গ্যাস লিকেজ
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- অরিজিৎ (৩৫), তার স্ত্রী রিংকু (২৮) ও তাদের ১৯ মাস বয়সী সন্তান কাব্য। অরিজিৎ একটি এনজিওতে চাকরি করেন। আর তার স্ত্রী গৃহিণী। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: ফেনীতে আগুনে ঘুমন্ত ২ শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ মা
তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশি আরমান আলী মোল্লা বলেন, রাত ৩টার দিকে আড়াইহাজারের নাগেরচর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ির নিচ তলায় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে দগ্ধ ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।
তাদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, রাত ৩টার দিকে বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে রান্না ঘরে যান রিংকু। এরপর দিয়াশলাই জ্বালাতেই ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে তারা ৩ জন দগ্ধ হন।
তার ধারণা- গ্যাস লিকেজের কারণে গ্যাস জমে ছিল। সেখান থেকেই আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, রিংকুর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া তার স্বামীর ১৪ শতাংশ এবং সন্তানের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
১ বছর আগে
গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ একজন বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ জনে।
নিহত মিনারুল ইসলাম (৩৫) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার ছিলেন এবং তিনি গাজীপুর শহরের বোর্ড বাজার এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারুল মারা যান। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
উল্লেখ্য, গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন দগ্ধ হন।
আহতরা হলেন- মিনারুল, তার বাবা ফরমান মণ্ডল (৭৫), মা খাদিজা বেগম (৬৫) ও অজ্ঞাত পরিচয়ে একজন।
তাদের মধ্যে ফরমান মণ্ডল সোমবার বিকালে বিশেষায়িত হাসপাতালে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাইভেটকার চালক নিহত
১ বছর আগে
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস পাইপলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য দগ্ধ হয়েছেন।সোমবার ভোররাতে জুরাইন সরদার বাজারের সলিমুল্লাহ রোডের একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- আলতাফ সিকদার (৭২), তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০), তার স্বামী আতাহার (৩৫) ও তাদের মেয়ে আফসানা (৫)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহতদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের হাসপাতালের পর্যবেক্ষণ ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
ফতুল্লায় ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪, আহত ৬
১ বছর আগে
তেজগাঁওয়ে গ্যাসের লিকেজ থেকে অগ্নিদগ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় নাখালপাড়ায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া স্বামী ও স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেন তেজগাঁও মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সালেকিন মিল্লাত তৌফিক।
নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৫৮) ও তার স্ত্রী আনিসা বেগম (৫০)।
আরও পড়ুন: শেরপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৪ বছরের শিশুর মৃত্যু
তেজগাঁও মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সালেকিন মিল্লাত তৌফিক জানান, ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ মর্গে পাঠিয়েছেন তেজগাঁও মডেল থানার পুলিশ।
ওই দম্পতির ছেলে মো. আনিসুর জানান, ১৫ জুন তার বাবা-মা ঘুমন্ত অবস্থায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়েছেন।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে ভর্তি করলে সেখানে তারা মারা যান।
আরও পড়ুন: অবশেষে মারা গেলেন নবীনগরে পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ লতিফা
সীতাকুণ্ডে জাহাজ ভাঙা কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু
১ বছর আগে
ভারতে কারখানার গ্যাস লিকেজে নিহত ১১
ভারতের পাঞ্জাবে একটি কারখানার গ্যাস লিকেজের ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। রবিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যটির লুধিয়ানা জেলায় একটি শিল্পাঞ্চালে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাজ্য পুলিশ জানায়, কি কারণে গ্যাস লিকেজ হয়েছে তা এখনও পরিস্কার নয়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মন বলেন, একটি কারখানা থেকে গ্যাস লিকেজ হয়েছে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান তিনি।
ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সেস জানায়, জনবহুল ওই এলাকা বন্ধ করে দিয়ে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়েছে। তারা গ্যাসের ধরন শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জেলার ডেপুটি কমিশনার সুরভি মালিক বলেন, ‘ম্যানহোল থেকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। গ্যাসের নমুনা সগ্রহ করার কাজ চলছে। ম্যানহোলেরর ভেতরে থাকা মিথেন গ্যাসের সঙ্গে রাসায়ানিক মিশে প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে ।’
আরও পড়ুন: ভারতে মিউজিশিয়ানদের বহনকারী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৩
ভারতে মন্দিরে কূপ ঢেকে রাখার কাঠামো ভেঙে নিহত ৩৫
ভারতে বাস দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত
১ বছর আগে
সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ গ্যাস লিকেজ থেকে হয়নি: তিতাস গ্যাস
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণের সঙ্গে গ্যাস লিকেজের কোনো সম্পর্ক নেই।
বুধবার বিকালে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনের পর তিতাস গ্যাসের পরিচালক (অপারেশন) সেলিম মিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমাদের অনুসন্ধানে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে বিস্ফোরণের সঙ্গে গ্যাস লিকেজের কোনও সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিস্ফোরণের পর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে গ্যাসের কোনো উপস্থিতি খুঁজে পায়নি তিতাস দল।
তিনি বলেন, দলটি পুরো এলাকা পরীক্ষা করে দেখেছে, কিন্তু কোনো প্রাকৃতিক গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
সেলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিল্ডিংটিতে একটি গ্যাস-রাইজার ছিল, কিন্তু সেটি অক্ষত ছিল। দ্বিতীয়ত, যদি কোনো গ্যাস লিকেজ হতো তাহলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটত।’
এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার সিদ্দিক বাজারে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের কাছে একটি পাঁচতলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১৯ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হন।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণের কারণ নমুনা পরীক্ষা করে জানা যাবে: র্যাবের পরিচালক
আহতদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন।
সকাল ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন জানান, সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের উপ-অতিরিক্ত পরিচালক শাহজাহান সিকদার।
আরও পড়ুন: গুলিস্তান বিস্ফোরণ: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে
বিস্ফোরণের পর গুলিস্তানের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
মানিকগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৪
মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে গ্যাসের আগুনে চারজন দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এবং একজনকে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সংযোগ ভুল করে চালু রাখায় এ ঘটনা ঘটেছে।
দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন- রাশেদুল ইসলাম (৪৫), তাঁর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০), তাঁদের আড়াই বছরের ছেলে রিফাত হোসেন এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (৩৮)। তাদের গ্রামের বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার রাইল্যা গ্রামে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ফিলিং স্টেশনে আগুন: ঢামেকে অগ্নিদগ্ধ একজনের মৃত্যু
গুরুতর অবস্থায় ওই দম্পতি ও তাদের সন্তানকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। আর ফারুককে ভর্তি করা হয়েছে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। শেখ হাসিনার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, রাশেদ ৮৫ শতাংশ, সোনিয়া ২০ শতাংশ ও শিশু রিফাত ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
থানা-পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা করেন রাশেদুল ইসলাম। সোমবার ঝড়বৃষ্টির কারণে ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা বন্ধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন তারা।
জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ ফারুক হোসেন বলেন, আজ ভোর চারটার দিকে রাশেদুল ঘুম থেকে উঠে দোকানে যাওয়ার জন্য আমাকে ঘুম থেকে উঠতে ডাকাডাকি করেন। ঘুম থেকে উঠে আমরা কক্ষের ভেতর কিছুটা বিকট গন্ধ অনুভব করি। এ সময় রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর কী ঘটেছে আর বলতে পারি না।
মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বশির আহমেদ বলেন, রাতের বেলা দরজা-জানালা বন্ধ করে গ্যাসের লাইন চালু রাখতে পারে বাড়ির লোকজন। কোনো কারণে আগুন জ্বালানোর পর বদ্ধ কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সিএনজি স্টেশনের সিলিন্ডারবাহী গাড়িতে আগুন, দগ্ধ ৭
লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু, মা-ভাই দগ্ধ
২ বছর আগে
ফতুল্লায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, নারীসহ দগ্ধ ৪
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে আগুন লেগে নারীসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কায়েমপুর বিলাসনগর এলাকায় (বুলবুল মিয়ার) ছয় তলা ভবনের পঞ্চম তলায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- গনি মিয়া, সাঈদ, মিলন ও চায়না বেগম। তারা সবাই স্থানীয় একটি ঝুটের গুদামের শ্রমিক। দগ্ধদের রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড জাতীয় প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চায়না বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মুন্সিগঞ্জে বিস্ফোরণ: দগ্ধ ভাইবোনের পর বাবার মৃত্যু
ওই বাড়ির বাসিন্দরা জানান, দুর্ঘটনায় কবলিত ফ্ল্যাটে দুই পরিবার বসবাস করেন। তাদের এক পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে রান্নাঘরে ব্যবহৃত গ্যাসের সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে রুমে জমাট বাঁধে। তারা কর্মস্থল থেকে বাসায় এসে রান্নার জন্য চুলা ধরানোর সময় আগুন ধরে যায়। এতে পুরো ঘরে আগুন ছড়িয়ে চার জন দগ্ধ হয় এবং ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে যায়। খবর পেয়ে এলাকাবাসী গিয়ে এসে আগুন নিভিয়ে দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তুলা কারখানায় আগুন: ৭ শ্রমিক দগ্ধ
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, আগুনের ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়রা কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। দীর্ঘ সময় পর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ইউনিট পাঠাই। তবে এর আগেই স্থানীয়রা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৫
নারায়ণগঞ্জে বন্দরে গ্যাসের সাহায্যে পানির পাইপ লাইন পরিষ্কার ও মেরামত করার সময় দুই মিস্ত্রীসহ গ্যাসের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ নং ওয়ার্ডের বন্দরের পূর্ব নোয়াদ্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন মহসিন (৪০), মনির হোসেন (৫৫), সোলাইমান (৫০), নাজিমউদ্দিন (৫৫) ও মাহফুজ (১৪)।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ীতে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ৩
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, বন্দরের পূর্ব নোয়াদ্দা এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে সোলাইমানের বাড়ির পানি সরবরাহের পাইপ লাইনে আয়রন জমে সরু হয়ে যায়। সরু পাইপ দিয়ে পানি না আসায় সরবরাহ বাড়ানোর জন্য শনিবার মহসিন ও মনির নামে দুই মিস্ত্রীকে নিয়ে আসেন সোলাইমান। মিস্ত্রীরা পাইপের জ্যাম সারাতে হাওয়ার মেশিন ব্যবহার না করে গ্যাসের প্রেসার ব্যবহারের চেষ্টা করেন। তারা অন্য একটি পাইপের মাধ্যমে রাইজার থেকে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পানির পাইপে চাপ প্রয়োগ করে জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতে থাকেন।
ওসি জানান, এ সময় পাইপের লিকেজ দিয়ে নির্গত গ্যাস ঘরে জমতে থাকে। এরপর পাশের গ্যাসের চুলার আগুন ঘরে জমে থাকা গ্যাসের সংস্পর্শে আসতেই আগুনের লেলিহান শিখা ঘরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই মিস্ত্রীসহ পাঁচজন দগ্ধ হন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৫
এলাকাবাসী দগ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয় বলে দীপক চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন।
৩ বছর আগে