বাসচালক
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭: আশুলিয়া থেকে বাসচালক গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বাসচালককে সাভারের আশুলিয়া থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার চালকের নাম মোহন খান (৪০)।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, র্যাব-৮ এর একটি দল আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে গভীর রাতে মোহনকে গ্রেপ্তার করে।
মঈন বলেন যে হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও মোহন ভারী যানবাহন চালাতেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে পুকুরে বাস পড়ে ১৭ জনের মৃত্যু, আহত ৩৫
এর আগে সোমবার সকালে ঝালকাঠির রাজাপুর এলাকা থেকে বাসের সুপারভাইজার ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই পিরোজপুর থেকে বরিশালে যাওয়ার পথে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দায় স্মৃতি পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন।
এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুশংকর বাদী হয়ে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আসামি করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, আরোহী আহত
গাড়ি চালানো অবস্থায় চালক হৃদরোগে আক্রান্ত, দুর্ঘটনায় নিহত ২
১ বছর আগে
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক সেনা সদস্য এবং এক বাসচালক নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পৃথক ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, দিনাজপুরের চাম্পাতলীতে রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
নিহত রুহুল আমিন দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলার খোলাহাটির জাকির হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮ম ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নে কর্পোরাল পদে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের চিরিরবন্দরের ৩নং ফতেজংপুর ইউনিয়নের চম্পাতলী ফকিরের মোড় এলাকায় ব্রিজের পূর্ব পাশে সৈয়দপুর হয়ে রংপুরগামী একটি মাইক্রোবাস মোটর সাইকেলকটির পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে দুঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন মোটরসাইকেলের চালক।
হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক জানান, নিহত রুহুল আমিন সেনা বাহিনীর ৮ম ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ে কর্পোরাল পদে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশিদ জানান, মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে। তবে আরোহীসহ চালক পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, কিছু সময়ের জন্য মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে, ফুলবাড়ী সড়কের পাঁচবাড়ীতে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কায় বাসের চালক নিহত হয়েছেন। এসময় কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়েছে।
রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টায় দিনাজপুর ফুলবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাঁচবাড়ীতে প্রণয় পরিবহনের একটি যাত্রী বাসকে ওভারটেক করার সময় ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক। এসময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে উল্টে পড়ে বাসটি। এতে দুর্ঘটনাস্থলে বাসের চালক আবু বক্কর নিহত হয়েছেন এবং কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম তানভীর জানান, নিহত বাস চালক আবু বক্কর (৩০) জেলা সদরের উমরপাইল গ্রামের গোয়ালপাড়ার আফতাব উদ্দিনের ছেলে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু
সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যু হার ১৭ শতাংশ বেড়েছে: এসসিআরএফ
১ বছর আগে
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭: পরিবহন শ্রমিক নেতাদের মধ্যস্থতায় বাসচালকের আত্মসমর্পণ
যশোরে যাত্রীবাহী বাস ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে সাতজনের মৃত্যুর ঘটনায় বাসচালক মিজানুর রহমান (৪২) আত্মসমর্পণ করেছেন।
শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যশোর জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যস্থতায় যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: যশোরে ছুরিকাঘাতে নিহত ১
মিজানুর রহমান যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পাঠান পাইকপাড়ার নজরুল শেখের ছেলে এবং যশোর-মাগুরা সড়কের স্থানীয় রয়েল পরিবহনের বাসচালক।
শনিবার রাতে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানাতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, যশোরের পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সেই চালককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই দুর্ঘটনা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছি। তাকে রবিবার (৯ জুলাই) আদালতে পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
যশোরে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
১ বছর আগে
মগবাজার ফ্লাইওভারে পিকআপের চাপায় বাসচালক নিহত
রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভারে পিকআপের চাপায় এক বাসচালক নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার ভোরে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শহিদুল ইসলাম বাবু (৩৫) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। তিনি তুরাগের বাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন জানান, বাস চালক শহিদুল সায়েদাবাদগামী বলাকা পরিবহনের একটি বাসের গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এক পর্যায়ে বাসটি মগবাজার ফ্লাইওভারের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রেলিংয়ে ধাক্কা খায়।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে বাসচালকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
তিনি আরও বলেন, এতে বাস থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান শহিদুল। এরপর বাসের পাশ দিয়ে যাওয়া একটি পিকআপ তাকে চাপা দেয়।
পুলিশ জানায়, গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসআই রুহুল আমিন বলেন, পিকআপটি শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ক্রিস্টাল মেথসহ বাসচালক-হেলপার আটক
১ বছর আগে
সোনারগাঁয়ে বাসচালকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
সোনারগাঁয়ে মো. মোস্তফা নামে এক বাস চালকের বস্তাবন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বেইলর এলাকার এশিয়ান হাইওয়ের সংযোগ রাস্তার পাশে ওই লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ডোবা থেকে বাকপ্রতিবন্ধী যুবকের লাশ উদ্ধার
খবর পেয়ে পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে।
পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে লাশের নাম পরিচয় মো. মোস্তাফা সনাক্ত করার পর নিহতের পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ।
