ট্রেড ইউনিয়ন
‘শ্রমিক সংগঠনের প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে’
শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার আরও কমিয়ে প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা এ অনুরোধ জানান।
ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতি বা স্বাক্ষর নেওয়ার হার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে প্রক্রিয়া সহজ করা হবে বলে তাদের জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৈঠক শেষে আনিসুল হক সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্ররা আলাদা থাকলে বিরোধী দলে প্রাধান্য পাবে জাতীয় পার্টি: আইনমন্ত্রী
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের প্রথম সচিব ও লেবার অ্যাটাসের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিক অধিকার নিয়ে তারা তাদের বক্তব্য বলেছেন। এই আলোচনা কিন্তু গত বছর থেকে তাদের সঙ্গে আমাদের হচ্ছে। সময়ে সময়ে যে অগ্রগতি হয়েছে এবং আরও কোনো অগ্রগতি সম্ভব কি না, সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে থাকি। সেই আলাপ-আলোচনার একটা পদক্ষেপ হিসেবেই আজকে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, রাষ্ট্রপতির কাছে যে শ্রম আইনটা গিয়েছিল, সেটি একটি বিশেষ কারণে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণটা আগেও আপনাদের ব্যাখ্যা করেছি। সেই ব্যাপারটা আলোচনায় এসেছে।’
মন্ত্রী বলেন, থ্রেস হোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের স্বাক্ষরের হার) সম্বন্ধে এবং অন্যান্য ইস্যু সম্বন্ধে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছেন, এই ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে পার্টনার হিসেবে কাজ করতে চায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন, এটা তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু।
বাংলাদেশ সরকার এটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে উল্লেখ করে মন্ত্রী তাদের জানান, এবার প্রধানমন্ত্রী শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়টা নিজের হাতে রেখেছেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে সংসদ সদস্যের সংখ্যা নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, ‘আগামী বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটা টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসব। আইএলওর গভর্নিং বডির মিটিং মার্চ মাসে। দুই-একটা বিষয় তারা জানতে চেয়েছেন, সেই মিটিং এরপরে তাদের আমরা জানাব। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি বা এমন কিছু তোলেনি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
তারা কি শ্রমিকদের স্বাক্ষর ১০ শতাংশ চাইছে- এ বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে দিয়েছি, আমাদের ইমপ্লয়ার্স ও ওয়ার্কার্স ফেডারেশনগুলো সব সময় বলে আসছে আস্তে আস্তে কমানোটাই তাদের জন্য ভালো হবে। বাংলাদেশ শ্রমিকের অধিকারের ক্লাইমেট অনুযায়ী এটা কমানো হবে। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। সেজন্য আমরা আস্তে আস্তে কমানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দেব।’
আরও পড়ুন: দ্রুত ন্যায়বিচার করে জনদুর্ভোগ কমানোর আহ্বান আইনমন্ত্রীর
১০ মাস আগে
শ্রমজীবীদের অধিকার রক্ষায় আইএলও’র সহযোগিতা কামনা আইনমন্ত্রীর
সকল শ্রমজীবি মানুষের অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নে আইএলওসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার রাতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির ৩৪১তম সেশনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনাকালে ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এই সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় আইনমন্ত্রী আইএলওকে আশ্বস্ত করে বলেন, শ্রম অধিকার ও নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশ একটি ছয় বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনার আওতায় কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন কিছুদিনের মধ্যে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, কর্মপরিকল্পনাটির মেয়াদ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের চূড়ান্ত উত্তোরণের সাথে সংগতি রেখে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তিনি শ্রম আইন সংশোধন, ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন, শ্রম পরিদর্শন বিভাগের ক্ষমতায়ন এবং শ্রমিক স্বার্থ-বিরোধী কর্মকাণ্ড পরিহার সংক্রান্ত ৪টি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা নির্ধারণের কথা আলোচনা সভায় তুলে ধরেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের আলোকে বাংলাদেশ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান একেবারে পরিষ্কার: আইনমন্ত্রী
আইএলও গভর্নিং বডি’র বর্তমান চেয়ারম্যান ভারতের শ্রম সচিব অপূর্ব চন্দ্রে’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি সম্পর্কিত এ আলোচনায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের প্রতিনিধি ছাড়াও ভারত, চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, মরক্কো, কিউবা, ইরাক, বাহরাইন, আজারবাইজান, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি ও মেক্সিকোর প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সরকার আইনে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী: আইনমন্ত্রী
৩ বছর আগে