শাল্লার হামলা
শাল্লার হামলার ঘটনায় আরও ৬ গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের হিন্দু পল্লীতে হামলার ঘটনায় গ্রামবাসীর দায়ের করা মামলার আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এনিয়ে এই ঘটনায় ৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন, শাল্লা উপজেলার কাশিপুর গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে এখলাছুর রহমান রিপন (৩২), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জয়নুল মিয়া (৩৮), মাধু মিয়ার ছেলে বীর আলম বিকরুল (৪৫), দিরাই উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল মনাফের ছেলে মো. মতিউর রহমান মুন্সি (৬০), একই উপজেলার নাচনি গ্রামের আব্দুল বারিকের ছেলে মো. শাহীন মিয়া (২৩) ও ফয়জুল ইসলামের ছেলে মো. রাকিব হোসেন (২২)।
আরও পড়ুন: শাল্লার ঘটনায় ৫ দিনের রিমান্ডে স্বাধীন
ডিবির ওসি ইকবাল বাহার জানান, গ্রেপ্তার এখলাছুর রহমান রিপন নোয়াগাঁওয়ের হামলার ঘটনায় নেতৃত্বদানকারীদের একজন। হামলার একদিন আগে থেকেই তিনি সক্রিয় ছিলেন।
কোর্ট ইন্সপেক্টর সেলিম নেওয়াজ জানান, গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা জজ আদালতের শাল্লা জোনের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. খালেদ মিয়ার আদালতে হাজির করলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: শাল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা
প্রসঙ্গত গত ১৭ মার্চ জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের সমর্থকরা নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৮ বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। এছাড়া ওই সময় গ্রামের ৫টি মন্দিরও ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: শাল্লার ঘটনার সাথে জড়িতদের ছাড় নয়: র্যাব ডিজি
নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামের এক তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে মাওলানা মামনুল হককে কটাক্ষ করে কথিত স্ট্যাটাসের প্রতিক্রিয়ায় ওই দিন সকাল ৮ টা থেকে ১০ টার মধ্যে এই তান্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় চারটি মামলা করা হয়েছে।
৩ বছর আগে
শাল্লার হামলায় সরকারি দলের লোক জড়িত: ডা. জাফরুল্লাহ
শাল্লার হামলায় ঘটনার সাথে সরকারি দলের লোক জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘শাল্লার মসজিদে গুজব ছড়িয়ে হিন্দু গ্রামে হামলা করা হয়েছে। মসজিদের মাইকে ইসলাম প্রচার কিংবা আযান দেয়া ছাড়া ইসলাম সমর্থন করে না। ধর্মীয় উস্কানিতে অনেকে হেফাজতের কথা বলছেন কিন্তু কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি সরকারি দলের ব্যাপক সংখ্যক কর্মী সমর্থক এই হামলার সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জঘন্য এ হামলার ঘটনার আগামী সাত দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: শাল্লার ঘটনায় ৫ দিনের রিমান্ডে স্বাধীন
মঙ্গলবার শাল্লায় নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ বলেন, দেশ এখন নিরাপদে নেই। আমরা রামু দেখেছি, নাসিরনগর দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শাল্লায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে ভয়াবহ হামলায় খুবই লজ্জাজনক।
স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘সরকারের পুলিশ প্রশাসন এখানের মানুষেরদের রক্ষা করতে পারেনি, প্রশাসন এখানে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে যতজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা ছিল তাদের সবাইকে প্রত্যাহার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: শাল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা
শাল্লার ঘটনার সাথে জড়িতদের ছাড় নয়: র্যাব ডিজি
ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, সিলেট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমদাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শাল্লার ঘটনায় ২ মামলা, আটক ২২
৩ বছর আগে