মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: ৯ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকবে কোচিং
মেডিকেল কলেজগুলোতে আগামী শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষার কারণে মেডিকেল ভর্তি কোচিং ৯ জানুয়ারি থেকে এক মাস বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, এক মাস পর ৮ মার্চ ডেন্টালের বিডিএসের ভর্তি পরীক্ষা হবে।
তিনি বলেন, ‘মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর (পাস নম্বর) গতবারের মতো এবারও ৪০ রাখা হয়েছে। মাইগ্রেশনের সময় আমরা তিনবার দিচ্ছি। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য সব কলেজকে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সবগুলো কলেজে চয়েজ একবারে দিতে পারবে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতেও একই নিয়ম বহাল।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি শিক্ষার্থীরা ৪ জানুয়ারি থেকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। দেশীয় ছাত্র-ছাত্রীরা যারা ভর্তি হতে চান, তারা ১১ জানুয়ারি থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি ১০ তারিখে দেওয়া হবে। অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ ২৩ জানুয়ারি। ফি জমার শেষ তারিখ ২৪ জানুয়ারি।
তিনি বলেন, ‘রোল নম্বর প্রদান, সিট প্ল্যানসহ এই বিষয়গুলো ২৬ জানুয়ারি হয়ে যাবে। প্রবেশপত্র বিতরণ হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। হাজিরা শিট ডাউনলোড করা যাবে ৮ ফেব্রুয়ারি। ভর্তি পরীক্ষা হবে ৯ ফেব্রুয়ারি। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে।
এবারও ভর্তি ফি ১ হাজার টাকা রয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে মোট ১১ হাজার ৭২৮টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ৫ হাজার ৩৮০টি আসন রয়েছে। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে ১ হাজার ৩০টি সিট বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে মোট আসন ৬ হাজার ৩৪৮টি। আর্মি মেডিকেল কলেজে আসন রয়েছে ৩৭৫টি।’
১০ মাস আগে
মেডিকেলে চান্স পাওয়া জেলে পল্লীর মেয়ে মারুফার পাশে র্যাব-৬
৭৪ স্কোর নিয়ে চলতি শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল কলেজে ভর্তি সুযোগ পাওয়া সাতক্ষীরার তালায় জেলে পল্লীর দারিদ্র পরিবারের সন্তান মারুফা খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছে র্যাব-৬।
শুক্রবার সাতক্ষীরা তালা উপজেলা সদরের জেয়ালানলতা গ্রামে মারুফার বাড়িতে হাজির হয়ে তার হাতে শিক্ষা উপবৃত্তি তুলে দেন র্যাব সদস্যরা।
মারুফা বলেন, পারিবারিকভাবে আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে নিজের ইচ্ছা শক্তি ও সকলের দোয়াতে এ পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। কিন্তু ভতির্র জন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন। আমার হতদরিদ্র বাবার পক্ষে এই টাকা জোগাড় করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর সাতক্ষীরার র্যাব-৬ এর সদস্যরা ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিলের রিট আবেদন খারিজ
তালা সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, পরিবারটি খুব অসহায়। সহায় সম্বলহীন মানুষ। গরীব পরিবারের মেয়েটি মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়ে এলাকার সুনাম বয়ে এনেছে। ভর্তির সুযোগ পেলেও ভর্তির টাকাও নেই তাদের। র্যাবের পক্ষ থেকে ভর্তির জন্য সহায়তা করে মানবতার সেবায় দৃষ্টান্তস্থাপন করলেন র্যাবের কোম্পানী কমান্ডার ইশতিয়াক হুসাইন।
র্যাবের সাতক্ষীরা কোম্পানি কমান্ডার ইশতিয়াক হুসাইন বলেন, র্যাবের কাজই হচ্ছে জনসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। খবরটি পাওয়ার পর আমরা তাকে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দিয়েছি। এছাড়া সমাজে মারুফার মত এমন যারা রয়েছে তাদের পাশেও র্যাব দাঁড়াতে চাই।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল চেয়ে রিট
এসময় সেখানে র্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সিনিয়র ডিএডি এসএম জিলুর রহমান, তালা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা মীম ইঞ্জিনিয়ার হতে চেয়েছিলেন!
