মেগা উদযাপন
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
দুটি মেগা উদযাপনে যোগ দিতে দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকায় পৌঁছেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজনে যোগ দিতে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল এবং ভুটানের পর ঢাকায় আসা নরেন্দ্র মোদি পঞ্চম বিশ্ব নেতা।
সফরসঙ্গীসহ তিনি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। পরে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান।
বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শেখ হাসিনা অভ্যর্থনা মঞ্চে পৌঁছালে তিন বাহিনীর সুসজ্জিত একটি দল গার্ড অব অনার দেয়।
বিমানবন্দরে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। চারা রোপণ করার পাশপাশি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।
এরপর তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক: মোদি
শুক্রবার বিকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে যৌথভাবে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু যাদুঘর’ উদ্বোধন করবেন। সেখানে মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজ সভায় যোগ দেবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার সকালে নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ পরিদর্শন এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এরপর গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলায় ওরাকান্দি মন্দির পরিদর্শন এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ঈশ্বরিপুরে অবস্থিত যশোরেশ্বরী দেবী মন্দির পরিদর্শনের কথা রয়েছে।
বিকালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এ সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচটিরও বেশি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদি ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার আহ্বান মোদি-বাইডেনের
৩ বছর আগে
মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে সাধারণ মানুষ খুশি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ খুব খুশি এবং তাদের বেশিরভাগই তার সফরকে (২৬-২৭ মার্চ) স্বাগত জানিয়েছে, কয়েকটি সংগঠনের নেতা-কর্মী এই সফরের বিরোধিতা করলেও দুই দেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
আরও পড়ুন: মোদির বিরোধিতাকারীদের ইন্ধন দিচ্ছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
মোদি বিরোধী মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ২৫
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার সকালে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে সব মতের মানুষের বক্তব্য প্রকাশের স্বাধীনতা আছে।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদির সফর মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী নিয়ে হলেও দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।’
আরও পড়ুন: মোদির সফরের বিরোধিতা নিয়ে চিন্তিত নই: মোমেন
বঙ্গবন্ধু মানবাধিকার ও স্বাধীনতার রক্ষক: মোদি
এর আগে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ১৭ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
এছাড়া ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, পোপ ফ্রান্সিস, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে অ্যাজুলাইসহ অনেক বিশ্ব নেতা এই উদযাপন উপলক্ষে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন।
৩ বছর আগে