মার্কিন বাহিনী
সিরিয়ায় হামলায় নিহত ১০, কুর্দি বাহিনীর হাতে ৫২ জঙ্গি গ্রেপ্তার
শুক্রবার পূর্ব সিরিয়ায় তেল শিল্পের কর্মীদের বহনকারী বাসে একটি জঙ্গি রকেট হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী ঘোষণা করেছে যে তারা ইসলামিক স্টেট গ্রুপের স্লিপার সেলের বিরুদ্ধে অভিযানে ৫২ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে।
সিরিয়ার পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের মতে, রকেটটি পূর্ব দেইর এল-জোর প্রদেশের আল-তাইম গ্যাসক্ষেত্রে আঘাত হানে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো দায় স্বীকার করেনি কেউ। তবে যুদ্ধ বিরোধী ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী বলেছে যে ওই হামলার পিছনে আইএস জড়িত।
অবজারভেটরিও রকেট হামলায় নিহতের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত ১২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২
শুক্রবার মার্কিন সমর্থিত এবং কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক বাহিনী বলেছে যে তাদের অভিযানগুলো নববর্ষের প্রাক্কালে পরিকল্পিত একটি আক্রমণকে ব্যর্থ করেছে বলে জানা গেছে। বাহিনীর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইএস জঙ্গিরা আবাসিক এলাকা এবং খামারগুলোতে লুকিয়ে ছিল।
বছরব্যাপী মার্কিন-সমর্থিত মহড়া ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গিদের আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণকে চূর্ণ করতে সফল হয়েছে। কিন্তু আইএস যোদ্ধারা গুপ্ত বাহিনী টিকিয়ে রেখেছে এবং এমন হামলা চালিয়েছে যা গত মাসগুলোতে বহু ইরাকি ও সিরিয়ানকে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার সিরিয়ার কুর্দি-নেতৃত্বাধীন বাহিনী তাদের অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে, আইএস হামলার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে যে ‘অপারেশন আল-জাজিরা থান্ডারবোল্ট’ এর লক্ষ্য আল-হোলে এবং তাল হামিস এলাকায় কাছাকাছি গুপ্ত বাহিনীকে লক্ষ্য করা।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৩
২০১১ সাল থেকে সিরিয়া একটি রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত হয়েছে। যা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক শক্তিগুলোর ছড়িয়ে পড়ে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চরের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছেন। তবে এর উত্তরের কিছু অংশ এখনো বিদ্রোহীদের পাশাপাশি তুর্কি ও সিরিয়ান কুর্দি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এছাড়াও সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ মার্কিন সৈন্য আইএসের বিরুদ্ধে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে লড়াইয়ে সহযোগিতা করছে।, বেশিরভাগই কুর্দি নিয়ন্ত্রণাধীন উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার কিছু অংশে প্রায়শই আইএস জঙ্গিরা হামলা চালায়।
বৃহস্পতিবার ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে যে ২০২২ সালে সিরিয়া এবং ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে প্রায় ৩১৩টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সহযোগিতায়।
সেন্টকমের বিবৃতি অনুসারে, সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গ্রুপের ২১৫ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৪৬৬ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
১ বছর আগে
তালেবান মাস্ক না পরলে কি কিছু এসে যায়
এই দেশের মানুষের কাজ অনেক কম। অনেকের এত সময় আছে যে তালেবান মাস্ক পরে কি পরে না এবং কেন পরে না তা নিয়েও তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবাদে জড়িয়ে পড়ছে । সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসার দিন দিন বাড়ছে, নাকি দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে? সম্ভবত বেকারের সংখ্যাই বাড়ছে। তাই তালেবান ও মাস্ক নিয়ে চলছে বাহাস।
এই তালেবান কি সেই জঙ্গি তালেবান
পুরোনো তালেবান নিয়ে কিছু হালকা স্মৃতি আছে সবার। তারা পাহাড় থেকে নামা বর্বর, নারী বিদ্বেষী। তারা পৃথিবীর নানা দেশে তালেবানি রপ্তানি করতে চাইতো। তাদের আমেরিকানরা পিটিয়ে বের করে দিয়েছে। বিষয় হলো, এবার কোনো মারামারি হয়নি। আমেরিকানরা ও তাদের বসানো সরকার নিজেরাই চলে গেছে। কোনো যুদ্ধই হলো না!
তফাৎ কেন হলো
আসল কথা মার্কিনিরা থাকতে চায় না, আর আফগান সেনারা লড়তে চায় না। অতএব তালেবানরা লড়বে কাদের সাথে। শত্রুর অভাবে এত আরামে তারা দেশ দখল করলো! দুই একটা খুচরো ঝামেলা বাদ দিলে ভয় ও দুর্ভাবনা বেশি ছিল। তবে খুনোখুনি অনেক কম হয়েছে গতবারের তুলনায়। এটা কেন? প্রতিরোধের অভাব,নাকি প্রতিপক্ষ ছিল না?
