দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৫৯, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ লাখেরও বেশি মানুষ
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বন্যায় মৃত্যুর সংখ্যা একদিনে আরও ৫ জন বেড়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ৫৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭০২ জন।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫২, ক্ষতিগ্রস্ত ৫৮ লাখ মানুষ
প্রতিবেদন বলা হয়, বন্যায় মৃতের সংখ্যা ৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪১, নারী ৬ ও শিশু ১২ জন। এদের মধ্যে কুমিল্লায় ১৪, ফেনীতে ২৩, চট্টগ্রামে ৬, খাগড়াছড়িতে ১, নোয়াখালীতে ৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১, লক্ষ্মীপুরে ১, কক্সবাজারে ৩ ও মৌলভীবাজারে একজন। এছাড়া বর্তমানে মোট ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৯৯৫টি পরিবার পানিবন্দি।
প্রতিবেদন বলা হয়, মৌলভীবাজারে একজন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম, হবিগঞ্জ, সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতি এখন পুরোপুরি স্বাভাবিক। মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। এদিকে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভয়াবহ বন্যায় ঝুঁকিতে ২০ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
প্রতিবেদন আরও বলা হয়, পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় দিতে মোট ৩ হাজার ৯২৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৩০৫ জন লোক এবং ৩৬ হাজার ১৩৯টি গবাদি পশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে মোট ৫১৯টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
৩ মাস আগে
বন্যায় ৬ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ১৮ লাখ মানুষ
দেশের বন্যাকবলিত ৬ জেলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে আরও বলা হয় ছয়টি জেলার ৪৩টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এতে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৬৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৪২ জন মানুষ। এছাড়া ফেনীর ফুলগাজীতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলমান বন্যায় দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি জেলায় দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ হিসেবে নগদ গত ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা বিতরণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। গত ২০ আগস্ট থেকে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া আট হাজার ৫৫০ টন চাল এবং আট হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে চট্টগ্রামে- নগদ অর্থ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা, ১ হাজার ৬০০ টন চাল, কুমিল্লায়- ২৫ লাখ টাকা ও এক হাজার ৬০০ টন চাল, ফেনীতে- ৪২ লাখ টাকা, ১ হাজার ৪০০ টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, নোয়াখালীতে- ২৫ লাখ টাকা, ১ হাজার ৬০০ টন চাল, সিলেটে- ২৫ লাখ টাকা, ২ হাজার ১০০ টন চাল ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, মৌলভীবাজারে ১০ লাখ টাকা, ১ হাজার ৮৫০ টন চাল ও ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
পানিবন্দি মানুষের জন্য মোট ১ হাজার ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭ হাজার ৮৮২ জন দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসায় ৩০৯টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।
দুর্গতদের সহায়তার জন্য মন্ত্রণালয় সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ০২৫৫১০১১১৫ নম্বরে যোগাযোগ করে যে কেউ সহায়তা চাইতে পারবেন।
ফেনীতে বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী কাজ করছে। এছাড়া একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার অভিযানে বিজিবির নৌযান আনা হচ্ছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। বাড়ছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীর পানি।
৪ মাস আগে
বন্যার কবলে ৮ জেলা, বিস্তৃত হতে পারে আরও
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা জানিয়েছেন, দেশের মধ্যে ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী, হালদা নদীর পানি ৭টি স্টেশনে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই ও সারিগোয়াইন নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।’
বুধবার (২১ আগস্ট) বিকালে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। এছাড়া বন্যা আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যার কবলে ফেনী: হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত, নিহত ১
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে।’
এ কারণে ওই সব অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে বলে জানান তিনি।
বন্যায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বন্যা আক্রান্ত জেলার জেলা প্রশাসক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে।’
বন্যা আরও বাড়বে কি না- জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী কয়েক ঘণ্টার সেটার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকিটা আপনাদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার বলতে পারব।’
ত্রাণ কার্যক্রমের বিষয়ে- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ কাজের জন্য নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চাল-শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, আমাদের জেলা গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। প্রকৃত রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা দুর্গতদের কাছে আরও ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী টিম ফেনীতে পৌঁছে গেছে। তারা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। সেখানে সেনাবাহিনীর ৬টি বোট চলে গেছে।’
