শাল্লার হামলায় ঘটনার সাথে সরকারি দলের লোক জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘শাল্লার মসজিদে গুজব ছড়িয়ে হিন্দু গ্রামে হামলা করা হয়েছে। মসজিদের মাইকে ইসলাম প্রচার কিংবা আযান দেয়া ছাড়া ইসলাম সমর্থন করে না। ধর্মীয় উস্কানিতে অনেকে হেফাজতের কথা বলছেন কিন্তু কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি সরকারি দলের ব্যাপক সংখ্যক কর্মী সমর্থক এই হামলার সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জঘন্য এ হামলার ঘটনার আগামী সাত দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: শাল্লার ঘটনায় ৫ দিনের রিমান্ডে স্বাধীন
মঙ্গলবার শাল্লায় নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ সব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ বলেন, দেশ এখন নিরাপদে নেই। আমরা রামু দেখেছি, নাসিরনগর দেখেছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শাল্লায় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে ভয়াবহ হামলায় খুবই লজ্জাজনক।
স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘সরকারের পুলিশ প্রশাসন এখানের মানুষেরদের রক্ষা করতে পারেনি, প্রশাসন এখানে ব্যর্থ হয়েছে। এখানে যতজন দায়িত্বরত কর্মকর্তা ছিল তাদের সবাইকে প্রত্যাহার করতে হবে।’
আরও পড়ুন: শাল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা
শাল্লার ঘটনার সাথে জড়িতদের ছাড় নয়: র্যাব ডিজি
ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, সিলেট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমদাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শাল্লার ঘটনায় ২ মামলা, আটক ২২