ঐক্যের আহ্বান
সাংবিধানিক-রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির প্রচেষ্টা বানচালে ঐক্যের আহ্বান বিএনপির
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবির মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির যেকোনো প্রচেষ্টা বানচাল করতে জাতীয় ঐক্য জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের যেকোনো ষড়যন্ত্র তারা গণতন্ত্রপন্থি সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করবেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদী সরকারের সহযোগীরা দেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা ও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। আমরা মনে করি, বহু প্রাণের বিনিময়ে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা যে পরিবর্তন করেছি তা পুনরুদ্ধার করতে জাতীয় ঐক্য আরও সুসংহত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
এর আগে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ ও সালাহউদ্দিন আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন নজরুল ইসলাম।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তারা জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনদুর্ভোগের কথাও তারা বলেছেন। ‘এ সমস্যা সমাধানে সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি আমরা।’
নজরুল ইসলাম বলেন, সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন এবং ছাত্র-যুব সংগঠনের সমন্বয়ে একটি ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ‘দেশে যেন কেউ নতুন কোনো রাজনৈতিক বা সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, সরকারের উচিত সংস্কার প্রক্রিয়া জোরদার করা এবং ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটি দ্রুত সম্পন্ন করা। এটিই সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্ক্ষা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ যে অব্যাহত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে সরকারকে তা সমাধান করতে হবে এবং চূড়ান্তভাবে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে, যা সাম্প্রতিক গণআন্দোলনের মূল আকাঙ্ক্ষা।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারের দোসররা সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির অশুভ প্রচেষ্টা চালালে আন্দোলনে থাকা সব গণতন্ত্রপন্থি রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে এই সংকট মোকাবিলা করবে বলেও আমরা জানিয়েছি।’
রাষ্ট্রপতির অপসারণের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা তাদের কাছে কোনো মতামত চেয়েছেন কি না তা জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান নজরুল।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার
৪ সপ্তাহ আগে
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ঐক্যের আহ্বান মোদির
সন্ত্রাসবাদের মতো অমানবিক কাজের পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সন্ত্রাসবাদের মতো সাধারণ হুমকির কথা উল্লেখ করে শুক্রবার তিনি বলেন, ‘এই অমানবিক কাজের পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবে রূপদানকারী শক্তিগুলো এখনও সক্রিয় রয়েছে। আমাদের অবশ্যই তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে এবং তাদের মোকাবিলা করার জন্য সংগঠিত হতে হবে।’
মোদি বলেন, আমরা ঐতিহ্যের অংশীদার, আমরা উন্নয়নের অংশীদার, আমরা লক্ষ্যও ভাগাভাগি করি, আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোও ভাগাভাগি করি।
আরও পড়ুন: স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
মেগা উদযাপনে যোগ দিতে ঢাকায় নরেন্দ্র মোদি
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে বাণিজ্য ও শিল্পে আমাদের জন্য একই ধরনের সম্ভাবনা থাকলেও তেমনি সন্ত্রাসবাদের মত সমান বিপদও রয়েছে।’
মোদি বলেন, ‘আমাদের উভয় দেশেই গণতন্ত্রের শক্তি রয়েছে, এগিয়ে যাওয়ার সুস্পষ্ট দূরদর্শিতা রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ অগ্রযাত্রা এই পুরো অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মোদি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার এই গুরুত্বপূর্ণ পর্বে আমাকে অংশ করায় আমি আনন্দিত।’
তিনি বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানান যিনি তার পুরো জীবন বাংলাদেশ ও জনগণের জন্য উত্সর্গ করেছেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে একযোগে কাজ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারতীয়দের জন্য এটি গর্বের বিষয় যে শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করার সুযোগ পেয়েছি।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৩ বছর আগে