সিএনজি চালিত অটোরিকশা
চট্টগ্রামে ট্রেন-বাস-অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
চট্টগ্রামে ডেমু ট্রেনের সঙ্গে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজন হয়েছে। এছাড়া আহত ৯ জনের মধ্যে ছয়জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- মনির হোসেন (৪০), সৈয়দ বাহাউদ্দিন আহমেদ (৩০) ও সাজ্জাদ (১৯)। তাদের মধ্যে মনির হোসেন সিএমপি (উত্তর) ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া বাহাউদ্দিন ডালি কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও সাজ্জাদ পাহাড়তলী কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান বলেন, ঝাউতলায় ট্রেন, বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ বিকাল ৩টায় বাহাউদ্দিন নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে ছয়জন এখনও চিকিৎসাধীন আছেন।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর খুলশী থানার ঝাউতলা রেল ক্রসিংয়ে বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ডেমু ট্রেনের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত ও অন্তত ১০ জন হন।
এ ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম রেলওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল গফুরকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন রেলওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ও চট্টগ্রামের রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাস-সিএনজি-ট্রেনের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
চট্টগ্রামে ট্রেন-বাস-অটোরিকশার ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশসহ নিহত ২
৩ বছর আগে
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রান গেল যুবকের
বগুড়ায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মিলন দাস (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
শুক্তবার বিকালে সাড়ে ৪ টার দিকে বগুড়া -রংপুর মহাসড়কের বারপুর এসওএস শিশু পল্লী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন বগুড়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের পুরান বগুড়া হিন্দু পাড়ার শ্রী সখা দাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিলন বাড়ি থেকে বের হয়ে বন্ধু রবিনকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে মহাস্থানের দিকে বেড়াতে যাচ্ছিলেন।শহরের বারপুর এলাকায় তাদের মোটরসাইকেলের সাথে বিপরীতমুখী একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার সংঘর্ষ হয়। এতে মোটর সাইকেল থেকে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মিলন দাস মারা যান। আর তার সহযাত্রী রবিন (২৮)গুরুতর আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এপ্রিলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৬৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, রবিনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
এ ব্যাপারে বগুড়া পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল রফিকুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশের অনুমতি নিয়ে মিলনের লাশ পরিবারের কাছে দেয়া হয়েছে।এ ব্যাপারে সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
৩ বছর আগে
ঢাকা-নবাবগঞ্জ মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান চাপায় নিহত ৪
ঢাকা-নবাবগঞ্জ মহাসড়কে কাভার্ডভ্যান চাপায় রবিবার সকালে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চারজন নিহত হয়েছেন।
নিহতদের মধ্যে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক উজ্জ্বলের (২৭) পরিচয় জানা গেছে। তার বাড়ি কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মুগারচর এলাকায়। বাকি তিনজন রংপুর জেলার বাসিন্দা। তাদের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৭টার দিকে তুলসীখানী ব্রিজের কাছে বাটার বন্ড কোম্পানির কাভার্ডভ্যান বেপরোয়াভাবে সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পরপরই চালক কাভার্ডভ্যানটি নিয়ে পালিয়েছে।
অজ্ঞাত তিনজন নবাবগঞ্জ থানা এলাকায় কৃষকের কাজ করত। দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় তারা গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন।
নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীনগর থানা এব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেবে।
দেশের চিত্র
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৪৮৪ জন নিহত এবং ৬৭৩ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) তথ্যমতে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা ২৫.৫৮ শতাংশ এবং হতাহতের সংখ্যা ৮.৭৬ শতাংশ বেড়েছে।
আরএসএফ সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
সংগঠনটি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারিতে ৩৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৫ জন নিহত হন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সারা দেশে ১৫৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন মারা গেছেন, যা মোট নিহতের ৩৪ শতাংশ এবং মোট দুর্ঘটনার ৩৭.২৩ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৫৩ জন, যা মোট হতাহতের ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
চারটি নৌ দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, চারজন আহত এবং ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। একই সময়ে ১১টি রেল দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন।
ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে সিলেট বিভাগে।
৩ বছর আগে
সিলেটে বাসচাপায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে বাসচাপায় বুধবার মা-মেয়েসহ অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
তারা হলেন- সিলেটের বিশ্বনাথের পূর্ব চাশনীকাপন গ্রামের রাহেলা বেগম (৫০), তার মেয়ে কামরুন্নাহার শিপা (২২) ও ওসমানীনগরের কুরুয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক শামীম মিয়া (৩৫)।
তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিকাল পৌনে ৫টার দিকে লালাবাজারে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিাচালিত অটোরিকশাকে চাপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন মারা যান।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ঘনঘন দুর্ঘটনা সম্পর্কে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শেখ মাসুদ করিম বলেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই মহাসড়কে অটোরিকশাসহ অনেক ছোট যানবাহন চলে। এছাড়া অনেক গাড়ির কাগজ নেই, চালকদের লাইসেন্স নেই। চালকরা অপ্রশিক্ষিত ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞ। যারা আইন জানে তারাও মানতে চায় না। আবার নির্ধারিত ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ও পণ্য নিয়ে চলাচল করে অনেক গাড়ি- এসব কারণে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, এই সড়কে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে রাতের বেলা বা ভোরে। দিনে পুলিশের নজরদারির কারণে গাড়ির গতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু রাতে পুলিশের টহল সীমিত হয়ে আসে। এতে চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সিলেট অংশে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে নিয়মিত। এরমধ্যে গত ২৬ মার্চ এই মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত হন ৮ জন।
৩ বছর আগে