যুগ্মসচিব বলেন, ‘ফেনী জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ৬০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। অন্যান্য জেলাগুলোর প্রতিবেদন এখনও পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ফেনী জেলা।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভারী বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৮৭
৪ মাস আগে
ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহের সুপারিশ জাতীয় সংসদের
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে যথাযথভাবে সজ্জিত করার পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
বৃহস্পতিবার কমিটির সভাপতি এবি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কমিটির ৩৩তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
কমিটি রেডিও, টেলিভিশন ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রচারণা বাড়িয়ে আগুন লাগার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে।
বৈঠকে কালবৈশাখী, ঝড়, অগ্নিকাণ্ড ও ভবন ধসে মন্ত্রণালয়ের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েও বিস্তৃত আলোচনা হয়।
কমিটির আগের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি সম্পর্কেও জানানো হয়।
কমিটির সদস্য মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও কানিজ সুলতানা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: টেলিটক পরিষেবার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিন: মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে সংসদের স্থায়ী কমিটি
একাদশ জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশন স্থগিত
অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩ জাতীয় সংসদে উত্থাপন
১ বছর আগে
বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে কমিটি গঠনের সুপারিশ
দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে এই মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ২৫তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে ইতিপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি, সুনামগঞ্জ ও সিলেটের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি, বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারের পদক্ষেপ এবং নদী ভাঙ্গন রোধে মন্ত্রণালয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বন্যা কবলিত জেলায় বিশেষ কৃষিঋণ দেয়ার নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
প্রস্তাবিত কমিটির প্রধান কাজ হবে-কী পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে, বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ, বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ এবং বন্যার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।
নিরাপদ সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে নলকূপ স্থাপন, বাড়িঘর ও স্কুল নির্মাণের জন্য টিন বিতরণ এবং বন্যা কবলিত এলাকায় পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য ওষুধ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে পার্লামেন্টারি ওয়াচডগ।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল
সমানভাবে বিতরণের পরিবর্তে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা কবলিত এলাকায় বন্যার ত্রাণ বরাদ্দ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।
বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, সংসদীয় কমিটির সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, আফতাব উদ্দিন সরকার, মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জুয়েল, মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও কাজী কানিজ সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
২ বছর আগে
সীতাকুণ্ডে হতাহতদের সহায়তায় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়
সম্প্রতি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে নগদ এক কোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
রবিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. সেলিম হোসেন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর শোক
এতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের দাফন-কাফন ও সৎকার এবং আহতদের চিকিৎসার্থে এই অর্থ ব্যয় করা হবে। এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এক হাজার শুকনো অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।।
২ বছর আগে
উঁচু ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সবাইকে উঁচু ভবন নির্মাণের সময় অগ্নি ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে ভাষণ দেয়ার সময় তিনি বলেন,যে কোনও উঁচু ভবন নির্মাণের সময়, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। দুর্যোগের ঝুঁকি কমাতে আমরা ধীরে ধীরে উদ্ধার সরঞ্জামও সংগ্রহ করছি।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫০ বছর এবং আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন এবং কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধ মাঠ থেকে দর্শকরা যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আগুন ও অন্যান্য দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে কাজ করছে, এটি ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি করছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মানুষকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের নিজেদেরই কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। যখনই আপনি ঘরবাড়ি, অফিস বা ব্যবসায়িক স্থাপনা নির্মাণ করবেন, তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে যে আগুনের ঘটনা, ঘূর্ণিঝড় বা বন্যা হতে পারে। সুতরাং, আপনাকে ঝুঁকিমুক্ত থাকতে হবে এবং আগাম চুক্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভবন নির্মাতা ও ব্যবহারকারীদের অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে
ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় পৌঁনে ১২ কোটি টাকা, ২৩ হাজার ৬০০ টন চাল বরাদ্দ
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিধিনিষেধসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তায় সারাদেশে ১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ও ২৩ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে রবিবার এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনগুণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাই দেশের ৬৪টি জেলাযর জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ৫ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন চাল ও তিন কোটি এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একই ধরনের সহায়তা দিতে দেশের ৬৪ জেলার ৩২৮টি পৌরসভার অনুকূলে মোট ৩ হাজার ২৮০ টন চাল ও মোট তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দের শর্তানুযায়ী বরাদ্দ দেয়া চাল এবং নগদ টাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও কোভিড-১৯ এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন শ্রমিকসহ কর্মহীন ও দুঃস্থ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণ করতে হবে। ৩৩৩-নম্বরে ফোন করলে মানবিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদেরকে বরাদ্দ থেকে খাদ্য সহায়তা (চাল, ডাল, লবণ, তেল, আলু ইত্যাদি) দিতে হবে।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ বিশ্বে প্রশংসিত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
আরেকটি চিঠিতে কোভিড-১৯, বন্যা, নদী ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে ৬৪ জেলা প্রশাসকদের অনুকূলের মোট ১৪ হাজার ১০০ মেট্রিক টন চাল এবং এক কোটি ৪১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে
লকডাউনে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না: সচিব
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৪ এপ্রিল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চলাকালীন নিম্ন আয় ও কর্মহীন লোকেরা যাতে কোনো খাদ্য সংকটের মুখোমুখি না হয় সেজন্য সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন ইউএনবিকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৫৭২ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে। প্রয়োজনে বরাদ্ধ আরও বাড়ানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই বরাদ্ধকৃত টাকা ইতোমধ্যে সকল উপজেলায় পৌঁছে গেছে এবং যথাসময়ে বিতরণ শুরু হবে । এখন ১ কোটি ২৪ লাখ পরিবার এই অর্থ পাবেন । পরিবার সংখ্যা প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে। একটি কর্মহীন পরিবারও যাতে বাদ না যায় সেটি সরকার দেখবে।’
১৪ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ এক সপ্তাহের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হবে। দেশে লকডাউন শুরু হলে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে যাবে।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গত বছরের মাসব্যাপী ‘সাধারণ ছুটি’ চলাকালীন কয়েক লাখ লোক কর্মহীন হয়ে পড়ে।
তবে, সচিব বলেন, কেউ যাতে খাদ্যে কষ্ট না পান তা নিশ্চিত করার জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে।
ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি
কোভিড-১৯ সময়ে সর্বাত্মক লকডাউন ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশের দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারের সাহায্যার্থে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ১২১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারা দেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৬ টিসহ মোট এক কোটি নয় হাজার ৯৪৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু; প্রজ্ঞাপন জারি
পরিবার প্রতি ১০ কেজি চালের সমমূল্য অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষে উপজেলাসমূহের জন্য ৩৯৫ কোটি ছয় লাখ ৪১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং পৌরসভারসমূহের জন্য ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭০০ টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
মহসিন বলেন, ‘এটি রমজানে দরিদ্র পরিবারগুলোর ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, এই লক্ষে ১২১ কোটি ৬৫ লাখটাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।’
৩ বছর আগে
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯ পরিবার পাবে আর্থিক সহায়তা: ত্রাণ মন্ত্রণালয়
মুজিববর্ষে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এ লক্ষ্যে ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ বরাদ্দ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শাল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা
ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ৬৪টি জেলার ৪৯২টি উপজেলার জন্য ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ২০৩টি এবং ৩২৮টি পৌরসভার জন্য ১২ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৬টিসহ মোট এক কোটি ৯ হাজার ৯৪৯টি ভিজিএফ কার্ডের বিপরীতে এ বরাদ্দ দেয়া হয়। পরিবার প্রতি ১০ কেজি চালের সমমূল্য অর্থাৎ কার্ডপ্রতি ৪৫০ টাকা হারে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলাসমূহের জন্য ৩৯৫ কোটি ছয় লাখ ৪১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং পৌরসভারসমূহের জন্য ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার সাতশত টাকা অর্থাৎ সর্বমোট ৪৫০ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে পানি সরবরাহ উন্নয়নে জাপান ও ইউএনএইচসিআরের সহায়তা
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর আনন্দের সাথে উদযাপনে অসহায়, দুস্থ ও অতিদরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, দুস্থ ও অতিদরিদ্র পরিবারকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে পবিত্র রমজানের সময় প্রদত্ত এ সহায়তা অতিদরিদ্র্য পরিবারের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
৩ বছর আগে