প্রথম ডোজ
৩ অক্টোবর থেকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আগামী ৩ অক্টোবর থেকে দেশে করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধ হতে পারে। এরমধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজে বাদ পরা মানুষদের টিকা নিতে হবে।শনিবার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘৫-১১ বছরের শিশুদের কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম বিষয়ক জাতীয় অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, দেশে এখনও প্রথম ডোজের টিকা নেয়নি প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ, দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়নি প্রায় ৯৪ লাখের মতো মানুষ।
তাদেরকে দ্রুতই টিকা নিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:স্বাস্থ্যসেবার নামে কোন ব্যবসা চলবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রীমন্ত্রী বলেন, অক্টোবরের পর হয়তো আমাদের কাছে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য টিকা থাকবে না। যেগুলো থাকবে, সেগুলোরও মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। যারা এখনও প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার নেননি, তারা দ্রুত নিয়ে নিন। অক্টোবরের পরে থেকে টিকা নাও পেতে পারেন।তিনি বলেন, টিকা কার্যক্রমে আমাদের আড়াই লাখ লোক কাজ করছে, এরমধ্যে ভ্যাকসিনেটরই রয়েছেন ৬০ হাজার জন। সবাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টিকা নিয়ে নিন। আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি।শিশুদের টিকাদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ১০ লাখ শিশুকে টিকাদান হয়ে গিয়েছে। আমাদের এখনো শোয়া দুই কোটি শিশুকে টিকা দিতে হবে। তার মানে চার কোটির বেশি ভ্যাকসিন এখনও দেয়া প্রয়োজন। আমরা মাত্র শুরু করেছি। শিশুদের টিকা কার্যক্রম আরও অনেক বাকি আছে।জাহিদ মালেক বলেন, করোনা বেড়ে গেলে আবারও অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে, স্বাস্থ্য সেবায় প্রভাব পড়বে। সংক্রমণ কিন্তু আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যেন মাস্ক পরা ভুলে গেছি, মাস্কই হলো বড় হাতিয়ার। ভালো দিক হলো মৃত্যু হার কম আছে, আমরা সন্তুষ্ট নই, করোনাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন:ভুটান থেকে দেশে ফিরেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব প্রতিনিধিদের সচেতনতা বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম ডোজ দেয়া অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরপরও স্বাভাবিক টিকা কর্মসূচি চলমান থাকবে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীস্থ বিসিপিএস ভবনে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য একদিনে এক কোটি ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রম বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সবাইকে আহ্বান করবো টিকা নেয়ার। সবাইকেই টিকা দিবো। এরপর থেকে দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। তবে সাময়িকভাবে প্রথম ডোজে একটু দৃষ্টিপাত কম থাকলেও কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: ২৬ ফেব্রুয়ারি এক কোটি টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আমরা বিশেষ এই টিকা কর্মসূচিতে এক কোটি ডোজ টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রয়োজনে দেড় কোটি ডোজ দিব। দশ কোটি ডোজ টিকা আমাদের হাতে রয়েছে। আমরা এর আগেও ৮০ লাখেরও বেশি টিকা দিয়েছি। আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। বিশেষ এই কর্মসূচির বিষয়ে অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বাস, ট্রাক, দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা অবশ্যই সফল হবো।
টিকায় রাশিয়া-তুরস্কের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমে রাশিয়া-তুরস্কের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ব্লুমবার্গ প্রশংসা করে আমাদের জানিয়েছে বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে ভ্যাকসিনেশনে বাংলাদেশ ১০ম অবস্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা সাড়ে ১৮ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি। সেখানে জার্মানিতে ১৭ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে, রাশিয়ায় ১৬ কোটি টিকা দেয়া হয়েছে, তুরস্ক ১৪ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে, থাইল্যান্ড ১২ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র তিন কোটি ডোজ দিয়েছে। সেদিক থেকে আমরা টিকায় অনেক এগিয়ে আছি।
তিনি বলেন, সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৮ লাখ টিকা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে মোট সাড়ে ১৮ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের টার্গেট করা মানুষের শতকরা ৮৬ ভাগ প্রথম ডোজ, ৬৫ ভাগকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে ৩২ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে। আমরা স্কুলের বাচ্চাদের দেড় কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আমরা গত দুই বছর কাজ করছি এবং সফলতার সঙ্গে মহামারি মোকাবিলা করেছি। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রাণিত করেছেন এবং প্রশংসা করেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংগঠন ও বিশ্ব নেতার আমাদের ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে৷