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা হওয়ায় উৎফুল্ল খুলনার সুমাইয়া মোসলেম মীম। তার এমন সাফল্যে পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা। এই সেরা হওয়ার গল্প শোনালেন মীম।
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার মধ্যে করোনা আসলো। পড়াশোনায় ব্যাঘাতও ঘটেছিল। বেশ খানিকটা সময় গ্যাপ। তারপর আবার খুলনায় ফিরে পড়াশোনা শুরু করি। তখনও ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বো। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার এক থেকে দেড় মাস আগে আম্মুর ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত বদলাই, না মেডিকেলেই পড়বো। তারপর এইচএসসি পরীক্ষা দিলাম। এরপর যে তিন মাস ছিল, পুরো সময় মেডিকেলের প্রস্তুতি নিলাম। সেখান থেকে আজকে এই অবস্থানে।’
মীম আরও বলেন, ‘আমরা দুই বোন। আব্বু-আম্মু আছেন। আমি কৃতজ্ঞ, এরকম একটা পরিবার আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। বিশেষ করে আমার আপুর কথা বলতেই হয়। এরকম একটা বোন আমি পাইছি। আপু আমাকে সবসময় সাপোর্ট দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় সবার ওপরে খুলনার মীম
মীম খুলনার সরকারি এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। তার বাবা মোসলেম উদ্দিন সরদার ডুমুরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। আর মা খাদিজা খাতুন সরকারি চাকরি করেন। ডুমুরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরাজি এলাকায় তাদের বাড়ি। পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে খুলনা শহরের মৌলভীপাড়ার ১৪ টিবি বাউন্ডারি রোড এলাকায় থাকেন মীম। মীমের স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হবেন। তবে মায়ের স্বপ্ন ছিল ভিন্ন। মায়ের ইচ্ছা ছিল তার মেয়ে একদিন ভালো চিকিৎসক হবেন। তাই মায়ের স্বপ্নকে প্রাধান্য দিয়ে তিন মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। নিজের প্রচেষ্টা, মা-বাবার দোয়া ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় খুলনার সুমাইয়া মোসলেম মীম এখন মেডিকেল পরীক্ষায় দেশসেরা।
মীম আরও বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তালার রহমত ও কৃপার কারণে আজ আমার এই অবস্থান। অবশ্য এতো বেশি প্রত্যাশা আমার ছিল না। তারপরও আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। এই সফলতার পেছনে প্রথমেই আমার আব্বু-আম্মুর অবদান রয়েছে। আমাদের গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়ায়। খুলনা শহরে এসে থাকি। আব্বু-আম্মু দু’জনে চাকরি করে। এখান থেকে যেয়ে কাজ করতে হয়েছে। আমার জন্য দুইটা বছর প্রচুর কষ্ট করতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে আমার আম্মুর কথা বলবো। তাকে অনেক কষ্ট করে যশোরের কেশবপুরে যেতে হয় চাকরি করতে। আমার জন্য আম্মু হাসিমুখে সব কষ্ট সহ্য করেছেন। যাতে আমি একটু ভালো করি। আজ তাদের মুখে হাসি দেখতে পারছি এটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি প্রাপ্তি।
নিজের স্বপ্নের বিষয়ে মীম বলেন, ছোটবেলা থেকে ডাক্তার হবো এমন কোনো আশা আমার ছিল না। শুধুমাত্র আম্মুর জন্য ডাক্তারীতে পড়তে আসা। আর যেহেতু এতো ভালোভাবে এই জায়গাতে আসতে পেরেছি, সেটা অনেক বেশি ভালো লাগার একটা বিষয়। আমার সাফল্যের জন্য আম্মুর অবদান সবচেয়ে বেশি। পরীক্ষার পর থেকে এখন পর্যন্ত টেনশনে তার মুখে আমি হাসি দেখিনি। কারণ আমি পরীক্ষা দিয়ে বলেছিলাম আমার পরীক্ষা ভালো হয়নি।
তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে শিক্ষকদের অনেক অবদান ছিল। শিক্ষকরা আমাকে অনেক বেশি সাপোর্ট করেছেন। সকলের দোয়ায় আজকে আমার এই অবস্থান। ৫ম শ্রেণিতে আমার প্রথম শিক্ষক সামছুর রহমান বলতেন আমি ভালো কিছু করতে পারবো। তার কথা ও মর্যাদা রাখতে পেরেছি সেটা আমার ভালো লাগার একটা জায়গা।
আরও পড়ুন: বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে সংসদে বিল উত্থাপন
মীম বলেন, আমি ডুমুরিয়ার মেয়ে। ডুমুরিয়া গলফ গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং খুলনা নগরীর সরকারি এম এম সিটি কলেজে আমি লেখাপড়া করেছি। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছি।
মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বুঝে পড়তে হবে। যেটাই পড়তে হবে কনসেপ্টটা ক্লিয়ার করে পড়তে হবে। যেটা আমি করেছি। মেডিকেলে সবাই ভাবে যে মুখস্ত করতে হবে। কিন্তু মুখস্ত করার চেয়ে জরুরি বুঝে পড়া। আজকে মুখস্ত করছি, কাল আর মনে থাকছে না। এমন হতে পারে। কিন্তু বুঝে পড়লে সফলতা পাওয়া যায়। আমার অনুজদের প্রতি পরামর্শ থাকবে তোমরা যেটুকু পড়বা বুঝে পড়বা, কেন পড়ছো, কি পড়তেছো সেটা বুঝতে হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে মীম বলেন, একজন ভালো ডাক্তার হওয়া, সবার প্রথম ভালো মানুষ হওয়া। যাতে মানুষের সেবা করতে পারি। যেহেতু সেবামূলক পেশায় যাচ্ছি, সেই সেবাটা যেন করতে পারি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে ডাক্তাররা কসাই, সেই ব্যাপারটা থেকে যেন একটু বের করে আনা যায়। সেটাই চেষ্টা করবো।
মীম বলেন, আমার আব্বু কলেজের শিক্ষক এবং আম্মু স্বাস্থ্যবিভাগে চাকরি করেন। আমরা দুই বোন। আমার আম্মুর ইচ্ছা ছিল দুই বোনের মধ্যে একজন ডাক্তার হবে। কিন্তু আপুর ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। ফলে আমার প্রতি তার ইচ্ছা ছিল যে ডাক্তার বানাতেই হবে। তার স্বপ্ন পূরণে আমি ডাক্তারি পেশাকে স্বপ্ন হিসেবে বেছে নিয়েছি।
মীমের বাবা মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আমার মেয়ে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম হওয়ায় আমরা গর্বিত। সে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব মনোযোগী। পঞ্চম শ্রেণিতে উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে। এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। এইচএসসি পরীক্ষাতেও গোল্ডেন পায়। আমি মহান আল্লাহ পাকের প্রতি কৃতজ্ঞ। সাফল্যের জন্য তার সকল শিক্ষককে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মীমের ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ার হবে। তবে তার মায়ের প্রচণ্ড ইচ্ছায় মেডিকেল কোচিংয়ে ভর্তি হয়। মায়ের অনুপ্রেরণায় তার এই সাফল্য। আমার মেয়ে যেন ভালো ডাক্তার ও মানুষ হয়ে গরিবের সেবা করতে পারে সেই দোয়া করি। সে যেন গ্রামের অসহায় মানুষের সেবা করে তার কাছে সেই প্রত্যাশা করি।’
কেশবপুর পাজিয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট ও মীমের মা খাদেজা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ের এমন সাফল্যের জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন ছিল দুই মেয়ের একজন ডাক্তার হবে। বড় মেয়ে হতে পারেনি। ছোট মেয়ে মীম ম্যাথ এবং ফিজিক্সে অনেক ভালো। তার স্বপ্ন ছিল ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু আমার ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হোক। আমি মোডিফাই করার চেষ্টা করি। কিন্তু তখনও হয়নি। তবে আমার মেডিকেল অফিসার বলতেন ইঞ্জিনিয়ারিং করে কি করবে। তার এবং ডা. সিয়াম স্যারের পরামর্শে তাকে কোচিং করানো হয়। তিন মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজ সে প্রথম হয়েছে।
মীমের মা আরও বলেন, আমার প্রত্যাশা মেয়ে ভালো মানুষ হবে। ডাক্তার হয়ে অসহায় মানুষের পাশে থাকবে। কয়েকদিন ধরে রাতে ঘুমাতে পারিনি। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি যেন ভালো ফলাফল করে। সকলের আশা মীম ভালো করবে। ভয় করতো যদি পিছলে যায়। আল্লাহ আমার ডাক শুনেছেন। আমার মেয়ে যেন অনেক ভালো মানুষ হতে পারেন, সমাজের গরীব-দুঃখীর পাশে দাঁড়াতে পারেন।
২ বছর আগে
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা: মানতে হবে যেসব শর্ত
রাজধানী ঢাকায় শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার পাঁচটি মেডিকেল কলেজের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরে কেন্দ্রে আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কেউ মাস্ক না পরে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করলে মাস্ক সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে।