তালেবান কী বলে এখন
তালেবানরা সহজ সরলভাবে বলতে গেলে সেই সব কথাই বলছে, যাতে আগের তালেবান আর এখনকার তালেবানদের মধ্যে তফাৎটা ধরা যায়। তারা বলছে: কারো ওপর প্রতিশোধ নেবে না, নারীদের অধিকার দেবে, নারীরা কাজ করতে ও পড়তে পারবে, তবে তাদের হিজাব পরতে হবে ইরানিদের মতো, সংখ্যালঘুদের অধিকার দেবে, বিদেশিদের সম্মান করবে ইত্যাদি। তবে ততটাই করবে যতটা ‘ইসলাম’ অনুমতি দেয়। সেটা কতটা আমরা জানি না। আগামী দিনগুলিই কেবল বলতে পারবে কী হবে? তবে এটা ঠিক, ২০ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকার পর তারা আরেক দফা ক্ষমতা হারাতে চাইবে না। বাড়াবাড়ি করলে যে বিপদ হতে পারে এটা তারা জানে, তাই সতর্ক।
কে তাদের সহায়
এটাই আসল কথা। এককালের শত্রু এবং এখনকার মিত্র চীন ও রাশিয়ার খেলা এটা। তারা সাত বছর ধরে পরিকল্পনা করেছে কীভাবে এদেরকে দিয়ে মার্কিনীদের হটানো যায় এবং সেই দিক থেকে তারা সফল। রাশিয়াও চায় না, উভয় দেশেই মুসলমান জঙ্গি আছে, অতএব জঙ্গিবাদ দমানোতে তাদের স্বার্থ আছে। এই অঞ্চলের রাজনীতিকে সুস্থির করতে চায় তারা, যাদের আগের তালেবান উস্কে দিয়েছিল। এবার সই করা চুক্তি আছে। কিছু করবে না। তার চেয়ে বেশি ভয় যে ফাজলামো করলে রাশিয়া ও চীনের সাথে এক সাথে যুদ্ধ করতে হবে। আর সেটা করার ক্ষমতা তালেবান কেন, এই অঞ্চলের কেন, পৃথিবীর কোন দেশই রাখে না। এটাই মূল কথা।
তাহলে ?
রাশিয়া আর চীন চাইবে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি। দেশের ভেতরে কী হচ্ছে সেটার দিকে নজর থাকবে, কিন্তু বেশি না। যদি তালেবান কিছু করে তাহলে বিপদ তাদের। আর অর্থনৈতিক উন্নতি হলে তালেবানেরই বেশি লাভ।
তাই ‘অধিকারের’ বিষয়টা বড় হবে না। হবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়- এই সব। মার্কিনিদের অধীনে গত দুই দশকে নারী সমাজ অনেক বেশি দৃশ্যমান। কিন্তু কোনো খাতেই লক্ষ্য-কোটি ডলার খরচের পরও তেমন কিছু উন্নতি হয়নি। এটা মার্কিন সরকারেরই হিসাব। উন্নয়ন প্রকল্পে অপচয়, চুরি, অদক্ষতা সবই হয়েছে, যে কারণে এই হাল।
রাশিয়া-চীন আসলে কী চায়
রাশিয়া-চীন জানে যে মার্কিনিরা কিছুটা দুর্বল। তাই তাদের টপকে নিজেদের ‘বিশ্বের হুজুর’ বানাতে চায়। তাই খেলাটা ক্ষমতার, বিষয়টা অর্থনীতির, উদ্দেশ্য ওপরে উঠার। পৃথিবী জুড়ে ‘অধিকার ভিত্তিক’ যে প্রশাসন ব্যবস্থা, যেটা নিয়ে মার্কিনিরা আর এনজিওরা কথা বলে, সেটা ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। এখন যে করেই হোক অর্থিনীতিতে ওপরে ওঠার প্রতিযোগিতা, রাজনীতির দুনিয়া অনেকটা ক্ষীয়মান। অতএব কে মাস্ক পরলো, আর না পরলো তাতে কিছু আসবে যাবে না, যদি না তাতে অর্থনীতির ক্ষতি হয়।
আফসান চৌধুরী: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি
৩ বছর আগে
তালেবান হামলায় আফগানিস্তানে ১০ সেনা নিহত
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে তালেবনারা ১০ সেনাকে হত্যা করেছে বলে শনিবার দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
৪ বছর আগে