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেও দেশের রেমিট্যান্স খাত ঊর্ধ্বগতিতে আছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এ সময় ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা কর্মসূচির পরিকল্পনা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, আমরা ওইদিন একদিনেই এক কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। ওয়ার্ড কমিটি, জেলা ও সিটি কমিটির সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছি। সকলের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, শ্রমিক কর্মচারীরা যখন স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানে টিকা নিবে, সেটি তার কর্মঘন্টার মধ্যেই যুক্ত হবে। এ নিয়ে আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মিরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অধ্যাপক ডা. আহমদুল কবির, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হকসহ আরও অনেকে।
২ বছর আগে
বৃহস্পতিবার থেকে আবারও প্রথম ডোজের টিকা দেয়া শুরু
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে আবারও সারাদেশে প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।
তিনি বলেন, আগামীকাল সারা দেশব্যাপী সিনোফার্মের টিকা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। সারাদেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সকল জেলা সদর হাসপাতালসহ চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেস হাসপাতাল ও সৈয়দপুর সদর হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত টিকা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: করোনায় রেকর্ড শনাক্তের দিনে ১১৫ জনের মৃত্যু
বুধবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়তিম করোনা বুলেটিনে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের মধ্যে আমরা পূর্বে ৪৮টি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু করেছিলাম, কিন্তু এই মুহূর্তে আটটি কেন্দ্রকে বাদ দিয়ে ৪০টি কেন্দ্রে পুরোদমে টিকাদান কার্যক্রম চালু করব।
শামসুল হক বলেন, অগ্রাধিকার তালিকায় যারা আছেন, বিশেষ করে আমাদের মেডিকেল, নার্সিং, ম্যাটস শিক্ষার্থীরা টিকা পাবেন। একইসাথে আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, পুলিশ বাহিনীর লোকজন এবং অন্যান্য অগ্রাধিকার কর্মীরারাও টিকা নিতে পারবেন। এছাড়াও যারা আগেই নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারেননি তারা নিতে পারবে।
তিনি বলেন, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের জন্য আজ থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম খুলে দেয়া হচ্ছে। নিবন্ধনের পর কেন্দ্র থেকে যখন এসএমএস আসবে, তখন সে অনুযায়ী কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই টিকা কার্ড ও এনআইডি সাথে নিয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের করোনা টিকাদান কেন্দ্রগুলো লকডাউনের আওতাবহির্ভূত থাকবে। টিকা নেয়ার জন্য বের হওয়া কাউকে যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তাহলে টিকা কার্ডটি দেখাবেন এবং কোন কেন্দ্রে যাচ্ছেন সেটি বলবেন।
আরও পড়ুন: করোনায় রেকর্ড শনাক্তের দিনে ১১৫ জনের মৃত্যু
ডা. শামসুল হক বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশগামী প্রবাসী কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার এবং চীনের সিনোফার্মের দুই টিকাই দেয়া হবে। এক্ষেত্রে সৌদিআরব-কুয়েতসহ যেসব সিনোফার্মের টিকা নিয়ে জটিলতা রয়েছে, শুধুমাত্র তাদেরকেই ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। আর বাকিসব প্রবাসীদের দেয়া হবে সিনোফার্মের টিকা।
তিনি বলেন, ‘সে সকল কেন্দ্র থেকে আমাদের সিনোফার্মের টিকা দেয়া হবে, সেসব কেন্দ্রে আমাদের প্রবাসী শ্রমিকরা নিবন্ধন করে টিকা নিয়ে কার্ড সংগ্রহ করে বিদেশ যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টি দেখবে জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরো। সেখান থেকে আমাদের কাছে তালিকা আসলেই আমরা সেটি সুরক্ষা সার্ভারে দিয়ে দিব এরপরই তারা নিবন্ধন করতে পারবে।’
ডা. শামসুল হক বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধুমাত্র যারা প্রবাসী শ্রমিক এবং যেসব দেশে ফাইজার-মডার্না টিকা ছাড়া প্রবেশে জটিলতা রয়েছে তাদেরকেই ফাইজারের টিকা দিব। আমাদের জানামতে সৌদিআরব, কুয়েতসহ কয়েকটি দেশে নির্দেশনা আছে যে, ফাইজার মডার্নার টিকা ছাড়া যেতে পারবে না। সেইসব দেশের প্রবাসী শ্রমিকরা ফাইজারের টিকা নিবেন, তবে এক্ষেত্রেও জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে আমাদের কাছে তালিকা আসতে হবে।
নিবন্ধন ছাড়া কাউকে টিকা দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রবাসী শ্রমিকরাও যদি নিবন্ধন ছাড়া টিকা কেন্দ্র এসে ভিড় জমান, তবুও কাউকে তাৎক্ষণিক নিবন্ধন করে টিকা দিতে পারবে না।
‘যারা টিকা নিবেন, তাদের তালিকাটা আমাদের কাছে আসবে জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর মাধ্যমে। সে অনুযায়ী নিবন্ধন করে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কেন্দ্র থেকে টিকা নিতে পারবেন,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কঠোর লকডাউনে ২১ দফা নির্দেশনা, থাকছে সেনাবাহিনী
যে সাত কেন্দ্রে দেয়া হবে ফাইজারের টিকা
ডা. শামসুল হক বলেন, ফাইজারের টিকা কার্যক্রম আগামীকাল থেকে চালু হবে। সারাদেশে পরিবহন করা কঠিন, তাই আমরা শুধুমাত্র ঢাকায় সাতটি কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি। কেন্দ্রগুলো হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