নিহত মো. মোস্তফা ফেনী জেলার দাগনভূঁয়া থানার নয়নপুর গ্রামের মো. কোরবান আলীর ছেলে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আহসান উল্লাহ জানান, ধারণা করা হচ্ছে গত চার থেকে পাঁচ দিনে আগে দুর্বৃত্তরা বাস চালক মো. মোস্তফাকে হত্যা করে লাশটি বস্তায় ভর্তি করে বেইলর রাস্তার পাশে ডোবায় ফেলে যায়।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
মেঘনায় নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলের লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
ঢাকায় ক্রিস্টাল মেথসহ বাসচালক-হেলপার আটক
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১ কেজি ৭০০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথামফেটামিন (বরফ)সহ এক বাস চালক ও তার সহযোগীকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক আল আমিন নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মঙ্গলবার বিকালে যাত্রাবাড়ীর আলকারিম হাসপাতালের সামনে সহকারী পরিচালক (গোয়েন্দা) মুহাম্মদ রিফাত হোসেনের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।এসময় তাদের কাছ থেকে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো, মাদক চোরাচালান চক্রের প্রধান ও টেকনাফের ক্রিস্টাল মেথের প্রধান ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম হোসেন এবং তার সহযোগী মেহেদী হাসান।
সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাসচালকের ছদ্মবেশে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ঢাকায় ক্রিস্টাল মেথের ব্যবসা করতেন জাহাঙ্গীর আলম হোসেন।
জাহাঙ্গীর ২০১৫ সাল থেকে ইয়াবা ব্যবসা করে আসছেন এবং ২০২০ সাল থেকে ক্রিস্টাল মেথ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে মাদকাসক্ত ব্যক্তির ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক খুন
এর আগে সে টেকনাফ সীমান্ত থেকে ঢাকায় মাদক সরবরাহ করত। পরে সে নিজেই এ ধরনের চোরাচালান করার জন্য একটি চক্র গঠন করে বলে জানান আল আমিন।
উচ্চমূল্যের কারণে ক্রিস্টাল মেথ চোরাচালান ও বিক্রির জন্য তিনি একটি পৃথক সিন্ডিকেটও গঠন করেন। সে তার সহযোগী মেহেদীর মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে মাদক পাচার করত।
ওই কর্মকর্তা জানান, মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাহাঙ্গীরকে চারবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে।
তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডিএমপি’র মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৬০
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে বাসচালককে পিটিয়ে হত্যা, প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপু এলাকায় নোহা গাড়িকে সাইট না দেয়ায় বাসচালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ এবং হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিকরা।
নিহত আব্দুর রহিম ৩নং সিটি সার্ভিস বাসের চালক ও রাউজানের গহিরা এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডাকাত সন্দেহে ৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ২ ডিসেম্বর
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাঁচলাইশ থানাধীন আমিন জুটমিল ১ নম্বর গেইট এলাকায় নোহা গাড়িকে সাইট না দেয়ায় দ্রুতযান স্পেশাল সার্ভিস নামে ওই বাসচালককে বেধড়ক মারধর করে নোহার যাত্রীরা। পরে চালককে বাসের যাত্রীরা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত সাড়ে ১০টায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিম মারা যান।
এদিকে চালক রহিম হত্যার বিচারের দাবিতে শনিবার সকালে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়ে পরিবহন শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। শ্রমিকরা সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হাটহাজারীতে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। তবে দুপুরে পর্যন্ত চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে বাস শ্রমিকরা।
হাইওয়ে পুলিশের রাউজান থানার ওসি কামরুল আজাদ বলেন, ‘বাসচালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সকালে পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে ডেকে তোলায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যা!
চট্টগ্রাম পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান বলেন, রাস্তায় সাইট না দেয়ার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের এক বাসচালককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার সহকর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন। আমরা ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করছি। হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
৩ বছর আগে
রাজশাহীতে ১৭ জন নিহতের ঘটনায় হানিফ বাসের চালক গ্রেপ্তার
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটনায় একমাত্র আসামি কেটিসি হানিফ পরিবহন বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন বেলপুকুর থানার মাহিন্দ্র বাইপাস থেকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে কাটাখালি থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার আব্দুর রহিম জেলার পুঠিয়া উপজেলার বারই পাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ১৭
তিনি জানান, শুক্রবার চালকের নাম উল্লেখ না করে মামলা করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তার নাম মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এর আগে কেটিসি হানিফ পরিবহনের বাসচালককে আসামি করে কাটাখালী থানার উপপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, লাশ নিতে রাতেই রাজশাহীতে পৌঁছেছেন স্বজনরা। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার ও নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ২
প্রসঙ্গত, শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে নগরীর কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটিতে আগুন লেগে ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হন। নিহত নারী ও শিশুসহ ১১ জনই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর আহত আটজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাদের মধ্যে ছয় জন মারা যান।
দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন। এরা সবাই মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া পাভেল (১৯) নামে এক মাইক্রোবাস আরোহী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুর্ঘটনায় বাসের হেলপারসহ তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। তারাও রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তাদের অবস্থা ততটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিএম) আবু আসলামকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি করেছেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় পিকনিকের বাস উল্টে নিহত ২, আহত ৯
জেলা প্রশাসক জানান, তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিলে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বলা যাবে। আর সরকারি খরচে মরদেহগুলো পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬
৩ বছর আগে