সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারে বাসচাপায় বুধবার মা-মেয়েসহ অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন।
তারা হলেন- সিলেটের বিশ্বনাথের পূর্ব চাশনীকাপন গ্রামের রাহেলা বেগম (৫০), তার মেয়ে কামরুন্নাহার শিপা (২২) ও ওসমানীনগরের কুরুয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক শামীম মিয়া (৩৫)।
তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বিকাল পৌনে ৫টার দিকে লালাবাজারে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিাচালিত অটোরিকশাকে চাপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন ও হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন মারা যান।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ঘনঘন দুর্ঘটনা সম্পর্কে হাইওয়ে পুলিশ সিলেট জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) শেখ মাসুদ করিম বলেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এই মহাসড়কে অটোরিকশাসহ অনেক ছোট যানবাহন চলে। এছাড়া অনেক গাড়ির কাগজ নেই, চালকদের লাইসেন্স নেই। চালকরা অপ্রশিক্ষিত ও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অজ্ঞ। যারা আইন জানে তারাও মানতে চায় না। আবার নির্ধারিত ক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী ও পণ্য নিয়ে চলাচল করে অনেক গাড়ি- এসব কারণে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, এই সড়কে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে রাতের বেলা বা ভোরে। দিনে পুলিশের নজরদারির কারণে গাড়ির গতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু রাতে পুলিশের টহল সীমিত হয়ে আসে। এতে চালকরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সিলেট অংশে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে নিয়মিত। এরমধ্যে গত ২৬ মার্চ এই মহাসড়কের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার রশিদপুরে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত হন ৮ জন।