাবে ম্যাজিস্ট্রেটরা সাজা নিশ্চিত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) জেলা পুলিশ লাইন্সে আসন্ন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সদস্যদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদার এই কথা জানান।
পুলিশ সুপার জানান, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সদস্যদের জন্য এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
এ সময় ভোটারদের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদানের ব্যবস্থা করা এবং শতভাগ নির্বাচনি সরঞ্জাম ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে
পুলিশ সুপার বলেন, ভোটের দিন পুরো যশোর জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে দুই হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য, ১০ হাজার আনসার সদস্য, ৪৫০ বিজিবি সদস্য, সেনা সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা বাহিনীর ১৬ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
ব্রিফিংয়ে পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) রেশমা শারমিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ও জেলা আনসার কমান্ডেন্ট সঞ্জয় সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বেলাল হোসাইনসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
৭১৩ দিন আগে
নির্বাচন ২০২৪: বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে
বাগেরহাটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলা থেকে ব্যালট বাক্স ও ভোটের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উপজেলায় পাঠানোর কাজ শেষ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে অবস্থান করছে।
শনিবার উপজেলা থেকে ভোটকেন্দ্রে ভোটের বিভিন্ন সরঞ্জাম যাবে।
আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে’ হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন: তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট
জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহা. খালিদ হোসেন জানান, ৭ জানুয়ারি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পর্ণ করতে বিভিন্ন ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রার্থীদের প্রচার শেষ হয়েছে। এখন ভোটাররা প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আগ্রহের কথা জানালেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বাগেরহাট-১ আসনে ছয়জন, বাগেরহাট-২ আসনে ছয়জন, বাগেরহাট-৩ আসনে সাতজন এবং বাগেরহাট-৪ আসনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চারটি আসনে মোট ৪৮৮টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। মোট ভোটার ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬ জন, নারী ভোটার ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ জন এবং হিজড়া ভোটার আটজন।
রিটানিং অফিসার মোহা. খালিদ হোসেন জানান, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত যেসব প্রস্ততি তা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটের বিভিন্ন মালামাল এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। উপজেলা থেকে ভোট কেন্দ্রেগুলোতে মালামাল যাবে।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিযে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
খালিদ হোসেন আরও জানান, বাগেরহাট জেলায় প্রায় ৬০০ জন সেনাবাহিনী সদস্য, ৯ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, ১১০ জন আনসার সদস্য, ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ৫৫টি মোবাইল টিম, প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে স্টাইকিং ফোর্স, ৪টি স্টাইকিং ফোস রিজার্ভ থাকবে, কেন্দ্রভিত্তিক এক থেকে তিনজন পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
এছাড়া ডিবি, ডিএসবি ও সাদাপোশাকে পুলিশ আর মোংলায় ৬০ থেকে ৭০ জন নৌবাহিনী সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে-পরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: সিইসি
৭১৩ দিন আগে
নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
নির্বাচন বিরোধী যেকোনো প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেয়ার মতো সামর্থ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে রংপুর নগরীর পুলিশ অফিসার্স মেসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
আইজিপি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা প্রস্তুত। এছাড়াও ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবসময় মাঠে থাকবে।
আরও পড়ুন: বড়দিন ও নববর্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আহ্বান আইজিপির
ভোটারদের উৎসবমুখর পরিবেশ ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, কেউ যদি ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বা অন্যভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনী পরিবেশ এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রয়েছে বলেও জানান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে পুলিশ প্রধান রংপুর মেসে বিভাগের সব ইউনিটের পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে মত বিনিময় করেন।
এসময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ আরও অনেকে ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশ সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায়: আইজিপি
৭১৭ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর নয়াপল্টন।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির নির্ধারিত জনসভাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
সংঘর্ষের পর কর্মসূচির মাঝপথে বিএনপির মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চ ও নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন।
এদিকে মঞ্চ ছাড়ার আগে ফখরুল রবিবার (২৮ অক্টোবর) সারাদেশে ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেন।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ধাওয়ায় নয়াপল্টনের বিভিন্ন গলি-গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশ ও অন্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, পাথর ও অন্যান্য বস্তু নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: সালথায় রণক্ষেত্র: নিহত এক, আটক ৩
রাজধানীর কাকরাইলে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা: ডিবি
৭৮২ দিন আগে