মেডিকেল কলেজে প্রথম বর্ষ এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত ও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একই সময়ে পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মুনতাসীর মাহমুদ রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: মন্ত্রী
এ আদেশের ফলে আগামী ২ এপ্রিলই এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মেডিকেলে ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এই তারিখ পেছানোর দাবিতে গত রবিবার রিট আবেদন দায়ের করেন ঝালকাঠির নলছিটির বাসিন্দা তাইমুর খান বাপ্পী।
আরও পড়ুন: লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রিট দায়েরের পর তার আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান জানিয়েছিলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে সার্কুলার হয়। তখন কিন্তু করোনার প্রকোপ এ রকম ছিল না। এখন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এছাড়া এখনো কেনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়নি। তাই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত এবং করোনার প্রকোপ কমলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একই সময়ে নেওয়ার কথা রিটে বলা হয়েছে।
আবেদনে শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, মেডিকেল এডুকেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়।
এদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বুধবার বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ৩ ফুট দূরত্ব রেখে পরীক্ষার্থীরা বসবে। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, সেখানে সেনিটাইজার থাকবে। ভেন্যুতে অন্য কাউকে ঢুকতে দেবো না, অভিভাবকরা যাতে ভালো অবস্থায় থাকতে পারে সে বিষয়গুলো আমরা নজরে এনেছি।’
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এমবিবিএস পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এমবিবিএস একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। প্রতিবছর আমরা পরীক্ষাটি নিয়ে আসছি। এবার ২ এপ্রিল পরীক্ষা নেয়া হবে। এবার ১ লাখ ২২ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছে। সারাদেশে ৫৫টি সেন্টার আমরা নির্ধারণ করেছি, প্রয়োজন হলে বৃদ্ধি করা হবে।
পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনিটরিং সেল গঠন করেছি। কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেলে যোগাযোগ করা যাবে। এবং তারা সার্বিক ব্যবস্থা নেবে। কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হবে এবং কোনো ফটোকপি মেশিন কেন্দ্রের আশপাশে থাকতে পারবে না। তাহলে আমরা সুন্দরভাবে পরীক্ষা নিতে পারব, সফলতার সাথে নিতে পারব।