বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ভবিষ্যতে যে কোনো ঝামেলা এড়াতে সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
আহমদিয়াদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র কেরে সহিংসতায় দুইজন নিহত ও শত শত আহত হওয়ার একদিন পরে, শনিবার জেলার সদর উপজেলায় টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকলেও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া আখড়ায় শনিবার শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী সাধুরহাট
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, পরবর্তী বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
দুপুর ১টার দিকে তাদের স্বজনদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, অহমদিয়া সম্প্রদায় গ্রামে বিকাল ৩টায় সালানা জলসা বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করবে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বা কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার পর আহমদিয়া ভক্তরা, তাদের নির্ধারিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সালানা গ্রামে জড়ো হয়েছিল। শনিবার সকালে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যেতে দেখা গেছে।
শুক্রবার পঞ্চগড় শহরে কাদিয়ানি সালানা জলসা বন্ধের দাবিতে মুসল্লি ও পুলিশের একাংশের সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপুল ভোটে জয়
জুমার নামাজ শেষে পঞ্চগড় পৌর এলাকার কয়েকটি মসজিদ থেকে মুসল্লিরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
এরপর তারা পঞ্চগড় শহরে গিয়ে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তারা আহমদ নগর এলাকায় কাদিয়ানি জলসার দিকে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হয়।
পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নগরীর সিনেমা হল রোড এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।
বিক্ষোভ মিছিলের জেরে একপর্যায়ে পিছু হটতে হয় পুলিশকে।এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
সহিংসতার ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় পঞ্চগড় শহরের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
বিক্ষুব্ধ জনতা আহমেদনগরে অবস্থিত কাদিয়ানিদের প্রায় ২০টি বাড়িও লুট করে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১