সোমবার ডিএমপি সদরদপ্তরে ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উল্লিখিতসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম মেনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ব্যতীত প্রার্থীদের অন্য কোনো কাগজপত্র নিতে দেয়া হবে না। সকাল ৮টায় কেন্দ্রের গেট খুলে দেয়া হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সাড়ে ৯টার পর কেন্দ্রের গেট বন্ধ হয়ে যাবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সব পরীক্ষার্থীর দেহ তল্লাশি করা হবে। কেন্দ্র পরিদর্শক ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন রাখতে পারবে না। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পড়ুন: সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, শুক্রবার ঢাকা মহানগরীতে ১৮টি কেন্দ্রে মোট ৬১ হাজার ৬৭৮ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে।
কেন্দ্রগুলো হলো-ঢাকা মেডিকেল কলেজ (৯টি কেন্দ্র): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদ ভবন; লেকচার থিয়েটার ভবন; বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ভবন; সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ; মোকারম হোসেন, বিজ্ঞান ভবন; এ.এফ মুজিবুর রহমান, গণিত ভবন, বিজ্ঞান ভবন; কাজী মোতাহার হোসেন ভবন; উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, বকশি বাজার, ঢাকা।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (৩টি কেন্দ্র): ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজ এবং নিউ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ (২টি কেন্দ্র): তেজগাঁও কলেজ, ইন্দিরা রোড, ঢাকা এবং শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আগারগাঁও, ঢাকা। মুগদা মেডিকেল কলেজ (২টি কেন্দ্র): আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল ক্যাম্পাস, ঢাকা এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মুগদা ক্যাম্পাস, ঢাকা।
ঢাকা ডেন্টাল কলেজ (২টি কেন্দ্র): সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা এবং সরকারি বাঙলা কলেজ, মিরপুর, ঢাকা।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার, ৫টি মেডিকেল কলেজ ও ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিনিধি, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: প্রণোদনার দাবিতে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করলেন নার্সরা
২ বছর আগে
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিলের রিট আবেদন খারিজ
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন মেধা তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে পরীক্ষার ত্রুটি নিয়ে কোনো মেডিকেল পরীক্ষার্থী আবেদন করলে তা সাত দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ১৯ মে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল বাতিল করে নতুন মেধা তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ফেরদাওস জাহান মারিয়াসহ ৩২৪ পরীক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ রিট দায়ের করেছিলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়।
রিটে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা ফলাফলে অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক গত ৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে প্রচারিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি থাকা অবস্থায় তিনি যদি দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন, তবে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ নম্বর কর্তন করা হবে। আবার কোনো পরীক্ষার্থী যদি গতবছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন, তাহলে তার ৫ নম্বর কাটা যাবে। কিন্তু প্রকাশিত ফলাফল থেকে দেখা যায়, অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এই নিয়মটি পালন করা হয়নি।