তিনি বলেন, আমাদের টিকা কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত আছে। আগামীকাল থেকে কেন্দ্রগুলোতে অগ্রাধিকারের তালিকার ভিত্তিতে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।
৩ বছর আগে
মানিকগঞ্জে কুকুরের টিকা কর্মসূচীর অবহিতকরণ সভা
মানিকগঞ্জ জেলায় কুকুরের টিকাদান (এমডিভি) কার্যক্রম ২০২১ উপলক্ষে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে জলাতংক রোগ নির্মূলের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে।
সভায় জানানো হয়, ২০১০ সালে পাইলট প্রকল্পের আওতায় প্রথম কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরে ২০১২ সালে দেশের সব জেলায় ব্যাপকহারে কুকুরের টিকা দেয়া শুরু হয়। ২০১৮ সালে মানিকগঞ্জে প্রথম ডোজ হিসেবে প্রায় ৯ হাজার কুকুরের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কুকুরকে টিকা দেয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে আগামী ২৩ মে থেকে মানিকগঞ্জের পৌর এলাকাসহ ১০টি ইউনিয়নে একযোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। ৫ দিনব্যাপী ৩০টি টিম এই কার্যক্রম চালাবে। ১০টি ইউনিয়নে ২০টি টিম ও পৌর এলাকায় ১০টি টিম কাজ করবে। প্রতি টিমে দুজন ডগ ক্যাচার, একজন টিকাদানকারী, একজন সহযোগী টিকাদানকারী ও একজন সার্ভেয়ার নিযুক্ত থাকবেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তৃতীয় লিঙ্গ সম্প্রদায়ের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান
দ্বিতীয় ডোজে মানিকগঞ্জ জেলায় সাড়ে ১১ হাজার কুকুরের টিকাদান কার্যক্রম চালানো হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে অসহায় পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা বিতরণ
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ফাইলেরিয়া নির্মুল) উপপরিচালক ডা. জহিরুল কবির, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন, জেলা টিকাদান কর্মসূচীর তত্ত্বাবধায়ক মো. আকতারুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রন শাখার তত্ত্বাবধায়ক কে,এম তাহমিদ উল ইসলাম, মো. আসাদুজ্জামান সুমন, সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে প্রাইভেটকার চাপায় প্রাণ গেল পথচারীর
অবহিতকরণ সভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেন।
৩ বছর আগে
দেশে কোভিড ভ্যাকসিনের মজুদ শেষের দিকে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মজুদ শেষের দিকে বলে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) জানিয়েছে।
ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘আমাদের কাছে প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ভ্যাকসিন ছিল।৮৮ লাখ ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। এখন আমাদের কাছে প্রায় ১৪ লাখ ভ্যাকসিন মজুদ আছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার টিকা 'স্পুটনিক ভি’ ব্যবহারের অনুমোদন দিল বাংলাদেশ
তিনি বলেন, বিদ্যমান মজুদ শেষ হওয়ার আগে দেশে নতুন করে ভ্যাকসিনের চালান না এলে ভ্যাকসিনের সংকট দেখা দেবে।
রোবেদ বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭১৯ জন লোক ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে এবং ৩০ লাখ ২৩ হাজার ১৬৯ জন লোক ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই চীন থেকে ভ্যাকসিন পেতে আশাবাদী ঢাকা
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য ১৪ লাখেরও বেশি ডোজের অভাব রয়েছে দেশে।
ভ্যাকসিন সংকটের মধ্যে সরকার ২৬ এপ্রিল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রদানের নিবন্ধন স্থগিত করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অবশ্য আশা প্রকাশ করেছেন যে ঈদুল ফিতরের আগে চীন থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে মডার্নার ভ্যাকসিন আনার অনুমতি চেয়ে আবেদন
পাশাপাশি তিনি বলেছেন, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
রোবেদ জানান, বাংলাদেশি একটি ওষুধ কোম্পানি রেনাটা লিমিটেড মডার্নার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আমদানির জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে এবং এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দেশে তিনটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি কোভিড ভ্যাকসিন তৈরি করতে চায় বলে সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছে। তারা আশাবাদী যে দেশে এক বছরে ১.৫ কোটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হবে।’
রোবেদ বলেন, সরকার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতার মূল্যায়ন করেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ভাইরাস সংক্রমণ হার কমতে থাকায় গত এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে কোভিড পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আত্মতৃপ্তির কোনও অবকাশ নেই কারণ আক্রান্তের হার যে কোনও ধরণের অবহেলার জন্য আবার বাড়তে পারে।
রোবেদ বলেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি বজায় রাখতে হবে এবং ভাইরাস সংক্রমণে ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা বজায় রাখতে জনসাধারণের চলাচলকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
বাসা থেকে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার আহ্বান জানান তিনি বলেন, এটাই সম্ভাব্য কোভিড সংক্রমণের বিরুদ্ধে সেরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা।
৩ বছর আগে
করোনা: কুমিল্লায় এখনো প্রায় অর্ধেক টিকা অব্যবহৃত
আগামী ৩০ মার্চ শেষ হবে করোনার টিকার প্রথম ডোজ। কুমিল্লার জন্য বরাদ্দের ২ লাখ ৮৮ হাজার টিকার মধ্যে এখনো প্রায় অর্ধেক টিকা অব্যবহৃত রয়ে গেছে।
৩ বছর আগে