জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা বিশ্বজুড়ে শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: ইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছে, ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা বিশ্বজুড়ে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
‘এই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা দিবসে আমরা সংঘাত শেষ করতে এবং জীবন বাঁচাতে তাদের কাজের প্রতি আমাদের স্বীকৃতি জানাচ্ছি,’ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকা অবস্থিত ইইউ দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ইইউ দূতাবাস আরও জানিয়েছে, ‘ইইউ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম-ভিত্তিক ব্যবস্থার দৃঢ় সমর্থক, যা আমাদের নিরাপদ রাখে এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করতে সহায়ক।’
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১৯৪৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দুই মিলিয়ন (২০ লাখ) পুরুষ ও নারী জাতিসংঘ পতাকার অধীনে ৭১টি শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা ইইউর
বর্তমানে ১১টি শান্তিরক্ষা মিশনে ১১৯টি দেশের এক লাখেরও বেশি সেনা, পুলিশ ও বেসামরিক কর্মী শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টা সমর্থন করছে এবং নাগরিকদের সুরক্ষা দিচ্ছে।
এই বছরের প্রতিবাদ ‘শান্তিরক্ষা ভবিষ্যৎ’ শান্তিরক্ষা অভিযানের বিকাশমান প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করে, যা একটি জটিল এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।
জাতিসংঘ সক্রিয়ভাবে মিশনগুলোকে আধুনিকীকরণ এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের জন্য অভিযোজন করতে কাজ করছে।
২১০ দিন আগে
সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার প্রশংসা ইইউর
১৯৮৮ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন উল্লেখ করে তাদের এই ভূমিকার প্রশংসা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক বার্তায় ঢাকাস্থ ইইউ দূতাবাস এ কথা জানিয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, সংঘাতের অবসান ও প্রাণ রক্ষার এই প্রচেষ্টার স্বীকৃতি জানাই আমরা। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি ইইউ দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের এই কর্মকাণ্ড আমাদের নিরাপদ রাখে এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধিতেও সহায়তা করে।
২১০ দিন আগে
শান্তি মিশনে যৌথ কন্টিনজেন্ট মোতায়েনের লক্ষ্যে গাম্বিয়া সফরে সেনাপ্রধান
সরকারি সফরে রবিবার (১১ জুন) গাম্বিয়া উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-গাম্বিয়া যৌথ কন্টিনজেন্ট মোতায়েনের লক্ষ্যে সক্ষমতা যাচাই এবং পরবর্তী পন্থা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে গাম্বিয়া সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান এই সফরে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে গাম্বিয়া কর্তৃক বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কন্টিনজেন্ট মোতায়েনের আগ্রহের প্রেক্ষিতে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদৌ টাঙ্গারা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ ওমর ফাই এবং চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াঙ্কুবা এ. ড্রামেহসহ উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ৮-১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ঢাকা সফর করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গাম্বিয়ার প্রস্তাবনা এবং সক্ষমতা সরেজমিনে পরিদর্শন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানের এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের উদ্দেশে সেনাপ্রধানের ঢাকা ত্যাগ
একই উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও এই বৈঠকে যোগদান করবে।
সফরকালে সেনাবাহিনীর প্রধান গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আদামা বারো, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ এবং ঊর্ধ্বতন সামরিক ও অসামরিক ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমসহ প্রশিক্ষণ এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে।
সেনাবাহিনীর প্রধান গাম্বিয়া সফর শেষে ১৬ জুন দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
কৌশলগত অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সেনাপ্রধানের আলোচনা
৯২৮ দিন আগে
কঙ্গোতে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মৃত্যু
কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী মো. মামুনুর রশিদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তিনি জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানার বাটিকামারী গ্রামের বাসিন্দা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বহরে হামলায় নিহত ১, আহত ৩
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক সার্জেন্ট মামুনুর গত বছরের ১১ অক্টোবর কঙ্গোতে মনুসকো শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদান করেন।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে এ পর্যন্ত ১৩১ জন বাংলাদেশি সৈন্য মৃত্যুবরণ করেছেন ও ২৩২ জন সৈন্য আহত হয়েছেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত সাহস ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে আইইডি বিস্ফোরণে ৪ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
১০৩৫ দিন আগে
সেনাবাহিনীকে আরো আধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার বলেছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তিগত জ্ঞানে সুসজ্জিত এবং সবচেয়ে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
২১৮৮ দিন আগে