এতে বলা হয়, যেসব পরীক্ষার্থীদের ৭.৫ নম্বর কর্তন করার কথা সেখানে মাত্র ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছে। ফলে ওইসব ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ২.৫ নম্বর বেশি দিয়ে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আবার প্রথমবার পরীক্ষায় যেখানে কোনো নম্বর কাটার কথা নয়, সেখানে অনেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকেই ৫ নম্বর কেটে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী অন্তত দুটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর ছিল দুটি করে। সেই সঙ্গে অন্তত তিনটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর ছিল না। সংরক্ষিত জেলা ও উপজাতি কোটার আসন পূরণেও ব্যাপক অসঙ্গতি করা হয়েছে। ঢাকা জেলা কোটা আবেদনকারী পরীক্ষার্থীকে দেখানো হয়েছে মেহেরপুর জেলার পরীক্ষার্থী হিসেবে। উপজাতি কোটায় সংরক্ষিত আসনে অসংখ্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি রেখে মেধা তালিকা প্রণয়ন করার ফলে হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী পরীক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার মুখে পড়েছে। এসব কারণে প্রকাশিত ফলাফল বাতিল করে এবং এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি সংশোধন করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকায় ভিত্তিতেই মেডিকেল কলেজগুলোতে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আগামী ২২ মে থেকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল চেয়ে রিট
রিটে বলা হয়, যে ত্রুটিপূর্ণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অর্থই হলো প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীকে বঞ্চিত করা, তাদের আজীবন লালিত আকাঙ্ক্ষা চিকিৎসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করা। সেইসঙ্গে দেশের সামগ্রিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেওয়া, যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭, ৩১, ৩২ ও ৪০ এর পরিপন্থী।
৩ বছর আগে
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ
মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত ও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একই সময়ে পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মুনতাসীর মাহমুদ রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: মন্ত্রী
এ আদেশের ফলে আগামী ২ এপ্রিলই এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মেডিকেলে ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এই তারিখ পেছানোর দাবিতে গত রবিবার রিট আবেদন দায়ের করেন ঝালকাঠির নলছিটির বাসিন্দা তাইমুর খান বাপ্পী।
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রিট দায়েরের পর তার আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান জানিয়েছিলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে সার্কুলার হয়। তখন কিন্তু করোনার প্রকোপ এ রকম ছিল না। এখন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এছাড়া এখনো কেনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়নি। তাই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত এবং করোনার প্রকোপ কমলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একই সময়ে নেওয়ার কথা রিটে বলা হয়েছে।
আবেদনে শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মেডিকেল এডুকেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৩ ফুট দূরত্ব রেখে পরীক্ষার্থীরা বসবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, সেখানে সেনিটাইজার থাকবে। ভেন্যুতে অন্য কাউকে ঢুকতে দেবো না, অভিভাবকরা যাতে ভালো অবস্থায় থাকতে পারে সে বিষয়গুলো আমরা নজরে এনেছি।’
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমবিবিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। প্রতিবছর আমরা পরীক্ষাটি নিয়ে আসছি। এবার ২ এপ্রিল পরীক্ষা নেয়া হবে। এবার ১ লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে। সারাদেশে ৫৫টি সেন্টার আমরা নির্ধারণ করেছি, প্রয়োজন হলে বৃদ্ধি করা হবে।
পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনিটরিং সেল গঠন করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেলে যোগাযোগ করা যাবে। এবং তারা সার্বিক ব্যবস্থা নেবে। কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হবে এবং কোনো ফটোকপি মেশিন কেন্দ্রের আশপাশে থাকতে পারবে না। তাহলে আমরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা নিতে পারব, সফলতার সাথে নিতে পারব।
৩ বছর আগে